somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রিকেট-স্মৃতিকথা (পর্ব-এক)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সালটা সম্ভবত ১৯৯৮ !
দুটি অবোধ বালক শিশুতোষ আনন্দে দেখছে ‘ক্রিকেট’ নামক বল পেটানোর এক খেলা । স্টেডিয়ামের দর্শকদের মতো করে, সাদা কাগজে বড় বড় করে লিখেছে ৪ ও ৬ । চার মারলে দেখায় চার, ছয় মারলে ঠিক দর্শকদের মতো করেই লাফিয়ে লাফিয়ে টিভির সামনে ছয় দেখায় । যে দলটা খুব চার আর ছয় মারছিল, বালক দুটি সেই দলকেই সাপোর্ট করতে শুরু করল ।


চট্টগ্রামের বাদির টেক এলাকার মোড়ে, রাস্তার পাশেই সটান দাঁড়িয়ে, ত্বি-তল হলুদ রঙা (এখন অবশ্য ছাই রঙা হয়ে গেছে) বিল্ডিং । বিল্ডিংয়ের নাম, দোস্ত মোহাম্মদ বিল্ডিং । বিল্ডিংটার বাসাগুলা কলোনী সিষ্টেমের, একেক তলায় দশটা করে ফ্যামিলি বাসা । তিন রুমের বাসা, সোজাসোজি একই সাইজের তিনটা রুম । প্রথম রুমটাকে সামনের রুম বা ড্রয়িং রুম বলা হয় । দ্বিতীয় রুমটাকে মাঝের রুম বা বেড রুম আর তৃতীয় রুমটাকে রান্নাঘর বলা হয় । দোস্ত মোহাম্মদ বিল্ডিংয়ের পেছনের ভবনের, তিন তলায় বালক দুটির বাসা । বাসার সামনে আছে লম্বা বারান্দা । যেখানে প্রায় বালক দুটি খেলা করত, অন্যান্য বালক-সঙ্গীদের সাথে ।
এবার মনে হয় বালক দুটির পরিচয় দেয়ার সময় এসেছে । দুই বালকের একজন, আমি নরাধম নিজেই । আর অন্যজনের পরিচয় যথাসময়ে দেয়া হবে ।


পাঠক, নিশ্চয় প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছেন । ক্রিকেট বাদ দিয়ে কি সব ফালতু গল্প ফেঁদে বসেছি । একটু ধৈর্য্য ধরুন পাঠক । আর বিরক্ত করব না । এবার সরাসরি ক্রিকেটেই চলে যাব ।
সেই শিশুতোষ আনন্দ নিয়ে খেলা দেখছিলাম । আব্বু দুপুরের দিকে অফিস থেকে এলেন । জিজ্ঞেস করলাম, কোন দলকে সাপোর্ট করেন ?
আব্বু জবাব দিলেন, জয়সুরিয়া থাকলে শ্রীলংকাকে সাপোর্ট করতাম । এখন কোন দলকেই করি না । জয়সুরিয়া কি, থাকলে কি হয়... কিছুই বুঝি না । তবু আমি মহা উৎসাহে বললাম, আমি তো ভারতের পক্ষে । ভারতের প্লেয়ারগুলা কি মারটাই না দিচ্ছিল ! সাপোর্টার না হয়ে উপায় আছে ?
যদ্দূর মনে পড়ে আগ্রহভরে প্রথম খেলা দেখার ঘটনা ছিল, এটাই ।


