যে ফরজ কাজগুলো সালামের মধ্যে আদায় করতে হয়, সেগুলোকে সালাতের আরকান বলা হয়।
সালাতের ৬টি আরকান রয়েছে, সেগুলো ব্যাখ্যামুলক ভাবে ছবি ও সমস্যা সহ নিম্নে দেয়া হল-
১. তাকবিরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা।
অনেকে নামাজে ২/১ রাকাত পরে হাজির হওয়ার কারণে তড়িঘড়ি করতে গিয়ে ভূল করে। ইমাম বসে থাকলে বা রুকু তে থাকলে আল্লাহ বলে হাত বাধেন, আকবার বলে বসেন বা রুকুতে যান। হবেনা। ঠান্ডা হন। আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধুন, তার পর কোথায় যাবেন আবার আল্লাহু আকবার বলে তারপর যান।
২. কেরাম বা দাঁড়িয়ে সালাত পড়া।
নারী-পুরুষ উভয়কে দাঁড়িয়ে সালাত পড়ত হবে। তবে অসুস্থ হলে বসে এবং বসতে অক্ষম হলে শুয়ে ইশারায় সালাত পড়তে হবে। ফরজ নামাজে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ফরজ, নফল বা সুন্নাত এমনি বসে পড়লে নামাজ হবে। কিন্তু অসুস্থতা ব্যাতিত বসে পড়া অনুচিত।
৩. কোরআন শরিফের কিছু অংশ পাঠ করা।
সুরা ফাতেহার পর ছোট কমপক্ষে ৩ আয়াত, বড় ১ বা ২ আয়াত যে কোন সুরা থেকে পড়তে বাদ গেলে সাহু সাজদা দিতে হবে নয়তো নামাজ বাদ যাবে।
৪. রুকু করা।
পুরো ৩ তাসবীহ রুকুতে থাকা। ১ তাসবীহ ও কম থাকলে সাহু সেজদা দিতে হবে শেষে। কোন তাসবীহ অর্ধেক পড়ে দাঁড়ালেন তবুও সাহু সেজদা দিতে হবে।
৫. সিজদা করা।
পুরো ৩ তাসবীহ না পড়ে মাথা উঠালে সাহু সেজদা, ২ সেজদার মাঝে ৩ তাসবীহ (কমপক্ষে ১ তাসবীহ) না বসলে সাহু সেজদা দিতে হবে। কোন তাসবীহ অর্ধেক পড়লে হবেনা।
# রুকু ও সেজদার ক্ষেত্রে-- লম্বা তাসবীহ ১ টা পড়া যাবে (আমরা যা পড়ি তা বাদে আরোও ১০-১২ টা আছে যা তাসবীহ এর পর্যায়ে পড়ে) তা পড়া যাবে। তবে সময় ৩ তাসবীহ পরিমান হতে হবে।
৬. শেষ বৈঠকে বসা।
(যে বৈঠকে তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাছুরা পড়ে সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করা হয় তাকেই বলে শেষ বৈঠক) ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করা।
-----------------------------
(ইনশাআল্লাহ পরের ব্লগে আহকাম গুলো এভাবে দেওয়া হবে। তারপর আবার রমজানের আধুনিক।মাসায়েল দেওয়া হবে)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:২৯