আওয়ামীলীগের ফাঁদে বি এন পির পা অতঃপর........
বিগত মাস ছয়েক ধরে সরকার ও আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তিদের বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য পর্যালোচনা করলে স্পষ্টতই অনূভব করা যায় সরকার চাইছিলো বি এন পি একটা ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের দিকে যাক। বি এন পি সে আন্দোলনের দিকে যায়নি বা যেতে পারেনি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও সরকার যখন সেটা করাতে পারছিলোনা অবশেষে তারা বি এন পির ৫ই জানুয়ারির কার্যক্রমকে টার্গেট করে এবং এ যাত্রায় সরকার সফল। বি এন পি আবার তাদের পুরানরূপে আভির্ভুত।
প্রশ্ন হচ্ছে বি এন পিকে রাস্তায় নামিয়ে সরকারের লাভ কি? অনেক লাভ। ৫ই জানুয়ারি ২০১৪তে কি লাভ হয়েছিলো আওয়ামীলীগের? একটি প্রশ্নবিদ্ধ ও সর্বজন বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছিলো তারা। বি এন পিকে রাস্তায় নামিয়ই এই লাভ আওয়ামীলীগের এই লাভ সরকারের। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন পূর্ব আন্দোলনে ট্রেন বাস গাড়ী পুড়িয়ে যে মানুষকে মেরেছিলো বি এন পি সে মানুষগুলো নিতান্তই সাধারণ মানুষ ছিলো, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন ভন্ডামির নির্বাচন গণতন্ত্র হত্যার নির্বাচন জেনেও সাধারণ মানুষ নীরবে সে নির্বাচন মেনে নিয়েছিলো কারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন একটাই হৃদয়বিদারক চিৎকার হাহাকার হয়ে বেরিয়ে এসেছিলো বি এন পি কেন সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, বি এন পি কি ধরেই নিয়েছে এ দেশে কেবল আওয়ামীলীগের লোকজনই ট্রেন বাস গাড়ীতে চড়ছে? বি এন পি যদি সাধারণ মানুষকে প্রতিপক্ষ করে পুড়িয়ে মারলো তবে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে কেন মানুষ সরকারের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, কার জন্য দাঁড়াবে? ঠিক সেই ৫ই জানুয়ারির পূর্বাবস্থায় আবার বি এন পি। আবার মানুষ পুড়ানোর নারকিয়তায় তার মেতে, ঐ নপুংশকদেরকে কে বুঝাবে সাধারণ মানুষদেরকে এভাবে তারা পুড়িয়ে মেরে দিনদিন আরো জণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে আর বর্তামান সরকার সেটাই চাইছে।
পুলিশ - র্যাব- বি ডি আর, তিন প্রধানের বক্তব্যে ঝাঁঝ আছে, ভাইরে আমরা ঝাঁঝ চাইনা, আমরা নির্বাচন চাইনা। আল্লার কসম তোমরা যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রলম্বিত করার এই নাঠকের কুশিলব হও আমরা আজ আর সেই বিচারও চাইনা, একদিন সে বিচার আমরা ঠিকই করে নেব, ভ্রাতৃত্বয় আজ তোমরা যেকোন মূল্যে মানুষ পুড়ানোর নগ্ন খেলাটা বন্ধ করো ভাই।
কাল এক গর্ভবতী মা পুড়ে গেছেন, পেটের ভেতরে বাচ্চাটা মারা গেছে। অপারেশন করে বাচ্চাটা বের করতে হবে, মা এমন ভাবে পুড়ে গেছেন পেটে ছুরি চালানোর মতো জায়গা নেই। তোমরা যারা তারেকের দালাল, তোমরা কেন বুঝোনা লোকটা অশিক্ষিত, একটা অশিক্ষিত লোকের কথায় এভাবে সহিংসতা চালিয়ে তোমরা কি পেতে চাও ভায়েরা? নিজে অশিক্ষিত হওয়াটা দোষের নয়, স্বইচ্ছায় অশিক্ষিত দ্বারা পরিচালিত হওয়া নিশ্চয়ই মারাত্মক অন্যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