somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাস্তবে স্বপ্নের মুহূর্তঃ যাত্রা পথে

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



৯ দিনের ছুটিতে সবাই যখন ঢাকা শহর খালি করায় ব্যস্ত, তখন ট্রেনের টিকেট পাওয়াতে মনে হচ্চিল সত্যিই এবার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছে আমার।

মাসখানেক আগে জ্যামে পড়ে ট্রেন মিস করায়, কোন চান্স নিলাম না। বরং একটু আগেই চলে এলাম ষ্টেশনে; এসে শুনি ট্রেন লেট হবে, কোথায় নাকি কি ঝামেলা হয়েছে। যাকগে, একটা পেপার কিনে কিছুক্ষন সময় কাটানোর পরে, মোবাইলের ব্যাটারির বদৌলতে সময় কাটাতে আর বেগ পেতে হয়নি মোটেও; ফলে অবশ্যম্ভাবীভাবেই লো ব্যাটারি নিয়ে ট্রেনে উঠলাম।

কমপার্টমেন্টের ভিতরে লাগেজের সাইজ আর সংখ্যা দেখেই অনুমান করা যাচ্ছিল যে, লোকজন লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে।
নিজের সিট খুজতে খুজতে খেয়াল করলাম, যা আশা করেছিলাম তার তুলনায় ভীড় কিছুটা কমই ছিল ।
এরপর যখন আবিস্কার করলাম, আমি জানালার পাশে একটা সিট পেয়েছি – অসম্ভব ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল নিজেকে। কপাল আর কাকে বলে! কমপার্টমেন্টের মাঝখানে মুখোমুখি চারজনের সীট; বসতে না বসতেই নজর চলে গেল প্লাটফর্মের দিকে – হরেক কিছিমের মানুষের ভিড়, ছুটোছুটি, ব্যস্ততা, কোলাহল ইত্যাদি দেখতে দেখতে ট্রেন চলতে শুরু করেছে।

ট্রেনের স্পিড যে বাড়ছে, বাতাসের তীব্রতায় আমি তা সহজেই অনুভব করছিলাম।
চোখের সামনে ধীরে ধীরে ষ্টেশন পিছিয়ে যাচ্ছে; রাস্তা, রিক্সা, রেল লাইন লাগোয়া বাজার, বস্তি, মানুষ আর মানুষ ইত্যাদি দেখতে দেখতে আমি বাইরে থেকে চোখ সরিয়ে নেই।

সোজা হয়ে বসে সামনে তাকাতেই বেশ কিছুটা অবাক হই – সামনে প্রায় আমারই সমবয়সী এক মেয়েকে দেখে।
কখন যে বসেছে, খেয়ালই করিনি।
খেয়াল করবোই বা কিভাবে, আমার মনোযোগ তো ছিল ট্রেনের বাইরে!

মেয়েটা যতটা না সুন্দরী তার চেয়ে বেশী মিষ্টি। ফরসা গোলগাল চেহারায় মানাসই ফ্রেমের চশমা তার আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্লজ্জের মতো কিছুটা সময় নিয়েই তাকিয়ে বুঝলাম, ঘন ভ্রুর নিচে মানাসই বড় বড় দুটি চোখ আর পাতলা ঠোটের উপরে একটা চিকণ লম্বা নাকই তার চেহারা এমন আকর্ষনীয়া করে তুলেছে, যেখানে চশমাটা অনেকাংশেই অলংকারের ভূমিকা পালনরত। আর, পড়নের পোশাকেও আভিজাত্যের ছাপ সুস্পষ্ট।

- “ভাইয়া, পেপারটা একটু দেখতে পারি।”
কিছুটা উচ্চস্বরেই চিন্তায় বাঁধা পরল, মুগ্ধতায় ডুবে যাওয়া থেকে বাস্তবে ফিরলাম।
তাকিয়ে দেখি, আমার হাতের পেপারটা চাইছেন আমার পাশে বসা আমার প্রায় সমবয়সী এক ছেলে।
পেপার দেয়া মাত্রই সে পাতা উল্টিয়ে ‘অর্থ ও বাণিজ্য’ সেকশনে মনোযোগ দিল। আমার সামনের মেয়েটার পাশে বসেছে এক তরুণী, যাকে নিজের মোবাইল আর সাজসজ্জা নিয়েই বেশী ব্যস্ত মনে হচ্ছে। দুজনে একটা সেলফিও তুলে ফেলল- এরই মধ্যে।পরক্ষনেই আমার পাশের ছেলের হাতে তার মোবাইল দিয়ে – তাদের দুজনের ছবি তুলে দিতে বলল। মোটামুটি ধারনা করলাম, এরা তিনজন একত্রে যাচ্ছে। তবে, তাদের সম্পর্ক সম্বন্ধে কোন কূল কিনারা করতে পারলাম না। যদিও মেয়ে দুজনের চেহারায় কিছুটা সাদৃশ্য আছে – পরস্পরের আত্নীয়া হলেও হতে পারে।

