somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদা সে আগন্তক- ১

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বহু বছর পর এই বয়সে আইসাও হঠাৎ হঠাৎ তার কথা আমার মনে পড়ে। তার সাথে যখন আমার পরিচয় হইসিলো আমি তখন নিতান্তই কিশোরী, ইন্টারের ছাত্রী। এরপর প্রায় বছর সাতেক পার হইছে। এখন আমি পূর্ণ বয়সের একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তবুও কারণে অকারণে প্রায়ই আমার তারে মনে পড়ে। জানিনা কই আছে এখন সে, কই থাকে, কি করে কোনো হদিসই জানা নাই আমার আর তার তবুও রোডে বা মার্কেটে, বিয়াবাড়ি বা কোনো জনসমাগমস্থলে ঝাঁকড়া চুল হ্যাংলা পাতলা শুকনা চেহারার লম্বা, ফর্সা মত কোনো ইয়ং ছেলে দেখলেই আমার মনে পড়ে ফারহানকে।

আমি যা সচরাচর করিনা মানে কারু সাথে আগ বাড়াইয়া ভাব জমাইতে যাই না বা কারু লগে অকারনে খাতির জমাই না। তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হইসিলো উল্টা মানে তার সাথে আগ বাড়াইয়া আমিই পরিচয় হইছিলাম আর এই আগ বাড়াইয়া পরিচয় হইতে চাওয়ার কারণটা নিয়া আমি বহুবার ভাবছি। কিন্তু তেমন কোনো উত্তর খুঁইজা পাই নাই। হয়ত আর্ট বা আর্টিস্টদের প্রতি আমার এক অদম্য দূর্বলতার কারণেই তার ব্যাপারে আমার এই আচরনটা ভিন্ন ছিলো। তারে ফেসবুকে নক দেওয়া বা নিজ থেইকা রিক্যু পাঠাইবার হয়তো এইটাও কারণ ছিলো। আসলে কেনো আমার ভিতরে এই আগ্রহ কাজ করতেছিলো তার কোনো উত্তর পাই নাই আমি আজও। ফারহানের প্রোফাইলে দারুন সুন্দরী এক মেয়ের সাদাকালো পেন্সিল স্কেচ ছিলো। স্কেচটা এতই জীবন্ত মনে হইতেছিলো যেন এখনই কথা বইলা উঠবে। এই দেইখাই আমি প্রথম ঐ প্রোফাইলে ক্লিক করি। তার ওয়ালে হাজার হাজার পূর্নাঙ্গ বা অর্ধসমাপ্ত মুখ বা নারী শরীরের নগ্ন, অর্ধ নগ্ন আঁকা ছবি ছিলো। ছবি আঁকা মানুষ গুলানরে আমার যাদুকর লাগে। আমি নিজে একটা গোল্লাও ঠিকঠাক আঁকতে পারতাম না। কেনো যেন এই ব্যাপারটা আমার হাতে একেবারেই আসতো না। পরীক্ষার পড়া পড়তে পড়তে ক্লান্ত হইয়া আমি প্রায়ই সেসব ছবি খুইলা বসতাম। অবাক হইয়া দেখতাম। ভাবতাম কেমনে আঁকছে এইসব সে। এমন নিঁখুত নির্ভেজাল সব ছবি। আর্টিস্টরে স্যালুট জানাইতে মন চাইত। একদিন কি মনে কইরা নক দিলাম।

- আপনার ছবি খুব ভালো লাগে... প্রায় সাথে সাথে সে উত্তর দিলো
- কোন ছবি?
আমি কইলাম,
- সব ছবিই কিন্তু প্রফাইলের ছবিটা বেশি সুন্দর। সে কইলো,
- ওহ এইটা অবনীর ছবি ....
- কোন অবনী? কে সে? সে উত্তর দিলো,
- আমার গার্ল ফ্রেন্ড। মানে এক্স। আরও কইলো দুই সপ্তাহ আগে তার লগে নাকি ব্রেক আপও হইসে। মাইয়া নাকি তারে আর এক সপ্তাহ টাইম দিসে, তার সাথে যাবতীয় চ্যাট, ইনবক্স, ফটোগ্রাফ, আঁকা স্কেচসহ এই প্রোফাইল সরাইয়া ফালানোর নাইলে নাকি তারে সাইবার ক্রাইমে ধরায় দিবো।

