somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনকে ভিজিয়ে দেয়া ইন্সট্রুমেন্টাল আর গীটার সলোর জগতে আপনাকে স্বাগতম

২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(পোষ্টের প্রথম দিকের কথাগুলো নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। কেউ এগুলো পড়তে না চাইলে মূল পোষ্টে চলে যেতে পারেন লাফ দিয়ে।)

বাংলাদেশের আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডগুলো অনেকক্ষেত্রেই সমালোচিত। এরা মিউজিককে নষ্ট করে ফেলছে, মেলোডির উপর গুরুত্ব না দিয়ে বিকট চিৎকার দিতে কে কতটা পারদর্শী সেদিকেই বেশী মনযোগ দিচ্ছে, গানের গভীরতার চেয়ে মাথার চুল স্পাইক করা কিংবা ফ্রেঞ্চ কাটিং দাড়ি রাখা বেশী গুরুত্ব পাচ্ছে, আজকে গীটার কিনে কালকে ব্যান্ড বানিয়ে পরশুদিন লাইভ কন্সার্ট করেছে। মোটকথা, মিউজিক যে একটা শিল্প এটা এরা ভুলে যাচ্ছে, মিউজিককে এরা “যেমন খুশি তেমন সাজ” খেলার একটি অংশ বানিয়ে ফেলেছে ইত্যাদি। যাক সেকথা। এগুলো আমি চারপাশের মানুষগুলোর কাছ থেকে প্রায়ই শুনি। এদের কথা শোনার পর, আমি যখন আমার ব্যান্ড নিয়ে জ্যামিং করতে যাই তখন আমার নিজের কাছেও মাঝে মাঝে মনে হয় আমি নিজেও নিশ্চয় সেই “যেমন খুশি তেমন সাজ” খেলার একটি অংশ।


এবার আমার চিন্তাধারাটাও একটু শেয়ার করি। আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, নিরপেক্ষভাবেই করার চেষ্টা করব। প্রথমত, বাংলাদেশে ব্যান্ড মিউজিকে গানের মান একদমই নিচে নেমে গেছে এটা একদম সত্যি। কিছু ব্যান্ড এমন গান করছে যেগুলো হয়তো তাদের নিজেদেরই শুনতে হবে, অন্য কাউকে শোনার জন্য পে করা হলেও শুনবেনা এমন। এটি মিউজিককে আরো পেছনে নিয়ে যাচ্ছে এবং মিউজিকের শিল্পকে সস্তা করে ফেলছে। অন্যদিকে কিছু ব্যান্ড অসম্ভব ভালো গানও করছে। এটি আবার দারুন একটি পজেটিভ দিক। যদিও বাজারে গানের কোয়ানটিটি অনেক বেশী হওয়ার কারণে তাদের গানগুলো প্রচারের অভাবে চাপা পড়ে যাচ্ছে। সুতরাং, আন্ডারগ্রাউন্ড জেনারেশন মিউজিকের জন্য অনেক ভালো দিকও বয়ে এনেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভালো দিক হতে পারেঃ


# প্রকৃ্ত শ্রোতার পরিমান বেড়েছে। (যারা পুরো গানটা লিরিক্স, ভোকাল, কম্পোজিশন অ্যানালাইসিস করে গান শুনেন। হিন্দি গানের মত “যাব তুম চাহে” টাইপের লিরিক্স শুনলেই প্রেমে পড়ে যান না এবং সেগুলো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন না লাইক ভিক্ষা পাবার আশায়)

# সাধারণ শ্রোতারাও মিউজিক সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পেরেছে

# অনেকে হিন্দীর গান ছেড়ে ব্যান্ডের গানের দিকে ঝুকছে

# গানের কম্পোজিশানে দারুন সব সৃষ্টিশীলতা এসেছে। ব্যান্ডেরা ড্রামস, গীটারের সাথে ক্লাসিক ইন্সট্রুমেন্টের সংমিশ্রন ঘটিয়ে দারুন সব জিনিস তৈরী করছে।

তবে একটা কথা সবক্ষেত্রেই সত্য। কোয়ানটিটি যত বাড়বে মান তত কমবে। তবে নতুন নতুন জিনিস বের হয়ে আসবে এটাও সত্য।


এতক্ষন যা বললাম এগুলোর সাথে পোষ্টের শিরোনামের কোন মিলই নেই। আচ্ছা এখন দু একটি লাইন বলে দুটোর মধ্যে একটা কো-রিলেশান তৈরী করার চেষ্টা করে দেখি।

