somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করা জরুরী কি?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ-
তাদের উভয়েরই মত হলঃ জাহরী নামাযে, যেমন- ফজর, মাগরিব ও এশায় ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পড়েন তখন মুক্তাদীদের জন্য ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা পাঠ করার দরকার নেই। কিন্তু সিরী নামাযে, যেমন- যুহর ও আছরের সময় ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন তখন মুক্তাদীদের জন্য সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে।

ইমাম শাফীর মত অনুসারে- 'জাহরী ও সরী' উভয় জামাতে ইমাম ও মুক্তাদিদের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠের গুরুত্বই প্রকাশ পেয়েছে।

আমিও ইমাম মালিক, ইমাম আহমদ ও ইমাম শাফীর মতের সাথে সহমত পোষণ করি। কারন জাহরী নামাযে ইমাম যখন কেরাত শব্দ করে জোরে জোরে পাঠ করেন তখন মনযোগ দিয়ে শুনলে এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করলেই তা পাঠ করার শামিল। আর সিরী নামাযে ইমাম যখন কেরাত চুপে চুপে পড়েন তখন মুক্তাদি তা শুনতে পারেন না। তাই সে সময় মুক্তাদির জন্যও মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করা আবশ্যক বৈকি।

তবে কোন হাদিছের বক্তব্যের দ্বারা কারো কাছে যদি "ইমামের পেছনে মনে মনে সূরা ফাতিহাও পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করার দরকার নেই"- এই মতটি বেশি নির্ভরযোগ্য মনে হয়, তাহলে তারা সেভাবে আমল করতে পারেন। এটা তাদের অভিরুচি।

আমি আমার সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে আল-কোরআন থেকে দলিল উপস্থাপন করতে চাই-

সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ)
(০৭:২০৪) অর্থ- আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।
(০৭:২০৫) অর্থ- আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না।

(০৭:২০৪) নং আয়াতটি আল- কোরআন পাঠের/তেলাওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট। নামাজের সময় তো বটেই, অন্য যে কোন সময় কোরআন পাঠ শুনতে পেলে সেখানে উপস্থিত মুসলিমের জন্য তাতে কান লাগিয়ে রাখা অর্থাৎ তা মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করা চাই। মানুষ তখনই শুনতে পারে যখন মুখে শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করা হয়। আবার কতটা শব্দ করা বাঞ্ছনীয় তা পরের আয়াতেই স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে।

তবে (০৭:২০৪) নং আয়াতে নিশ্চুপ থাকার বিষয়টি লক্ষণীয়। এই আয়াতের শর্ত অনুসারে কাউকে মনে মনে বা মুখে শব্দ করে কোরআন পাঠ করতে দেখলে উভয় ক্ষেত্রেই নিশ্চুপ থাকা চাই যেন পাঠকারীর কোন অসুবিধা না হয়। যে কোন নামাজের সময় মুক্তাদিদের তো অবশ্যই নিশ্চুপ থাকতে হবে। অন্য সময়েও যারা পাঠকারীর নিকটে থাকবেন তাদেরও নিশ্চুপ থাকা চাই। সেই সাথে এর পরের (০৭:২০৫) নং আয়াতেই পরিষ্কার জানিয়ে দেয়া হলো যে, নিশ্চুপ অবস্থায় যেমন আপন মনে স্মরণ করা চাই, তেমনি শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করলেও স্মরণ করতে হবে। তবে শব্দ করে পড়ার সময় স্বরটা এমন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন তা চিৎকার করার পর্যায়ে না যায়।

সুতরাং কান লাগিয়ে শোনা অর্থাৎ মনযোগ সহকারে শোনার প্রশ্ন তখনই আসে যখন ইমাম/পাঠকারী মুখে শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করবেন। তবে নিশ্চুপ থাকার বিষয়টি শব্দ করে পাঠ/তেলাওয়াত করা ও মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত করা- এই উভয় অবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট।

সূরা মুযযামমিল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(৭৩:২০) অর্থ- আপনার পালনকর্তা জানেন, আপনি এবাদতের জন্যে দন্ডায়মান হন রাত্রির প্রায় দু’তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ ও তৃতীয়াংশ এবং আপনার সঙ্গীদের একটি দলও দন্ডায়মান হয়। আল্লাহ দিবা ও রাত্রি পরিমাপ করেন। তিনি জানেন, তোমরা এর পূর্ণ হিসাব রাখতে পার না। অতএব তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমা পরায়ণ হয়েছেন। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হবে, কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশে-বিদেশে যাবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জেহাদে লিপ্ত হবে। কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। তোমরা নিজেদের জন্যে যা কিছু অগ্রে পাঠাবে, তা আল্লাহর কাছে উত্তম আকারে এবং পুরস্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

এই আয়াতটি যদিও সূরা ফাতিহা পাঠের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয়। তবে নামাজে আল-কোরআনের কোন না কোন অংশ যে পাঠ করতেই হবে সেই নির্দেশটি এখানে স্পষ্ট। হাদিছের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, নামাজে অন্ততপক্ষে সূরা ফাতিহা পাঠ করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং রাসূল (সাঃ) প্রতি রাকাতের শুরুতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন।

সূরা বনী ইসরাঈল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১৭:১১০) অর্থ- বল, আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই। নামাযে স্বর উচ্চ করবে না এবং নিঃশব্দেও পড়বে না। এ দু'য়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর।
(১৭:১১১) অর্থ- বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি, না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহয্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।

