somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক মা এর স্মৃতিচারণ

২২ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঝাপসা চোখে কোনো রকমে ট্যাক্সিতে উঠে পেছনের কাঁচের ভেতর দিয়ে চেয়ে দেখি তুমি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছো। শরীরটা সামনের দিকে ইষৎ ঝুকে আছে। তোমার চোখ বাবা মা কে নিয়ে দ্রুত অপসৃয়মান গাড়ির পিছনের লাল বাতির দিকে গভীর ভাবে নিবদ্ধ। আমি জানি তুমি নিজেকে অনেক সাহসী হিসেবে দেখাতে চাইছো। যা তুমি ছোটো বেলা থেকেই করতে চাইতে। তোমার কাঁপা কাঁপা ঠোটগুলো একটার উপর একটা দৃঢ় ভাবে সেটে আছে । প্রানপন চেপে রেখেছো তোমার চোখের পানি যার প্রকাশ কে তুমি মনে করো দুর্বলতা।ঠিক তোমার বাবার মত, যার মনোবল ইস্পাত সদৃশ্য।

যে ব্যাক্তি মানুষের সামনে তার হাতে ছোয়া লাগলেও বলে উঠে, 'কি করো, সবাই তাকিয়ে আছে যে'! আর আজ সে ট্যাক্সী ড্রাইভারের সামনে আমার হাত চেপে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে, 'কেঁদোনা, বেশী দুর তো নয়, ইচ্ছা করলেই তো তুমি আসতে পারবে, মাত্র দুই ঘন্টার ই তো ফ্লাইট। আর ওর ভবিষ্যত টা একবার ভাবো'।
আমি জানি তার বুকেও সমানতালে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিন্ত আবেগের কাছে হার মানার পাত্র সে নয় মোটেও।

তুমি কি জানো অনেক আশা-আকাংখা, আর প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নয় মাস পর যখন তুমি পৃথিবীর আলো দেখলে তখনও আমি পোষ্ট অপারেটিভ রুমে অচেতন।রাতে যখন আমার জ্ঞান ফিরে আসলো নার্স আমার পাশে তোমাকে শুইয়ে দিয়ে গেলো।আমার সেই সুই ফোটানো স্যালাইন দেয়া হাতেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে বিস্মিত নয়নে চেয়ে দেখলাম আর ভাবলাম, 'খোদা এই সুন্দর গোলগাল বড়সড় বাচ্চাটি কি আমার'!
আট দিন পর অনেক খুশী মনে তোমাকে নিয়ে বাসায় ফিরলাম তোমার বাবা আর আমি। বাচ্চা সম্পর্কে দুজনেই অনভিজ্ঞ। কিন্ত আমি বুঝতে পারছিলাম তোমার কোনো একটা সমস্যা হচ্ছে। দিনে দিনে আমার চোখের সামনে মোটা সোটা সেই বাবু তুমি শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেতে লাগলে। আমি তোমাকে সামনে নিয়ে সারারাত জেগে বসে থাকতাম।

১৪ দিনের দিন তোমার চাচা যে নিজেও একজন ডাক্তার তোমাকে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে বল্লো।সাত দিন যমে মানুষে টানাটানি করে তুমি বেঁচে উঠলে।তোমার ছিল ল্যাকটোস এলার্জি যা দুধের প্রধান উপাদান।যেটা খাবার সাথে সাথে ই তোমার বমি আর ডা্য়রিয়া শুরু হতো।
শুধু এটুকুই বলি যখন ক্লিনিকে নিয়ে আসলাম তখন তোমার শরীর ছিল সম্পুর্ন পানি শুন্য। জিহ্ববাটা তালুর সাথে লেগে আছে। আর মাথার খুলিটা তিন ভাগ।
১৪ দিনের বাচ্চা তুমি তোমার মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ফুটো ফুটো করে ফেলছে স্যালাইন দেয়ার জন্য। কিন্ত ভেইন খুজে পায় না কেউ। সে যে কি এক অসহনীয় দৃশ্য। আমি বাইরে দাড়িয়ে কাঁদছি যখন একবার উকি দিয়ে দেখলাম তোমার মাথার তালুতে ডাক্তার আর সিস্টাররা মিলে স্যালাইনের বাটারফ্লাই সুই ফুটিয়ে ফুটিয়ে ভেইন খোজার ব্যার্থ চেষ্টা করছে। পাশে রক্ত মাখা তুলার স্তুপ।