কিছুক্ষণ পরে, সামনে বসা মেয়েটির সাথে চোখাচোখির চেষ্টা করলাম, কয়েক দফা। কিন্তু, মেয়েটা উপেক্ষা করল।
কি আর করা, পাশের ছেলের কাছ থেকে ‘খেলাধুলা’র পাতাটা চেয়ে নিয়ে পড়তে শুরু করলাম তখন। পরবর্তী প্রায় মিনিট বিশেক ঐ পাতায় যা যা ছিল সব পড়ে ফেললাম। এরপর আবার পেপারের পাতা অদল-বদল করে সম্পাদকীয় পর্যন্ত মনোযোগী ছাত্রের মত পড়তে থাকলাম। যেন, একটু পরেই পরীক্ষা হবে, বিষয় – ‘আজকের সংবাদপত্র’।

এয়ারপোর্ট ষ্টেশন পার হওয়ার পরে মনে হল ভিড় একটু বেড়েছে।
তাকিয়ে দেখি সে বাদাম খাচ্ছে, চোখ জানালার বাইরে।
কিছুক্ষন পরে মনে হল, মেয়েটা একটু কেমন যেন করছে; যেন কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে আছে। খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের সিটের পাশেই দাঁড়ানো এক তরুণের দিকে – তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে।শুধু তাকিয়ে আছে বললে ভুল বলা হবে; অনেকটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, অনেক কিছুই শুধু চোখের সাহায্যেই করছে টাইপের।অস্বস্তির কারণ বুঝতে পেরে মেয়েটিকে আমার সিট অফার করলাম। সে ধন্যবাদ দিয়ে আমার সাথে সীট বদল করে ফেলল।

এবার সে বসেছে বাতাসের উল্টো দিকে, ট্রেন যে দিকে চলছে সে দিকে মুখ করে।
বাতাস তার চুল উড়িয়ে নেয়ার চেষ্টার মধ্যেই মেয়েটি কিছুক্ষন পরপর তার চুলগুলোকে সুন্দর করে কানের পিছনে গুছিয়ে রাখছিল। মুগ্ধতা চোখে নিয়েই জানতে চাইলাম, তারা কোথায় যাচ্ছে। প্রত্যুত্তরে, ছুটি কাটাতে নানা বাড়ি যাচ্ছে বলেই, সে আমার কাছে পেপারটা চেয়ে নিল। ‘বিনোদন’ পাতায় একটা মুভির বিজ্ঞাপনের দিকে চেয়ে বলল যে, এই মুভিটা তারা দেখেছে এবং মুভিটা চমৎকার। তার গলার স্বরে কিছুটা বন্ধুত্বের আভাস পেয়ে তার কাছে মুভিটার কাহিনি জানতে চাইলাম।

সে খুব গুছিয়ে মুভির প্লট আমাকে শোনালো।
ইতোমধ্যে, তার দুই সহযাত্রী ঘুমিয়ে পড়েছে, আর আমরাও কথা আদান-প্রদান করেই চলছি।
খুব সুন্দর করে কথা বলে সে। আকর্ষণীয় ঢঙে, তার প্রিয় হিরো থেকে শুরু করে নিজের ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পর্যন্ত গল্প টেনে নিয়ে গেল সে। তার কথা শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, মেয়েটির মন অনেক পরিস্কার এবং তার চরিত্রে এক ধরনের দৃঢ়তা আছে – যা চশমার আড়ালে তার মিষ্টি চেহারা দেখে মোটেও অনুধাবন করার উপায় নেই। আমাকে কিছুটা অসহায় মনে হচ্ছিল এক পর্যায়ে, কারণ সে আমার ব্যাপারে কিছুই জানতে চাইছিল না। আমাদের কথোপকথনের কেন্দ্রীয় চরিত্র মেয়েটি নিজেই, তাকে ঘিরেই আমাদের আলাপচারিতা চলতে লাগলো।

ট্রেন থেমে আছে।
মনে হয় ভৈরব জংশনে এসেছে।
ততক্ষণে আমার পাশের তরুনী জেগে উঠছে এবং যথারীতি তারপাশে আমাকে দেখে সে বিরক্ত। আমাদের দুজনকে কথোপকথনের মধ্যে দেখে, সে তার বিরক্তি আর ধরে রাখতে পারলো না,
- “আড্ডায় সারারাত ঘুমাতে পারিনি। এত বকবক না করে, নিজেও ঘুমা, আমাদেরও একটু ঘুমাতে দে তো।”

