
আল্লাহ পাক বলেন:
"এটা কতিপয় নির্দিষ্ট দিনের সিয়াম; তোমাদের কেউ যদি রোগগ্রস্ত হয় অথবা সফরে থাকো তাহলে সে যেন অন্য দিনগুলোয় সেই সংখ্যা পুরন করে নেয়"
----- (সুরা বাক্বারাহ--১৮৪)
এই আয়াতে রমজানে রোজা না রাখার ২ টি কারণ ও সমাধান দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্রমন মাত্রই রোজা ভাংতে হবে এমন না। ৫-১০ কিলোমিটার ভ্রমনে রোজা ভাংবেন না। আবার ১০ কিলোমিটার যেতে যদি ২০ ঘন্টা লাগে তখন রাস্তা নয় সময়ের জন্য রোজা ভাংগতে হয়।
♥ সুরা বাক্বারার উক্ত আয়াত থেকে বড় যে মাসায়েল গুলো বেরিয়েছে তা ফিকহা অনুসারে নিচে দেওয়া হলো:::
♦ ১. ভ্রমনের দিন রোজা রাখবেন? :
* উত্তর: মুসাফির এর উপর রোজার ছাড় আছে। সাধারণ হিসাব মতে মুসাফির হতে কমপক্ষে ৪৮ মাইল ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অ ১৫ দিনের কম অবস্থানের জন্য রওয়ানা হওয়া বুঝায়। তবে ভ্রমণ মাত্র আধুনিক যুগের ফিকাহবীদ গন রোজা ভাংতে বলেন না। এই আয়াতের আসল উদ্দেশ্য ইফতারের আগে পৌছতে পারা বা না পারার কারনে রোজা ভাংগা যাবে, কস্টের জন্য নয়। কস্টের জন্য হলে ড্রাইভার, দিনমজুর, কাটুরিয়া, রিক্সাওয়ালা দের রোজা রাখতে হতোনা। দেখতে হবে ইফতারের আগে আপনি পৌছবেন কিনা। তা ভেবে নিন!

♦ ২. ভ্রমণের কারনে রোজা ভাংগলে কাফফারা কাজা কয়টি?
* উত্তর: প্রতি ১ টি রোজা ভাংগার জন্য পরে ১ টি কাজা রেখে দিতে হবে। নিয়ত হবে-- আমি রমজানের ফরজ রোজার কাজা আদায় করার জন্য সাহারী করছি। বিসমিল্লাহ!
♦ ৩. সফর বা ভ্রমণে যাবেন এমন দিন সাহারী খাবেন কিনা?
* উত্তর: অবশ্যই সাহারী করতে হবে, রোজার নিয়ত ও করতে হবে। নিয়ত সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন মনে রাখবেন - সাহরী খাওয়া মানেই নিয়ত নয়।- কোথাও যাবেন রোজা ভাংতে হবে এমন করে সাহরী খাইলে রোজা না রাখার নিয়ত হলো। এরপর আপনার যাত্রা মিস হলে রোজাও গেলো কারণ নিয়ত ছিলোনা। আপনি শুধু ভ্রমনের পরিকল্পনা করতে পারেন, ভ্রমনে যাবেন কিনা বা যাওয়া হবে কিনা তা যানেন না

-------- তাই সাহারী ও খেতে হবে, নিয়ত ও করতে হবে। ভ্রমণে গিয়ে বাস, বিমান, লঞ্চ ইত্যাদিতে রাস্তায় গিয়ে রোজা ভাংতে পারবেন তাও অতি প্রয়োজনে।
♦ ৪. ইফতারীর আগে গন্তব্যে পৌছে গেলে কি করবেন?
* উত্তর: ইফতারির সময়ের আগে পৌছে গেলে কস্ট করে রোজা পুর্ণ করে ইফতারি করতে হবে। ইফতারীর আগে রোজা ভাংগা যাবে না।
আরোও দেখুন-- নামাজের সাহু সেজদা ও ১৫ টি সমস্যা
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




