জার্মানীর ওয়েরহসেন শহরের একুইরিয়াম নিবাসী অক্টোপাসকূল শিরোমনি পীরানে পীর দস্তগীর হযরত বাবা পল শাহ ইরশাদ করেছেন এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা জিতবে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন। আর তৃতীয় হবে খাজা বাবার নিজ দেশ তথা জার্মানী।

হুজুরের এই ভবিষ্যৎবাণী বহু ইউরোপীয় টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্পচার করেছে । বাবার এই বাণীর পরপরই স্পেন জুড়ে খুশীর বান ডেকেছে।

তৃতীয় হবার খবরে জার্মানরাও দুধের স্বাদ ঘোলে ( শিরোপার স্বাদ তৃতীয় স্থান দিয়ে) মেটাচ্ছে।

তবে বদলোক এই দেশে যেমন কিছু আছে বিজ্ঞানের তীর্থভূমি জার্মানীতেও দেখি আছে। পেপারে দেখলাম সেমিতে খাজা বাবার দেশ জার্মানী যে আরেকটি স্পেনিশ ট্র্যাজিডি রচনা করতে পারেনি তার জন্য কিছু কিছু নালায়েক জার্মানভক্ত বাবার ওপর অহেতুক ক্ষিপ্ত হয়েছে। বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। কেউ কেউ আমাদের দেশের ফতোয়া বাজদের মতো বাবাকে পুড়িয়ে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। আজ দেখলাম আরেক অপরিণামদর্শী জার্মানভক্ত বাবার পবিত্র দেহখানা কুচিকুচি করে কেটে লেবুর রস, অলিভ অয়েল আর রসুনের মিশাল দিয়ে ভোজন করে ফেলার কু-খায়েস ব্যক্ত করেছে ! দেখুন কী সাহস ! এখন যদি বাবার আদেশ হয় তাহলে যে কোন স্পেনিশ ম্যাটাডোর এসে তার ভবলীলা এক নিমেষে সাঙ্গ করে দিয়ে যাবে সেই খবরও নেই। স্বয়ং ফুয়েরার বিদ্যমান নেই। তিনি থাকলে না হয় কথা ছিলো।

আজকের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় আর কালকের ফাইনালে বাবার ভবিষ্যৎ বাণী যে সত্য হতে চলেছে এই বিষয়ে আমাদের মত বিজ্ঞানে অনগ্রসর কোন মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করতে পারি কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানে শীর্ষস্থানীয় ইউরোপ মহাদেশের কারো কোন সন্দেহ যে নেই তা বলাই যাচ্ছে। বাবার জনপ্রিয়তা আর শতশত টিভি চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচার সে প্রমানই দিচ্ছে।

এই বিশ্বকাপের পর থেকে বাবার খানকায় নানা বাহানায় ইইউ এলাকার জনতা যে ভেঙ্গে পড়বে তাতে আর সন্দেহ কী !

এখন কোন কৌশলে বাবার খানকাহ যদি এই সোনার বাংলায় আনা যেতো তাহলে ডলার আর ইউরোর বাংলাদেশমুখী একটা দুরন্ত ঢল নামানো যেতো তাতে আমার অন্তত: সন্দেহ নাই।