somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম বিরোধী মনোভাব প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে অযথা সরাসরি কাফের/নাস্তিক বলা উচিত নয়-

০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিটি মানব সন্তান নিষ্পাপ হয়েই জন্ম নেয়। তারপর যে যার মত কোরে নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় পরিমণ্ডলে জীবনের বেশ বড় একটা সময় অতিবাহিত করে। শিশু ও কিশোর কালটা যেহেতু গর্ভধারিণী মা ও স্নেহবৎসল বাবার সংস্পর্শে কাটায় তাই পারিবারিকভাবে লালিত ধর্মীয় ও সাংষ্কৃতিক চিন্তা-চেতনার প্রভাব তাদের সরল ও কোমল মনের উপর একটা ছাপ ফেলে। নিজের বুঝ আসার পর যদি তাদের কাছে সঠিকভাবে ইসলামের দাওয়াত পৌছে তবেই তারা পূর্বের গান্ডি থেকে বেরিয়ে এসে ইসলাম সম্পর্কে ভাবতে শেখে। এরপর আসে ইসলামকে জানার ও বোঝার অধ্যায়। এই পর্বটিও বড়ই কঠিন। সবার বোঝার বা বোঝাবার সামর্থ এক রকম নয়। ইসলাম যে শান্তি, সমপ্রীতি, সহনশীল, কুসংস্কারমুক্ত, সত্য ও সরল পথের দিশারী এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, মানবতাবাদী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ও কঠোর এবং ন্যায়ের বাস্তবায়নে অনড় ও সকল পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে- তা যদি ঠিকমত বোঝান যায় এবং আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় যখন কেউ ইসলামের প্রকৃত মর্ম বুঝতে সক্ষম হয়, তখন তার অন্তর মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি ভালবাসা ও বিশ্বাসে ভরপুর হয়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় তার মা-বাবা, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বোঝানো এবং তারা না বুঝলে তাদের কাছ থেকে সম্পর্কচ্ছেদ নয় বরং নুতন ধর্মীয় ভাবধারায় জীবন গড়ার জন্য মনস্তাত্বিক লড়াইয়ের পালা। এছাড়া কর্মস্থলের পরিবেশ পরিস্থিতি তো আছেই। জীবনটা তো আবেগশূন্য নয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই একজন অন্য ধর্মের মানুষের জন্য এই জানা ও মানার স্তরটি তো একেবারে আবেগ বিবর্জিত ও হালকাভাবে নেবার উপায় নেই। একদিকে অতি আপনজন মা-বাবা, ভাই-বোনদেরকে বোঝানো এবং অপরদিকে কিছুদিন চুপিচুপি আল্লাহতায়ালা ও রসুল (সাঃ) এর প্রতি বিশ্বাস ও ভালবাসায় সিক্ত হৃদয় নিয়ে তাকে নফসের সাথে যুদ্ধ করতে হয়। এদের কথা ব্যক্ত করেই আল্লাহতায়ালা বলেন-

সূরা বাকারা-
(০২:৬২) নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান রাখে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
(০২:১১১) ওরা বলে, ইহুদী অথবা খ্রীস্টান ব্যতীত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা ওদের মনের বাসনা। বলে দিন, তোমরা সত্যবাদী হলে, প্রমাণ উপস্থিত কর।
(০২:১১২) হাঁ, যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সমর্পন করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও বটে তার জন্য তার পালনকর্তার কাছে পুরস্কার বয়েছে। তাদের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।
(০২:২৭৭) নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং যাকাত দান করেছে, তাদের জন্যে তাদের পুরষ্কার তাদের পালনকর্তার কছে রয়েছে। তাদের কোন শঙ্কা নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।

