যেকোন বাচ্চা যখন ঘরে আরাম বোধ করেনা তখনই বাইরে পা বাড়ায়। অনেক মেয়েদের সাথে তাদের বাবামায়ের সাথে অনেক দূরত্ব থাকে। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিক্ষণে অনেকরকম সমস্যা হয়, মানসিক ও হরমোনাল চেঞ্জ আসে, এটা অনেক মায়েরাই তাদের মেয়েদের সাথে খুলে আলাপ করেনা। আমাদের অনেক পরিবারই যদি মেয়েদেকে বন্ধুর মতন গ্রহণ করতো তাহলে মেয়েরা এতো এদিক সেদিক হতে পারতোনা। ফলে মেয়েরা স্বাস্থ্যগত ও অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান মায়ের কাছ থেকে না পেয়ে সমবয়সী বান্ধবীদের কাছ থেকে পায় যা পুরোপুরি সঠিক নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিতে ঠাসা। আমাদের বাবা মাদের উচিত বয়ঃসন্ধিক্ষণে ছেলেমেয়েদের বন্ধু হওয়া। কিছু বিষয় খুলে আলাপ আলোচনা করা যারফলে বাচ্চারাও নিরাপদ অনুভব করে মা বা বাবাকে তাদের সমস্যাগুলো জানানোর।
উপরোক্ত ভাবনা থেকেই কন্যা সন্তানদের পিতামাতার প্রতি ছোট্ট একটা নিবেদন আপনারা কন্যা সন্তানকে একটু বিশেষ যত্নের সাথে বড় করুন। তাহলেই অনেক অনাকাংখিত সমস্যা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হবেন।
যেমনঃ
১। যখন সে বড় হচ্ছে একটু খেয়াল করুন তার চহিদার দিকে। সবসময় মাকে কম বেশি কাছে পাওয়াতে বাবাকে কাছে পাওয়ার একটা চাহিদা থেকেই যায়। বাবা নামের মানুষটিকে কম পাওয়ার কারনে ছেলেদের সাথে মিশার একটি চাহিদা তৈরী হয়। আমার বিশেষ যত্নে্র কারনটি এইখানেই শুরু।
২। বাবা ও মা উভয়ের দরকার, তাদের নিজেদের ভাইদের কাছ থেকে বাচ্চাদের আগলে রাখা। মামা চাচা দের মেয়েদের শরীরে প্রতি যে আকর্ষন থাকে তা নিজের ভাস্তি বা ভাগ্নির প্রতিও কোনো অংশেই কম না। তাই তারা মজার মজার কথা বলার ছলে ভাস্তি বা ভাগ্নি দের আকৃষ্ট করে। সেখানেই সমস্যার অনেকটা শুরু। আর বিস্তারিত লেখার প্রয়োজন বোধ করছি না।
৩। যে কোনো মামাতো, খালাতো, চাচাতো, ফুপাতো ভাইদের বেলাতেও একই কথা প্রযোজ্য।
৪। কন্যা সন্তানদের ছোটো বেলাতেই যতটুকু পারা যায় নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়ার শিক্ষা দেওয়া উচিত। অনেক অনাকংখিত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য হবে। মাতা যদি অল্প শিক্ষিত হন সেইক্ষেত্রে পিতা এই দায়িত্ব নিতে পারেন। বাচ্চা আপনারই, দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার কোনো উপায় নেই।
৫। যখন বড়রা কথা বলে বা গল্প করে তখন কথায় কথায় বাচ্চাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত না। বাচ্চারা এই ডিজিটাল যুগে অনেক বুদ্ধিমান। তাদেরকে ছোট ভেবে সরিয়ে রাখার মত বোকামি আর না করাই ভাল।
৬। বাচ্চাদের মতামতের প্রাধান্য দেওয়া বাবা মাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই বলে লাই দিয়ে মাথায় উঠানো একবারেই উচিত না।
৭। বাবা মার উচিত সন্তাদের সংগে বন্ধূর মতন সম্পর্ক বজায় রাখা। এতে একটু সমস্যা হয়। মেয়েরা এর পুরামাত্রায় সুবিধা নেয়। তাও ভাল অনেক অন্যান্য অনেক কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়ার থেকে।
৮। বাবাদের দরকার শত ব্যস্ততার মাঝেও মেয়েদের সময় দেয়া। এর কোনো বিকল্প নাই।
সমস্ত মামা চাচাদের, ও সব ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই শুধু মেয়েদের কিছু সমস্যা যা সবার প্রথমে পারিবারিক ভাবে আসে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় আমার আজকের মতন চেষ্টা। ছেলেদেরও অনেক রকম সমস্যা থাকে এই বয়সে তবে তা মেয়েদের মতন এত নাজুক নয়। তবে ছেলেমেয়ে উভয়ের সাথেই পিতামাতার সম্পর্ক বন্ধুত্বপুর্ণ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই।
সময় পেলে পড়ে আরো বিষদ লেখার ইচ্ছা রইল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