ফারহানের এই দুঃখের ঘটনা সে এমনই অবলীলায় বলতেছিলো যে আমি আমার এমন হেকটিক সময়ও হা কইরা শুনতেছিলাম আর ভাইবা পাইতেছিলাম না হাসবো নাকি কাঁদবো। ওহ তখন আমার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ফাইনাল চলতেছিলো। পড়ার চাপ প্রচন্ড তবুও আমি রোজই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে তার লগে চ্যাট করার টাইম খুঁজতাম। বলতে গেলে এইটা আমার নেশার মত একটা ব্যপার হইয়া উঠছিলো। মনের মাঝে একটা ক্ষীন আশা জাগতেছিলো সে আমার ছবিও এইরকম জীবন্ত কইরা নিশ্চয় আঁইকা দিবে কোনো একদিন।

একদিন সত্যই সে সুযোগ আইসা গেলো। ফারহান আমারে জিগাইলো-
আমার ছবি আঁকবে কিনা?
আমি আনন্দে লাফই দিয়াই উঠতাম হয়তো, কিন্তু তারে না বুঝতে দিয়া স্বাভাবিকভাবে কইলাম, আঁকবা!
সে কইলো, তোমার তো ওয়ালে কোনো ছবিই নাই, কি আঁকবো? ওয়াল জুইড়া তো খালি লতা পাতা ব্যাঙের মাথা।
আমি লাজুক লাজুক হাতে ইনবক্সে তারে আমার কয়েকটা ছবি আপলোড কইরা দিলাম।
পরে সে আমারে বলছে আসলে আমার ছবি দেখতে চাওয়ার উদ্দেশ্যেই যে এই প্রস্তাবটা দিসিলো।
সে মন দিয়া খানিক বুঝি আমার ছবিগুলি দেখলো, তারপর কমেন্ট করলো-
তোমার নাক তো ভালোই বোঁচা, চোখগুলাও উপজাতিদের মত। তোমাদের বংশে কেউ উপজাতি ছিলো নাকি? মায়মনসিং এর লোকেদের এমন উপজাতী চেহারা হয়। তোমার বাড়ি মায়মানসিং নাকি?
রাগে আমার গা জ্বইলা গেলো। কইলাম,
- আমার ছবি তোমার আঁকা লাগবে না। আর আমার বাড়ি মায়মানসিংও না। আমার বাবর চাকুরি সুত্রে আমরা থাকি একখানে আর দেশের বাড়ি আরেকখানে। কোনখানে তা তোমারে আমি আর বলবো না। সে বুঝলো আমি খেপসি এবং সে স্যরি টরি কইয়া একশেষ। ভিডিও চ্যাটে কানে ধইরা মাফ চাইলো কিন্তু কয়েকদিন পরে সে সত্যিই আমার কয়েকটা কার্টুন মার্কা ছবি আঁকলো। দেইখা আমার সেই মাত্রার মেজাজ গরম হইছিলো কিন্তু তারে কিছু বুঝতে না দিয়া কইলাম ভালো হইসে। সে আমারে রাগাইতে এই কাজটা করছিলো কিন্তু আমি সেইটা প্রকাশ করলাম না। তার সাথে আমার রোজই কথা হইতো। সে যত মজা কইরাই কথা বলুক না কেন তার কথায় মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাইতো সে একজন মর্মাহত শোকাছন্নপ্রেমিক। তার প্রাক্তনের শোক তখনও তার বুকে ক্ষত বানইয়া রাখছে। সেই ক্ষত যন্ত্রনা তখনও নিবারিত হয় নাই। প্রাক্তনরে কোনো ভাবেই বুঝাইয়া ফিরাইতে না পারা এক ব্যার্থ প্রেমিকের ঘেন ঘেন শুনতে আমার বিরক্ত লাগতো। তবুও খানিকটা কষ্ট কইরাই হা হু করতাম। কিছু ক্ষনের মাঝেই ফারহান আবার তার চিরাচরিত ফান মোডে চইলা যাইত। এইটাই তখন আমার অবসরের আনন্দ।

আমি একটু চাঁপা স্বভাবের কিন্তু ফারহানের মধ্যে কোনো লুকাছাপা নাই। সে নির্দ্বিধায় যা মনে আসে বইলা ফালাইতে পারে। ফূর্তিবাজ, আড্ডাবাজ মানুষ। প্রায়ই সে গাঞ্জার আড্ডায় যাইত বা বন্ধুদের নিয়া শরাব আসর বসাইত। সেই টাইমেও সে আমারে অনবরত ম্যাসেজ দিত। আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হইত রাস্তার ধারে ফুটপাথে বা ড্রেনের পাশে ঘুমাইতে বললেও মনে হয় সে অবলীলায় ঘুমাইয়া পড়তে পারবে। সোজা কথায় এক আশ্চর্য্য ক্যারেকটার। তার নানা রকম আউলঝাউলা ছবি তার ফেসবুকে আপলোড দিত। আমি আমার সেই কিশোর বয়সে অবাক বিস্ময়ে সেইসব ছবি দেইখা আরও বেশি তাজ্জব হইতাম।