তারপর থেকে তো যেন ক্রিকেটেই মজে গেলাম । শুভ্র দেব-শাকিলা জাফরের ‘ক্রিকেট ক্রিকেট, ভালবাসি ক্রিকেট” গানটায় মেতে উঠা, টিভিতে আবুল হায়াত-ঈষিতার ‘নট আউট’ নাটকটা দেখার জন্য ঢুলু ঢুলু চোখে জেগে থাকা... কি সব পাগলামী !
তখন বাংলা ধারাভাষ্য দেয়া হতো । ‘সৌভাগ্য সুজনের, সৌভাগ্য বাংলাদেশের’ কিংবা ‘দূর্ভাগ্য পাইলটের, দূর্ভাগ্য বাংলাদেশের’ এই ধরণের কথাগুলো বেশ পরিচিত ছিল তখন । আমি আর আমার বন্ধু যখন খেলতাম, সেখানেও এই বাংলা ধারাভাষ্য চালিয়ে যেতাম ।
ক্রিকেট কে আমার মনে হয়, আফিম বা নেশার মতো । কখনো মনে হয় ছোঁয়াচে রোগের মতো । আব্বুর ক্রিকেট-নেশা টা যেমন ছোঁয়াচে রোগের মতো আমার মধ্যে ছড়িয়ে গেল, তেমনি আমার থেকে আমার বন্ধু তারেকের মধ্যেও । হ্যাঁ, আমার সেই বন্ধুটির নাম ছিল তারেক মাহমুদ ।
আমরা দুজনই তখন ক্রিকেটের নেশায় বুঁদ । আমাদের খেলার বিষয় বস্তুও ছিল ক্রিকেট । নাহ, ব্যাট-বলের ক্রিকেট না, একটু অন্যরকম ক্রিকেট ।
পরিত্যাক্ত বোতল-টিন দিয়ে গড়া হতো একটা স্ট্যাম্প । তারপর সেই স্ট্যাম্প ঘিরে চলত আমাদের খেলা । সে বল করত, আমি উইকেটের পেছনে দাঁড়াতাম । এভাবেই চলত... আমাদের ছেলেমানুষী সব খেলা । কথা নাকি হারিয়ে যায় না, জমা থাকে । তাহলে আমাদের কত ধারাভাষ্য জমা হয়ে আছে, সেই তিন তলার লাল বারান্দাটাই !
বাসায় তখন রাখা হতো ইনকিলাব । আমাদের আরেকটা খেলা ছিল, পুরনো সব পত্রিকা বের করে তা থেকে স্কোর কার্ড দেখা । কি অদ্ভুত খেলা, তাই না !
আহা, কত পুরনো কথা ! কি জানি, তাঁর সব মনে আছে কি না !


১৯৯৯ বিশ্বকাপের জোয়ারে ভাসছে দেশ । বাংলাদেশ খেলছে, প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ । আব্বু-মামাদের আলোচনা থেকে বুঝতে পারি, নান্নুকে না-নেয়াই বেশ বড়সড় বিতর্কের ঝড় উঠেছে । পরে নান্নু ফিরেছিলেন । টানা তিন ম্যাচ ভালও খেলেছিলেন । সম্ভবত অস্ট্রলিয়ার বিপক্ষেও তাঁর একটা ভাল ইনিংস ছিল । স্কটল্যান্ডের সাথে মর্যাদার লড়াইয়েও ভাল খেলেছিলেন । স্কটল্যান্ডের সাথে জয়ের পর সে কী উচ্ছাস ! যা ছিল অভাবনীয়, অবর্ণনীয় ।
পাকিস্তানকে হারিয়ে তো মহাকাব্য রচনা করল বাংলাদেশ । আমাদের মধ্যে তখন একটা আলোচনা বেশ সাড়া ফেলেছিল, ‘পাকিস্তান ইচ্ছা করে হেরেছে’ । কেউ কেউ বলছিলেন, ‘পাকিস্তান টাকা খেয়েছে’ ।
পরদিন পত্রিকায় ওয়াসিম আকরামের সেই বিখ্যাত উক্তি, আমাদেরকে প্রভাবিতও করেছিল । ‘আমাদের ভাই থেকে আমরা হেরেছি’ ।
পরে বয়সকালে এসে ঠিকই বুঝেছিলাম, আকরাম-নান্নুদের কীর্তিগাঁথা, ! বীরত্বপূর্ণ সেই জয় নিয়ে তাই আজকাল কেউ প্রশ্ন তুললেই বলে উঠি, ‘আমার অত কিছু দেখার দরকার নাই, আমরা জিতছি ব্যাস ! পাকিস্তানকে হারিয়েছি । ওয়াসিম আকরাম, সাঈদ আনোয়ার, সাকি, ইনজি সমৃদ্ধ পাকিস্তানকে হারিয়েছি । ’৯৯ এর রানার্স আপ দলকে হারিয়েছি’ । যদ্দূর মনে পড়ে ঐ ওয়ার্ল্ড কাপে দুর্দান্ত একটা দল নিয়ে গিয়েছিল, ওয়াসিম আকরাম । যারা মোটে দুই কি তিনটা ম্যাচ হেরেছিল । তার মধ্যে, আমাদের সাথে একটা । ভারতের সাথে একটা । ফাইনালে একটা । আর হেরেছিল কি না, ঠিক মনে পড়ছে না ।


