somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবহীক গল্প চার গোয়েন্দার অনুসন্ধান শেষ পর্ব

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিশেষ অনুরোধ করা হইল কেউ ভুল বুঝবেন না পাঠকগণের সুবিদার্থে যাতে করে পাঠক গন পুরো গল্প একসাথে পড়তে পারেন
সে জন্য সব গুলো পর্ব এক সাথে এ্যড করে দেওয়া হোল ।



সূভল দাসের হর্তার রহস্য উদ্ধগাদনের জন্য গত দুই দিন যাবর্ত নয়নে তন্দ্রা নাই পচন্ত্র ব্যাগে ছুটে চলছি ও অসান্ত চাপে আছি । চিন্তায় বির্ধেশ হয়ে যাচ্ছি কি ভাবে মারা গেল কে বা তারে হত্যা করবে ।ও তল্লাতে সূভল দাসের মত ঐ রকম লোক আর একটাও খুজে পাওয়া যাবে না ।লোকটা অনেক ভাল ছিল । আর যাই হোকনা কেন তার সাথে কার দন্দ ছিল না মত বিরোধ ছিল না । অসাধারন একজন ব্যক্তি ছিলেন। তবে কে তাকে মারবে।
তবে আমার বেশি সন্দেহ ছিল সূবল দাসের বাড়ীতে যে কাজের ছেলেটা ছিল তাকে এত বড় রাজপ্রাসাদ শুধু চার জন লোক থাকে ।



বিশানায় হামা গড়া খাচ্ছি হামিয়ে আচ্ছে নয়নে তন্দ্রা । ভাবতে ভাবতে বিবর নয়ন কাপাচ্ছে তন্দ্রায় । এক পর্যায় তন্দ্রায় নয়ন দুটি বিপ্রতব হয়ে এক নিমেষে নয়ন দুটি তন্দ্রায় বন্ধ হয়ে গেছে । কেবল কাচা ঘুম তার মধ্যে সি আই ডি অফিসার ,,বিমুল কুমার ,,ফোন দিলেন মিস্টার ওষেক বোস কি করছো একটু আসতে পারবে থানায় যোদিয়ঐ সময় তা আমার ডিউটি ছিলো না তার পরেও যেতে হবে কারন ভদ্র লোক ,,বিমুল কুমার,,এপযন্ত যে কয়টি গুরত্ব পূন্য অপরেশন করেছেন ও হাতিয়ে ছেন সব গুলো অপরেশনে আমাকে সাথে রেখে করেছেন । কারন ছোট বেলায় যখন আমি কোলকাতায়পড়া লেখা করেছি তখন ,,বিমুল কুমার,,আমার দুই ক্ল্যাস সিনিয়ার ছিলেন এবং খুব বিলেন্ড ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই তার সাথে আমাকে জরিয়ে ফেলে । আর ,,বিমুল কুমার,, আমাকে ছোট ভাইয়ের মত দেখতেন এবং অনেক আদর করতেন আর তখন কলেজে কোন সমস্যা হলে ,,বিমুল দা……….. সেখানে গোয়েন্দার দায়র্ত্ব আমাকে দিতেন । আর আজকে এখানে পযন্ত আসার পিছনে সব কিছুর জন্যই ,,বিমুল,,দা ।যাই হোক যে কথা বলতেছিলাম বিমূল কুমারকে বললাম দাদা আমি আসছি ঠিক আছে একটু তারাতরি এসো এখানে আমার সাথে পোস্তমডেম ড.শ্যাম আছেন তিনিও এ মামলাটি নিয়ে একটু চিন্তিত আছেন । ঠিক আছে দাদা আমি ২০ মিনিটের ভিতরে এসে যাবো ।



ঠিক মিনিট বিশ মধ্যে চলে গেলাম বিমুল কুমারের অফিসে ।
গোয়েন্দা অফিসার ,,বিমুল কুমার,, আর ড.শ্যাম দুইজনে মিলে এখন কোন সঠির্ক তদন্ত করতে পারে নাই আমাকে দেখে বিিমুল কুমার বললো এসো ওষেক এসো বসো হ্যা দাদা কোন কিছু বাহীর
করা সম্ভব হয়েছে না ওষেক এখন কিছু করতে পারি নাই সেই জন্যই ওষেক তোমাকে দেকে আনা সেই প্রসংঙ্গে যাবার আগে তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই এ হলো ড.শ্যাম ,,আর মিঃ শ্যাম এ হলো যার কথা আপনাকে আগেই বলে ছিলাম ওর নাম ওষেক বোস । ড. হ্যলো ওষেক হ্যা হ্যলো ড. শ্যাম



বিমুল দা বললো ওষেক কি করা যায় কেন দাদা কোন রাস্তা কি পাওয়া যাবে না অবশ্যই পাওয়া যাবে ।
দাদা শুধু চিন্তা করে শরীল ও মন খারাপ করে কোন লাভ নাই তাতে লাভের স্থানে পিছিয়ে পরতে হবে । তার চেয়ে বরং চলুন দাদা
আজ বিকেলে কোন কফি হাউজে আড্ডা মারি আর সন্ধায় যাবো সূভল দাসের বাড়ীতে আজ সারা রাত ঐ বাড়ীতে তদন্ত করবো দেখা যাক কিছু একটা কূল-কিনারা হয় কিনা । ঠিক আছে ওষেক
তবে তাই হোক আজ সারা রাত আমরা ও বাড়ীতে থাকবো ।

