somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার জীবনের ভৌতিক ঘটনা! :|

২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে আপনাদের সাথে আমার জীবনের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করি ভালো লাগবে পড়ে।

এটা একটি সত্য ঘটনা, এখানে কিছুই বানিয়ে লেখা হয় নাই। আমি পড়াশোনা করা মানুষ, তাই ঝাড়-ফুকে কখনই বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু সেদিনের ঐ রাতের পর এখন গলায় তাবিজ বাধতেও অসুবিধা নেই।

এটা প্রায় এক বছর আগের কথা।

সেবার মনে হয় শীতটা একটু বেশী পড়েছিল। বাসা কেমন যেন ঠান্ডা-ঠান্ডা থাকে সবসময়। ভালোই লাগে, গরমের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে। এটা ভাবলেও আবার খারাপ লাগে যে এই আবহাওয়া অল্প কিছুদিনের জন্য।

আমি রুমের দরজা বন্ধ না করে ঘুমাতে পারি না। এমন কি জেগে থাকা অবস্থাতেও প্রায়ই দরজা বন্ধ থাকে। এবং আমার রুমে কেউ যেন হুট-হাট ঢুকে না পড়ে, সেদিকেও কড়া নির্দেশ আছে।

সারাদিন ঘুরাঘুরি করে টায়ার্ড ছিলাম অনেক। তাও ১২টার বেশী হয়ত বেজে গেছিল। রাতে আমার রুমে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। লাইট অফ করে বিছানায় মোড়ামুড়ি করতে করতে কুইল্টের নিচে ঘুম ঘুম ভাবে আছি। কাছেই কোথায় যেন একটা টং টং শব্দ হচ্ছিল, যেটা আমাকে আরো ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছিল। বুঝতে পারছিলাম যে, আমি ঘুমিয়ে যাচ্ছি।

হঠাৎ একটা চিন্তায় আমার ঘুম দৌড়ে পালালো। এই যে আমি টং টং শব্দ শুনছি, এই শব্দ তো হবার কথা নয়। আমার পাশে সব বাড়ী, এত রাতে রডের টং টং শব্দ কেন হবে?



জানালা দিয়ে বাইরে উকি উকি দিলাম, আর যা দেখলাম, তাতে আমার বুকের সমস্ত.....চিন্তা দূর হলো। পাশের বাড়ীতে মেরামত হচ্ছে, তারই কোন টিন হয়ত বাতাসে নড়ে এই শব্দ করছে।

যাক এরপর শুরু হলো আসল মজা। মশার জালায় মশারীর নিচে আমি অঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন। বলে রাখা ভালো, আমার আবার ঘুম দিলে হুস থাকে না। তো গভীর রাতে ঘুমের মাঝেই হঠাৎ শুনি আবার আওয়াজ। এবার আর টং টং না, রীতিমত দুম দুম শব্দ। তারপর আমার রুমের দরজাটা আপনা-আপনি খুলে গেল।

আমি চোখ খুলে যে দৃশ্য দেখলাম তা কখনো ভুলতে পারবো না। দেখি মশারীর বাইরে থেকে দুইটা হাত একটা কর্কশ কন্ঠে আমার নাম ডাকতে ডাকতে আমার দিকে আগায় আসতেছে। আমার জানের পানি শুকায় গেল ইনস্ট্যান্ট। আমি দিলাম চিৎকার!!!

আমার চিৎকারে ততক্ষনে বাসার সব বাতি জলে উঠছে। আব্বু এসে দেখে আমার মা আমারে ধরে কান্নাকাটি করতেছে। আর আমি বোকার মতো "এইটা কি হইল" ভাব নিয়ে বসে আছি।

শেষ পর্যন্ত বোঝা গেল, আমার মা রাতে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে আমার কাছে এসেছিল। এসে অনেক্ষন ডেকেছে, কিন্তু আমি উঠি নাই, পড়ে দরজাতেও ধাক্কা দিয়েছে দুই-একবার, তাও যখন উঠি না, তখন সে ঘরে ঢুকে পড়ে। অন্ধকারে বুঝে নাই যে মশারী টাঙ্গানো, ওর মধ্যেই আমাকে উঠাতে যায়, তার ঠান্ডায় গলা ভাঙ্গা, আর আমিও তো কি দেখছি সেটা তো বললামই :| । এরপর থেকে তাবিজ পড়তে ইচ্ছা হয়, যাতে ঘুমটা আর একটু পাতলা হয়।
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×