কবিতার আঁচলে বসে নষ্টদের নষ্টামি
গল্পের ছলে শুধু সদা আপন পাছা চুলকায়
চুলকাতে চুলকাতে বনের বাঁদর
ঘাঁ করে দগদগে আপন পাছায়,
তেমন কিছু বাঁদর আজ গাধার মতো করে
আমাদের আশেপাশে কবির মতো ঘুরে;
তাই তো মুখোশ খুলে দেখে বলি –
বনের গাধা , অসভ্য বানর আর
বেহায়া কবির মধ্যে বলো
পার্থক্য কোথায়?
কবিতার শরীরে নয় শুধু জ্বর
জ্বরের ঘোরে পঁচা পূজের
দুর্গন্ধ ছড়ায় গল্পের গতর
পরতে পরতে উপন্যাসের ভেতর
উল্টিয়ে দেখায় লেখক নায়িকার ছতর,
নাটকের ফটকে আটক মিথ্যে ঘটক
যৌতুকের হিসাবে যেন পার্থক্য কতক;
ঠাকুর্দার ঝুড়িতে ঠাঁশা আজ মিথ্যের বহর
হাতের কড়ে গুণে গুণে ইশ্বর জপে
ঠাকুর্মা কাঠিয়ে দেয় তার বিলম্বিত সত্য প্রহর
মহাকালের মহাকাব্যের ‘পরে শকুনীর নখর
শব্দের ভারে ছন্দের তালে
চুমে না যে ভাব বিবেকের অধঁর
সাংঘাতিক সাংবাদিক সব ছাপায় হলুদ খবর
অপবাদের কালো মেঘের ছায়া পরে পৃথিবীর ‘পর
খড়-বিচালী বিছায়ে যদি মেঘের উপর
হেমন্তের রাতে চান্নি প্রহরে বসে পুথিঁর আসর
সত্য মিথ্যের হবে কি তবে সোহাগের মধুর বাসর?
শিল্প ও সৌন্দর্যের না বুঝে কদর
সত্য ও ছন্দের না জেনে আদর
ভাবের লীলা কভু হয় না অগ্রসর
নষ্টরা লিখে যায় ছদর বদর
যে মতে লিখে যায় বনের গর্দভ
আর অনার্য অসভ্য বাঁদর।
পরে আছে যারা আজ সভ্যতার আধুনিক চাদর
খুলে দেখি আমি চমকে উঠি
লুকিয়ে আছে তলে তার ঘুটিসুটি
বানরের ও অধম সে যে অসভ্য হিংস্র ত্যাঁদর।
______________________________________________________
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