তো দাদা এখন তাহোলে ওঠা যাক আজ কয়েক দিন যাবর্ত ঘুমের
কথা বুলে গেছি এ বেলা একটু ঘুমাতে চাই । তাহোলে ওষেক ও মিস্টার শ্যাম কথা এতাই ফাইনাল আমরা আজ সারা রাত সূভল দাসের বাড়ীতে থাকবো আর হ্যা রাতের ডিনার আমরা আমার বাড়ী থেকে সারবো ওকে ঠিক আছে বিমুল দা তাই হবে আমার পক্ষ থেকে কোন অসুবিধা নেই যোদি না মিঃ শ্যামের কোন আপত্তি না থাকে কি বলুন মিঃ শ্যাম ও কথা বলে আমাকে লজ্জা দিবেন না মিঃ বিমুল । তাসারা ভালই হবে অনেক দিন বৌদীর হাতের রান্না পেতে পরে না তাহোলে কথা এতাই ঠিক আছে ।




ঠিক বিকেল চারটা নাগাত চলেগেলাম বিমুল দা বাড়ীতে । বিমুল দার বাড়ী থেকে রেডি হয়ে চলে গেলাম মিঃ শ্যামের বাড়ীতে । মিঃ শ্যাম আমাদের উপস্ততি দেখে ভিষন খুশি হোলেন আর বলে উঠলেন আসুন মিঃ বিমুল আসুন তার পরে মিঃ ওষেক কি খবর আসুন
বসুন আমি একবার চেয়েছিলাম মিঃ বিমুল সাহেবের ওখানে চলে যাই আবার ভাবলাম আমি এক রাষ্টায় যাবো আপনেরা আরেক রাষ্টায় আসবেন এ ভেবে আর এগুলুম না ।
কাজের মহিলা কে বলে দিলেন চায়ের কথা চা নিয়ে আসলো চা খাওয়ার শেষ ইতি মধ্যে
ড. শ্যামের বাগানের পাশ্বে বসে চা পর্ব শেষ করলাম । বিমুল দা ড.শ্যামকে বললেন মিঃ শ্যাম তারাতারি তৈরী হয়ে নিন আমরা এখনি বেরিয়ে যাবো । ড.শ্যাম গেলেন ড্রেসাব চেঞ্জ করার জন্য । আমি আর বিমুল দা ড.শ্যামের ফুল বাগানতা একটু গুরে দেখলাম না ভালই লেগেছে বাগান তা । ইতি মধ্যে ড.শ্যাম রেডি হয়ে এসে গেলেন আমরা বেরিয়ে গেলাম । তখন বাজে পাচঁটা ত্রিশ মিনিটের মত বিমুল দা ড.শ্যামের ওখান থেকে বেরিয়ে আমাদেরকে সাথে করে প্রায় আধা ঘন্টার মত কয়েকটি স্থানে গুড়িয়ে আনলেন । তার পর বিমুল দা গাড়ি টাকে একেবারে কফি হাউজের সামনে রাখলেন দিনটি রবিবার ছুটির দিন
কফি হাউজে চলতেছিল বৈ কালীন আড্ডা ।
আমরা তিন জন ঠিক করলাম আমরা কফি হাউজের বারান্দায় বসবো । বিমুল দা কফির অর্ধার দিলেন কফি হাতের কাছে এসে পরলো চুমকে চুমকে শেষ করলাম কফি বিল পে করে দেখি সন্ধা হয়ে এসেছে বিমুল দা বললো চলো এবার ফিরা যাক আমরাও বললাম চলুন । এসে পড়লাম বিমুল দার বাড়িতে ।। বিমুল দার বাড়িতে যেয়ে দেখি বিমুল দার সালা এসেছে বিমুল দার সালা যে উনিও একজন গোয়েন্দার ভাল অফিসার ছিলেন ।
সালককে দেখে বিমুল দার খুশি দেখে কে যদি সালক তারপরেও তারা আগের সম্পর্কতেই চলে । বিমুল দা বিয়ের আগে তার শালকের সাথে সম্পর্ক ছিল বন্ধুত । বিমুল দা আর বিরেন দার মধ্যে বন্ধুত্য সম্পর্কতাই আসতে আসতে তাদের কে আপন সম্পর্কে বেধে ফেলে । সালককে দেখে বিমুল দার খুশি দেখে কে যদি সালক তারপরেও তারা আগের সম্পর্কতেই চলে । বিমুল দা বিয়ের আগে তার শালকের সাথে সম্পর্ক ছিল বন্ধুত । বিমুল দা আর বিরেন দার মধ্যে বন্ধুত্য সম্পর্কতাই আসতে আসতে তাদের কে আপন সম্পর্কে বেধে ফেলে ।

বিমুল দা সালকের সাথে আমাকে ও মিষ্টার শ্যামকে পরিচয় করিয়ে দিলেন । রাতের ডিনার পর্ব শেষ করলাম ।
বিমুল দা বল্ল ওষেক সারা রাত জেগে থাকতে হবে তাই ওখানে সামান্য চা বা কফি এবং হালকা নাষ্টা ব্যবস্থা থাকলে ভালো হোত
কিনতু এত রাতে ওখানে চা করে দিবে কে আর আমি খুব ভালো চা করতে পারতাম তাই বিমুল দা এই রাতের চা ও কফির এবং হালকা মাঝ রাতের ব্রেক ফাস্টের দায়ত্বতা আমাকে দিয়ে দিলেন ।
আমি চটফট চলে গেলাম এই এরেজমেন্টের জন্য ।

