somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহবাগে উন্থান রাজীবে পতন

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন ওরফে শুভ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সর্বশেষ পোষ্টে সরকারের ছাগল দৌড়ানির কথা বলেছিলাম।
Click This Link
কারণ নানা দূর্ণীতি ও ব্যর্থতার ঝুপড়ির ভারে ন্ব্যুজ সরকারের তলপেটের ব্যথা উপশমে রাজিবের মত বলির পাঠা দরকার ছিল।সে জন্য রাজিবের মৃত্যুর পরদিন শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতারা রাজিবের বাড়িতে সিরিয়াল লাগায়।


রাত্রিতে স্বপ্নে দেখে জামাত শিবির রাজিবকে খুন করেছে।মুখস্ত বিদ্যার দুধ কলায় চিড়া ভেজানোর যোগান।হিন্দুরা ধর্ম পালন করে আবার দুধ কলা দিয়ে পাঠাও পোষে যাতে সামনের পূজায় তাকে বলি দেওয়া যায়।আমাদের দেশে যারা জামাত করে তারা শিবির পালে রাজপথে বলি দেবার জন্য।যারা আওয়ামীলীগ বিএনপি করেন তারা ছাত্রলীগ যুবলীগ,ছাত্রদল যুবদল পোষেন প্রয়োজন মহুর্তে লাল রক্ত ঢালার জন্য।কারণ বুড়াদের রক্ত মাটি খায় না।তরতাজা তরুণদের রক্ত এ মাটির খুব পছন্দ।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইব্রাহিম (আঃ)কে ধর্মের বাণী দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়ে তারই শিশু সন্তান ইসমাঈল (আঃ)এর কচি রক্তকে পছন্দ করে বসেন। ইব্রাহিম (আঃ) তার ঈমানী শক্তি দিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন দুম্বার রক্তের বিনিময়ে। ইসলাম খোদার সন্তুষ্টিতে মানব রক্তের পরিবর্তে পশুর রক্তকে হালাল করেছে।কিন্তু মানুষের গড়া রাজনীতিকে মানব রক্তই কেবল পরিপুষ্ট করেছে।আজও করছে।ওরা রক্তের ফেরি করে “রক্ত দাও,স্বাধীনতা দিব।” রাজিবের ফ্যামিলির সবাই কোন দল করেন তা জানিনা।তবে তার মা গাজীপুর আওয়ামীলীগের একজন নেত্রী।নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় দলনেত্রীর কতটুকুন আস্থাভাজন হতে পারতেন জানিনা।তবে ছেলের লাল রক্তের বিনিময়ে তিনি স্বয়ং দলনেত্রীর কাছ থেকে নতুন প্রজন্মের প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পেয়ে ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।একেই বলে কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। কারও ফাঁড়ে তো কারও জোরে। মনে পড়ে ভোলার এমপি শাওনের সাথে বিরোধে যুবলীগের কর্মী ইব্রাহীমের হত্যাকান্ডের কথা।http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-08-19/news/8759.
ইব্রাহিমের স্ত্রীও আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলেন।ইব্রাহীমের পরিবারও আজীবন আওয়ামীলীগ করত।কিন্তু বিএনপি র পালে বেড়ে উঠা আওয়ামীলীগার শাওনের বাঁধ ডিঙিয়ে ইব্রাহিমের রক্ত দল নেত্রীর কাছে পৌছেনি।
বিএনপির রাজনৈতিক বুড়ী সিংগাপুরে নয়দিন ঘুমিয়ে ছিলেন।সরকারের পাহাড়সম ব্যর্থতায়ও বিএনপির বগারা পান্তা ভাতের গোস্বায় পুটি মাছের আশায় আকাশ পানে চেয়ে ছিলেন।ইসলামের নব্য ইজারাদার ছাত্রশিবিরের রক্ত স্মাত জোৎনায় চাঁদের বুড়ী জেগে উঠে দেশে এসে বিবৃতি দিলেন গণহত্যার।আর যায় কোথায়। আওয়ামীলীগাররা কিতাব নিয়ে বসলেন গণহত্যার সংজ্ঞায়।
আমাদের দেশের শিবির ছানারা যাদের রক্ত কেজি কেজি।তাদেরও একটা পছন্দ আছে।২৮ তারিখের লগি-বৈঠার তান্ডবের নায়ক ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীর কমিটির সভাপতি বাপ্পাদিত্য।এতদিন খোঁজ হয়নি।আমাদের সমসাময়িক কালের দেশ প্রেমিক পত্রিকা “আমার দেশ”তার অনুসন্ধানী আয়নায় এতদিন পরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তা আবিস্কার করেছে।


বাপ্পাদিত্য!নামের সাথে চেহারায়ও দস্যু দস্যু ভাব।ছাত্র শিবিরের পছন্দ হয়নি।পছন্দ হয় নিস্পাপ চাহনীর রাজিবকে।ছেলেটি কি করেছিল?ইসলাম নিয়ে দু’লাইন বাঁকা কথা লিখেছিল।দু’কলমের জাদুকরকে জামাত-শিবিরের টার্গেট করাটা শেখ হাসিনা স্বপ্নে দেখলেও জেগে থেকেও আমার বিশ্বাস হয়নি।কারণ রাজনীতির চোখ বলে কথা!পরশু সেই খুনিরা ধরা পড়েছে।কিন্তু জজ মিয়া না হলেই ভাল।কেননা ছবি দেখে মনে হচ্ছে ডিবির সাথে ওরা যেন আমেরিকার হোয়াইট হাউজের লনে ফটোসেশনে অংশ নিয়েছে।একটা জলজ্যান্ত মানুষ খুন করেও কারও মনে কোন ভয়ের লেশ নেই।অনুশোচনা নেই।যদি সরকারের আন্ডার সেকশন থাকে তো ভয় না পাওয়ারই কথা।কারণ পরীক্ষা পরীক্ষক সবই রাতের আঁধারের মিছিকান্ত মহাজন।জনমনের সরল চোখ সে গলিতে পৌছে না।


