somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লোহিত তটিনী দয়া

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সম্রাট অশোক
তখনো অনেক সকাল, ঘুম ভেংগে গেল। লাফিয়ে উঠে বারান্দায় উকি দিলাম। নাহ এখনো ট্যুর কোম্পানীর গাড়ি আসে নি।অদুরে পুরীর সমুদ্রের ফেনিল ঢেউ কি এক আক্রোশ নিয়ে আছড়ে পরছে বালুকাবেলায়। গতকাল বিকেলে সমুদ্র সৈকতে বালু শিল্পীদের গড়া বুদ্ধের মুখটি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে কখন দেখিনি।রুমের মাঝেও তার তর্জন গর্জন শোনা যাচ্ছে।
ঝটপট রেডি হয়ে বসে আছি। ভুবনেশ্বর যাবো।পথে কত কিছু যে আছে দেখার, দেখতে দেখতে হয়তো সারাদিন কেটে যাবে।


পুরীর বালুকাবেলায় বালুর বুদ্ধ মুর্তি
শেষ পর্যন্ত আটটায় বাহন আসলো আর রওনা হোলাম দুজন। ঊড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরের দিকে যাচ্ছি আমরা।ঝা চকচকে মসৃন চওড়া রাস্তার দুদিকে সরকারী সংরক্ষিত সবুজ বনানী। ঝাউগাছসহ অনেক চেনা পরিচিত গাছ। হাতের ডানদিক ঘেষে সমুদ্র চলেছে আমাদের সাথে সাথে।মাঝে মাঝে গাছের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে ফেনীল জলরাশি।


নিরিবিলি চন্দ্রভাগা সমুদ্রতীর
আমাদের প্রথম গন্তব্য চন্দ্রভাগা সমুদ্র সৈকত।এটা পুরীর সৈকতের মত এত জনাকীর্ন নয়।অবশ্য আমরা নিদৃষ্ট বীচে না যেয়ে একটু আগেই নেমেছি। এখানে নেমে কিছুক্ষন উপভোগ করলাম নীল সমুদ্রের নির্জন উপকূল।এ সমুদ্র অবশ্য আমাদেরই চির চেনা বঙ্গপসাগর যা আমাদের ভালোলাগার একটি প্রধান কারণ।
একটু পরে দু'পা হেটে গিয়ে চা খেলাম রাস্তার পাশের ছোট্ট এক টং দোকানে। আবার যাত্রা শুরু হলো।এবারের গন্তব্য সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দুরে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রতীক ভা্রতের বিখ্যাত কোনার্ক মন্দির।


মুল মন্দিরের কিছুটা সামনে নাট মন্দির
টিকিট কেটে বিশাল আঙ্গিনায় ঢুকে সামনে এগোতেই চোখে পড়লো ব্যাতিক্রমী নির্মানশৈলীতে তৈরী কোনার্ক মন্দিরটি। মূল মন্দিরের সামনে কালের ঝড় ঝাপটায় ভেঙ্গে পড়া অসাধারণ ডিজাইনের এক নাট মন্দির। যেখানে একদা নর্তকীরা মন্দিরের দেবতা সূর্যকে তুষ্ট করার জন্য নাচতো বলে জানালো গাইড।সিড়ি বেয়ে উঠতে হলো সেখানে।কঠিন পাথর নির্মিত সেই নাট মন্দিরের গায়ে খোদাই করা ফুল লতাপাতা আর জ্যামিতিক নকশা। যা দেখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন 'এখানে পাথরের ভাষা মানুষের ভাষাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে'।


নাট মন্দিরের পেছনের সিড়ি যার অদুরে মুল মন্দির
তেরোশ শতাব্দীতে গঙ্গা রাজবংশের রাজা নরসিংহদেব সমুদ্রতীর থেকে তিন কিলোমিটার দুরত্বে বিখ্যাত এই সুর্য মন্দিরটি নির্মান করেছিলেন।৮৫৭ ফিট দৈর্ঘ আর ৫৪০ ফিট প্রসস্থ জায়গা জুড়ে নির্মিত কোনার্কের রথ আকৃতির মন্দিরটি ২০০ ফিটেরও বেশী উচু ছিল। গাইড নিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলাম। এর আগেও আমি এসেছিলাম। কিন্ত তার যে এত ইতিহাস তা জানা ছিল না।


বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রতীক সুর্য দেবের মন্দির কোনার্ক