বিপুল দা আর ড. শ্যাম তারা দুজনে মীলে আমাদের সারা রাতের অপরেশনে যা যা লাগবে তা রেডি করলেন ।
এর মধ্যে বিরেন দা এসে বিমুল দাকে জিজ্ঞেস করলেন জামাই বাবু কি আজ রাতে কোন অপরেশ নে যাচ্ছেন । হ্যারে বিরেন একটা অপরেশন নিয়ে আজ কয়েক দিন ধরে সি আই ডি অফিসার লুকলা সাহেবে অসুস্থ থাকায় তার একটি মামলা মানে সূভল দাসের হর্তার রহস্য মামলা টা আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর সে জন্য আজ কয়েক দিন যাবর্ত বিশানায় পযন্ত সময় দিতে পারছি না তাই আজ চিন্তে করলাম আজ আমরা তিন জন সারা রাত সূভল দাসের হর্তার রহস্য খোজার জন্য তার বাড়িতে একটি তদন্ত চালাবো । বেশত জামাই বাবু তাহোলে আমিও তোমাদের সাথে যাবো কি বলিছ তুই যাবি তাহোলেত ভালোই হবে ওহে ওষেক অার মিষ্টার শ্যাম ভালোই হোলো আরেক জন যোগ হোলো আমার সাথে । ওষেক বলে উঠলো জি স্যার আরেক জন মানে বুঝলাম না আরে বিরেন যাবে আমাদের সাথে ওষেক বললো তাহোলে ভালোই হবে স্যার চার জন সারা রাত জমবে ভালো ।
মিষ্টার ততক্ষনে আমাদের যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন । তখন রাত নয়টা বাজে চারজন বেরিয়ে পরলাম সুভল দাসের বাড়ির উদ্দেছে ।

