somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একদা সে আগন্তক - ২ এবং শেষ পর্ব

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



-ও হো হো হো!!! পরথম দেখায়-ই গাঞ্জার অফার! লাইক দ্যা এটিচ্যিউড... ফারহান আমার দিকে এক চোখ ছোট করলো। ফারহানের এই আচরণ আমার পছন্দ হইলো না। দেইখাও আমি না দেখার ভান কইরা অন্যদিকে ঘুইরা রইলাম। ফারহানের তাতে ভ্রুক্ষেপও নাই। সে অনবরত বক বক কইরা যাইতেছিলো। এই শহরে তার বহুত দিন হইলো আসার ইচ্ছা ছিলো। কোন আমলে তার দাদার পরদাদা নাকি এইখানে রেনউইক বইলা যেই জায়গাটা আছে মানে গড়াই এর ধারে রেনউইক কোম্পানী সেই কোম্পানীর ম্যানেজার ছিলো। এই গড়াই নদীর উপরে হার্ডিঞ্জ ব্রীজের কথা সে বহুবার বই এ পড়ছে। আমি কি তারে আজ সেইখানে নিয়া যাইতে পারি কিনা জানতে চাইলো। আমি কলিজায় ধাক্কা খাইলাম। তার দিকে খানিক মনে হয় আক্কল গুড়ুম হইয়া তাকায়াও ছিলাম। তাই দেইখা সেও মনে হয় অবাক হইয়াই জিগাইলো, কি হইলো? আমি ঢোঁক গিললাম, বললাম কিছু না, চিন্তায় পড়লাম ফারহান যে রেনউইকের কথা বলতেছে আমার বাবাও এই কোম্পানীর ম্যানেজার। আমি কেমনে তারে এইখানে নিয়া যাবো?

মাজারে ঢুকার পরে ফারহান আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠলো। লালনের আঁখড়া, চারিপাশে ছড়ানো ছিটানো বাউল সমাবেশ, তাদের লাল লাল চক্ষু মনে হয় তার নিজের জগতই খুঁইজা পাইলো। সে কিছুক্ষন বইসা বইসা তাদের সাথে গানও শুনলো। এক বাউলকে রিক্যুয়েস্ট করলো খাঁচার ভেতর অচিন পাখি গানটা শুনাইতে। ফকির গান ধরলো। একটা না, একটার পর একটা অনুরোধ ছাড়াই। ফারহান অনবরত ছবি তুলতেছিলো। আমি দূরে বইসা তার কান্ড দেখতেছিলাম। সে ঐ বাউলের গান শোনানোর ফাঁকেই ক্যামেরা থুইয়া কয়েক লাইন টান দিয়া দিয়া ঐ বাউলের কয়েকটা ছবি আঁইকা ফালাইলো। দূর থেইকা উঁচা কইরা আমারে দেখাইলো। আমি অবাক হইলাম, এত তাড়াতাড়ি কেমনে হুবুহু দাঁড়িদুড়িওয়ালা এই বুড়ারে আইঁকা ফালাইলো সে? ভেতরে একটা অভিমানও জন্মাইতেছিলো, আমার ছবি সে আঁকে নাই...