মন্দির থেকে বের হয়ে আবার ভুবনেশ্বরের পথে।একটু এগুতেই সামনে একটা বেশ বড়সড় পাকা ব্রীজ। নীচ দিয়ে কি সুন্দর এক শান্তশিষ্ট নদী বয়ে চলেছে ধীরস্থির ভাবে। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলুম,
'কি নাম নদীটার'?
"দয়া"
চমকে গেলাম ড্রাইভারের কথা শুনে! 'কোন দয়া রমেশ'?
"ম্যাডাম ঐ সেই দয়া যে নদী রক্তে লাল হয়েছিল অশোকের হাতে"।
আজও ভুলেনি মানুষ সেই নির্মম নিষ্ঠুরতার কথা যা কিনা কত যুগ আগে ঘটেছিল সেখানে ।
বল্লাম 'গাড়ী রাখো এখানে, একটু ভালো করে দেখে নেই ইতিহাস বিখ্যাত দয়াকে'।


ব্রীজের ডান দিকে দেখা যাচ্ছে সমুদ্রে ঝাপিয়ে পড়ছে নদী দয়া

ড্রাইভার রমেশের কথায় মনে পড়লো উপমহাদেশের সেই বিখ্যাত সম্রাট অশোকের কথা।অনেক অনেক বছর আগে সেই খৃষ্টের জন্মেরও আগে ৩০৪ খৃষ্ট পুর্বে মৌর্য্য বংশের দ্বীতিয় সম্রাট বিন্দুসারা আর ধর্মা নামে সাধারন এক রমনীর ঘরে জন্ম নেন এক পুত্রসন্তান।নাম রাখা হলো তার অশোক বিন্দুসারা মৌর্য।ছোটবেলা থেকেই যে ছিল অত্যন্ত সাহসী, বেপরোয়া, নিষ্ঠুর আর ক্রুর প্রকৃতির।

শোনা যায় অসীম সাহসী অশোক সামান্য গাছের কান্ড দিয়ে ভয়ংকর হিংস্র প্রানী সিংহ হত্যা করেছিল ।তার এই শৌর্য বীর্যে ভয় পেয়ে যায় তার চেয়ে বড় সৎ ভাইয়েরা। পিতাকে অনুরোধ করে যেন অশোককে যেন সেনাপতি বানিয়ে সাম্রাজ্যের কোন সীমান্তঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিন্দুসারা মেনে নেন তার অন্যান্য পুত্রদের অনুরোধ।অশোক ঠিকই নিজেকে একজন উপযুক্ত সেনাপতি হিসেবে প্রমান করেন পাঞ্জাবের তক্ষশীলার বিদ্রোহ দমনের মধ্য দিয়ে।


কলিঙ্গ
সে বুঝতে পেরেছিল সৎভাইয়েরা সবাই তার বিরুদ্ধে এবং তাকে তারা পিতৃ সিংহাসনের একজন প্রতিদন্ধী মনে করছে।ফলে সে সে প্রতিবেশী রাস্ট্র কলিঙ্গএ আশ্রয় নেন। সেখানে থাকার সময় সে কারুবাকী অথবা চারুবাকী নামে এক জেলে রমনীর প্রেমে পড়েন এবং পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করেন।

দুবছর পর পিতা বিন্দুসারা অশোককে ডেকে পাঠান উজ্জ্যয়িনীর বিদ্রোহ দমন করার জন্য।সেই বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে আহত অশোক বুদ্ধ সন্ন্যাসীদের গোপন শুশ্রসায় সুস্থ হয়ে উঠেন। যা ছিল সিংহাসনের অন্যতম দাবীদার তার বড় সৎ ভাই সুষমার অজানা।সে সময়ই অশোক প্রথম বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের কাছ থেকে বুদ্ধ ধর্মের সার কথাগুলো জানতে পারেন।আহত অবস্থায় অশোকের সেবায় নিযুক্ত ছিলেন বিদিশার এক রমনী, দেবী যার নাম। তাকে ভালোবেসে ফেলেন অশোক,যার পরিনতি ছিল বিয়ে ।


কলিঙ্গের ময়দান
২৭৫ খৃষ্টপুর্বে বিন্দুসারা মারা গেলে সিংহাসনের দাবীতে দু বছর ব্যাপী ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ চলতে থাকে।শেষপর্যন্ত অশোক এই গৃহ যুদ্ধে জয়লাভ করে মৌর্য্য বংশের তৃতীয় সম্রাট হিসেবে সিংহাসনে আরোহন করেন । কারো কারো মতে এই যুদ্ধে নিষ্ঠুর অশোক তার সব ভাইদের হত্যা করেছিল।
ভুবনেশ্বর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিনে ধৌলি গিরির চুড়োয় রয়েছে জাপানী সরকারের বানানো দুগ্ধ ধবল শান্তি স্তুপা। গাড়ি করে অনেকটা পথ পাহাড়ে ওঠার পর এবার সিড়ি বেয়ে মন্দিরে ঊঠার পালা।প্রচন্ড গরমে শ্বেত পাথরে নির্মিত সিড়ি আর চত্বর আগুনের মত তপ্ত হয়ে উঠেছে।আস্তে এসে দাড়ালাম এক অশোক গাছের ছায়ায়।দুরের পানে চোখ মেলে দিলাম।সামনে বিস্তৃত কলিঙ্গের ময়দান।সাথে সাথে মনে পড়ছে ইতিহাসের সব খুটিনাটি।