বিপুল দার বাড়ি থেকে সূভল দাসের বাড়িতে যেতে প্রায় এক ঘন্টার রাষ্টা । বিপুল দা গাড়ীর স্টাটিংঙ্গে তার পাশ্বের সীতে আমি আর মিষ্টার শ্যাম আমরা দুজনে গাড়ীর পিছনের দিকতায় যে দুটো সীত তাতে গাড়ী চলতেছে হঠাৎ মাঝ রাষ্টায় বিরেন দার চোখে একটি মদের দোকান পরলো বিরেন দা বিপুল দাকে বললেন একটু গাড়ীটা থামাতে বিপুল দা গাড়ী থামালেন বিরেন দা সেই মদের দোকন থেকে দুই বোতল মদ
কিনলেন আবার বিপুল দা গাড়ী চালানো শুরু করলেন এবার সরাসরি সুভল দাসের বাড়ির সামনে নিয়ে গাড়ী রাখলেন ।
বিমুল দা ঠিক সেই রাজপ্রাসাদের সামনে গাড়ি রাখলে আমরাচারজন
গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম রাজপ্রাসাদের ভিতরে দেখি একজন পহড়ি সারা আর সব ঘুমিয়ে গেছে । বিমুল দা গাড়ি থেকে নেমে পহড়িকে ডাক দিলেন পহড়ি বিমুল দার ডাকে সারা দিলেন এবং বিমুল দার কাছে আসলেন। প্রহরী বিমুল দাকে বললেন দাদা এত রাতে আপোনেরা হ্যা এত রাতেই আসলাম কারন আজকেই মধ্যেই এ হত্যার রহস্য বের করতে হবে । আপনি এক কাজ করুন আগে আমাদের জন্য একটি রুম রেডি করুন যে রুমে আজ সারা রাত আমরা থাকবো । ঠিক আছে দাদা আমি এখনি একটি রুম আপোনাদের জন্য রেডি করছি । পহড়ি চলে গেলেন রুম রেডি করতে এই ফাকে আমরা বাড়ির চার পাশ খুজে দেখলাম কিছু তথ্য পাওয়া যায় কিনা খুজে কেউ কিছু পেলো না কিনতু আমি পেয়েছি একটি রকেটও আলা চেইন । এরই মধ্যে পহড়ি এসে বিমুল দাকে বলল দাদা আপনাদের জন্য রুম রেডি হয়েগেছে । বিমুল দা চলুন রুমে যাওয়া যাক পহড়িকে সংঙ্গে নিয়ে চলে গ+লাম রুমে পহড়িকে জিজ্ঞাসা বাদ শুরু করলাম আপনেরা কত দিন যাবর্ত এ বাড়িতে কাজ করেন তা হবে দাদা বছর ত্রিশ কত জন আছেন আছি দাদা হাতে ছয় জন আচ্ছা এত দিন যাবর্ত আছেন সূভল দাস লোকটা কি খুব খারাপ বাজে একটা লোক তাই না আপোনাদেরকে ঠিক মত বেতন দিতো না আর সে জন্যই তাকে হত্যা করেছেন ঠিক বলেছি না । ছি ছি দাদা ছি এসব কি বলছেন আমাদেরকে কর্তার হত্যা কারী করুন সেতা মেনে নেবো কিনতু দয়া করে কর্তার নামে ও ভাবে অপবাদ দিবেন না তিনি বড় ভালো ছিলো তার মতো ঐ রকম লোক এ ভব সংসারে একজন খুজে পাওয়া যাবে না ।
হুম বুঝতে পাড়ছি আচ্ছা এ পৃথিবীতে সূভল দাসের আর কেউ নেই । আছে দাদা আছে কর্তা বিয়ের দু বছর বাদে একটি ছেলে হয় আর ছেলেটি জম্মের সময় ঘৃর্নী মাতা মারা যান আর ঘৃর্নী মাতা মারা যাওয়ার পরে কর্তা কোলে পিঠে করে ছেলেটিকে দশটি বছর নিজের কাছে রাখেন পড়ে ছেলে টিকে পড়া লেখা শিখে মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য বিলেটে পাঠিয়ে দেন । সেইযে ছোট কর্তা বিলেটে গেছেন আজ পযন্ত কোন দেখা পেলাম না কর্তার মৃত্যুর দুদিন আগে কর্তার সাথে এক বার কথা হয়েছিলো ছোট কর্তা কে নিয়ে তা কর্তা বলেছিলো ছোট কর্তা নাকী এরই মধ্যে আসবেন দেশে কিনতু কোথাই আজ বেশ কিছুদিন হয়ে গেল এখন ছোট কর্তার কোন খোজ পেলাম না ।
আচ্ছা আপনেরা সূভল দাসের বাড়িতে কতজন লোক কাজ করেন তা করি আমরা ছয়জন আর আমরা সকলেই কর্তার পুরনো ও বিশ্বাশি এবং খুব কাছের লোক ছিলাম ।
প্রতিদিন কি আপনি একা একা পহরা দেন না দাদা আমরা দুজনে পহরা দেই আমার সাথে আরেক জন যে আছে সে আজ কয়েক দিন যাবত অসুস্থ তাই ও বিশ্রাম করছে । আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যান বিশ্রাম নেন সকালে সকলে মিলে আমাদের দেখা করবেন ।
সকাল হোলো সকলে একে একে আসলো তারা ছয়জন ছিলো সকলকে জিজ্ঞাসা করা হোলো কেউ আসল তথ্য দিতে পারলো না
সকলে গলায় দেখী একি চেন পড়া কিনতু একজনের গলায় চেন নাই তখন তাকে বেশি সন্ধেহ হোলো তাকে জিজ্ঞাসা বাদে এক পর্যায় তাকে দুই চারটি মেরে বসলাম । কিনতু কোন লাভ হোলো না অবশেষে সূভল দাস যে ঘরে থাকতেন সে ঘরে গেলাম ।
সে ঘরে সার্চ করে কিছু পাওয়া গেলোনা ।
ঘর থেকে সকলে বের হয়ে গেছে আমিও বের হোতে ছিলাম এরি মধ্যে আমার দৃষ্টি পড়লো সূভল দাসের খাটের নিচে এক কোনায় সেখানে পড়ে আছে একটি ডাইরী । আর ডাইরীর নিচে পড়ে ছিলো
সেই ছুড়ি যে ছুড়ি দিয়ে সূভল দাস হত্যা হয়েছে ।
আমি ছুড়িটি আর ডাইরী টি আমার ব্যাগে তুলে নিলাম ।
ব্যস ওখানের কাম শেষ চলে আসলাম চারজন মিলে বিমুল দার অফিসে ।
বিমুল দা বল্ল সারা রাত অনেক পরিশ্রম হয়েছে তাই আগে বিশ্রাম প্রয়োজন তার পর বিকেলে কেচ্ছটি স্যারের হাতে হ্যন্ডওভার করে দিবো । তাহোলে ওসেক ও ডঃস্যম আপনেরা চলে যান বিকেলে অফিসে আসবেন । ওখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম ।
বাসায় এসে বিশ্রাম শেষ করে বাড়িন্দায় বসে কি যেন মনে করে
সূভল দাসের ডাইরীটি ব্যগ থেকে বের করে নিয়ে হাতে করে নিয়ে আবারো বাড়িন্দায় যেয়ে বসলাম। বসে ডাইরীটি খুলে সূভল দাসের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক সুখ দুংখের কথা পড়লাম ও তার জীবনে নানান ধরনের ঘটে যাওয়া ঘটনা জানলাম । কেন জানি
মনতা বল্ললো সূভল দাস মরার আগে কোন ঘটনা লেখছেকিনা তাই ডাইরী শেষ লেখার পৃষ্টাতা উল্টাতে উল্টাতে একেবারে ডাইরী শেষ পৃষ্টায় চলে আসলাম এসে একটি লেখা পেলাম । খোকা আজ অনেক বড় হয়ে গেছে আর এখন খোকার আমাকে প্রয়োজন নাই তাই খোকা আমাকে না বলেই বিলেতি মেম বিয়ে করছে । খোকার নাকী এদেশে আসতে মনে চায়না সে আর আসবে না এ দেশে । হায়রে খোকা তোর কারনে তোর মা মরে যাওয়ার পড়ে আর বিয়ে করলাম না আর তুই আমায় ছেড় দূরে থাকবি আমার কাছে আর আসবিনা এ কথাগুলো লেখা ছিল ।
শেষের লেখা আমার মিত্যুর জন্য কেউ দায়ী না আমি নিজেই এই সুন্দর মায়া পূর্ন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম খোকনের মায়ের কাছে । পড়ার শেষে আমার আর বুজতে বাকী রইলো না আসলে সূভল দাস হত্যা হয় নাই সে আত্মহত্যা করেছেন ।
ফোন দিলাম বিমুল দা কে তার পর ডাইরীতে লেখা সব ঘটনা বিমুল দাকে এবং ডঃ শ্যমকে ও বিমুল দার শালককে জানানো হলো। হুম সত্যই এরকম ঘটনা খুবই নির্মম কষ্ট ও বেদনা দায়ক ।
আমরা আজকের ছেলে মেয়েদের দিয়ে কতই না কষ্টের শিকার হই । শেষ পযন্ত সন্তানের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দেই ।