মাজার থেইকা ফারহান শিলাইদহ কুঁঠিবাড়ি যাইতে চাইলো। এই কুঁঠিবাড়ি যাইতে হইলে নদী পার হইতে হবে। সে আরেক চিন্তার বিষয়। আমরা রিক্সা নিয়া নদীর ঘাটে রওয়ানা দিলাম। পথে আর একটু হইলে আমাদের কলেজে কেমিস্ট্রির হেড আতাউর স্যারের চোখে পইড়া যাইতাম প্রায়। উনি উল্টা দিক দিয়া বাইক নিয়া এইদিকে আসতেছিলেন। চোখে পড়তেই তাড়াতাড়ি ফারহানের পিঠের পিছে মুখ লুকাইলাম। আল্লাহ জানে স্যার দেখলো কিনা। ঘাটে পৌছাইয়া নৌকা ভাড়া করলাম। খেয়াল করলাম রিক্সা ভাড়া, নৌকা ভাড়া সবই আমি দিতেছিলাম সে এই নিয়ে উচ্চবাচ্যও করতেছিলোনা। তার এই ছন্নছাড়া উদাসীনতা বা খামখেয়ালী আচরণ, কিছুটা দায়িত্বহীনতা আমার ভেতরে বিরক্তির জন্ম দিতেছিলো । মনে মনে নিজের উপর বিরক্ত হই্তেছিলাম। ভালোই বিপদে পড়লাম এক বেক্কলের পাল্লায় পইড়া। নৌকায় বইসাও সে ক্লিক ক্লিক করতেছিলো আর অনবরত বক বক করতেছিলো। আমার মাথায় অন্য চিন্তা তখন। এই আপদ ঘাড় থেকে কেমনে নামাবো। আমি দূরে তাকাইয়া রইলাম। নদীতে কচুরীপানার ফুল, মধ্য দুপুরের রৌদ্দুর পড়া ঝিকিঝিকি পানি। তার কথায় আমি কান দিতেছিলাম না। ফারহান উইঠা আইসা আমার পাশে বসল-

- কি হইসে? বিরক্ত হইতেছো কেনো?

- বিরক্ত না, রোদে মাথা ধরসে।

- না মাথা ধরে নাই। সত্য বলো...

- চুপ করো তো। ভাল্লাগতেসেনা। ফারহানের মুখ কালো হইয়া গেলো।

- স্যরি। বইলা সে দূরে গিয়া গলুই এর উপরে বসলো। কিছুক্ষন চুপ থাইকা হঠাৎ তড়িঘড়ি ব্যাগ থেইকা এক কাউবয় হ্যাট টাইনা টুইনা বাইর কইরা আনলো। ফের আমার পাশে উইঠা আইসা কইলো, ধরো, রোদ ঠেকবে, মাথা যন্ত্রনা কমবে। আমি ওর দিকে শীতল চোখে তাকাইলাম। সে হাসি হাসি মুখে কইলো,

- হুম পইরাই দেখো। এইটা ম্যাজিক হ্যাট। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে যাদুর মত কাজ করে। আমি তার কথা শুইনা হাইসা ফালাইলাম।

ফারহান আবার বক বক শুরু করলো। সবই তার নিজের কথা। ক্লাস এইটে তার বাবার রোড একসিডেন্টে মৃত্যু। পরের বছরে মা। এরপর কিছুদিন ড্রাগ জীবন। রিহ্যাব। চারুকলায় ভর্তি.....

আমরা শিলাইদহ পৌছাইলাম যখন তখন প্রায় বেলা ১ টা। সকালে তাড়াহুড়ায় নাস্তাটাও ভালো মত করতে পারি নাই। খিধায় পেট চোঁ চোঁ করতেছে। ফারহান আমার পাশে পাশে হাঁটতেছে। গেটে পৌছাইয়া ওরে দাঁড়াইতে বইলা আমি টিকেট নিতে গেলাম। ফিরা আইসা দেখলাম একদল হিঁজড়ার সাথে সে গল্প শুরু করছে। তারা আমারে দেইখা মস্করা বাড়াইয়া দিলো। আমি বিরক্ত হইয়া তারে প্রায় টাইনা দূরে আনলাম।

- যা তা লোকজনের সাথে তোমারে ভাব জমাইতে হবে?

- যা তা বলতেসো কেনো? এরা প্রকৃতির খেয়াল। বিধাতার ব্যাতিক্রমী সৃষ্টি।

- থামো। দার্শনিকগিরি ফলাইতে হবে না। আমি ধমক দিলাম প্রায়। সে থামলো।

প্রায় সারা দুপুর রবিঠাকুরের কুঁঠিবাড়ি কাঁটাইয়া আমরা গেটের থেইকা কিছু দূরের এক টং দোকানে বসলাম। দোকানে কাঁচের বয়ামে টোস্ট, লাঠি বিস্কিট, লাল নীল লজেন্স এবং চানাচুরের ছোট ছোট পলিব্যাগ ঝুলতেছিলো। সামনে এক লোক ডাব কাইটা লোকজনের হাতে তুইলা দিতেছিলো। পথের উপরে দু'তিন জন হাওয়াই মিঠাওয়ালা বসা ছিলো। কাঁচের বাক্সের মাঝে অদ্ভুত সুন্দর সেই রঙের দিকে তাকাইয়া আমি তারে জিগাইলাম-

- ডাব খাবা?