রাজিব তোমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।তুমি নেই দেখে বলছি না।কারণ তোমার মত ছেলে খেলা অনেকেই খেলে,তাই বলছি।বয়স তোমার কম ছিল না।কোন এক পত্রিকায় ৩৫ দেখেছিলাম।তোমার জানাজায় শাহবাগে ছিলাম।এই ৩৫ বছরের তোমাকে নিয়েই তোমার মামা জানাজাপূর্ব স্মৃতিচারণে হত্যাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন- “একটা শিশুকে কেন খুন করা হল।হিম্মত খাকলে আমাদের কাছে আস।”সেদিন ইত্তেফাক পত্রিকায় দেখলাম তোমার স্ত্রী আনিকা বলেছেন -“ খুব সহজ-সরল ও মেধাবী ছিল রাজীব।কতদিন নিজ হাতে খাবার খাইয়ে দিয়েছি ওকে।”(দৈনিক ইত্তেফাক মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)।
খুবই স্নেহ দীপ্ত কথা।কিন্তু ভাইয়া,আমাদের গ্রামে তাঁতী বেশি হওয়ায় ছোটবেলায় একটা কথা শুনতাম-“জোলাদের ৮০ বছর না হলে বুদ্ধি হয় না।”বাঙ্গালীদের গড় আয়ু বেশী নয়।তবুও বুদ্ধির জন্য তুমি কি ৮০ বছরের অপেক্ষায় ছিলে?নামাজ খুব একটা পড়া হয় না।তাই মুসলমান কিনা জানি না।তবে বাপে মুসলমান ছিল।ওটাই সনদ।বাবায় মুসলমান তাই আমিও মুসলমান।এজন্য শরীরে একটা চোরা জ্বর আছে।ফজরের সময় কোন ঘুমের ফাঁকে চলে যায় ঠাহর পাই না।কিন্তু পৌষের শীতেও গোসল না করে এক গ্লাস পানি হাতে নিতে পুরো শরীর বিদ্রোহী হয়ে উঠে।স্ত্রীটাও নামাজ পড়ে না।কিন্তু গোসল না করে সকালবেলায় চালের ডিব্বায় হাত দিবে?এ ভূল কখনও করে না।তুমি ভাই কোন মুসলমানের মুসলমান ছিলে যে সৃস্টিকর্তার অস্তিস্ত্বই তুমি স্বীকার করতে না!মোহাম্মদ নামটি শুনলেই তোমার গাঁয়ে আগুন লেগে যেত!ছোট্র শিশুটি দুনিয়ায় পা রাখতেই আজানের ধ্বনি কানে নিয়েছিলে।আবার যাবার সময় কাঙ্গালের মত মানুষের জানাজা নিয়েই যেতে হল।এটা কি অকৃতজ্ঞতার নমুণা নয়?ভাইজান অন্তরের রোগটা পিজি কেন পাবনা ঘুরে এলেও সারানোর নয়।গোস্বা করতে পার ‘তবে জানাজায় ছিলাম কেন?’আগেই বলেছি -“আস্তিক নাস্তিক বিষয় নয়,রাজিবের একমাত্র পরিচয় সে একজন মানুষ।”কিন্তু ভাই আপনার ছেলে মানুষে যাদের দরকার তারা আখের গোছায়ে নিয়েছে।সরকার সারা বছর যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছে।জামাত-বিএনপি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে নাই।শত ব্যথতা সরকারের কাঁধে।কিন্তু শাহবাগ সরকারকে রাজার বেশে ফিরিয়ে আনে।যুদ্ধাপরাধীর বিচারে অপরাপর মাওলানারাও এটা সরকার ও জামাতের বিষয় বলে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন।কিন্তু এক রাজিবের মৃত্যু সেই পচা শামুকগুলিকেও যেন জীবন্ত করে তুলেছে।আওয়ামীলীগের দলের লোকেরাই ক্ষোভে ব্যথায় রাস্তায় নেমে এসেছে।গাজীপুরে রাজীবের নিজের জেলাতেই গণ-জাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ করে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক সুজাউল করিমসহ প্রমুখ নেতারা। Click This Link
ফেনীর পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন মজুমদারের নেতৃত্বে পরশুরামের ওলামা-মাশায়েখসহ সর্বস্তরের মুসলমানদের অংশগ্রহণে স্মরণকালের বৃহত্তম বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। Click This Link
বড়ই প্রশ্ন জাগে যে শাড়ী পড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজিবের বাড়ী দৌড়ে গিয়েছিলেন দাঁতের কামুড়ের চিতায় সেই শাড়ীটা এখনও আস্ত আছে কিনা।শাহবাগের উন্থানে বেঁহুশ সরকারের শাহবাগপুত্র রাজীবেই পতন মনে হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×