somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারেকের জন্য......

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারেক।১৭ বছরে তরুণ।বয়সটা তার স্বপ্ন দেখার আর দুরন্তপনার।কিন্তু ভাগ্য বড় নিষ্ঠুর।সব চঞ্চলতা থামিয়ে দিল বোন ক্যান্সার নামক দূরারোগ্য রোগ।
তারেকের জবানীতে বাকীটুকু পড়ুন.........
আপনি যখন এই নোটটি পড়ছেন আমি তখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে যাপিত জীবন যাপন করছি। আপনার জীবনে কি কখনো এমন সময় এসেছে যে, আপনার পূর্ণাঙ্গ অবসরে আছেন বেশ কিছুদিন? যদি এসে থাকে তবে আপনি নিশ্চয়ই জানেন এমন একটা দিন শুরু করার যন্ত্রণা যেদিন সতিকার অর্থে আপনার কোন নির্দিষ্ট কাজ থাকেনা। এটা হয়তো সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারবে একজন বেকার, একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিংবা একজন কয়েদী। হ্যাঁ! ঠিক ধরেছেন। আরকজন সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারবে। সেটা হলো একজন মৃত্যু নিশ্চিত জেনে যাওয়া রোগী, যার দিন কাটছে হাসপাতালে ডাক্তার বেধে দেয়া সময় ফুরিয়ে না যাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষায়। আমি সেই শেষোক্ত ব্যক্তিদের একজন।



আমার বয়স ১৭ বছর। আপনার বয়সও হয়তো এর কাছাকাছি, কিংবা আপনার ছোট ভাই বা আপনার ভাগিনা বা আপনার পুত্র। আমার বন্ধুরা হয়তো এখন তারুণ্যে টগবগ করে ফুটছে। আর আমি এক তরুণ বৃদ্ধ। ব্যাপারটা যে কি দুঃসহ তা কয়েকদিন আগে আমিও বুঝতাম না। কয়দিন? এইতো সেদিনও আমি কলেজে ভর্তি হয়ে জীবনকে বেশ উপভোগ্য মনে করছিলাম। মৃত্যু নামে যে একটা জিনিস আছে সেটা ভাবনার দূর সীমানাতেও আসেনি কোনদিন। অথচ কি আশ্চর্য! মাত্র কয়েকটা দিনের ব্যবধানে, কয়েকটা মেডিক্যাল রিপোর্টের লেখনীতে এখন আমার আর আমার মা’র প্রতিটা দিন কাটছে জীবন-মৃত্যুর পুলসিরাতে। আমার বোন ক্যান্সার ধরা পড়ে যেদিন সেদিন বুঝেছি খেয়ে হোক না খেয়ে হোক, বেঁচে থাকার আকুলতা কি জিনিস। বিশ্বাস করুন আমার এখন ইচ্ছা করে আমার প্রতিটা অংগ-প্রতঙ্গের বিনিময়ে হলেও আর ক’টা দিন বেশী বেঁচে থাকি, নিজের জন্য না হোক আমার মায়ের জন্য অন্ততঃ। আপনারা হয়তো কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারবেন যে কতটা বেদনাদায়ক নিজের জীবনের জন্য, চিকিৎসার জন্য অন্যের কাছে হাত পাতা। আমার মায়ের ইচ্ছায় আমি আজ লিখছি।



আমি আপনাদের কাছে সাহায্য চাইছি। আল্লাহ আপনাদের মংগল করুন।

আমার অপারেশানের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন, সেটাও আবার ২৮ দিনের মত। টাকা এবং সময়সীমা দু'টোর অঙ্কই আঁতকে উঠার মত। দিনে প্রায় ১ লক্ষ টাকার চাইতেও বেশী।

কিন্তু অনেকের প্রচেষ্টায় সেটা হয়তো সামন্যে পরিণত হবে।

আপনাদের সামান্য কিছু ত্যাগের সামষ্টিক ব্যাপ্তি হয়তো আমাকে এবং আমার পরিবারকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করতে পারে।



আমাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ

রেবেকা সুলতানা (আমার মা)
Brac Bank ( Asad Gate Branch ) :
Rabaka Sultana
Saving Acct# 1506201807961001

Contact:
+8801827823052 ( Rabaka Sultana, Bangladesh)
Other Phone No :
01674777830 (Imran)
01670806912(Shishir)

Ibne Sina Hospital,Dhanmondi. (Cabin No : 212)

তারেককে নিয়ে টিভি রিপোর্ট

তথ্যসুত্রঃতারেক

৩০লক্ষ টাকা একার জন্য অনেক কিছু।আমাদের সম্মিলিত চেষ্টায় এটা কিছুই না।আমাদের দেশে অনেক গুলো প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে।সব বিশ্ববিদ্যালয়ের না হোক ৯০% বেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এই ব্লগে আছেন।সবাই যদি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০০০টাকা তুলতে পারেন তাহলেও আমরা প্রায় পুরো টাকাটা তুলতে পারি।ফেসবুক সহ যারা অন্যান্য ব্লগে আছেন সবাই প্লিজ শেয়ার করুন।কাল আমি আমার ক্যাম্পাসে যাচ্ছি।স্যার ম্যাডাম সিনিয়র জুনিয়র যাকেই পাই তার কাছেই কিছু সাহায্যের অনুরোধ করবো।আপনারাও যান।সময় যে বড় কম।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৯
৮২টি মন্তব্য ৫৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×