
মানুষ সম্পর্ক গড়ে আবেগে, এই আবেগ কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকে আমাদের? যখন আমরা সম্পর্কের মাঝে থাকি? বর্তমানে শারীরিক সম্পর্ক একটি ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই বিচ্ছেদ হচ্ছে হর হামেশাই। ফলাফল হিসাবে একটি তাজা প্রাণ ঝড়ে পড়ে অথবা চরম লাইনচ্যুত হয়ে হারিয়ে যায় অতল গহ্বরে। তবে এদের মাঝে সফল জুটিও আছে যারা একটি সম্পর্ককে পরিণয় পর্যন্ত নিয়ে যান। এটা হলো সম্পর্কের শুরু শেষ। দ্বিতীয়তঃ বর্তমানে বিয়ের আগের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের সমাজে আমাদের মননে আগে যেটা আমরা চিন্তাই করতে পারতাম না। মেনে না নিয়ে উপায় কি? মেনে নিয়ে সংসার করাই শ্রেয় কারণ প্রযুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরো সহজ করে দিয়েছে, সম্পর্ক ছাড়া মানুষ হয় নাকি? সম্পর্ক না থাকলে আপনি আনকালচার আনসোশ্যাল। এমন অবস্থা এখন শহর ছাড়িয়ে গ্রামে। শিক্ষার হার বেড়েছে মান বাড়েনি, শিক্ষিত হলে যে মানুষের রুচি বোধের এতটা অরুচি জন্মাবে কে জানতো? ডিজিটাল হতে হতে আমরা এতটাই টাল হয়েছি যে, আমরা নাইট ক্লাবে, রুম ডেটিংএ অথবা কোন নির্জনে সম্ভ্রম হারিয়ে ফেলছি। আধুনিকতার চোবলে যুব সমাজ আজ মরমর অবস্থা! নৈতিকতার কতটা অভাব হলে আমরা আধুনিকতার নামে এতটা নির্লজ্জ হই? সবদিকে যখন সম্পর্কের জোয়ার আমি আর আপনি পূর্ব সম্পর্ক ছাড়া স্ত্রী/স্বামী পাবো কই? তাই মেনে নেওয়া মানিয়ে নেওয়া সংসার সুখের চাবিকাঠি! আর নয়তো এখানেও বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী। আমি আপনি রেখে যাওয়া মানুষটিকে কেউ না কেউতো বিয়ে করছে। ঘুরে পিরে আপনারটা আমার কাছে, আমারটা আপনার কাছে। আমি পাইলাম আমি ইহাকে পাইলাম এই বলে শুরু করা যাক বিয়ের পরের জীবন। কি পেয়েছেন আপনি ভালো জানেন। তবে আজ থেকে ভালো হয়ে বাঁচুন, ভুলে যান দুজনার অতীত গড়ে তুলুন আগামীকে ঠিক আপনার ঘটে যাওয়া ঘটনার বিপরীতে।
নোটঃ লিখাটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে লিখা। সবাই খারাপ না, খারাপের মাঝে ভালো আছে বলে পৃথিবী এখনো দণ্ডায়মান। সম্পর্ক কখনো খারাপ নয় আমরাই খারাপ, আমরা সম্পর্ককে খারাপ বানাই। সম্পর্ক হোক তবে নৈতিকতার সাথে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