“গীটার সলো ” নামে যে একটি বস্তু আছে এটি কিন্তু বাংলাদেশের শ্রোতারা একসময় জানতোই না। যেখানে গান নেই, সেখানে গীটার দিয়ে কি হবে – এমনতর ধারায়ই চলত আমাদের চিন্তা ধারাটা একসময়। এখন সেই চিন্তাধারা বদলে গেছে। এখন গীটার সলোর ব্যাপারটা এতই জনপ্রিয় যে, গানের চেয়ে বেশী এখন সেটা নিয়েই মাতামাতি। কোন ব্যান্ড কতটা শক্তিশালী সেটা অনেকেই নির্ধারন করছেন সেই ব্যান্ডের লীড গীটারিষ্ট কত ভালো এবং মেলোডিক সলো বাজাতে পারেন তার উপর। ধরুন, প্যান্টেরা ব্যান্ডের লাইভ কন্সার্ট দেখছেন, ভোকাল কি গাইছে সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথ্যা খুব কম মানুষেরই আছে, সবাই ব্যাস্ত “ডাইমব্যাগ” কি বাজাচ্ছে সেটা বিচার করতে। আর মিউজিক রুচিতে এ পরিবর্তনটা কিভাবে আসলো? কারা প্রথম জানালো যে, একটি মেলোডিক গীটার সলো (হোক সেটা গানের মাঝে কিংবা শুধু ইন্সট্রুমেন্টাল) একটি গানের চেয়ে বেশী টাচি হতে পারে? এ অবদান আন্ড্রারগ্রাউন্ট ব্যান্ডদেরই। তাদের কল্যানেই আজ আমরা জানতে পেরেছি “ইভি মালমাস্টিন, জেসন বেকার, জো সাত্রিয়ানী কিংবা মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর” নাম। সুতরাং আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডদের নিয়ে সমালোচনা করার পর, তাদের যে কৃ্তিত্বগুলো আছে সেগুলোও তাদেরকে দিয়ে দেয়াটা উচিত বলে আমি মনে করে।


এবার চলে যাই আসল পোষ্টে। এখানে আমি আমার খুব পছন্দের কিছু গীটার সলো এবং ইন্সট্রুমেন্টাল শেয়ার করব। এগুলো সারা বিশ্বের মিউজিক প্রেমীদের ভালো লাগার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। তাই ধরে নিচ্ছি আপনাদেরও ভালো লাগবে।


১. মার্টি ফ্রাইড ম্যানঃ মেগাডেথ ব্যান্ডের গীটারিষ্ট তিনি। এক সময় কিংবদন্তী জেসন বেকারের সাথে ককোফোনী ব্যান্ডেও ছিলেন। তার দুটি অমর সলো এখানে দিচ্ছিঃ



Name: West
Download link: http://www.mediafire.com/?g5x8hil6ceh4uu3

Name: Tibet Angel
Download link: Click This Link


২. জেসন বেকারঃ ইনি নিও ক্লাসিকের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গীটারিষ্ট ছিলেন যিনি ইভি মালমাস্টিনের “ব্লাক স্টার” সলোটি তার স্কুলের একটি ফাংশনে একটু মোডিফাই করে বাজিয়েছিলেন এবং মালমাষ্টিনকে চিঠি লিখে বলেছিলেন যে, “আপনি আপনার ব্লাক স্টার সলোটি আমার মত মোডিফাই করে বাজালে আরো সুন্দর হত”। জবাবে মালমাষ্টিন তার মোডিফাই করা সলোটি শোনার পর জেসন বেকারকে বলেছিলেন, “তুমি আমার চেয়ে অনেক বড় মাপের গীটারিষ্ট।” সেই জেসন বেকারের দুটো সলো এখানে দেব, যেগুলোকে এ যাবতকালের সলোগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধরা হয়।



Name: perpetual Burn
Download link: Click This Link

Name: Air
Download link: Click This Link



৩. দ্যা কোরসঃ এটি গীটার সলো না। এটি কিংবদন্তী আইরিস ব্যান্ড “দ্যা কোরস” এর তবে ইন্সট্রুমেন্টাল। এর চেয়ে বেশী টাচি কোন মেলোডি হওয়া সম্ভব বলে মনে হয়না। আমি এই ইন্সট্রুমেন্টালটি শুননে চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনা আবেগঘন সময়গুলোতে। আসলেই কিন্তু সৃষ্টি ব্যাখ্যার উর্দ্ধে থাকে।



Name: Hurt Heart
Download Link: Click This Link



৪. এরিক জনসনঃ এরিক জনসনের সলো সব সময়ই যুগোপযোগী সলো। এই সলোটি পুরাই চরম একটি মেলোডিক সলো।



Name: Cliffs of Dover
Download Link: Click This Link



৫. গ্যারী মুরঃ যারা মন মাতানো আর স্নিগ্ধ মেলোডির পাগল তাদের জন্য গ্যারী মুরের উপরে কিছু নেই। ব্লুজ গীটারের এক অনন্য শাসক ছিলেন তিনি।