তোমাকে সুস্থ করে বাসায় নিয়ে আসলাম। তোমার জন্য অত বড় চাকরী ছেড়ে ঘরে বসলাম। তুমি এগারো মাস বয়স থেকেই হাটা শিখেছো। তুর তুর করে সারা বাড়ী ঘুরে বেড়াও। তোমার জন্য তোমার বাবার কত সতর্কতা।চোখা মাথা আলা সোফার হ্যান্ডেলগুলো মিস্ত্রী এনে গোল করে দিল।আমার শখের কাচের সেন্টার টেবিল টা কাকে জানি দিয়ে দিল।প্রতিটি দরজার নীচের সিটকিনি গুলো খুলে ফেল্লো , নীচে যত ইলেকট্রিক সুইচ ছিল সবগুলো ডিসকানেক্ট করলো।
তুমি জেগে আছো আমি ঘুমিয়ে আছি এমন কখনো ঘটেনি।সারাক্ষন চোখ ছিল তোমার উপর, তারপর ও একদিন --------
এমনি এক দুপুরে তুমি খেলনা নিয়ে আছো, আমি বিছানার চাদরটা তুলে দিলাম ধোয়ার জন্য।
বুয়া বল্লো, 'খাবার পানিটা অনেকক্ষন ধরে চুলায় ফুটছে, ওটা দিয়ে চাদরটা ধুয়ে দেই আবার না হয় খাবার পানি বসাই', বলে গামলায় পানিটা ঢেলে নিল।
আমি বলি 'ঠিক আছে, কিন্ত বাথরুমের দরজা বন্ধ করো বুয়া, এই নিয়ে তোমাকে তিনবার দরজা বন্ধ করতে বল্লাম কিন্ত'।
'হু করছি আপা' বুয়ার উত্তর।

এক মিনিট পর এক হীমশীতল আর্তচিৎকারে আমি শিউরে উঠলাম। দৌড়ে বারান্দা হয়ে বসার ঘর পেরিয়ে ছুটে আসছি। তুমি কোথাও নেই। বাথরুমের সামনে আসতেই দেখলাম বুয়া তোমাকে দুহাতে ঝুলিয়ে বের করে আনছে ফুটন্ত পানির গামলা থেকে তুলে। সেই ভয়াবহ দশদিনের কথা আমি জীবনেও বিস্মৃত হতে পারবো না।মনে আছে সেই কদিন তোমার বাবা তোমাকে তার বুকের উপর উপুড় করে রেখে ঘুম পাড়িয়েছে আর সারাক্ষন কাঁধে করে রেখেছে।

এর বেশ কিছুদিন পর আমি গরম স্টীলের প্লেট ধরে হাতের তিনটি আংগুল পুড়িয়ে ফেলেছিলাম । বরফ পানির মধ্যে যেটুকু সময় হাত রাখি তখনই দম নেই, বাকী সময়টা মনে হতো কেউ জেনো আমার হৃদপিন্ড হাতের বজ্র মুঠিতে চেপে ধরে আছে।তখন মনে হচ্ছিল তোমার কথা , কি করে বছর খানেক বয়সে তুমি সেই ফুটন্ত পানির জ্বালা সহ্য করেছিলে!

মানিক এটা তোমার পাঁচ বছর বয়সের কাহীনি। মা এর আঁচল ধরে প্রতিবেশীর বাসায় ঘুরতে যাওয়া।বের হয়ে আসবো। দরজা আর চৌকাঠের মাঝখানে তোমার হাত। একজনের স্যান্ডেল দরজার পেছনে, উনি বের করার জন্য দরজাটা টানছে।তুমি উহ উহ করছো। আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা ধরলাম। হাত ধরে দেখি তোমার আংগুল আমার হাতে চলে আসছে। কি করে তোমাকে নিয়ে বাসা তারপর ক্লিনিক মনে নেই। শুধু মনে আছে তুমি কান্না চেপে আমাকে বলছো, 'আম্মু কেঁদোনা, এমন সবার হয়, তাই না চাচ্চু'?
আস্তে আস্তে তোমার সেই আংগুল জোড়া লাগলো কত কাহীনি ঘটিয়ে।

আমার মামার নিজস্ব একটি প্রথম বিভাগ ক্রিকেট টীম ছিল। সেখানে আমার নিজের ও খালাতো মামাতো ভাইরাই খেলতো। আর আমরা ছিলাম দর্শক। তোমার বাবা আর ছোটো চাচা ও টুকটাক খেলতো ঘরোয়া ক্রিকেটে ।সেই রক্তটা তোমার ছিল। তাই অন্যান্য খেলার চেয়ে ক্রিকেট টাই তোমার প্রিয় ছিল।
তোমার আগ্রহ দেখে তোমার বাবা তোমাকে এক ক্রিকেট একাডেমীতে ভর্তি করে দিল।তোমার বয়স তখন বারো ।তার আগে স্টেডিয়ামের খেলনার সরন্জামের দোকান থেকে ব্যাট বল থেকে শুরু করে নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার সব কিনে দিল। তুমি যেনো ব্যাথা না পাও।