সূরা ইমরান-
(০৩:১১৩) তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের (ইহুদী ও খ্রিষ্টান) মধ্যে কিছু লোক এমনও আছে যারা অবিচলভাবে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে এবং গভীর রাতে সেজদায় অবনত হয়।
(০৩:১১৪) তারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে এবং ন্যায়ের বাস্তবায়ন করে, অন্যায়ের পথে বাধা দেয় এবং সৎকাজের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকে। আর এরাই হল নেককার লোকদের অন্তর্ভুক্ত।
(০৩:১১৫) তারা যেসব সৎকাজ করবে, কোন অবস্থাতেই সেগুলোর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হবে না। আর আল্লাহ মুত্তাকী লোকদের ভালভাবেই চেনেন।
সূরা মায়েদা-
(০৫:৬৯) নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী ও খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।
সূরা বনী ইসরাইল -
(১৭:১৫) যারা সৎপথে চলে, তারা তো নিজেদের মঙ্গলের জন্যেই সৎ পথে চলে। আর যারা পথভ্রষ্ট হয়, তারা তো নিজেদের অমঙ্গলের জন্যেই পথভ্রষ্ট হয়। কেউ অন্য কারও ভার বহন করবে না। আর আমি কোন বার্তা বাহক না পাঠান পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দেই না।

হাদিছ-
যাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বললেন, আজ আবিসিনিয়ার এক নেকব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। তোমরা আসো তার জানাযা পড়। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমরা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়ালাম। অতঃপর নবী (সা.) তার জানাযা পড়লেন এবং আমরা কাতারে ছিলাম। আবু জুবাইর যাবির থেকে বর্ণনা করে বলেছেন, আমি দ্বিতীয় কাতারে ছিলাম। (বুখারী)

ইবনে আবু হাতেম ছাবিত এর সূত্রে, দারু কুতনি আফরাদে এবং বাযযার হুমাইদ সূত্রে, উভয়েই আনাস হতে বর্ণনা করেছেন, নবী (সা.) যখন নাজ্জাশীর জানাজা পড়লেন তখন সাহাবীগণের কেউ কেউ বললেন, তিনি (রাসূল সা.) একজন কাফিরের জানাজা পড়েছেন। তখন এ আয়াত (আলে-ইমরান: ১৯৯) নাযিল হয়-“আহলি-কিতাবদের মধ্যে কিছু লোক এমন আছে যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তোমাদের প্রতি নাযিল হওয়া কিতাবকে (কুরআনকে) বিশ্বাস করে, তাদের প্রতি নাযিল হওয়া কিতাবকে বিশ্বাস করে, আল্লাহকে ভয় করে চলে, ছোট-খাট ওজরের কারণে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে না। তাদের পাওনা প্রতিফল তাদের রবের নিকট উপস্থিত আছে আল্লাহ দ্রুততার সাথে ন্যায় বিচার সম্পাদনকারী। (দারু কুতনী, বাযযার)


উপরের হাদিছে বর্ণিত নাজ্জাসির ঘটনাটি একটি উদাহরন মাত্র। এধরনের আরও অনেক মানুষ যে থাকতে পারে এবং তাদেরকে যেন আমরা অবজ্ঞা না করি এবং তাদের সঙ্গে আমরা কেমন আচরন করব তা রসূল (সাঃ) তাঁর কর্মের মাধ্যমে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। নাজ্জাশির জানাযা পড়ার দলিল দিয়ে আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে, আহলে কিতাবদের মধ্যে এমন বিশ্বাসী মানুষও থাকতে পারে যাদের ভাগ্যে সবার সম্মুখে প্রকাশ করার ও আল-কোরআনের বিধান পুরোপুরি পালন করার সুযোগ হয়ত নাও হয়ে উঠতে পারে। তার ইমান আনার বিষয়টি অল্প সংখক মুসলমান জানতেন বলেই তো যারা জানতেন না তারা প্রথমে তাকে কাফের ভেবেছিলেন। অনেকে নাজ্জাশিকে স্বঘোষিত প্র্যাকটিসিং মুসলমান না জানলেও তিনি যে একজন নেক ব্যক্তি ছিলেন তা হাদিছে উল্লেখ আছে। আর স্বয়ং রসূল (সাঃ) বিষয়টি জানতেন বলেই তো তার জানাজা পড়েছিলেন। আহলে কিতাবদের মধ্যে যে এরূপ নেক ব্যক্তি থাকতে পারে সে সম্পর্কে আল কোরআনে আয়াত (আলে-ইমরান: ১৯৯) নাযিল হয়-

