ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর টুইটার বার্তায় বাংলাদেশের মানুষদের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলা ভাষায়। আমার লেখার প্রথমেই আমি আমার মত একজন বাংলাদেশীর পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। হয়তো তাঁর কাছে এ লেখাটি পৌছাবেনা। আমি আপাতত এটা নিয়ে ভাবছিনা।
আমাদের বাংলাদেশের মানুষগুলি আমার খুব প্রিয়। তার অনেকগুলো যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। সেটা আরেকদিন বলবো। তাই আজ সোজা মূল বিষয়ে চলে আসি।
আমরা ভারতের এবং বাংলাদেশের খেলা নিয়ে অনেক বেশিই করছি যা অনেক দিক থেকেই ভাল নয়। এর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যাকে তাকে যেমনে সেমনে গালিগালাজ করা। এটা আমাদের মানায় না। আমরা আমাদের এমন সুন্দর এবং শ্রুতিমধুর ভাষাকে অবমাননা করে চলছি।
আমদের সাথে ভারতের মধ্যে সব দিক থেকে অনেক বেশি ব্যবধান আছে যা আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের সমান করা সম্ভব নয়। কিন্তু হ্যা, সেগুলো ব্যবধান কমানো সম্ভব। তবে তা করতে হবে ধীরে এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যা ভারতও একদিনে করতে পারেনি। তাঁরা সেসব অর্জন করেছেন তাঁদের বিদ্যা, বুদ্ধি এবং ভালবাসা দিয়ে। বিশ্বের যেকোনো দেশে তাঁরা একটা অবস্থান করে নিয়েছে। এটা দেখিয়ে দিতে চাইনা। সবাই কম বেশি এটা জানেন। এই বিষয়ে সব চেয়ে বেশি জানেন যাঁরা প্রবাসে থাকেন।
এই ক্ষেত্রে অনেকেই বলতে পারেন যে তাঁরা আমাদের ক্ষতি করছেন। কিন্তু আমি বলবো না, তাঁরা তাঁদের দেশের উন্নতির জন্য কাজ করছেন। হয়তো এতে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষতি সাধিত হয়।
তাই আবেগ অথবা গায়ের জোরে নয় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে প্রজ্ঞা, ভালবাসা এবং অন্যদের সম্মান দিয়ে। আমরা কিন্তু অনেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি যা সবাই ভাল চোখে দেখছেনা। এতে আমাদের রেগে গেলে চলবেনা। মনে রাখতে হবে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন!
আমাদের দরকার একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তোলা। আর তাজ্জন্য আমাদের একতা এবং সুন্দর একটা অর্থনীতি বান্ধব রাজনীতি চাই। তবেই আমাদের তরুণরা এগিয়ে যেতে আর কোনো বাধা থাকবেনা। আর ধীরে ধীরে আমাদের এই ছোট দেশটিও একদিন সিংগাপুর অথবা মালয়শিয়ার চেয়ে কম নয় বরং বেশিই উন্নত এবং সমৃদ্ধ একটি দেশ হবে। আর তখনি আমরা বুঝতে পারবো আমাদের অন্যরা কীভাবে মূল্যায়ন করেন। তখন শুধু আইসিসি কেন কেউই আমাদের রুখতে পারবেনা।
সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের সংগ্রামী শুভচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৬