Name: Empty Rooms
Download Link: Click This Link



৬. স্লাশঃ যারা কে কি বাজালো তা নিয়ে মাথা ঘামান না তাদের অনেকেও সম্ভবত এই নামটি জানেন। কারণ, ইনি মেলোডির রাজা। চুল দিয়ে চোখ ঢেকে গীটার নামক বস্তুটিকে মিউজিকের যাদুর ছড়ি বানিয়ে ফেলতে তার জুড়ি নেই। তার বেশীর ভাগ সলোই গানের ভেতরে থাকে। তাই আলাদা করে সলোর অংশটার লিংক দেয়া কষ্টকর। সেজন্য আমি তার একটি পূর্নাঙ্গ সলো এবং সাথে তার ব্যান্ডের একটি গানের লিংক দিচ্ছি যেখানে তার সলো পাবেন। গড ফাদার সলোটি এক ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে প্রথম দিকে, কারণ একদম শুরুতেই সে আসল জিনিস বাজাবেনা। ৩.৩০ মিনিট থেকে আসল জিনিস শুরু। এর পর আর শুনতে হবেনা। স্লাসের গীটারই আপনাকে শুনতে বাধ্য করবে। এই সলোটি নকল করেই হিন্দি গান "রাজা কো রানী সে পেয়ার হো গায়া" নামের একটি গান বের করা হয়েছিল। যেটি পুরোনো ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে জনপ্রিয় হয়েছিল বেশ।



Name: Godfather
Download link: Click This Link (Live Version)

Name: Don’t you cry tonight
Download link: Click This Link



৭. ইভি মালমাস্টিনঃ উনার পরিচয় ব্যাখ্যার উর্দ্ধে। গীটার জগতের সম্রাট তিনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ টেকনিকাল গীটারীষ্টও বলা হয় তাকে। বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়াতে দেখুন। যারা মিউজিশিয়ান না অর্থাৎ যারা শুধুই শ্রোতা তাদের কাছে উনার সলো কতটা ভালো লাগবে সেটা আমি জানিনা কারন সুন্দর মেলোডি আর রিচ মেলোডি দুটো আলাদা ব্যাপার।



Name: Far Beyond The Sun
Download Link: http://thatsplenty.com/2006/02/224061.mp3



৮. অ্যাডরিয়ান স্মিথঃ আয়রন মেইডেনের গীটারিষ্ট তিনি। আয়রন মেইডেনই সম্ভবত একমাত্র ব্যান্ড যারা কোন কিবোর্ড ব্যবহার না করেও মেলোডিকে স্নিগ্ধ এবং সহনীয় রাখতে পারে। অ্যাডরিয়ান স্মিথের মাথা নষ্ট করা একটি সলো পাওয়া যাবে ডান্স অফ ডেথ গানে।



Name: Dance Of Death
Download Link: Click This Link



৯. স্টিভ ভাইঃ পোষ্টটি ভাইকে দিয়ে শুরু করলে বোধহয় ভালো হত। তার নামে এখন গীটার দুনিয়ায় সুনামী বয়ে যায়। তার বিখ্যাত সলোর অভাব নেই। তবে সবচেয়ে বিখ্যাত সলোটিই এখানে দিচ্ছি।



Name: For The Love Of God
Download Link: Click This Link



১০. জো-সাত্রিয়ানিঃ স্টিভ ভাইয়ের পরের নামটি জো-সাত্রিয়ানিই হতে হবে। এটি চিরন্তন সত্যের পর্যায়ে চলে গেছে। এর ব্যতিক্রম হলে সেটি গ্রহনযোগ্য হবেনা। তাই আমিও সিরিয়াল ব্রেক করলাম না। তবে ইনি প্রথম দিকে গীটারের কিংবদন্তী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার হাত ধরে স্টিভভাই, কার্ক হামিত সহ অনেকেই বড় প্লাটফর্মে এসে দাড়িয়ে বিশ্ব কাপিয়েছেন। তার সবচেয়ে বিস্ময়কর একটি ব্যাপার হল তিনি পা দিয়ে প্রসেসর এবং হাত দিয়ে গীটার দুটো একই সাথে এত দ্রুত কন্ট্রোল করতে পারেন যে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না।



Name: Always With You, Always With Me
Download Link: Click This Link



১১. ভিনি মুরঃ নিও ক্লাসিকের সিনিয়র গীটারিষ্টদের মধ্যে ইনি অন্যতম। দারুন সব স্নিগ্ধ মেলোডি বাজান। এখানে যে সলোটি দেব তা আমার সবচেয়ে ভালো লাগা একটি মেলোডি।



Name: Rain
Download Link: http://www.mediafire.com/?zmemtzoimyt



১২. রিটচি ব্লাকমোরঃ নিও ক্লাসিকের সবচেয়ে সিনিয়র গীটারিষ্ট তিনি। ডিপ পার্পল, রেইনবোসহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের লীড গীটারিষ্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে তার ওয়াইফ “নাইট” কে নিয়ে বানিয়েছেন “রিটচি ব্লাকমোরস নাইট” ব্যান্ড।