সূরা আল-ইমরান-
(০৩:১৯৯) আর আহলে কিতাবদের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে, যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে এবং যা কিছু তোমার উপর অবতীর্ণ হয় আর যা কিছু তাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলোর উপর, আল্লাহর সামনে বিনয়াবনত থাকে এবং আল্লার আয়াতসমুহকে স্বল্পমুল্যের বিনিময়ে সওদা করে না, তারাই হলো সে লোক যাদের জন্য পারিশ্রমিক রয়েছে তাদের পালনকর্তার নিকট। নিশ্চয়ই আল্লাহ যথাশীঘ্র হিসাব চুকিয়ে দেন।

সমাজের সামনে ইসলামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ব্যাক্তির মৃত্যুর পর জানাজা পড়তে হয়। কিন্তু কেউ যদি ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি সমাজের কারও সামনে প্রকাশই করার সময় বা সুযোগ না পান, তাহলে তো তার জানাজা পড়ার প্রশ্নই আসেনা। জান্নাত প্রাপ্তির জন্য জানাজা নয় বরং ইমান জরুরী। অমুসলিম কিংবা নামধারী মুসলিম হোক বা আহলে কিতাবই হোক- তারা রাসূল (সাঃ) কে যতই ভাল বলুক বা স্বীকার করুক, কিন্তু তারা যদি মহান স্রষ্টা এক আল্লাহতায়ালাকেই অস্বীকার করে ও রাসূলের (সাঃ) আদর্শকে মানেনা বলে তাদের কথা ও কর্মের মাধ্যমে প্রচার করে বেড়ায়, তাহলে তাদেরকে আমরা নাস্তিক হিসেবেই মনে করব এবং তাদের মুত্যুর পর জানাজা পড়ার কথা চিন্তা করাটাও অবান্তর বৈকি। একজন সত্যিকার অবিশ্বাসী/ নাস্তিক নিশ্চয় এমনটি দাবি করবেন না। কারণ সারাটা জীবন অবিশ্বাসীর ন্যায় কাটিয়ে এবং প্রকাশ্যে বিশ্বাসীদের বিরোধীতা করে মৃত্যুর পর ধর্মীয় আচারের লোভ সামলাতে না পারাটা হাস্যকর নয় কি?

ইমান আনার পর পূর্ণাঙ্গ ইসলাম জানা ও তা মানার জন্য অবশ্যই যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। একজন খাঁটি ইমানদারের পরিচয়ই তো তাই এবং সে সব সময়ই জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইবে। আল্লাহতায়ালার বিধান ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর আদর্শ মেনে চলা ছাড়া জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই পাওয়া কখনই সম্ভব নয়। অন্য ধর্মের কোন মানুষ যদি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালা ও রসূল (সাঃ) উপর বিশ্বাস আনার পর এবং জানার পর সহসা ইসলামি শরীয়ত ঠিক ঠিক মত মানতে না পারে অথবা অন্তরে বিশ্বাস আনার পর তা প্রকাশ করার ও পূর্ণাঙ্গরূপে জানার আগেই তার মৃত্যু হয় তাহলে কি হবে?

