প্রাক কথন:
বিভিন্ন বিষয়ে আকস্মিক কিছু ভাবনা মনের ভেতর খেলে যায়। সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করার বাসনায় এই সিরিজ। জার্নাল হিসাবেই এদের ট্যাগ দেয়া গেলো।
এক/
বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া
সব শহরে বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটিয়ার দারুন প্রীতির(?!) সম্পর্ক আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এ এক অনিবার্য বন্ধন। সে বন্ধনের কারণেই ভাড়াটিয়ার গুণকীর্তন (?) বাড়িওয়ালা বা বাড়িওয়ালীর প্রাত্যহিক প্রধান বিনোদন। আর বাড়িওয়ালা বা বাড়িওয়ালীর গুণকীর্তন(?) ভাড়াটিয়া বা ভাড়াটিয়াপত্নীর প্রাত্যহিক প্রধান বিনোদন। কোন ভাড়াটিয়া যদি অলৌকিক ঘটনাক্রমে বাড়িওয়ালায় পরিণত হন তখন তিনিও দল বদল করে ভাড়াটিয়া কীর্তনে মনোনিবেশ করেন।
গাছের বয়স
সব গাছেরই একটা নির্দিষ্ট বয়স আছে। গাছের যেহেতু প্রাণ আছে তাই সেই নির্ধারিত বয়সে গাছও ধীরে ধীরে মরণের কোলে ঢলে পড়ে। যে গাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্মে সে গাছ প্রাকৃতিকভাবেই মরে। আবার প্রকৃতিজগতের প্রধান খেলোয়াড় মানবজাতির হাতেও গাছের প্রাণ হরণ ঘটে। মানুষ শুধু গাছ খুনই করে না। গাছ লাগায়, তার পরিচর্যা করে। সে সব গাছ লায়েক হলে তার যত্নকারীর হাতেই সেই গাছের জীবননাশ হয়।
এ চক্রেই চলছিলো গাছ-মানুষের সংসার। কিন্তু সে সুখের সংসারে এখন হানা দিয়েছে পরিবেশবাদীরা। কার্বন নি:সরণ বেড়ে গিয়ে বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরের নানা জায়গায় ফুটো হয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে নানা ঝামেলা পাকাচ্ছে। এমনিতে প্রেমভালোবাসা আর সম্পর্কের উষ্ণতা কাঙ্খিত হলেও এ উষবণতা আমাদের থুড়ি পরিবেশবাদীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
তবে পরিবেশবাদীদের এই নিদ্রাভঙ্গের কারণ শুধু নিজ দায়িত্বে ঘটে না। এ জন্য ধনী দেশের নানা ধরণের ফান্ডেরও দায়দায়িত্ব আছে। যেখান থেকে টাকা থুড়ি ডলার আসে সেখানেই কলকারখানার বন্যা বয়ে গেছে। সে বন্যার ফলেই এ কার্বন বন্যার সৃষ্টি। কিন্তু তারা কলকারখানা বন্ধ তো করছেনই না, নতুন কারখানা গড়ার নানা ফিকির চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা যারা গরিবী হটাবার আশায় কারখানা করতে যাচ্ছি তাদের ওপর শুরু হয়েছে এ পরিবেশবাদী তুফান। কারখানার নাম নিলেই কার্বন-বিলাপ শুরু হয়ে যায়। সাথে গাছ লাগাবার অন্তহীন ফতোয়া।
কার্বন-বিলাপ শুধু আকাশ না গ্যালাক্সি পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলে আপনি যদি কারখানা বানাবার জন্য গাছের গায়ে হাত দেন। গাছ কাটার ফলে পরিবেশের যে মহাকেয়ামত আসন্ন হয়ে যায় তার বয়ান শুরু হয়। আর যদি সেই গাছ একটু বয়সী হয় তাহলে সেই বয়ানে ইতিহাসও যুক্ত হয়ে যায়।
কিন্তু কখনো কেউ বলেনা, গাছেরও একটা নির্দিষ্ট বয়স আছে। সেই বয়স পার হয়ে গেলে ভেতরে ভেতরে সে গ্ছ মরতে শুরু করে। গাছের কাণ্ডের ভেতরের দিকে ঝুরঝুরে হতে থাকে। একসময় হাল্কা বাতাস বা ঝড়ে সেই গাছ ভেঙ্গে পড়ে। ভেতরটা মরে যাওয়া গাছ তখন খড়িতে পরিণত হয়। আর গাছ মরার আগে আগে গাছ কাটলে সেটা খুব ভালো আসবাব হয়, ঘরের অন্য কাজেও লাগে। তাই গাছের বয়সের বিষয়টাও গুরুত্বদিয়ে ভাবা দরকার। সব সময় পরিেবেশ পরিবেশ জপ করার কোন মানে হয় না।
পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার দায় কি আমাদের একার ?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




