সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে খোদ ভারতে কি ধরনের সমালোচনা হচ্ছে দেখুন।
অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের লড়াইতে পিছিয়ে গিয়ে বিজেপি ধর্মের নামে ভেদাভেদের খেলার জন্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সামনে এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তিনি আরো বলেন, 'তথাগত রায়ের মত নেতারা ‘শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা’র নাম করে ধর্ম পরীক্ষার জন্য যে শব্দ ব্যবহার করছেন, এরা কী চাচ্ছেন? ধর্মের নামে মানুষের ভেদাভেদ! কুরুচিকর কথা! বিজ্ঞান, ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, সব নিয়ে মানুষ চলে। কিন্তু রাজনীতির উদ্দেশ্যে যদি সেটাকে কুৎসিতভাবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ থাকছে।'
এ প্রসঙ্গে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য মমতা ঠাকুর বলেন, 'আমার নিজের বড় মেয়ের ছেলে যখন ছোট ছিল তার প্রস্রাব করতে গেলে অসুবিধা হতো। তাকে আমি নিজে অপারেশন করিয়েছিলেন। তাহলে তাকে যখন শারীরিক পরীক্ষা করবে, সে হিন্দু, না মুসলিম, কী করে তার প্রমাণ হবে? এত বড় কথা বাঙালি সমাজকে অপমান করা! বিজেপি কোথায় নামিয়ে নিয়ে এসেছে আমাদের বাঙালিদের!'
এই হলো নরেন্দ্র মোদির ভারতে ধর্মীয় সম্প্রীতি বা সহনশীলতার নমুনা। এভাবে আইন প্রণয়ন/ব্যবহার করে ধর্মকে মানুষের উপরে স্থান দেয়ার তীব্র নিন্দা জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