somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীটা হোক গণমানুষের

০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনধারনের জন্য ধর্ম পরিচয় অপরিহার্য বিষয় নয়। অপরিহার্য বিষয় তাদের জন্য যারা ধর্ম বেঁচে খায়।
বর্তমান ইহুদি জাতির ধর্মের প্রতি খুব যে দরদ আছে তা কিন্তু নয়। কিন্তু একত্র হওয়ার জন্য এবং দুনিয়াব্যাপী অনাসৃষ্টি করে নিজেরা ভালো থাকার জন্য ধর্ম পরিচয় তাদের দরকার। তাদের পরিচয় তারা ইহুদি জাতি। ধর্মকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িকভাবে একত্র হয়ে এরা কাজ করছে। এটাকে ধর্ম বেঁচে খাওয়াই বলে। সব সম্প্রদায় এটাই করছে। কেও শক্তিশালী কেও দুর্বল।
যে কোনো ধরনের জাতীয়তাবাদও সন্ত্রাসিমূলক ধারণা। জাতীয়তাবাদও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যেই পড়ে। যেভাবেই হোক নিজেরা ভালো থাকাই এর উদ্দেশ্যে । সাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্যে যে কথাটি অর্ন্তনিহিত থাকে তা হলো, ‘নিজের সম্প্রদায়ের লোকেরা ভাই ভাই, বাকীরা চুদির ভাই’।
বিশ্বের বড় বড় অশান্তির মূলে রয়েছে সাম্প্রদায়িক তথা জাতীয়তাবাদী চেতনা। সেটা ধর্ম কেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদ হোক আর অন্য জাতীয়তাবাদ হোক। অতীত ও বর্তমান তাঁর সাক্ষী। বর্তমান বা অতীতে গিয়ে ভবিষ্যতও একই সাক্ষ্যই দেবে বলে মনে হচ্ছে।

ইহুদি নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ধর্মকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে। তালেবান নামক গোষ্ঠীটি তাদেরই সৃষ্টি। মুসলিমদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে তারা তা মিডিয়ায় প্রচার করে। নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনকে বুঝিয়ে মুসলিম দেশগুলোর তেল সম্পদ দখল করার জন্য আক্রমণ বৈধ করাই এর উদ্দেশ্য । যুগ যুগ ধরে ধর্ম, জাতীয়তাবাদ তথা সাম্প্রদায়িক চেতনাকে বিক্রি করছে সাম্রাজ্যবাদীরা। এরা চায় দুনিয়াব্যাপী সাম্প্রদায়িক উন্মদনা জিইয়ে রাখতে। এতে লাভ তাদের। কারন তারা শক্তিশালী সম্প্রদায়। তারা চায় সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে বঞ্চিত মানুষদের বিভক্ত রাখতে।
মাদ্রাসার এতিম ও বঞ্চিত বাচ্চাদের আমরা দেখেছি রাজনীতির কাজে ব্যবহার করতে। আধ্যাত্মিক লোভ দেখিয়ে এই বঞ্চিত বাচ্চাদেরই পাকিস্তানে ব্যবহার করা হয় আত্মঘাতী হামলার কাজে। এরাই নানাভাবে মরছে।আর এদের ব্যবহারকারী শুয়োরের বাচ্চারা আরাম আয়েশে চলছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে।
উপনিবেশিক আমলেও আমরা ব্রিটিশদের দেখেছি ধর্মকে তথা সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করতে।মানুষকে বিভক্ত করার জন্য এর চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র আর নেই। আর তা যদি হয় ধর্মভিত্তিক সম্প্রদায়।
সম্প্রদায় যতদিন থাকবে ততদিনই সাম্প্রদায়িক স্বার্থ থাকবে। আর সাম্প্রদায়িক তথা জাতীয়তবাদী চেতনাকে বিক্রি করে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকবে শক্তিশালী সম্প্রদায়গুলো। চলতে থাকবে নানাভাবে এবং নানা উদ্দেশ্যে এর ব্যবহার।
মানুষের মানবিক পরিচয়ই আসল পরিচয়। আর কোনো পরিচয় ‘মানুষের’ দরকার নেই। কিন্তু মানুষ কখনোই ‘মানুষ’ হয়ে উঠে নি। তাঁর পরিচয় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র তথা জাতীয়তাবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এ পৃথিবীর রুপ-রস, সম্পদ গণমানুষের জন্য নয়। যে সম্প্রদায়ের শক্তি আছে শুধু তাদের। মানুষকে মানুষ হয়ে উঠতে হবে । তা না হলে শক্তিশালী শুয়োরের বাচ্চারা হায়েনার মতো ছিড়ে খেতে থাকবে বঞ্চিতদের। পৃথিবীটা হোক গণমানুষের।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×