somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

,,,,,,শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করুন,,,,,,,,,

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটু থামুন ভুলে গেলেন এই শিশুটির মতো আপনার একটি সন্তান আছে ।
হতে পারতো এই শিশুটি আপনারই সন্তান । আপনার সন্তান অন্য কোন বাড়িতে
কাজ করলে আর তাকে কেউ নির্যাতন করলে আপনি কি করতেন ।
কি ভাবছেন শিশু নির্যাতন কাকে বলে । দেখুন একে একে দেখতে থাকুন তাহলে বুঝবেন ।



এই শিশুটির এখনো কাজ করার মতো সময় হয় নাই অথচ তাকে দিয়ে আপনার ঘরের সকল কাজ করিয়ে নিচ্ছেন ।
একটু ভেবে দেখুন তো আপনার সন্তান হলে কি করতেন ।

আপনার দুটি সন্তানকে খাওয়াতে পারলে পড়াতে পারলে এরকম একটি শিশুকেও আপনি চাইলে লালন পালন করতে পারেন।



এটাও একধরনের শিশু নির্যাতন । তবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম।


এইযে ভাই আমার মনে হয় আপনি ভুল করছেন । হতে পারে এই শিশুটি আপনার কর্মচারি তার পরেও সে শিশু । আজ যদি আপনার সন্তান অন্য কোথাও কাজ করতো আর সেখানে সে কোন ভুল করতো এবং তাকে এভাবে
নির্যাতন করতো তখন আপনি কি করতেন একবার কি তা ভেবে দেখেছেন ।


শুধু এভাবেই শিশু নির্যাতন নয় যারা আপননার সন্তানকে শাসন করেন তারাও শাসনের একটা মাত্রা রাখুন । কিন্তু কোন মা বাবা ভাই বোন শাসনের নামে শিশুদের ওপরে নির্যাতন চালিয়েন না ।

নিচে শিশুদের নিয়ে আর কিছু লেখার লিংক শেয়ার করে দিলাম । আসা করছি নিচের শিশুদের বিষয়ে তথ্য গুলো অনেকের কাজে লাগবে।
প্রসঙ্গ শিশু যৌন নিপীড়ন : সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে

গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু নির্যাতন বন্ধে সোচ্চার হতে হবে সবাইকে
বাংলাদেশের জাতীয় শিশুনীতি ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি সরকার মেয়েশিশুদের ব্যাপারে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ৷ জাতীয় শিশুনীতিকে মেয়ে শিশু ও ছেলে শিশুর মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিতে মেয়েশিশুর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সাধন এবং সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নতুন আইন প্রণয়ন করার কথা বলা হয়েছে- যার উদ্দেশ্য হল বাল্যবিবাহ, মেয়েশিশু ধর্ষণ, নিপীড়ন, পাচার এবং পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা ৷ সেই সঙ্গে তা পরিবারের মধ্যে এবং বাইরে মেয়েশিশুর প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ করা এবং মেয়েশিশুর ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরছে ৷

মেয়েশিশুর কল্যাণে গৃহীত জাতীয় উদ্যোগ

নিচের এই পোষ্টটিতে আমাদের দেশে কন্যা শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে ।

কন্যা শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে!

শিশু অধিকার প্রসঙ্গে

নারী নির্যাতনের প্রভাব পড়ে শিশুদের ওপর

কোমলমতি শিশুরা যখন বিকৃত যৌনতার শিকার



এবার চলুন দেখি শিশু আইন প্রসংঙ্গে কিছু লেখা।
নিচে যে লিংগুলো দেওয়া হলো সেগুলো লিং একবার কর ওপেন করলেই আমরা বুঝতে পারবো শিশুদের উপরে আমরা কত ভাবে নির্যাতন করেছি ।
আইন মতাবেক তা কতটা নিষ্ঠুরতা ।

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নের নিমিত্ত বিদ্যমান শিশু আইন রহিতক্রমে এতদ্‌সংক্রান্ত একটি নূতন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রণীত আইন