বিশেষ অনুরোধ করা হইল কেউ ভুল বুঝবেন না পাঠকগণের সুবিদার্থে যাতে করে পাঠক গন পুরো গল্প একসাথে পড়তে পারেন
সে জন্য সব গুলো পর্ব এক সাথে এ্যড করে দেওয়া হোল ।



সূভল দাসের হর্তার রহস্য উদ্ধগাদনের জন্য গত দুই দিন যাবর্ত নয়নে তন্দ্রা নাই পচন্ত্র ব্যাগে ছুটে চলছি ও অসান্ত চাপে আছি । চিন্তায় বির্ধেশ হয়ে যাচ্ছি কি ভাবে মারা গেল কে বা তারে হত্যা করবে ।ও তল্লাতে সূভল দাসের মত ঐ রকম লোক আর একটাও খুজে পাওয়া যাবে না ।লোকটা অনেক ভাল ছিল । আর যাই হোকনা কেন তার সাথে কার দন্দ ছিল না মত বিরোধ ছিল না । অসাধারন একজন ব্যক্তি ছিলেন। তবে কে তাকে মারবে।
তবে আমার বেশি সন্দেহ ছিল সূবল দাসের বাড়ীতে যে কাজের ছেলেটা ছিল তাকে এত বড় রাজপ্রাসাদ শুধু চার জন লোক থাকে ।


বিশানায় হামা গড়া খাচ্ছি হামিয়ে আচ্ছে নয়নে তন্দ্রা । ভাবতে ভাবতে বিবর নয়ন কাপাচ্ছে তন্দ্রায় । এক পর্যায় তন্দ্রায় নয়ন দুটি বিপ্রতব হয়ে এক নিমেষে নয়ন দুটি তন্দ্রায় বন্ধ হয়ে গেছে । কেবল কাচা ঘুম তার মধ্যে সি আই ডি অফিসার ,,বিমুল কুমার ,,ফোন দিলেন মিস্টার ওষেক বোস কি করছো একটু আসতে পারবে থানায় যোদিয়ঐ সময় তা আমার ডিউটি ছিলো না তার পরেও যেতে হবে কারন ভদ্র লোক ,,বিমুল কুমার,,এপযন্ত যে কয়টি গুরত্ব পূন্য অপরেশন করেছেন ও হাতিয়ে ছেন সব গুলো অপরেশনে আমাকে সাথে রেখে করেছেন । কারন ছোট বেলায় যখন আমি কোলকাতায়পড়া লেখা করেছি তখন ,,বিমুল কুমার,,আমার দুই ক্ল্যাস সিনিয়ার ছিলেন এবং খুব বিলেন্ড ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই তার সাথে আমাকে জরিয়ে ফেলে । আর ,,বিমুল কুমার,, আমাকে ছোট ভাইয়ের মত দেখতেন এবং অনেক আদর করতেন আর তখন কলেজে কোন সমস্যা হলে ,,বিমুল দা……….. সেখানে গোয়েন্দার দায়র্ত্ব আমাকে দিতেন । আর আজকে এখানে পযন্ত আসার পিছনে সব কিছুর জন্যই ,,বিমুল,,দা ।যাই হোক যে কথা বলতেছিলাম বিমূল কুমারকে বললাম দাদা আমি আসছি ঠিক আছে একটু তারাতরি এসো এখানে আমার সাথে পোস্তমডেম ড.শ্যাম আছেন তিনিও এ মামলাটি নিয়ে একটু চিন্তিত আছেন । ঠিক আছে দাদা আমি ২০ মিনিটের ভিতরে এসে যাবো ।


ঠিক মিনিট বিশ মধ্যে চলে গেলাম বিমুল কুমারের অফিসে ।
গোয়েন্দা অফিসার ,,বিমুল কুমার,, আর ড.শ্যাম দুইজনে মিলে এখন কোন সঠির্ক তদন্ত করতে পারে নাই আমাকে দেখে বিিমুল কুমার বললো এসো ওষেক এসো বসো হ্যা দাদা কোন কিছু বাহীর
করা সম্ভব হয়েছে না ওষেক এখন কিছু করতে পারি নাই সেই জন্যই ওষেক তোমাকে দেকে আনা সেই প্রসংঙ্গে যাবার আগে তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই এ হলো ড.শ্যাম ,,আর মিঃ শ্যাম এ হলো যার কথা আপনাকে আগেই বলে ছিলাম ওর নাম ওষেক বোস । ড. হ্যলো ওষেক হ্যা হ্যলো ড. শ্যাম



বিমুল দা বললো ওষেক কি করা যায় কেন দাদা কোন রাস্তা কি পাওয়া যাবে না অবশ্যই পাওয়া যাবে ।
দাদা শুধু চিন্তা করে শরীল ও মন খারাপ করে কোন লাভ নাই তাতে লাভের স্থানে পিছিয়ে পরতে হবে । তার চেয়ে বরং চলুন দাদা
আজ বিকেলে কোন কফি হাউজে আড্ডা মারি আর সন্ধায় যাবো সূভল দাসের বাড়ীতে আজ সারা রাত ঐ বাড়ীতে তদন্ত করবো দেখা যাক কিছু একটা কূল-কিনারা হয় কিনা । ঠিক আছে ওষেক
তবে তাই হোক আজ সারা রাত আমরা ও বাড়ীতে থাকবো ।