এর মধ্যে তোমার বাবা পাকিস্তান যাবে অফিসের কাজে।তোমাকে আর আমাকে বল্লো কি চাই যেনো লিস্ট করে দেই। আমি এক বিশাল লিষ্ট ধরিয়ে দিলাম।তোমার টা ছিল এক লাইনের," আব্বু টিভিতে পুরোনো খেলায় দেখেছি সাইদ আনোয়ার একটা ব্যাট দিয়ে খেলতো ওটার নাম সি কে, আমার জন্য ওমন একটা ব্যাট নিয়ে এসো'।

বাবা ব্যাট নিয়ে আসলো চার হাজার পাকিস্তানী রুপি দিয়ে। সেই ভারী বড় ব্যাট টা তুমি বিছানার পাশে সাজিয়ে রাখলে বড় হয়ে খেলবে বলে। তার দু একদিন পরেই একাডেমী থেকে সন্ধ্যায় টলতে টলতে তুমি ঘরে এসে শুয়ে পড়লে। কি ব্যাপার! জানলাম এত সতর্কতা সত্বেও বেহুলার লোহার বাসর ঘরে মনষার মতনই আঘাত নামক সেই কাল সাপ ঠিকই তোমাকে ছোবল মেরে গিয়েছে।

পাশের নেটে প্র্যাকটিস করা এক ছেলের বল তোমার মাথায় এসে লাগে। তুমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলো । একটু সুস্থ হলে ওরা তোমাকে বাসায় দিয়ে যায়। সব শুনে তোমার বাবা তোমাকে নিয়ে গেল বাংলাদেশের বিখ্যাত এক নিউরোলজিষ্টের কাছে। সে নানারকম পরীক্ষা করে তিন দিন পর্যবেক্ষনে থাকতে বল্লো বিশেষ করে সেই রাত। মনে হলো আমার জীবনের এক কালো রাত্রি। ভোর আর হয়না। তোমার মাথার কাছে সারা রাত নতজানু আমি প্রার্থনারত। কসম কাটলাম 'খোদা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দাও আমি আর ওকে ক্রিকেট খেলতে দেবো না'।

সুস্থ হয়ে তুমিও আমার কথা মেনে নিলে। সব জিনিস বিলিয়ে দিলে অন্যান্য সহ খেলোয়াড়দের মাঝে। কিন্ত সেই ব্যাটটা তুমি আজও আগলে আছো যেটা দিয়ে তুমি একদিনও খেলোনি। মাঝে মাঝে তোমার ঘরের সামনে দিয়ে যেতে যেতে দেখেছি বিছানায় বসে পরম মমতায় ওটার গায়ে হাত বুলাচ্ছো।

আব্বু এটা তোমার মনে থাকার কথা আমরা যেবার দার্জিলিং গেলাম?কারণ তখন তোমার বয়স চৌদ্দ।
আমাদের পরিচিত শফিক ভাই এর কাছ থেকে আমরা দার্জিলিং সম্পর্কে কিছু তথ্য নিলাম। উনি বার বার করে বলে দিলেন তার ছেলেকে যেনো দেখে আসি। ছেলেটি ছোটো থেকে সেখানে পড়ে, তখন সে ক্লাস সিক্সের ছাত্র। তোমার বাবা বল্লো 'এটা কোনো ব্যাপার না শফিক সাহেব আর তাছাড়া কার্শিয়ংতো আমরা যাবোই ঘুরতে'।

একদিন শিলিগুড়িতে বিশ্রাম নিয়ে আমরা একটি জীপ ভাড়া করে রওনা হোলাম দার্জিলিং এর উদ্দ্যেশ্যে। পাহাড়ী পথ সাপের মত বাঁক খেয়ে খেয়ে উপরে উঠছে আর তোমার বাবার মুখটা অন্ধকার হয়ে আসছে।তার মুখে কোনো কথা নেই ।
তুমি তো জানো সে পাহাড় একেবারেই পছন্দ করে না।নিঃশব্দ নিরিবিলি সবুজ পাহাড়ের গা ঘেষে চড়াই উৎরাই করতে করতে যখন কার্শীয়াং অতিক্রম করছি তখন বল্লাম,'চলোনা শফিক ভাই এর ছেলেটাকে দেখে যাই'।
আমার কথা শোনার সাথে সাথে তার এতক্ষনের চেপে রাখা ক্ষোভ যেন ফেটে পড়লো।
'চুপ করো, যেই লোক এতটুকু বাচ্চাকে এনে এই সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে ফেলে রাখতে পারে, তার বাচ্চা দেখার আমার কোনো শখ নেই'।

আমিতো তোমার বাবার রিএ্যকশন দেখে হতভম্ব।যে কিনা একজন মানবদরদী বলে তার মহলে সুপরিচিত! যাইহোক কোনো রকমে দার্জিলিংএ তিন দিন কাটিয়ে আমরা শিলিগুড়ি ফিরে আসলাম। তোমার বাবা ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় বসে হাসি মুখে কোকের ক্যান হাতে নিয়ে কত গল্প। তার গল্পের মুখ্য বিষয় হলো দার্জিলিং কত খারাপ আর কক্সবাজারের কত সৌন্দর্য্য !