Name: Temple Of The King
Download Link: http://no-words.com/blog/files/new/147.mp3



১৩. ডেভিড গিলমোরঃ পিংক ফ্লোয়েডের গীটার যাদুকর ছিলেন। নতুন করে কিছুই বলার নেই উনাকে নিয়ে। তবে এতটুকুই বলতে হবে, তার সৃষ্টিগুলো ছিল অনেক বেশী অন্য রকম কিছু।



Name: Comfortably Numb
Download link: Click This Link


১৪. জিমি হ্যান্ড্রিক্সঃ উনাকে এত নিচে রাখা বোধহয় অন্যায়ই হয়ে গেল। কারণ যে পথ দেখায় সে থাকে সবার আগে (শরীফ মেলামাইনের ডায়লগ)। কিন্তু এখানে পথ দেখিয়েও উনি নিচে রয়ে গেলেন। বাস্তবেও তাই। বর্তমান তরুন প্রজন্ম তার সলো তোলার চেষ্টা খুব কমই করে। অথচ গীটার জগতে তার মত বাজাতে পারে এমন কেউ আজো আসেনি।



Name: Little Wing
Download Link: Click This Link



১৫. ভ্যান হ্যালেনঃ মাইকেল জ্যাক্সনের “জাষ্ট বিড ইট” গানটার কথা মনে আছে তো? সেই যে বাংলাদেশে রিকশাওয়ালারাও একসময় গাইত “জাষ্ট পিলে,জাষ্ট পিলে,”। সেটাই। সেই গানে ঘুম হারাম করা বিখ্যাত মিউজিকটি মাইকেল জ্যাক্সনের পাশে দাঁড়িয়ে যিনি বাজিয়েছিলেন তিনি “এডি ভ্যান হ্যালেন”।




Name: Mean Streets
Download Link: http://asilentflute.com/mp3/vh.mp3



আশা করি পোষ্টটি ভালো লেগেছে। গীটার সলো এবং সেরা কিছু গান নিয়ে আমার এমন আরো অনেকগুলো পোষ্ট আছে। সময় পেলে দেখবেন।

আর সবার উর্দ্ধে তো আমাদের নিজেদের মিউজিক তাই না? আইয়ুব বাচ্ছু আর স্টিভ ভাইয়ের মধ্যে যদি কোনদিন ভোটাভুটি হয় আমি কিন্তু আইয়ুব বাচ্চুকেই ভোট দেব। কারণ আমাদের মিউজিক হল সবার উর্দ্ধে। যে দেশে মিউজিকের মূল্যায়ন নেই, যে দেশে ব্যবসা হবেনা বলে ব্যান্ড মিউজিককে মিডিয়াও এড়িয়ে চলে, যেখানে ব্যান্ড করা মাত্রই এসব প্রশ্ন শুনতে হয় "ব্যান্ড মিউজিক দিয়ে কি পেট চলবে? কিংবা এসব ফালতু মিউজিক শুনবে কে" সেই দেশে মিউজিশিয়ান হতে পারাটাই কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। দরকার নেই আমার স্টিভ ভাই হওয়ার কিংবা মালমাস্টিন হওয়ার, আমি এমনিতেই গর্বিত, আমার মূল্য এমনিতেই অনেক, কারণ আমি বাংলাদেশে থেকেও মিউজিক নামক অস্ত্র হাতে তুলতে পেরেছি। এটাই আমার সাফল্য।

আসুন বাংলা গানকে বেশী বেশী শোনার চেষ্টা করি। মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি আর সস্তা হিন্দি থেকে দূরে সরে আসার চেষ্টা করি। ইংলিশ গানকে আমাদের স্বার্থেই বেশী বেশী শুনতে হবে কারণ ব্যান্ড মিউজিকের জন্মই ওয়েষ্টার্ন দেশগুলোতে। তাই ওরাই এই মিউজিকের শিক্ষক আর আমরা ছাত্র। তাই তাদের কাছ থেকে শিখে, নিজের সৃষ্টিশীলতা তার সাথে যোগ করে আমরা যখন মিউজিক করব তখন সহজাতভাবেই তা শিল্প হয়ে যাবে।

সবাই ভালো থাকবেন এবং দোয়া করবেন আমার জন্য।

সময় পেলে আমাদের দুটি গান শোনার আমন্ত্রন রইলঃ

# নীরব অনুধাবনঃ
http://www.mediafire.com/?jz4od53wk1ea7m5

# সাদা তুলির আচরঃ http://www.mediafire.com/?j5ba5qts6pkx7is


ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেয। m/
:)








সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯
৬১টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×