তো দাদা এখন তাহোলে ওঠা যাক আজ কয়েক দিন যাবর্ত ঘুমের
কথা বুলে গেছি এ বেলা একটু ঘুমাতে চাই । তাহোলে ওষেক ও মিস্টার শ্যাম কথা এতাই ফাইনাল আমরা আজ সারা রাত সূভল দাসের বাড়ীতে থাকবো আর হ্যা রাতের ডিনার আমরা আমার বাড়ী থেকে সারবো ওকে ঠিক আছে বিমুল দা তাই হবে আমার পক্ষ থেকে কোন অসুবিধা নেই যোদি না মিঃ শ্যামের কোন আপত্তি না থাকে কি বলুন মিঃ শ্যাম ও কথা বলে আমাকে লজ্জা দিবেন না মিঃ বিমুল । তাসারা ভালই হবে অনেক দিন বৌদীর হাতের রান্না পেতে পরে না তাহোলে কথা এতাই ঠিক আছে ।




ঠিক বিকেল চারটা নাগাত চলেগেলাম বিমুল দা বাড়ীতে । বিমুল দার বাড়ী থেকে রেডি হয়ে চলে গেলাম মিঃ শ্যামের বাড়ীতে । মিঃ শ্যাম আমাদের উপস্ততি দেখে ভিষন খুশি হোলেন আর বলে উঠলেন আসুন মিঃ বিমুল আসুন তার পরে মিঃ ওষেক কি খবর আসুন
বসুন আমি একবার চেয়েছিলাম মিঃ বিমুল সাহেবের ওখানে চলে যাই আবার ভাবলাম আমি এক রাষ্টায় যাবো আপনেরা আরেক রাষ্টায় আসবেন এ ভেবে আর এগুলুম না ।
কাজের মহিলা কে বলে দিলেন চায়ের কথা চা নিয়ে আসলো চা খাওয়ার শেষ ইতি মধ্যে
ড. শ্যামের বাগানের পাশ্বে বসে চা পর্ব শেষ করলাম । বিমুল দা ড.শ্যামকে বললেন মিঃ শ্যাম তারাতারি তৈরী হয়ে নিন আমরা এখনি বেরিয়ে যাবো । ড.শ্যাম গেলেন ড্রেসাব চেঞ্জ করার জন্য । আমি আর বিমুল দা ড.শ্যামের ফুল বাগানতা একটু গুরে দেখলাম না ভালই লেগেছে বাগান তা । ইতি মধ্যে ড.শ্যাম রেডি হয়ে এসে গেলেন আমরা বেরিয়ে গেলাম । তখন বাজে পাচঁটা ত্রিশ মিনিটের মত বিমুল দা ড.শ্যামের ওখান থেকে বেরিয়ে আমাদেরকে সাথে করে প্রায় আধা ঘন্টার মত কয়েকটি স্থানে গুড়িয়ে আনলেন । তার পর বিমুল দা গাড়ি টাকে একেবারে কফি হাউজের সামনে রাখলেন দিনটি রবিবার ছুটির দিন
কফি হাউজে চলতেছিল বৈ কালীন আড্ডা ।
আমরা তিন জন ঠিক করলাম আমরা কফি হাউজের বারান্দায় বসবো । বিমুল দা কফির অর্ধার দিলেন কফি হাতের কাছে এসে পরলো চুমকে চুমকে শেষ করলাম কফি বিল পে করে দেখি সন্ধা হয়ে এসেছে বিমুল দা বললো চলো এবার ফিরা যাক আমরাও বললাম চলুন । এসে পড়লাম বিমুল দার বাড়িতে ।। বিমুল দার বাড়িতে যেয়ে দেখি বিমুল দার সালা এসেছে বিমুল দার সালা যে উনিও একজন গোয়েন্দার ভাল অফিসার ছিলেন ।
সালককে দেখে বিমুল দার খুশি দেখে কে যদি সালক তারপরেও তারা আগের সম্পর্কতেই চলে । বিমুল দা বিয়ের আগে তার শালকের সাথে সম্পর্ক ছিল বন্ধুত । বিমুল দা আর বিরেন দার মধ্যে বন্ধুত্য সম্পর্কতাই আসতে আসতে তাদের কে আপন সম্পর্কে বেধে ফেলে । সালককে দেখে বিমুল দার খুশি দেখে কে যদি সালক তারপরেও তারা আগের সম্পর্কতেই চলে । বিমুল দা বিয়ের আগে তার শালকের সাথে সম্পর্ক ছিল বন্ধুত । বিমুল দা আর বিরেন দার মধ্যে বন্ধুত্য সম্পর্কতাই আসতে আসতে তাদের কে আপন সম্পর্কে বেধে ফেলে ।

বিমুল দা সালকের সাথে আমাকে ও মিষ্টার শ্যামকে পরিচয় করিয়ে দিলেন । রাতের ডিনার পর্ব শেষ করলাম ।
বিমুল দা বল্ল ওষেক সারা রাত জেগে থাকতে হবে তাই ওখানে সামান্য চা বা কফি এবং হালকা নাষ্টা ব্যবস্থা থাকলে ভালো হোত
কিনতু এত রাতে ওখানে চা করে দিবে কে আর আমি খুব ভালো চা করতে পারতাম তাই বিমুল দা এই রাতের চা ও কফির এবং হালকা মাঝ রাতের ব্রেক ফাস্টের দায়ত্বতা আমাকে দিয়ে দিলেন ।
আমি চটফট চলে গেলাম এই এরেজমেন্টের জন্য ।