যাই হোক পরদিন সকাল দশটা বাজে, আমি বিছানায় আধশোয়া হয়ে একটি ম্যাগাজিন পড়ছি। খেয়ে দেয়ে বারোটার দিকে ঢাকা তথা চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।
তোমার বাবা বারান্দায় বসে আর তুমি আমার পাশে শুয়ে বার বার বলছো ' আম্মু কি করবো, আম্মু কি করবো'?
বিরক্ত হয়ে বল্লাম 'কি করবে আমি কি জানি ! বাসা থেকে একটা গল্পের বই নিয়ে আসতে পারো নি?আমরা তো ছোটোবেলা থেকে তাই করতাম। আর না হয় তো নীচে কাজ করছে যে দুটো বাচ্চা ছেলে ওদের সাথে গল্প করো গিয়ে'।
তুমি উঠে চলে গেলে সিড়ির দিকে, আধ ঘন্টা পর আমি নীচে নেমে দেখি সেই ছেলে দুটো কাজ করছে।তোমার কথা জানতে চাইলে তাদের মধ্যে একজন ছিলো নেপালী নাম কিশোর বল্লো,
'মা জী ওতো আসে নি এখানে'।
'কি বলো'! আমি হতবাক হয়ে যাই! দৌড়ে গেটের কাছে গেলে নেপালী দারোয়ান জানালো 'ওতো ঐ ব্রীজের নীচের কাঁচা রাস্তা দিয়ে ওদিক পানে চলে গেলো মা জী'।
মহানন্দা নদীর উপর দিয়ে ব্রীজ। শীতকাল, নদীর পানি শুকিয়ে গেছে, নদীর মাঝে বড় বড় পাথরের বোল্ডার, তবে বর্ষায় আবার তার ভরা যৌবন দেখা যাবে।
আমি দৌড়ে গেলাম ব্রীজের নীচে। গিয়ে দেখি টিন আর ছনের তৈরী বস্তি। রাস্তার পাশে সারি সারি ট্রাক আন্ত:জেলার সাইনবোর্ড লাগানো। রাস্তার ধারে কয়েকজন বসে তাশ খেলছে। পরিবেশটা কেমন যেনো লাগলো। তাড়া তাড়ি ফিরে আসলাম হোটেলে।
তোমার বাবা কে বল্লাম তোমাকে খুজে দেখার জন্য। কিশোর আর আরেকটা ছেলে তাড়া তাড়ি সাইকেল নিয়ে তোমাকে খুজতে বের হলো। বেশ কিছুক্ষন পর ওরা ফিরে এসে জানালো তোমাকে পায় নি। শুধু নীচু স্বরে কিশোর বল্লো 'ঐ ব্রীজের নীচে কেনো গেলো ও'!
আমি আতংকিত হয়ে বল্লাম 'কেনো ঐ ব্রীজের নীচে কি' ?
সে আস্তে আস্তে বল্লো, 'না মানে জায়গাটা ভালো না মা জী , ওটা ট্রাক ড্রাইভারদের আস্তানা, ওরা খুব খারাপ '।

আমার হাত পা অবশ হয়ে আসতে লাগলো। তোমার বাবা এর মধ্যে চারিদিক ঘুরে এসে আমার উপর রাগ হয়ে বসে রইলো।কেন আমার ধৈর্য্য নেই! আমি কেনো তোমাকে বকতে গেলাম ইত্যাদি।
আমার বুকের ভেতর মুচড়ে মুচড়ে উঠছে। বিছানায় বসে হতাশ হয়ে অঝোর ধারায় কেঁদে চলেছি তখন জানালা দিয়ে চেয়ে দেখি তুমি দুরে ব্রীজের উপর দিয়ে হেটে হেটে আসছো।চোখ দুটো কচলে ভালো করে তাকালাম নাহ তুমি ই। আমি কোনো রকমে থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে বিছানায় দাড়ালাম দু রাকাত নফল নামাজ পড়তে।কোন দিক পুর্ব কোনদিক পশ্চিম তা বলতে পারবো না, কি পড়েছি তাও জানি না শুধু সেজদায় লুটিয়ে পড়ে অশ্রুসজল চোখে বলেছি,
'হে দয়াময় তোমাকে জানাই আমার হাজার হাজার শুকরিয়া'।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
১২৬টি মন্তব্য ১২৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×