যাই হোক, তরুণীর কথা শুনে মেয়েটি সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
মনে হচ্ছে, সে সত্যি সত্যি যেন ঘুমিয়ে পড়েছে।
কিছুটা ঘৃণা নিয়েই তরুণীর দিকে তাকালাম – কিন্তু অবলীলায় সে আমার দৃষ্টি অগ্রাহ্য করল।

অনন্যোপায় হয়ে, আমিও চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
কতক্ষন ঘুমিয়ে ছিলাম জানিনা, চোখ খুলে সামনে মেয়েটির মুখ না দেখে ধরফরিয়ে উঠলাম।
খেয়াল করে দেখি, তারা সিট বদল করেছে, আমার পাশের তরুণী এখন সামনের মেয়েটির পাশে গিয়ে বসেছে আর মেয়েটি তার কোলে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে। তরুণীও চোখ বন্ধ করে আছে – তবে মনে হচ্ছে, ঘুমাচ্ছে না।

কমপার্টমেন্টের সবাই নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
হয়ত আর আধা ঘণ্টা, তারপরেই চিটাগাং পৌঁছে যাবো। কিছুটা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ছেলেটিকে তাদের লাগেজগুলো একত্র করতে সাহায্য করলাম। সে ধন্যবাদ দেয়ায় - আমি শুধু একটু হাঁসতে পারলাম, নিঃশব্দে এবং কিছুটা জোর করেই।

ট্রেন পৌঁছে গেছে।
মেয়েটি ঘুম থেকে উঠেই নামার জন্যে তোড়জোড় করতে শুরু করে দিল।
আমার দিকে একবারও তাকাচ্ছে না। বিস্মিত হয়ে ভাবতে লাগলাম, সে কি ঘুমের মধ্যে সব ভুলে গেল নাকি?

“সেটা অসম্ভব” – নিজেকে নিজেই প্রবোধ দিতে গিয়ে হেসে ফেললাম।
আমার হাঁসি দেখে সে আমার দিকে তাকিয়ে হালকা একটু মিষ্টি করে হাসল।
তাকে তাকাতে দেখে আমি নীরবে হাত নাড়লাম – সে শুধু মিষ্টি করে বলল, ‘বাই’।

আমার ট্রেন থেকে নামতে মোটেও ইচ্ছে করছিল না। তার সাথে যতক্ষণ কথা বলছিলাম, আমার কাছে মনে হচ্ছিল আমি সিনেমার মধ্যে আছি। বাস্তবে এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই, হয়ত কখনই সম্ভব নয়। বারবার মনে হচ্ছিল, ট্রেন কেন আজ এত তাড়াতাড়ি চলে আসল, কত দিন দেরী করেছে! আজও না হয় দেরী করত, আরো দেরী!

ট্রেন প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে।
সবাই আগে নামার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, তাই নামার জন্যে বিশাল ভিড়।
এই ভিড়ের মধ্যেই ছেলেটি লাগেজ নিয়ে এগুনোর চেষ্টা করছে, তরুণী ঠিক তার পিছনে। আর মেয়েটি তাদের দুজনের পিছনে পিছনে লাইন ধরে এগুচ্ছে।

সবার চোখেমুখে এক ধরনের ক্লান্তির ছাপ ফুটে উঠেছে।
অথচ, তার মুখে আমি ক্লান্তির কোন চিহ্নও খুঁজে পেলাম না – তাকে অনেক খুশী এবং সুন্দর দেখাচ্ছিল।
হঠাৎ মনে পড়ল, আমি তার নাম জিজ্ঞেস করিনি – এতক্ষন ধরে কথা বলার পরেও। অন্তত তার নামটা তো জানতে পারি – ভাবনাটা মাথায় আসতেই আমি ভিড় ঠেলে তার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
কাছাকাছি গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
- "তোমার নাম কি? তুমি কোথায় পড়ো?"

অনন্যসাধারণ এক গভীরতায় আমার চোখের দিকে তাকিয়ে জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান হাঁসি উপহার দিয়ে, বিদায়ের ভঙ্গিতে নিঃশব্দে হাত নেড়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ল। ফিরেও তাকালো না, একবারের জন্যেও।

মোহাবিষ্টের মত তার সেই অমুল্য হাঁসি আমার মুখে নিয়ে, ধীরে ধীরে ষ্টেশন থেকে বাইরের দিকে হাটতে লাগলাম। মনে করতে পারলাম না, কে বলেছিলেন, “Sometimes the little things in life mean the most.”
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×