বিপুল দা আর ড. শ্যাম তারা দুজনে মীলে আমাদের সারা রাতের অপরেশনে যা যা লাগবে তা রেডি করলেন ।
এর মধ্যে বিরেন দা এসে বিমুল দাকে জিজ্ঞেস করলেন জামাই বাবু কি আজ রাতে কোন অপরেশ নে যাচ্ছেন । হ্যারে বিরেন একটা অপরেশন নিয়ে আজ কয়েক দিন ধরে সি আই ডি অফিসার লুকলা সাহেবে অসুস্থ থাকায় তার একটি মামলা মানে সূভল দাসের হর্তার রহস্য মামলা টা আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর সে জন্য আজ কয়েক দিন যাবর্ত বিশানায় পযন্ত সময় দিতে পারছি না তাই আজ চিন্তে করলাম আজ আমরা তিন জন সারা রাত সূভল দাসের হর্তার রহস্য খোজার জন্য তার বাড়িতে একটি তদন্ত চালাবো । বেশত জামাই বাবু তাহোলে আমিও তোমাদের সাথে যাবো কি বলিছ তুই যাবি তাহোলেত ভালোই হবে ওহে ওষেক অার মিষ্টার শ্যাম ভালোই হোলো আরেক জন যোগ হোলো আমার সাথে । ওষেক বলে উঠলো জি স্যার আরেক জন মানে বুঝলাম না আরে বিরেন যাবে আমাদের সাথে ওষেক বললো তাহোলে ভালোই হবে স্যার চার জন সারা রাত জমবে ভালো ।
মিষ্টার ততক্ষনে আমাদের যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন । তখন রাত নয়টা বাজে চারজন বেরিয়ে পরলাম সুভল দাসের বাড়ির উদ্দেছে ।

