ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে রুখতেই দেশের তরুণ প্রজন্ম শাহবাগসহ সারা দেশে জেগে ওঠেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুধু শাহবাগের দাবি নয়, এটা ১৬ কোটি মানুষের দাবি।
Click This Link
আপনী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দু’জনই বিতর্কিত। শাহবাগের কারিগর। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা সবাই চাই। কিন্তু সে বিচারকে সরকার বিতর্কিত করে ফেলেছে। আপনারা সরকারের খাস লোক।আদালতের বিচারগুলি আপনারাই তৈরী করছেন।আবার শাহবাগও আপনারা সৃষ্টি করছেন।মানে নিজেদের বিচারে নিজেদেরই আস্থা নেই।আপনারা বুঝে ফেলেছিলেন বিচারকদের হুমকি দিয়ে রায় আদায় সম্ভব নয়। মাত্রাতিরিক্ত চাপাচাপিতে বিচারকদের মধ্যেই সরকার বিরোধীতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে।কারণ আপনারা বিচারকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেননি।সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে আইনজীবিরা তা বুঝিয়ে দিয়েছে।
Click This Link
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অপরাধির কি রায় হবে তা অপরাধ বিবেচনায় আদালত রায় দিবে।অথচ আপনারা ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার।একেই বলে স্ববিরোধীতা। আপনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।আপনাকে আমরা সবাই চিনি।আপনী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দু’জনই নিয়মিত আদালতে যাচ্ছেন বিচারকদের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য।আবার শাহবাগীদের সাথে বসে রাতের আধারে মদও গিলছেন।একজন ভিসি হিসাবে আপনাদের আরও ভারত্বপূর্ণ হওয়া উচিৎ ছিল। আমরা যারা নিরপেক্ষ তারাও শাহবাগ গিয়েছি।তখন বিশ্বকে দেখিয়েছেন আপনাদের সাথে কত মানুষ।আপনাদের চিনে ফেলে ও সরকারের সাথে আঁতাতের চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়ে নিরপেক্ষ জনতা যখন গণজাগরণ মঞ্চ ত্যাগ করতে শুরু করেছি তখন ক্রমশ আপনারা একা হয়ে যাচ্ছেন।আপনারা চট্রগ্রামে ঢুকতে পারেন নাই।আশুলিয়ায় যে কয়েকজন লোক জমায়েত করেছিলেন তা একজন ছিঁচড়ে চোর ধরা পড়লেও দেখতে ওর চেয়ে বেশি লোক জমায়েত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যা পিঠ।আপনী সেখানকার ভিসি।শাহবাগ গিয়ে আপনাদের দেখলে আমরা আরও উৎসাহ পেতাম।শাহবাগ যাব বলে অফিস থেকে এক ঘন্টা আগে বেরুতাম।বস্রাও উৎসাহ দিতেন।এখন পুরো অফিস খুঁজলে শাহবাগের পক্ষের লোক পাওয়া যায় না। আপনি বলেছেন ১৬ কোটি মানুষ জেগে উঠেছে।মিথ্যা বলেননি।তবে আমি বলব “জেগে উঠেছিল,আবার নিভে গেছে ।” এখন যারা জেগে আছে তারা সরকারের খুব কাছের লোক।নয়তো জামাত-শিবিরের তান্ডবের পর ভয়ে তারা এলাকায়ও ফিরতে পারছে না।অনন্যোপায় হয়ে তারা আপনাদের পিছু পিছু হাটছে।স্যার, সুযোগ বার বার আসে না।সুযোগ পেয়েও আপনারা তাকে বিতর্কিত করে ফেললেন?একটা সর্বজনগ্রাজ্য দাবিকে গুটি কয়েক নাস্তিকের মসলায় পিশিয়ে মেরে ফেললেন?গ্রামের চৌদ্দটা বউ তালাকের হুজুরের পিছনেও মানুষ দৌড়ায় ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু শুনলে।নাস্তিককে শহীদ বললে ইসলামের বীর শহীদদের মর্যাদা কোথায় দাঁড়ায় বলতে পারেন?আওয়ামীলীগের সাথে বামপন্থিদের সখ্যতা বহু দিনের।যাদের শিকড় কেবল ঢাকা কেন্দ্রিক।গ্রামের মানুষের সাথে তাদের কোন সখ্যতা নেই।কিন্তু আওয়ামীলীগতো গণমানুষের দল।মানুষ দলীয় মনোভাবের বাঁধ পেড়িয়ে গ্রাম থেকে এসে শাহবাগের মোহনায় জমায়েত হচ্ছিল কিন্ত শাহবাগ পারলনা গ্রামের সেই ছুটে আসা মানুষদের পিছু পিছু যেতে,আবাল-বৃদ্ধ বনিতাদের জাগিয়ে তুলতে।এমনটা কেন হল স্যার বলতে পারেন?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




