somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বয়স কমিয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের ফায়দা কি???শেষ পর্যন্ত আমরা কেন বয়স কমাই??? X( X(( X( X(( একটি বয়স কমানো ছেলের উপলব্ধি (বয়স কমানোর পর যদি ১৮+ হন তাহলে ঢুকেন)

২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের ব্যাচের অনেক ছেলেপেলের ফেসবুকে জন্মতারিখ দেয়া দেখলাম ১৯৯০ সালে। আমি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৯৩ সালে এবং আমার মনে হয় আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ ছেলে-পেলেরই এই সময়ে শিক্ষাজীবন শুরু।তার মানে কি যারা দাবী করে ১৯৯০ সালে তাদের জন্ম তারা তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই স্কুলে ভর্তি হয়েছে???

তার আগে দেখে নেই স্কুলে যাওয়ার মিনিমাম রিকোয়ারমেন্টগুলা।

এক।এখন যদিও স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হয় না এবং শুনতে পাই ইদানিং স্কুলে ভর্তি নিয়ে যথেষ্ট দুর্নীতি হচ্ছে, তবে সেটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়। আমাদের সময়ে(আমি বলছি ১৯৯৩-৯৪ সালের কথা) স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হত এবং মিনিমাম লেখাপড়া না করলে যেমনঃ অ-আ, ক-খ,A-Z, ১-১০০ ইত্যাদি আগে থেকেই না শিখলে কারো পক্ষে ভাল কোন স্কুলে সুযোগ পাওয়া সম্ভব ছিল না(এটা চট্টগ্রাম শহরের বাস্তবতা এবং আমার মনে হয় উন্নত শহরগুলোর চিত্রও একই ছিল।) অর্থাৎ একটা ছেলে ঘর থেকেই মিনিমাম পড়ালেখা শিখে ভর্তি যুদ্ধে নামতে বাধ্য হচ্ছে।নাহলে ভবিষ্যত ঢেকে যাচ্ছে অন্ধকারে।

আমারতো মনে হয় না দুই আড়াই বছর বয়সে কারো ব্রেন পড়ালেখা করার মত ডেভেলপ করে।অনেকেরতো মুখের কথাই তখনো পরিষ্কার হয় না।আর স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করা তো দূরের কথা।আর তাছাড়া মা-বাবাকে ছেড়ে কয়েক ঘন্টা স্কুলে থাকার মত ম্যাচিউরিটিও তাদের আসে না।দুই বছর বয়সে স্কুলে যাওয়াটা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।

তাহলে এই ছেলেপেলেগুলা কিভাবে দুই আড়াই বছরে স্কুলে গেল?

সহজ কথায় অবশ্যই এখানে বয়স চুরির একটা ব্যাপার আছে। আর এর প্রধান কারণ মূলত আর্থিক। সব বাবা-মাই ভাবে যেহেতু ছেলেকে একদিন অবসরে যেতে হবে তাই বয়স কমিয়ে দিলে ছেলে বেশিদিন চাকরী করতে পারবে। আর যারা সরকারী চাকরী করতে চান তাদের ক্ষেত্রে আছে বিসিএসের চিন্তা।বয়স কম হলে বেশিবার বিসিএস দেয়া যাবে।সরকারী চাকরীর সুযোগ বাড়বে।আর এটা কে না জানে এদেশে একবার সরকারী হলে মৃত্যু ছাড়া আর কোনভাবেই চাকরী যাওয়া সম্ভব নয়।সারাজীবনের আর্থিক নিরাপত্তা।

এই বয়স কমানোটা কাজে লাগে বিয়ের ক্ষেত্রেও।ছেলে অল্প বয়সে প্রতিষ্ঠিত-এটা প্রমান করা গেলে বিয়ের বাজারে ছেলের দাম বেড়ে যায় বহুগুন।ছেলের দোষগুন যা-ই থাক।

আর মেয়েদের বয়স কমানো নিয়ে যে কত গল্প প্রচলিত সেটাতো আমরা সবাই জানি।এখনে খালি ছোট্ট একটা গল্প বলব।এক মহিলা অ্যাকসিডেন্ট করেছেন।মারাত্মকভাবে আহত।মহিলা যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। হাসপাতালে তাকে পৌছে দেয়ার জন্য কোন যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না।ট্রাফিক সার্জন সাহায্যের জন্য ফোন করেছেন হেডকোয়ার্টারে।ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বললেন, মহিলার বয়স আনুমানিক পয়ত্রিশ এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত।শত যন্ত্রনার মাঝে মহিলা কোনরকমে বলে উঠলেন , আমার বয়স পঁচিশ!!!!!!!!!!!!!!!

আরেকটা ঘটনা মনে পড়ল।২০০৪ সালের কথা। ভাইয়ারা সে বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবেন। হঠাৎ পুরো কলেজিয়েট স্কুল তোলপাড়। কেন? কারণ উপরের দিকের এক ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আসে নাই।ঘটনা কি? ছেলেতো টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করে নাই।আসল ঘটনা ছিল ছেলের বয়স এতই কমানো হয়েছিল যে দেখা গেল ২০০৪ সালের মার্চে(যখন এসএসসি শুরু হবে) তখনও ছেলের বয়স ১৪ বছর ২ মাস হয় নাই (সরকারীভাবে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৪ বছর ২ মাস)।

উন্নত বিশ্বে হাসপাতালগুলোতে শিশু জন্মের সাথে সাথেই তার জন্মনিবন্ধন করা হয়।ফলে বয়স চুরির কোন সুযোগ নেই।কারণ এর সাথে দেশের নাগরিকত্ব এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার জড়িত।আমার মনে হয় আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতেও এই ব্যবস্থা করা উচিত।

যে কারনে এই নোট লেখা তাই-ই বলা হল না। সার্টিফিকেটে বয়স কমিয়ে এর সুবিধা সবাই নেবে- আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমার শুধু খারাপ লাগে যখন দেখি ফেসবুকেও এরা বয়স কমিয়ে শিশু সাজতে চায়।ফেসবুকে কমিয়ে লাভটা কি???

যারা বয়স কমিয়ে দুধের শিশু সাজতে চায় তাদের সকলকে গদাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৬
২৬টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×