- আমি ভাবছিলাম তুমি আমারে লাঞ্চ করাইবা।

- লাঞ্চ করানোর মত টাকা নাই ব্যাগে।

- কেনো নাই? অতিথিরে লাঞ্চ করাইতে হয়। জানোনা.. . খুব স্বাভাবিকভাবে বইলা ফারহান অন্য দিকে মুখ ফিরাইয়া রাখলো।

রাগে আমার গা জ্বালা করতেছিলো।

আমি একাই ডাব শেষ করলাম। ফারহান সিগারেট ধরাইলো।

ফিরতি নৌকায় ফারহান বেশ চুপচাপ থাকলো। বেশি ক্ষণ গেলো না সে আবার বক বক শুরু করলো। তার গার্লফ্রেন্ডের নাম ছিলো নওরিন। সে তার এক্স গার্লফ্রেন্ডের লগে কবে বুড়িগঙ্গায় নৌবিহারে গেছিলো। যদিও আরও বন্ধু বান্ধব ছিলো সঙ্গে তবুও তারা লঞ্চের এক রুমেই রাত কাটাইসে।আমি ফারহানের দিকে তাকাইলাম। এই গল্প কোনো মানুষ এমন পরিবেশে প্রায় অচেনা একজন মেয়েকে বলতে পারে আমার জানা ছিলো না। মাঝি হা কইরা ফারহানের গল্প শুনতেছিলো। ফারহান যথারীতি নির্লিপ্ত মুখে মাছরাঙ্গার ছোঁ দিয়া দিয়া মাছ ধরাই মনে হয় দেখতেছিলো।

হঠাৎ ফারহান গান ধলো। ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া......তার আগে সে মাঝিরে গান শুনাইতে বলছিলো কিন্তু মাঝি বলছে সে গান জানেনা এবং এই কথা শুইনা ফারহান খুব অবাক হইসে কারণ তার ধারণা ছিলো বাংলার সকল মাঝিই জারি শারী ভাঁটিয়ালী বিশারদ।

হঠাৎ আমার কাছে এই বিকাল অন্যরকম লাগতেছিলো। নৌকার গায়ে বাড়ি খাওয়া ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ এর শব্দ। বেশ শুনশান চারিধার। কচুরীপানার ফুলসহ ভাইসা যাওয়া। পাল তোলা নৌকা।দূরে সবুজ গ্রাম। নিজেরে এই পার্থীব জগতের বাইরের কেউ মনে হইতেছিলো।
ভালোলাগা সময় কিন্তু কই যেন কাঁটার খচখচ। কিছু একটা মিসিং। আমি তার মুখের দিকে তাকাইলাম। আকাশের দিকে তাকাইয়া সে ভোস ভোস সিগারেট টানতেসে। ধোঁয়ার কুন্ডুলী উপরের দিকে উইড়া যাইতেছে। বাজে দৃশ্য।

ঘাটে নাইমা আমরা কিছুদূর হাঁটলাম তারপর রিক্সা পাইলাম। খিধা আর ক্লান্তিতে আমার পা টলতেছিলো।

- দূর! তোমার জন্য আমার আজ সারাদিন খাওয়া হইলো না।

- খাইতে না করছে কে?

- কইলাম না আমি ভাবছিলাম তুমি অতিথিরে খাওয়াইবা।

- কেনো ভাবছিলা?

- কারণ আসার পথে মানিব্যাগ কই পইড়া গেছে খেয়াল করি নাই। বুক পকেটে খুচরা ৩০ টাকা ছিলো যা দিয়া সিগারেট কিনছি। আমি তার দিকে হা কইরা তাকায় রইলাম। তখন অন্ধকার হয়ে আসতেছিলো। অন্ধকারে তার মুখ ভালো কইরা দেখা যাইতেছিলো না। জিগাসা করলাম-

- মানে সারাদিন না খাইয়াই ছিলা?