বিপুল দার বাড়ি থেকে সূভল দাসের বাড়িতে যেতে প্রায় এক ঘন্টার রাষ্টা । বিপুল দা গাড়ীর স্টাটিংঙ্গে তার পাশ্বের সীতে আমি আর মিষ্টার শ্যাম আমরা দুজনে গাড়ীর পিছনের দিকতায় যে দুটো সীত তাতে গাড়ী চলতেছে হঠাৎ মাঝ রাষ্টায় বিরেন দার চোখে একটি মদের দোকান পরলো বিরেন দা বিপুল দাকে বললেন একটু গাড়ীটা থামাতে বিপুল দা গাড়ী থামালেন বিরেন দা সেই মদের দোকন থেকে দুই বোতল মদ
কিনলেন আবার বিপুল দা গাড়ী চালানো শুরু করলেন এবার সরাসরি সুভল দাসের বাড়ির সামনে নিয়ে গাড়ী রাখলেন ।
বিমুল দা ঠিক সেই রাজপ্রাসাদের সামনে গাড়ি রাখলে আমরাচারজন
গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম রাজপ্রাসাদের ভিতরে দেখি একজন পহড়ি সারা আর সব ঘুমিয়ে গেছে । বিমুল দা গাড়ি থেকে নেমে পহড়িকে ডাক দিলেন পহড়ি বিমুল দার ডাকে সারা দিলেন এবং বিমুল দার কাছে আসলেন। প্রহরী বিমুল দাকে বললেন দাদা এত রাতে আপোনেরা হ্যা এত রাতেই আসলাম কারন আজকেই মধ্যেই এ হত্যার রহস্য বের করতে হবে । আপনি এক কাজ করুন আগে আমাদের জন্য একটি রুম রেডি করুন যে রুমে আজ সারা রাত আমরা থাকবো । ঠিক আছে দাদা আমি এখনি একটি রুম আপোনাদের জন্য রেডি করছি । পহড়ি চলে গেলেন রুম রেডি করতে এই ফাকে আমরা বাড়ির চার পাশ খুজে দেখলাম কিছু তথ্য পাওয়া যায় কিনা খুজে কেউ কিছু পেলো না কিনতু আমি পেয়েছি একটি রকেটও আলা চেইন । এরই মধ্যে পহড়ি এসে বিমুল দাকে বলল দাদা আপনাদের জন্য রুম রেডি হয়েগেছে । বিমুল দা চলুন রুমে যাওয়া যাক পহড়িকে সংঙ্গে নিয়ে চলে গ+লাম রুমে পহড়িকে জিজ্ঞাসা বাদ শুরু করলাম আপনেরা কত দিন যাবর্ত এ বাড়িতে কাজ করেন তা হবে দাদা বছর ত্রিশ কত জন আছেন আছি দাদা হাতে ছয় জন আচ্ছা এত দিন যাবর্ত আছেন সূভল দাস লোকটা কি খুব খারাপ বাজে একটা লোক তাই না আপোনাদেরকে ঠিক মত বেতন দিতো না আর সে জন্যই তাকে হত্যা করেছেন ঠিক বলেছি না । ছি ছি দাদা ছি এসব কি বলছেন আমাদেরকে কর্তার হত্যা কারী করুন সেতা মেনে নেবো কিনতু দয়া করে কর্তার নামে ও ভাবে অপবাদ দিবেন না তিনি বড় ভালো ছিলো তার মতো ঐ রকম লোক এ ভব সংসারে একজন খুজে পাওয়া যাবে না ।
হুম বুঝতে পাড়ছি আচ্ছা এ পৃথিবীতে সূভল দাসের আর কেউ নেই । আছে দাদা আছে কর্তা বিয়ের দু বছর বাদে একটি ছেলে হয় আর ছেলেটি জম্মের সময় ঘৃর্নী মাতা মারা যান আর ঘৃর্নী মাতা মারা যাওয়ার পরে কর্তা কোলে পিঠে করে ছেলেটিকে দশটি বছর নিজের কাছে রাখেন পড়ে ছেলে টিকে পড়া লেখা শিখে মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য বিলেটে পাঠিয়ে দেন । সেইযে ছোট কর্তা বিলেটে গেছেন আজ পযন্ত কোন দেখা পেলাম না কর্তার মৃত্যুর দুদিন আগে কর্তার সাথে এক বার কথা হয়েছিলো ছোট কর্তা কে নিয়ে তা কর্তা বলেছিলো ছোট কর্তা নাকী এরই মধ্যে আসবেন দেশে কিনতু কোথাই আজ বেশ কিছুদিন হয়ে গেল এখন ছোট কর্তার কোন খোজ পেলাম না ।
আচ্ছা আপনেরা সূভল দাসের বাড়িতে কতজন লোক কাজ করেন তা করি আমরা ছয়জন আর আমরা সকলেই কর্তার পুরনো ও বিশ্বাশি এবং খুব কাছের লোক ছিলাম ।
প্রতিদিন কি আপনি একা একা পহরা দেন না দাদা আমরা দুজনে পহরা দেই আমার সাথে আরেক জন যে আছে সে আজ কয়েক দিন যাবত অসুস্থ তাই ও বিশ্রাম করছে । আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যান বিশ্রাম নেন সকালে সকলে মিলে আমাদের দেখা করবেন ।
সকাল হোলো সকলে একে একে আসলো তারা ছয়জন ছিলো সকলকে জিজ্ঞাসা করা হোলো কেউ আসল তথ্য দিতে পারলো না
সকলে গলায় দেখী একি চেন পড়া কিনতু একজনের গলায় চেন নাই তখন তাকে বেশি সন্ধেহ হোলো তাকে জিজ্ঞাসা বাদে এক পর্যায় তাকে দুই চারটি মেরে বসলাম । কিনতু কোন লাভ হোলো না অবশেষে সূভল দাস যে ঘরে থাকতেন সে ঘরে গেলাম ।
সে ঘরে সার্চ করে কিছু পাওয়া গেলোনা ।
ঘর থেকে সকলে বের হয়ে গেছে আমিও বের হোতে ছিলাম এরি মধ্যে আমার দৃষ্টি পড়লো সূভল দাসের খাটের নিচে এক কোনায় সেখানে পড়ে আছে একটি ডাইরী । আর ডাইরীর নিচে পড়ে ছিলো
সেই ছুড়ি যে ছুড়ি দিয়ে সূভল দাস হত্যা হয়েছে ।
আমি ছুড়িটি আর ডাইরী টি আমার ব্যাগে তুলে নিলাম ।
ব্যস ওখানের কাম শেষ চলে আসলাম চারজন মিলে বিমুল দার অফিসে ।
বিমুল দা বল্ল সারা রাত অনেক পরিশ্রম হয়েছে তাই আগে বিশ্রাম প্রয়োজন তার পর বিকেলে কেচ্ছটি স্যারের হাতে হ্যন্ডওভার করে দিবো । তাহোলে ওসেক ও ডঃস্যম আপনেরা চলে যান বিকেলে অফিসে আসবেন । ওখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম ।
বাসায় এসে বিশ্রাম শেষ করে বাড়িন্দায় বসে কি যেন মনে করে
সূভল দাসের ডাইরীটি ব্যগ থেকে বের করে নিয়ে হাতে করে নিয়ে আবারো বাড়িন্দায় যেয়ে বসলাম। বসে ডাইরীটি খুলে সূভল দাসের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক সুখ দুংখের কথা পড়লাম ও তার জীবনে নানান ধরনের ঘটে যাওয়া ঘটনা জানলাম । কেন জানি
মনতা বল্ললো সূভল দাস মরার আগে কোন ঘটনা লেখছেকিনা তাই ডাইরী শেষ লেখার পৃষ্টাতা উল্টাতে উল্টাতে একেবারে ডাইরী শেষ পৃষ্টায় চলে আসলাম এসে একটি লেখা পেলাম । খোকা আজ অনেক বড় হয়ে গেছে আর এখন খোকার আমাকে প্রয়োজন নাই তাই খোকা আমাকে না বলেই বিলেতি মেম বিয়ে করছে । খোকার নাকী এদেশে আসতে মনে চায়না সে আর আসবে না এ দেশে । হায়রে খোকা তোর কারনে তোর মা মরে যাওয়ার পড়ে আর বিয়ে করলাম না আর তুই আমায় ছেড় দূরে থাকবি আমার কাছে আর আসবিনা এ কথাগুলো লেখা ছিল ।
শেষের লেখা আমার মিত্যুর জন্য কেউ দায়ী না আমি নিজেই এই সুন্দর মায়া পূর্ন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম খোকনের মায়ের কাছে । পড়ার শেষে আমার আর বুজতে বাকী রইলো না আসলে সূভল দাস হত্যা হয় নাই সে আত্মহত্যা করেছেন ।
ফোন দিলাম বিমুল দা কে তার পর ডাইরীতে লেখা সব ঘটনা বিমুল দাকে এবং ডঃ শ্যমকে ও বিমুল দার শালককে জানানো হলো। হুম সত্যই এরকম ঘটনা খুবই নির্মম কষ্ট ও বেদনা দায়ক ।
আমরা আজকের ছেলে মেয়েদের দিয়ে কতই না কষ্টের শিকার হই । শেষ পযন্ত সন্তানের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দেই ।



সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×