ফারহান শখের আর্টিস্ট। চারুকলায় ফাইন আর্টসে পড়তে পড়তে ফাইনালের আগে পড়া ছাইড়া দিসে। বড়লোক ভায়ের সংসারে সে তার ভাই ভাবীর উপরে বোঝা নাকি শখের বস্তু আমি ঠিক বুঝিনা। ফারহানের এমন সব কীর্তিকর্মে তাদের পরিবারের কারো মাথা ব্যাথা আছে বইলা আমার মনে হয় না। যাইহোক আমার পরীক্ষার পর তখন বেশ সময় কাটে আমার তার সাথে। ফোনে বা ফেসবুক চ্যাটে। সে হঠাৎ এক সন্ধ্যায় কইলো সে আমার শহরে আসতেসে।আমার মাথায় আকাশ ভাইঙ্গা পড়লো। কয় কি! আসতেসে মানে?
- আসতেসি মানে কি? কবে আসবা? সে কইলো,
-আজ রাইতে নাইট কোচে রওয়ানা দিয়া কাল সকালে পৌছামু। আমি কইলাম,
- আসার হেতু? সে কইলো,
- কোনো হেতু নাই। তোমার সাথে দেখা হইবে এইটা একটা হেতু হইতে পারে।
আমি বোবা হইয়া বইসা রইলাম।


খুব ভোরে ফারহানের মেসেজ পাইলাম। সে মজমপুর বাসস্টান্ডে পৌছায়ছে। জানতে চাইলো তারে নিতে আমি কখন আসতেছি। আমি লাফ দিয়া বিছানা ছাইড়া উঠলাম। তাড়াতাড়ি তারে মেসেজ দিলাম। আমি ১০টার আগে কোনোভাবেই বাইর হইতে পারবো না। ঠিক সাড়ে দশটায় আমি ছেউড়িয়া লালন শাহের মাজারের গেটে থাকবো। সে যেন এখন কোনো দোকানে নাস্তা টাস্তা কইরা নেয়। আমার চেনা জানা শাহীন বেকারীর নাম জানাইলাম। এই ৩/৪ ঘন্টা সে কি কি করতে পারে কই কই ঘুরতে পারে কিছুই আমার মাথায় আসতেছিলো না। দেখা করণের লাইগা চট কইরা এই ছেউড়িয়ার কথাই আমার মাথায় আসছিলো। কারণ ছেউড়িয়া শহরের এক সাইডে হওয়ায় এইস্থান মোটামুটি নিরাপদ। আমি তারে বুঝাইলাম একটা রিক্সা নিয়া সোজা মেইন রোড ধইরা সরকারী কলেজের সামনে দিয়া কেমনে কেমনে সে ছেউড়িয়া যাবে।

আমি এক অস্থিরতায় ভুগতে লাগলাম। মা ভোরে উঠেন । রান্নাঘরে খুট খাট শব্দ শুরু করছেন। আমি তাড়াতাড়ি মুখহাত ধুইয়া তারে সাহায্য করতে রান্নাঘরে ঢুকলাম। উদ্দেশ্য শুধু সাহায্য না কিছু পরে আমারে ঊর্মিদের বাড়ি যাইতে হবে জরুরী প্রয়োজনে এই মিথ্যা বুঝ দেওয়া। নাস্তা কইরা মানে তড়িঘড়ি নাকে মুখে দুইটা গুঁইজা সাত সকালে গোসলে ঢুকলাম। রাতে চুলে তেল দেওয়া ছিলো এই তেল চুপা চুল নিয়া কেমনে আমি ফারহানের সামনে যাবো? চুলে শ্যাম্পু কইরা গোলাপী কালারের সালোয়ার কামিজ পইরা যথা সম্ভব নিজেরে পরিপাটি সাজাইলাম। উত্তেজনায় শরীর কাঁপতেছিলো। শেষ মুহুর্তে বাবা যদি বাড়ি থেইকা এখন বাইর হওয়া বন্ধ কইরা দেয় তো বেচারা ফারহানের কি হবে ভাইবাই আমার শরীর ঘামাইতেছিলো। সে এত কষ্ট কইরা এত দূর আসছে, আমার জন্য ব্যাপারটা কেমন না? শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই বাইর হইলাম। রিকশা কইরা ছেউড়িয়ার কাছাকাছি পৌছাইয়া ফোন দিলাম ফারহানরে। সে তখনও পৌছায় নাই। কইলো আর ২ মিনিট। সেই ২ মিনিট ২০ মিনিটে পার কইরা উনি আসলেন।