- হ্যাঁ।

-নাস্তাও করো নাই?

- না করি নাই

-এখন ঢাকা যাবা কি কইরা? ফারহান হো হো কইরা হাসতে লাগলো। একজন নির্ভাবনাময় মানুষের হাসি।

- চিন্তা নাই। ট্রেইনের ছাঁদে উইঠা চইলা যাবো?

- এইভাবে আসাটা তোমার ঠিক হয় নাই।

- হয়তো

- আসলা কেনো?

- জানিনা। কেন যে আসলাম...

আমার মাথা কাজ করতেসিলোনা।আমি ভীষন বিরক্ত হইয়া বললাম,

- আমাকে এখন বাসায় ফিরতে হবে। রাত হইয়া যাইতেছে।

- আচ্ছা......

অন্ধকারে কোনো সম্ভাষন ছাড়াই আমরা বিদায় নিলাম......



এরপর বহু বছর পার হইসে। তার সাথে যখন আমার পরিচয় হইসিলো আমি তখন নিতান্তই কিশোরী, ইন্টারের ছাত্রী। এরপর প্রায় বছর সাতেক পার হইয়া গেছে। এখন আমি পূর্ণ বয়সের একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তবুও কারণে অকারণে প্রায়ই আমার তারে মনে পড়ে। জানিনা কই আছে এখন সে, কই থাকে, কি করে কোনো হদিসই জানা নাই আমার আর তার তবুও রোডে বা মার্কেটে, বিয়াবাড়ি বা কোনো জনসমাগমস্থলে ঝাঁকড়া চুল হ্যাংলা পাতলা শুকনা চেহারার লম্বা, ফর্সা মত কোনো ইয়ং ছেলে দেখলেই আমার মনে পড়ে ফারহানকে।

এই যে যেমন সেদিন রিক্সা কইরা ফেরার সময় ঝুপ কইরা সন্ধ্যা নামতেছিলো যখন তখন আমি অফিস থেইকা বাসায় ফিরতেছি। হঠাৎ মনে পইড়া গেলো সেই গড়াই নদীর পারের সন্ধ্যা। সন্ধ্যার অন্ধকারে বিদায়ের প্রাক্কালে ফারহানের মন খারাপ করা মুখ। হঠাৎ আমার মন খারাপ হইয়া যায়। মনে হয় একটা মানুষ যে আমার জন্য এতদূরের পথ পাড়ি দিয়া ছুইটা আসছিলো। তারে আমি সারাদিন অভুক্ত রাখছিলাম। খুব একটা ভালো বিহেভও করি নাই তার কিছুটা আনইউজ্যুয়াল বা আমার অপ্রতাশিত আচরনের কারণে। অথচ সে আমারে দিয়া গেছে খুব আলাদা রকম কিছু সুন্দর মুহুর্তের একটা দিনের স্মৃতি। যদিও সেইটা মনে পড়লেই আমার মন খারাপ হয়। এমন স্মৃতি হয়ত আর কোনোদিন কেউই আমার জীবনে দিতে পারবে না।


মাঝে মাঝেই এমন মন খারাপ করা মুহুর্তে আমি বহু যতনে সেভ কইরা রাখা ফারহানের সেই মেসেজ দুইটা খুইলা পড়ি। এক বাসায় পৌছানোর পর যখন মায়ের উকিলী জেরার মুখে পইড়া নানা রকম মিথ্যা কথা বইলা সারাদিনের অনুস্থিতির কারণ দর্শাইতেছিলাম, ঠিক তখনই টেক্সটের শব্দ। মানে ফারহানের সেই মেসেজটা। মা হাত বাড়াইলেন,

-ফোনটা দে .... আমি মায়ের হাতে ফোন দিতে দিতে যাদুকরী দক্ষতায় সেকেন্ডের মাঝে সেই মেসেজ সেকরেট ড্রাফটে পাঠাই দিসিলাম। মা এমনিতেই ফোনের কিছু তেমন বুঝে না। ফোনটা ঘুরাইয়া ফিরাইয়া কোনো সুরাহা করতে না পাইরা অগ্নি দৃষ্টি ঝরাইতে ঝরাইতে ফোন ফেরৎ দিয়া রান্নাঘরের দিকে হাঁটা দিসিলো। আমি হাঁফ ছাইড়া বাথরুম লক কইরা তাড়াতাড়ি মেসেজ খুইলা দেখছিলাম-

" ইট উইল বি আ মেমোরেবল ডে ইন মাই লাইফ। থ্যাংকস ফর ইওর টাইম...