আমরা আলকোরআন ও হাদিছের আলোকে যতটুকু বুঝি তা থেকে বলা যায়-

*নিশ্চয় অবহেলা কোরে না মানলে তার ভীষণ শাস্তি হবে কিন্তু বিশ্বাস আনার কারনে শাস্তি ভোগের পর একদিন হয়ত মুক্তি মিলবে।

*আবার অন্যদিকে মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়ার পরও অবিশ্বাস নিয়ে বা সারা জীবন শিরকৃ কোরে মরলে জাহান্নাম অবধারিত।

*কারও ইমান আনার বিষয়টি যদি অপ্রকাশিত থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মুসলমান হিসেবে প্রাপ্য পার্থিব সকল প্রকার অধিকার থেকে তো সে বঞ্চিতই থেকে যাবে। তবে পরকালের প্রাপ্তিটা তো সূক্ষ্মদর্শি ও সুবিজ্ঞ বিচারক মহান আল্লাহরই হাতে।

*অন্তরের খবর তো আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন । তাই কার ব্যপারে তিনি কি সিদ্ধান্ত নেবেন অর্থাৎ কোন মানুষকে তিনি কিভাবে বিচার করবেন, কাকে মাফ করবেন, কাকে শাস্তি দেবেন বা কার শাস্তির মাত্রা লাঘব করবেন- এটা একমাত্র তাঁরই এখতিয়ারভুক্ত।

সূরা ইউনূস-
(১০:০৪) তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে তোমাদের সবাইকে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনিই সৃষ্টি করেন প্রথমবার আবার পুনর্বার তৈরী করবেন তাদেরকে বিনিময় দেয়ার জন্য যারা ঈমান এনেছে এবং ভাল কাজ করেছে ইনসাফের সাথে। আর যারা কাফের হয়েছে, তাদের পান করতে হবে ফুটন্ত পানি এবং ভোগ করতে হবে যন্ত্রনাদায়ক আযাব এ জন্যে যে, তারা কুফরী করছিল।
(১১:১০৬) অতএব যারা হতভাগ্য তারা দোযখে যাবে, সেখানে তারা আর্তনাদ ও চিৎকার করতে থাকবে।
(১১:১০৭) তারা সেখানে চিরকাল থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তাদের কথা আলাদা যাদের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালক ভিন্ন কিছু ইচ্ছা করেন। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক যা চান তা বাস্তবায়নে তিনি ক্ষমতাবান।

আহলে কিতাবধারী (বিশেষ কোরে সেই সব ইহুদি, নাসারা) অর্থাৎ যাদের ধর্মীয় গ্রন্থে আল্লাহর একত্ববাদের শিক্ষা ও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আগমনের ইংগিত রয়েছে তাদের সবাইকে যেমন আমরা বিশ্বাসী ভাবতে যাবনা, তেমনি তারা সবাই অবিশ্বাসী এবং সরাসরি জাহান্নামে যাবে আর আমরা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি বলেই সবাই জান্নাতে যাব- এমনটাও ভাবা ঠিক নয়। বাহ্যিক কথাবার্তা, আচার-আচরন ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী মনোভাব প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে অযথা সরাসরি কাফের/নাস্তিক ভাবা বা বলা উচিত নয়।

সূরা আল মোমতাহেনা-
(৬০:০৮) যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে নিজ বাসস্থান থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায় আচরণ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না; নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।
(৬০:০৯) আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে এবং এ উচ্ছেদকার্যে এক অপরকে সহায়তা করেছে। এরপরও যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।

যারা সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে নয় উপরের আয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখতে ও ন্যায় আচরণ করতে বলা হয়েছে এবং এটা দাওয়াতেরও একটি অংশ। ইসলাম বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পেলেও কাউকে মুখের উপর কাফের বলার প্রয়োজন নেই বরং তাদেরকে বন্ধু তথা আপনজন না ভেবে প্রয়োজন অনুযায়ীই বুঝে শুনে পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। তবে প্রকাশ্যে বা গোপনে কেউ ইসলামের অবমাননা ও মিথ্যাচারে লিপ্ত থাকলে সাধারণ মানুষকে তাদের বিভ্রান্তিকর অপচেষ্টা থেকে সাবধান করার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে শুধু শুধু গালি দেবার উদ্দেশ্যে নয় বরং আসল রূপ উন্মোচনের জন্য তাদেরকে কাফের/ নাস্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করা জরুরী বটে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
৪২টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের জাতির কপালে শনি আছে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১১



একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×