প্রায় জেনারেল ওসমানীর মত বিশাল মোঁচওয়ালা, অফহ্যোয়াইট কালার টি শার্ট, আউলা ঝাউলা চুলের পিঠে র‌্যাকশ্যাকওয়ালা একখান মুখ ঝুঁকি দিলো আমার রিক্সায়। খেয়াল করলাম গোল্ডরিমের চশমাও পরে সে। অথচ ছবিতে কোনোদিন এই চশমা দেখি নাই। নতুন চোখে সমস্যা হইসে নাকি বুঝলাম না। সইরা বইসা কইলাম, উঠো। সে কইলো,
- কই যাইবা? আমি কইলাম,
- মাজার। সে আৎকাইয়া উঠলো, মাজার! আমি কইলাম,
- মাজারের কথা শুইনা বেজার হইলা কেন? জানোনা আমাদের শহর এই মাজারের জন্য বিখ্যাত। আমাদের শহরে আসছো এই বিখ্যাত জিনিস না দেইখাই যাইবাগা? তাছাড়া তোমার প্রিয় খাদ্যও সেখানে আছে। সে জানতে চাইলো কি? আমি নির্লিপ্ত মুখে কইলাম,
- গাঞ্জা

সে চোখ বড় বড় কইরা আমার দিকে তাকাইয়া থাকলো। ব্যাপারটা বুইঝাও আমি অন্য দিকে তাকায়া রইলাম...


চলবে.....


* এই ভাষায় গল্প লিখতে আমি অভ্যস্ত নই। আমি মোটামুটি নয় বলতে গেলে শতভাগ শুদ্ধভাষা চর্চাকারী মানুষ। তবে আমি এক্সপেরিমেন্টালও বটে। লেখিকা হিসাবে আমাকে আমি এমেচারই বলবো তবে আমার এক্সপেরিমেন্টের শেষ নেই। এও আমার নিজের সাথে নিজের এক আপন খেলা। লেখালেখি আমার মজ্জাগত ভালো লাগা। যতই এক্সপেরিমেন্টাল হই না কেনো শুদ্ধভাষার চর্চাকেই আমি কোটিবার সমর্থন করি। এই প্যাটার্ন ভেঙ্গে বের হওয়াতেও খুব একটা কমফোর্ট ফিল করবোনা আমি সেও জানি তবে কিছুদিন আগে ইদানিংকালের নতুন লেখকদের লেখা পড়তে গিয়ে একজনের লেখায় চোখ আটকে গেলো। আটকাবার কারণটাই হয়তো সেই ঘটনার সাথে আমার নিজের কোনো ঘটনার প্রায় ৯৯% মিল। আমি তাই তার স্টাইলটাকেই অনুকরণ করে আমার সাথে মিলে যাওয়া প্রায় একই ঘটনা গল্পাকারে লিখে ফেল্লাম। মোটামুটি ৩ সিরিজ লেখার পরিকল্পনা আছে। লেখা শেষে আমি আমার অনুপ্রানিতকারিনীর লেখাটিও তার অনুমতী নিয়ে এখানে শেয়ার করার আশা রাখছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০২
৪৬টি মন্তব্য ৪৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্প: সম্পত্তি

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৪



গল্প:
সম্পত্তি

সাইয়িদ রফিকুল হক

আব্দুল জব্বার সাহেব মারা যাচ্ছেন। মানে, তিনি আজ-কাল-পরশু-তরশু’র মধ্যে মারা যাবেন। যেকোনো সময়ে তার মৃত্যু হতে পারে। এজন্য অবশ্য চূড়ান্তভাবে কোনো দিন-তারিখ ঠিক করা নেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

“রোজা” নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন জাপানের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ‘ইউসোনরি ওসুমি’।

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫০




‘রোজা’ ফারসি শব্দ, আরবিতে ‘সওম’। ভারতের রাজনীতিতে ‘অনশন’। ইংরেজিতে ‘ফাস্ট’। কিন্তু মেডিকেলের পরিভাষায় রোজার কোনও নাম ছিল না ও মেডিকেল বই গুলোতে রোজা’র বিশেষ কিছু গুণাগুণও উল্লেখ ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×