আমাদের ফ্লোরে দশটা বাসার পাঁচটা ছিল সিঁড়ির এপাশে, আর পাঁচটা ওপাশে । সেবার ’৯৯ এর বিশ্বকাপে পাকিস্তান-ওয়েষ্ট ইন্ডিজ খেলা চলছিল । আমাদের পাশটাতে কারেন্ট চলে গেল । ওপাশে আছে । ‘আদনানের আব্বু’ আংকেল টা তাদের টিভি বারান্দায় নিয়ে আসলেন । সবাই মহা আনন্দে বারান্দায় বসে খেলা দেখছিল । পাকিস্তান সম্ভবত ২২৮ করেছিল সেদিন ।
আমাদের সেই খেলা দেখতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো । কেন, জানি না ! বড়রা দেখলেন । আমরা ঘুমালাম । সকালে উঠে শুনি, উইন্ডিজ হেরেছে । ২০৮ কি ২১০ করেছিল । আব্বু বললেন, ‘পাকিস্তান যদি দুইশ করত, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ১৮০তেই ব্লক হতো’ ! আব্বুকে তখন দেখেছিলাম, পাকিস্তানের বোলিং আর শ্রীলংকার ব্যাটিং নিয়ে একটা উঁচু ধারণা রাখতেন । কালু-জয়সুর ব্যাটিংয়ের মুগ্ধ দর্শক ছিলেন, আব্বু ।
সেই সময় অস্ট্রলিয়া দলে একটা ফার্ষ্ট বোলার ছিল । পল রাইফেল । তখন আমার বড় আন্টির বাসা ছিল রাইফেল ক্লাব । বেশ অন্যরকম লাগত, জিনিসটা !


জিম্বাবুয়ের একটা প্লেয়ার ছিল, নেইল জনসন । সে নাকি দক্ষিন আফ্রিকান । দেশান্তরী হয়েছিল, স্বদেশের ক্রিকেট নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাব দিতে । দিয়েছিলও, ভালই । তাঁর একটা ক্যাচ এখনো চোখে লেগে আছে আমার । ’৯৯ বিশ্বকাপে, কোন দলের বিপক্ষে ঠিক মনে নাই । তবে পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল । বলটাকে এক হাতে উপরে ঠেলে দিয়ে, নিজে পড়ে যাওয়ার সময় বলটাকে আরো একবার উপরে তুলে দিয়েছিল, এবং তৃতীয়বারে মাটিতে শুয়ে ক্যাচটা লুফে নিয়েছিল । অসাধারণ একটা ক্যাচ !
ক্যাচের কথা আসায় মনে পড়ল, গিবসের কথা । অস্ট্রলিয়ার বিপক্ষে তাঁর সেই বিখ্যাত ক্যাচ মিস ! স্টিভ ওয়াহ যেই ক্যাচ ড্রপকে বলেছিলেন, ‘ট্রফি ড্রপ’ ! সেই ক্যাচ মিস লাইভ দেখেছিলাম । আমাদের ধারণায় তখন সেটা মিস ছিল না । আমরা বলাবলি করছিলাম, সে ক্যাচটা ধরেছে ঠিকই । কিন্তু উপরে না-ছুঁড়ে, নীচে ফেলেছে !
আর আফ্রিকানদের তখন ডাকা হতো ‘জ্বিন’ নামে ! সিরিয়াসলি বলছি, ‘জ্বিন’ ডাকত তাদের । কারণ তাদের প্লেয়ারদের নাকি দেখা যায় না । কোত্থেকে এসে কি সব অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং করত, চোখ কপালে উঠে যাওয়ার অবস্থা হতো আমাদের ! গিবস, জন্টি তো অতিমানবের কাতারে ছিল তখন ।
আর একটা প্লেয়ার ছিল ক্লুজনার ! লোকটার জন্য আফসোস লাগে, এখনও ।


২০০০ এর দিকে এসে খেলাটার প্রতি নেশাটা যেন আরো বেড়ে গিয়েছিল । আব্বু কেবলমাত্র খেলা দেখার জন্য, সেবার ক্যাবলের সংযোগ দিলেন । দুটি মাত্র খেলার চ্যানেল । ইএসপিএন, স্টার স্পোর্টস ।
বাসায় তখন আমার এক ভাইয়া থাকতেন । চুয়েটে পড়তেন । প্রায়ই বাসায় আসতেন, থাকতেন তখন । উনিও ছিলেন ক্রিকেট-নেশায় আসক্ত । ভাইয়ার সাথে খেলা দেখতাম, অনেক কিছু জানতে পারতাম । সবচেয়ে মজা হতো যখন আব্বু, আমি ও ভাইয়া একসাথে খেলা দেখতাম । সে এক অভুলনীয় স্মৃতি !
মাঝে মধ্যে তারেকও আমাদের সাথে যোগ দিত । চার মারলে সে বলে উঠত, ‘ফুর ফুর ফুর’ । তা নিয়ে আমাদের সে কী হাসাহাসি !
অস্ট্রলিয়ায় খেলা হলে অন্য এক ধরণের আনন্দ লাগত । সাদা সাদা কবুতরদের উড়ে যাওয়া, ঘন সবুজ মাঠ, ফজরের নামাযের পর খেলা দেখা... কেমন যেন ছিল সেই অনুভূতিগুলো !

আহা, কি সব স্মৃতি ! কি সব অনুভূতি ! শৈশবের ক্রিকেট বলে কথা ।

_________
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×