ধৌলির পাহাড় চুড়োয় শান্তি স্তুপা

যুদ্ধ পিপাসু অশোক তার রাজত্বের প্রথম আটটি বছর ক্রমাগত একটার পর একটা যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।এবং যার ফলশ্রুতিতে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশাল মৌর্য্য সাম্রাজ্যের।পশ্চিম দিকে ছিল বর্তমান ইরান আর আফগানিস্তান আর পুর্বে বাংলাদেশ, বার্মার সীমান্ত পর্যন্ত। বাকী ছিল ভারতের দক্ষিনে শেষ বিন্দু কন্যাকুমারী, শ্রী-লংকা আর দক্ষিন-পুর্ব ভারতের কলিঙ্গ রাজ্য।


নিঃশব্দে নীরবে বয়ে চলেছে দয়া নদী
রাজ্য জয়ের নেশায় মত্ত অশোক ২য় স্ত্রীর জন্মভুমি এবং একদা বিপদের সময়ের আশ্রয়দাতা কলিঙ্গ রাজের মহানুভবতার কথা বিস্মৃত হয়ে ভারতীয় ইতিহাসের স্মরণকালের সর্ববৃহত এক সৈন্যবাহিনী নিয়ে খৃষ্ট পুর্ব ২৬৩-৬২ সনে কলিঙ্গ আক্রমন করলেন।
সেই ভয়ংকর যুদ্ধে কলিঙ্গ যোদ্ধারাও অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে অশোকের সৈন্যবাহিনীর মোকাবেলা করেন। কিন্ত শেষ পর্যন্ত তারা অশোকের সুদক্ষ বাহিনীর কাছে হার মানতে বাধ্য হয়।তাদের সমস্ত শহরগুলো জালিয়ে পুড়িয়ে খাঁক করে দেয়া হয়।


ধৌলি পাহাড়ের চুড়ো থেকে কলিঙ্গের ময়দান

পরদিন সকালে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি স্বচক্ষে দেখার জন্য বের হন স্বয়ং সম্রাট অশোক। দেখলেন বিদ্ধস্ত শহরে জ্বলে পুরে ছারখার হয়ে যাওয়া বাড়ীঘর আর লক্ষাধিক মানুষের ছড়ানো ছিটানো মৃতদেহ।চোখের সামনে দেখতে পেলেন যুদ্ধের ময়দানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী দয়া, যার পানি সাদা নয়, নীল নয় এমন কি ঘোলাও নয়।সে রং ছিল লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত টকটকে লাল। বলা হয়ে থাকে যে কলিঙ্গের সৈন্যসহ প্রায় এক লক্ষ সাধারণ মানুষ এবং অশোকের প্রায় ১০ হাজার সৈন্য সেই যুদ্ধে নিহত হয়েছিল।


যুদ্ধক্ষেত্রের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী দয়া

নিজের এই কৃতকর্ম এবং নিষ্ঠুরতা সম্রাট অশোককে অসুস্থ, বিচলিত এবং অনুতপ্ত করে তোলে। আর যার ফলশ্রুতিতে উনিগ্রহন করেন অহিংস ধর্ম র্বৌদ্ধ।জীবে প্রেমের মর্ম বানীটি তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করলেন। এরপর থেকে বাকী জীবন তিনি মানব জাতির কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করলেন।তার সাম্রাজের সমস্ত প্রজাদের তিনি তার নিজ সন্তানতুল্য বলে গন্য করা শুরু করেন।এমনকি একদা পশু হত্যা ছিল যার চিত্ত বিনোদনের উৎস সেই বীর শিকারি অশোক জীব জন্তুর জন্য তার বিশাল সাম্রাজ্যে একটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন। বুদ্ধের আদর্শে উজ্জিবীত অশোক নিজ প্রাসাদসহ সমগ্র সাম্রাজ্য জুড়ে প্রানী হত্যা নিষিদ্ধ করেন। তার এই ব্যাপক পরিবর্তনে রানী কারুবাকির অবদানের কথা বিভিন্ন শিলালিপিতে উৎকীর্ন রয়েছে।


