মেজাজটা কেমন লাগে
চরম অলস আমি :-< ।তাই আজ লিখি কাল লিখি করে দেরি হয়ে গেল।তাছাড়া পারিও না তেমন লিখতে।
ক্লাস ১(পার্ট ২) এবং ক্লাস ২
রংপুরে আসি ৯১ এর শেষ দিকে।তাই আর স্কুলে ভর্তি হই নি।বলা যায় হতে পারি নি।রংপুরে আমরা ছিলাম মুন্সিপাড়ায়।জায়গাটা কোর্ট কাচারীর পাশের এলাকা।চার তলা একটা বাড়িতে ভাড়া উঠলাম।জানেন চারতলা ওই বাড়িতে রান্না করতে হতো লাকড়ি দিয়ে কেননা গ্যাস নাই।সিলিন্ডারের গ্যাস পাওয়া গেলেও তা ছিলো ঈদের চাদ।এই দেখেন কি বলতে এসে কি সব বলছি
৯২ তে আমি ভর্তি হই রংপুর শিশু নিকেতন নামের স্কুলটিতে।জ্বী হ্যা আবার ক্লাস ১ এ।এসেই চরম বিব্রতকর :-& অবস্থায় পড়েছিলাম মনে পড়লে আজ কিন্তু হাসি পায়
স্কুলের স্যার বা ম্যাডাম গুলো খুব ভালো ছিল।২ বছর পড়েছি কিন্তু একদিন ও বেতের বাড়ি খাই নি।ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একবার নাম লেখালাম।না, পুরষ্কার জেতার জন্য নয়।চকলেট দৌড়ে চকলেট পাবার জন্য।মুক্তিযুদ্বের সাথে পরিচয় হয়েছিলো এই স্কুলেই।আমাদের ক্লাস রুমগুলোর শেষ মাথায় পুকুরের মত ছিলো।বর্ষায় পানি আর এমনিতে শুকনাই থাকতো।আমরা ব্যাঙ ধরতে যেতাম বা ছোয়াছুয়ি খেলতাম।এইভাবেই আমরা একদিন একটা খুলি দেখতে পাই।ভয়ে তো দে ছূট।কেউ কেউ তো কান্নাই
এই স্কুলেই আমি ক্লাস ২ ও পড়ি।একবার পিকনিক করি এখানে।পিকনিক মানে বার্ষিক ভোজন।স্কুলে রান্না বান্না করে সবাই মিলে দুপুরে খাওয়া।আমরা ছোট ছিলাম বলে ঝাল খেতে পারবো না এই ভেবে মাংস তরকারি তে চিনি দেবার কথা ছিলো।চিনি বেশি হয়ে পুরা সরবত হয়ে গিয়েছিলো তরকারিটা :-& ।এখনও মনে পড়ে শাওন,প্রীতি,মতিন,শান্তর কথা।অনেক স্কুল পরিবর্তন করেছি।অনেক কিছু পেয়েছি।কিন্তু হারিয়েছি ছোট বেলার প্রিয় সব বন্ধুগুলোকে।এখানেই আমি খেলতে গিয়ে হাত ভাংগি যা আজও আমাকে কষ্ট দেয় কিন্তু মনে করিয়ে দেয় সেই ছোট বেলায় মধুর স্মৃতি গুলো।সত্যি খুব মিস করি সেই দিন গুলো।যদি ফিরে যেতে পারতাম...........
আমার জীবনকথা(পর্ব ১ - স্কুল জীবন)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






