***জীবনানন্দ দাশের কবিতা পড়লেই যে উত্তর লিখতে ইচ্ছে হয় তা তো আগেই বলেছি। তার কবিতার উত্তর দেবো বলে আমার নাম দিয়েছি উত্তরিতা। আজ যেহেতু আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিন, তাই কবির লেখা একটি বর্ষার কবিতার উত্তর দিয়েই সূচনা হোক***
"এই জল ভালো লাগে;
বৃষ্টির রূপালি জল কত দিন এসে
ধুয়েছে আমার দেহ —
বুলায়ে দিয়েছে চুল — চোখের উপরে
তার শান — স্নিগ্ধ হাত রেখে কত খেলিয়াছে, —
আবেগের ভরেঠোঁটে এসে চুমা দিয়ে চলে গেছে
কুমারীর মতো ভালোবেসে;
এই জল ভালো লাগে; —
নীলপাতা মৃদু ঘাস রৌদ্রের দেশে
ফিঙা যেমন তার দিনগুলো ভালোবাসে — বনের ভিতর
বার বার উড়ে যায়, — তেমনি গোপন প্রেমে
এই জল ঝরে আমার দেহের পরে
আমার চোখের পরে
ধানের আবেশে ঝরে পড়ে;"
-জীবনানন্দ দাশ
"এবারের বর্ষায়
কত অপেক্ষার পর আমায় ছুয়েছে
আষাঢ়ের প্রথম জলধারা;
বাতাসের রুদ্ধ দ্বার
খুলে গেছে অনেক আগেই-
কদমের ফুল এসে আছড়ে পড়ে
মিশে যায় আমার শরীরের ঘ্রাণের সাথে..
আমি শিউরে উঠি, জলের অথবা ফুলের স্পর্শে-
আকাশের আনাচে কানাচে জমে থাকা
মেঘের মত আমায় ঘিরে ফেলে
অজস্র শীতল জলকনা!
এবারের বর্ষায়
কোন এক অচেনা যুবকের চোখের গভীরে
লুকোনো উষ্ণতা যেন রূপ নেয়
তিন প্রহরের জলের আনাগোনায়..
যে জলের মেঘলা স্পর্শে মনের গহীনে
জন্ম নেয় সবুজ সমুদ্রের মত বন-
সবুজের নানা রূপ নিয়ে
পাতারা স্নান করে বৃষ্টিতে;
এভাবেই ভালোবাসি বর্ষার প্রতি ফোটা জল,
ভালোবেসে পাতাদের মত
স্নান করি জলে ভিজে..."
-উত্তরিতা