তখন অত টাইম ছিলো না। তাড়াতাড়ি ফোন অফ কইরা হাত মুখ ধুঁইয়া মায়ের পাশে টিভি দেখতে বসছিলাম। সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখ ভাইঙ্গা ঘুম আসতেছিলো। রাতে খাইয়া যখন বিছানায় চোখ বুজলাম নৌকার দুলুনী আর কানে ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ.... কখন ঘুমাইয়া পড়লাম জানিনা.....

খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো। বালিশের তলা থেইকা কি মনে কইরা ফোন টাইনা বাইর কইরাই দেখি ফারহানের টেক্সট-

- কিছুক্ষন আগে ঢাকা পৌছাইছি। নিরাপদেই পৌছাইছি। সারা রাত ঘুম হয় নাই। চোখ বুঁজলেই তোমার বিরক্তি ভরা নাক মুখ কুঁচকানো চেহারা মনে ভাসছে। হা হা হা তবু সারাদিন আনন্দেই ছিলাম। তুমি চইলা যাবার পর থেকেই হঠাৎ মন খারাপ লাগতেসে....বুকের মধ্যে কেমন এক চাপধরা ব্যাথা....কেনো এমন হইতেসে জানিনা ..... এইটা ছিলো ফারহানের দুই নাম্বার আর শেষ মেসেজ.....




বুক চিরা বিশাল দীর্ঘশ্বাস বাইরাইলো । ফোনটা বালিশের নীচে রাইখা ফের পাশ ফিরা শুইলাম.....

চোখের পানিতে বালিশ ভিজা যাইতেছিলো। কেনো আমিও জানিনা .....

বাইরে কূয়াতলার দিকে কোথায় যেন একটা কোকিল ডাকতেছিলো.....

আমি টেক্সট লিখলাম, কি জানি কিসেরও লাগি প্রাণ করে হায় হায় .....


লিখা আবার ডিলিট কইরা দিলাম.....


* আগের পর্বেই বলেছি। লেখার এই ভাষাটা আমার স্টাইল নয়। এই ভাষায় আমি এর আগে কখনও লিখিওনি। তবে কিছুদিন আগে অনলাইনে ফেসবুকের পাতায় একটি গল্প পড়ে অবাক হয়ে যাই। প্রায় সেইম ঘটনাই আমারও আছে যা তার মত করে আমার কখনও লেখা হয়নি। কমেন্টে দেখলাম সেই গল্প পড়ে অনেকেই বলেছে তাদের লাইফেও প্রায় সেইম সেইম ঘটনা আছে।
আসলে জীবনের অনেক গল্পই হয়তো এইভাবেই মিলে যায়। গল্পের নাম একজন গিটারিস্ট। গল্পকারের নাম ইনিসি।ইনিসি সম্ভবত একটা নদীর নাম। তার নামটাও দারুন। তার গল্প বলার ধরনটাও আমার দারুন লেগেছে তাই তারই অনুকরণে প্রায় তার মত ঘটনাটিই আমি এক্সপেরিমেন্ট লেখা হিসাবে বেঁছে নেই। যদিও আগের পর্বে পাঠকেরা এই টাইপ ভাষায় অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন। তবুও আমার ভালোলাগার ইনিসিকে আমি তার গল্পের শফিকের সাথে আমার ফারহানের গল্পে বেঁধে রাখলাম। ইনিসীর জন্য শুভকামনা....ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা এই ব্লগের সকল পাঠকগণকে.....


ওহ আর এই পর্বের প্রথম লাইন বা ডায়ালগটা এর আগের পর্বের একদা এক আগন্তক- ১ পর্বে কমেন্টে দেওয়া শকুন দিষ্ট ভায়ের ডায়ালগ থেকে নেওয়া ....
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
৪১টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×