বাংলাদেশের সকল আইন

শিশু আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী, এখন থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সবাইকে শিশু বলে গণ্য করা হবে.
একনজরে শিশু আইন

প্রবেশন কর্মকর্তা: এ আইনের আওতায় মেট্রোপলিটন, জেলা ও উপজেলা এলাকায় একাধিক প্রবেশন কর্মকর্তা নিয়োগ করবে সরকার।

শিশুকল্যাণ বোর্ড: শিশুদের উন্নয়নে গঠিত জাতীয় শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি থাকবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। সদস্যসচিব থাকবেন সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আইনের বিধানমতে, সব জেলা ও উপজেলায় শিশুকল্যাণ বোর্ড গঠন করা হবে। জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা বোর্ডের সভাপতি হবেন।

শিশুবিষয়ক ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিটি থানায় কমপক্ষে উপপরিদর্শক (এসআই) ও এর ওপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে এই ডেস্ক গঠন করবে। সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোনো মামলায় জড়িত থাকলে, তা যে আইনেই হোক না কেন, ওই মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু আদালতের থাকবে। প্রতিটি পুলিশ স্টেশনে শিশু অধিকার ডেস্কের নিয়োজিত কর্মকর্তার দায়িত্ব কী হবে, তা-ও বলা হয়েছে আইনে।

শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কের একসঙ্গে অভিযোগপত্র নিষিদ্ধ: ফৌজদারি কার্যবিধির ২৩৯ অথবা যে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর সঙ্গে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া যাবে না।

শিশু আদালত: শিশুর অপরাধ বিচারে জেলা সদরে ও মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে একটি শিশু আদালত থাকবে।

গ্রেপ্তার: এই আইনের বিধানমতে, নয় বছরের নিচের কোনো শিশুকে কোনো অবস্থায়ই গ্রেপ্তার করা বা আটক রাখা যাবে না। নয় বছরের বেশি কোনো শিশুকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হলে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি পরানো যাবে না। এ ছাড়া যেকোনো মামলায় শিশুকে জামিন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

শিশুসংক্রান্ত বিশেষ অপরাধের দণ্ড: নতুন আইনে শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার বন্ধ করতে শাস্তির বিধান করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করার অপরাধে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। শিশুকে নেশাগ্রস্ত করলে এক বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, মাদক ও বিপজ্জনক ওষুধ সরবরাহ করলে তিন বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা দেখালে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার বন্ধে শাস্তি: আইনের ৭৯ ধারায় শিশুদের দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বা অবৈধ বস্তু বহন এবং সন্ত্রাসী কাজ সংঘটনে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একই ধারায় আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি শিশুর প্রকৃত দায়িত্বসম্পন্ন বা তত্ত্বাবধানকারী হোক বা না হোক, শিশুকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬ ধারায় উল্লিখিত কোনো সন্ত্রাসী কাজে নিয়োজিত করলে বা ব্যবহার করলে তিনি স্বয়ং ওই সন্ত্রাসী কাজ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং তিনি ওই ধারায় উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

শিশুকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ: বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না, যার দ্বারা শিশুকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। এ বিধান লঙ্ঘন করলে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

জাতীয় ই-তথ্যকোষ

শিশু আইন, ২০১৩ - Bangladesh Parliament
শিশু আইন শিশুদের জন্য একটি মাইলফলক

নোটিশ বোর্ড - http://www.portal.gov.bd


শিশু আইন ২০১৩ বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর


শিশু আইন ২০১৩ - হোমপেজ

শিশু আইন-২০১৩ এর খসড়া অনুমোদন

সকলে ভালো থাকবেন সময় সুযোগ পেলে এ বিষয় নিয়ে আরো পোষ্ট দেব।

বিদ্রঃ কৃতপক্ষকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হইলো পোষ্ট যেন নির্বাচিত পাতায় নেওয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×