অশোকের শিলালিপির বর্ননা।
সম্রাট অশোক পুরো সাম্রাজ্য জুড়ে তার এই পরিবর্তিত চিন্তাধারার ব্যপক প্রচারের প্রয়াস নিয়েছিলেন।এ উদ্দেশ্যে তিনি অসংখ্য শিলালিপি এবং সুউচ্চ স্তম্ভ যা অশোক পিলার নামে সুপরিচিত সেগুলোতে তার বানী উৎকীর্ন করে গিয়েছেন। যা আজ এই উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এক প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন হিসেবে ছড়িয়ে আছে।


ধৌলির অশোক স্তম্ভ

তবে ধৌলির প্রতি অশোকের একটি আলাদা দুর্বলতা ছিল। যার ফলে সেখানে তিনি বুদ্ধের অহিংস বানী প্রচারে অনেক শিলালিপি ও স্তম্ভ নির্মান করেন।১৯৫০ সাল থেকে ভারত সরকার সেই ঐতিহাসিক অশোক স্তম্ভের উপরে খোদিত তিনটি সিংহের মূর্তিকে তাদের জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা দিয়ে আসছে ।


ধৌলি পাহাড়ের পাদদেশে বর্তমান ভারতের জাতীয় প্রতীক চিন্হ অশোকা স্তম্ভ
ধৌলি গিরির সামনে দয়া নদীর পাশের বিশাল বিস্তীর্ন এলাকাটিকেই কলিঙ্গের ময়দান বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।এই ধৌলি পাহাড় সংলগ্ন বিরাট এক শিলাখন্ডের উপরই আবিস্কৃত হয়েছে অশোকের সবচেয়ে বিখ্যাত শিলালিপি যা কলিঙ্গ লিপি নামে সুপরিচিত।পুর্ব দিকে মুখ করা হাতীর মুখ খোদিত এক ভাস্কর্যের উত্তর দিকে এই লিপি খোদাই করে লেখা রয়েছে।


হাতীর মুখ খোদিত এক পাহাড়ের গায়ে অশোকের শিলালিপি

পাথরের গায়ে খোদাই করা লিপিগুলো সংরক্ষনের জন্য কর্তৃপক্ষ কাঁচের ঘর দিয়ে ঘিরে রেখেছে, যাতে দর্শনার্থীরা বাইরে থেকে দেখতে পায় আবার লেখাগুলো নষ্ট না হয়ে যায়।


এই কাচের ঘরের ভেতর সম্রাট অশোকের শিলালিপি


কাচের বাইরে থেকে তোলা ছবি


পাথরের গায়ে ক্ষুদে ক্ষুদে হরফে লেখা বুদ্ধের বানী


এখানে আরেকটু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে পাথরের গায়ে লেখাগুলো

১৯৭০ সালে জাপান সরকার ধৌলি পাহাড়ের উপর সাদা রংয়ের আধুনিক এক শান্তি স্তুপা তৈরী করেছেন। বৌদ্ধ নির্মানশৈলীতে তৈরী গোলাকার এই স্তুপাটির চারিদিকে রয়েছে গৌতম বুদ্ধের বিভিন্ন ভঙ্গীমার মুর্তি ।


ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ


শয়নরত বুদ্ধ


কালো কষ্টি পাথরে নির্মিত বুদ্ধ

প্রাচীন কাল থেকেই এখানে হিন্দু ধর্মাবম্বীদের যে শিব মন্দিরটি ছিল তারও সংস্কার ও পুননির্মান করা হয়েছে।


ধৌলি শান্তি স্তুপে প্রাচীন শিব মন্দির

খৃষ্টপুর্বে ২৩২ অব্দে ৭২ বছর বয়সে সম্রাট অশোক মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় নি।তবে ইতিহাস থেকে এটুকু জানা যায় যে তার দুই ছেলে মেয়ে মহিন্দ্রা ও সংঘমিত্রা শ্রীলঙ্কায় বুদ্ধের অহিংস ধর্ম প্রচার করেছিলেন। তার সময় কাল এবং পরবর্তীতেই সমস্ত দক্ষিন পুর্ব এশিয়ায় বুদ্ধ ধর্মের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করে।

তবে দয়া নামের নদীটি কিন্ত আজও অশোকের সেই ভয়াবহ যুদ্ধের নারকীয় বীভৎসতার স্মৃতি বুকে নিয়ে বয়ে চলেছে কলিঙ্গের ময়দানের গা ঘেষে সমুদ্রের পানে ।

প্রথম ছবিটি ছাড়া বাকি ছবি আমাদের ক্যামেরায় তোলা।

.
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
৫৮টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×