সবাই কত সুন্দর সুন্দর গল্প লিখে।কত হাসি,কত বেদনা......না বলা কত কথা।আমিও মাঝে মাঝে লিখি।তারচেয়ে বরং বলা ভালো যে লেখার চেষ্ঠা করি।খুজে ফিরি নানা ঘটনা।সেই খোজাটা জীবনভিত্তিক করতে চেষ্ঠা করি সবসময়।খুজতে গিয়ে দেখি নিজের জীবনটাকে।আরে আমার জীবনেও তো কত কথা,কত না বলা কাহিনী।হয়ত কারও কাছে বলি নি বা পাইনি কাউ কে।হয়ত বা বলতে চেয়েছি অনেক বার কেউ হয়ত শুনতে চায় নি।কিন্তু বলতে যে আমাকে হবেই।তাই হয়তো এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
ভুমিকাটা কেমন যেন হয়ে গেল।আমি আজ বলবো আমার স্কুল জীবনের কথা।নার্সারী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আমি স্কুল পরির্বতন করেছি নয় বার।ঠিক দীপু নাম্বার ২ এর মত।ও ২ নাম্বার কারণ আমি যে ১ নাম্বার
নার্সারী
সেই ১৯৯০ সালে আমার স্কুল যাত্রা শুরু।মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে আমাকে ভর্তি করা হয় সেন্ট গ্রামার প্রাকটিস স্কুলে।স্কুলটা মগবাজার টি এন্ড টি আফিসের উলটো দিকে।আমার অবশ্য তেমন কিছুই মনে নেই
ক্লাস ১(পার্ট ১)
এইবার ভর্তি হই বাংলাদেশ ব্যাংক হাই স্কুলে।সেই ৯১সালে এই স্কুলে ভর্তি হতে আমাকে রীতিমত কোচিং করতে হয়েছিলো।নামিদামী কোন কোচিং সেন্টারে নয়।ওই স্কুলের এক আপার কাছেই আমার কোচিং শুরু।তার নাম ছিলো ফেরদৌসী আপা।আমাদের বাসার খুব কাছেই তার বাসা ছিল।এক এলাকাতে বাড়ি থাকায় আমার বুবুর(দাদিকে আমি আদর করে বুবু ডাকতাম) সাথে তার সখ্যতা ছিলো।একদিন তিনি আপার বাসায় আমাকে নিয়ে পড়তে বসিয়ে দিলেন।আপার বাসাটা একতালা টিনের বাড়ি ছিলো।মাঝখানে খালি জায়গায় অনেক গাছ ছিলো।আপার বসার রুমটা লম্বা ছিলো আর আমরা সবাই গোল হয়ে বসতাম।
তখন বিকালে টিভিতে কার্টুন হতো।নাম টা আন্দাজ করেন দেখি?আরও বলি তখন কিন্তু বিটিভি ছাড়া কিছু ছিলো না।মনে হয় ধরতে পেরেছেন।জ্বী হা আমি ক্যাপ্টেন প্লানেটের কথা বলছি।আপার বাসায় পড়ার সবথেকে বড় মোটিভেশন ছিল এই কার্টুন।কেননা তিনি বিকালে আমাদের টিভি দেখতে দিতেন।তবে উনি কিন্তু ভয়ংকর কঠিন মানুষ ছিলেন।রেগুলার পড়া দিতেন এবং নিতেন।না পারলে বেতের হালকা বাড়ি দিতেন।আর হা তিনি অদ্ভুত আরও একটা শাস্তি দিতেন।দুই হাত মাথার উপরে দিয়ে দাড়িতে থাকা।কি খুব হালকা শাস্তি মনে হচ্ছে?ট্রাই করে দেখুন কত মজা লাগে?
তবে ভালো মন্দ যাই হোক স্কুলে ভর্তি হবার ২মাসের মাথায় আমরা স্বপরিবারে লিবিয়াতে চলে যাই।তাই ক্লাস ১ এর স্কুলের থেকে ওই কোচিং এর কথাই বেশি মনে পড়ে।তবে লিবিয়াতে আমরা মাত্র ৬মাস ছিলাম।কেননা তখন লিবিয়াতে কি যেন একটা গন্ডোগোল শুরু হয়।পড়ে জানতে পেরেছিলাম যে ইরাক কুয়েত যুদ্বে লিবিয়াও নাকি জড়িয়ে পড়েছিল।তাই আমরা ব্যাক টু বাংলাদেশ।সেই ৯১ সালেই আমার দাদু রংপুরে বদলি হয়।আমি আর আমার ছোট ভাই দাদা দাদির খুব ভক্ত ছিলাম।তাই আমারা দুভাই দাদু বুবুর সাথে রংপুর।ছোটজন তখনও বুকের দুধ খায়।সেখানে গিয়ে আমি কিন্তু আমার ক্লাস ১ এ ভর্তি হই।তাই পার্ট ১ ও ২।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