(১৭:১১০) নং আয়াতটিকে শুধুমাত্র ইসলামের প্রাথমিক যুগে মক্কার মুশরিকদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে নাযিল করা হয়েছে, এমনটি মনে করা ঠিক নয়। সেই সময়ের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করলে হয়ত এমনটি ভাববার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এর দিকনির্দেশনা শুধু সেই সময়কার জন্যই সীমাবদ্ধ নয়। এই শাশ্বত পথনির্দেশনা সর্বকালের সকল বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য হতে পারে। মহান স্রষ্টার গুণকীর্তন ও মাহাত্ম্য ঘোষনা এবং অনুধাবন করার ও করাবার জন্য গলাবাজি ও উগ্রপন্থা নয়, বরং স্নিগ্ধ ও সাবলীল ভাষা ও স্বরে এবং মধ্যপন্থা অবলম্বনই যে শ্রেয়, এখানে মূলত এই ইংগিতই দেয়া হয়েছে।

হাদিছ মতে নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত করা যেহেতু আবশ্যক মনে করা হয়, তাই জাহরী সালাতের সময় ইমাম মুখে শব্দ করে পাঠ করলে এবং তা শোনা গেলে মুক্তাদিদের জন্য সেই তেলাওয়াত মনযোগ সহকারে শোনার সাথে সাথে মনে মনে অর্থ স্মরণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করাই যথেষ্ট। আর সরী সালাতে ইমাম মনে মনে পাঠ করায় যেহেতু শোনা সম্ভব নয়। তাই উপরে উল্লেখিত আল-কোরআনের বাণী এবং হাদিছের বক্তব্য অনুসারে এক্ষেত্রে একবারে চুপটি মেরে দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে বরং মুক্তাদিদের জন্যও মনে মনে অন্তত সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবনের চেষ্টা করাই যুক্তিযুক্ত এবং শ্রেয় বৈকি।
……………………………………………

এক ভাই প্রশ্ন করেছেন-
আপনি যে আয়াতটিকে (০৭:২০৫) এখানে উল্লেখ করেছেন, দয়া করে বলবেন কি কোন তাফসীর অনুসারে আপনি এই আয়াতটিকে নামায সংশ্লিষ্ট করছেন?
আপনি কি জানেন, এটি শবে মেরাজে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার পূর্বের কথা? আর এখানে জিকিরকেই মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
(দেখুন তাফসীর ইবনে কাসীর)
নামাযের সুরা ফাতিহা পড়ার মাসআলা প্রসঙ্গে কেউই এই আয়াতটিকে রেফারেন্স হিসেবে আনেননি।
এই আয়াতের বিস্তারিত তাফসীর পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
আর আপনি বলেছেন বিভিন্ন হাদীস মতে আপনি আপনার মতটিকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন - দয়া করে বলবেন, কোন কোন হাদীস মতে ?
ধন্যবাদ।
……………………………………………………………
আমার জবাব-
অন্য রকম মনে করবেন কিনা জানি না। তবুও বলছি-
আমি আল-কোরআনের প্রতিটি আয়াতের বক্তব্যের উপর সম্পূর্ণ ভরসা করি। কিন্তু কোন তফসির বা ব্যাখ্যার উপরে তেমনটি ভরসা করি না। কারন তাফসীর ইবনে কাসীর ছাড়াও অনেক তফসির বা ব্যাখ্যা গ্রন্থ রয়েছে এবং পরবর্তীতে আরও এসেছে। সব ব্যাখ্যা আবার এক রকমও নয়। কিছুটা পার্থক্য আছে বৈকি। তাই ভবিষ্যতে বিষয় ভিত্তিক আরও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা আসতেই পারে।

এবার আমি প্রশ্ন করি-
*পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হবার আগে কি রাসূল (সাঃ) কোন সালাতই আদায় করতেন না?
*আল-কোরআনের নাযিলকৃত আয়াতগুলো কি সেই প্রথম যুগ থেকেই পাঠ/তেলাওয়াত করা হত না?

আমি মনে করি, (০৭:২০৪) নং আয়াত যদি সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে করা হয়, তাহলে এর পরের আয়াতের বক্তব্যও সালাতের সাথে একবারেই সংশ্লিষ্ট না হবার কোন কারন থাকতে পারে না। তবে আপনি একটু ভুল বুঝেছেন। এটিকে আমি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করিনি, বরং সূরা ফাতিহা তো বটেই এবং এ বাদে কোরআনের অন্য যে কোন অংশ পাঠের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে করি। যাকে আপনি জিকির বলছেন।

তবে নিম্নে উল্লেখিত আল-কোরআনের (১৫:৮৭) নং আয়াত ও হাদিছের বক্তব্য অনুসারে সালাতে অন্তত সূরা ফাতিহা (বার বার পঠিতব্য সাতটি আয়াত) পাঠ/তেলাওয়াত/স্মরণ করাকে আমি আবশ্যক মনে করি -

সূরা হিজর (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১৫:৮৭) অর্থ- আমি আপনাকে বার বার পঠিতব্য সাতটি আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।

বুখারী শরীফ (দ্বিতীয় খন্ড)- 'ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ'
১০৮ পৃষ্ঠার ৪৮৭ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে-
সব সালাতের ইমাম ও মুকতাদীর কিরাত পড়া জরুরী, মুকীম ।বস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দে হোক বা নিঃশব্দে, সব সালাতেই ইমাম ও মুকতাদীর কিরআত পড়া জরুরী।
এবার ১০৯ পৃষ্ঠার ৭২০ নং হাদিছটি লক্ষ করুন-
আলী ইবনে আবদুল্লাহ (র) .....উবাদা ইবন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার নামায হল না।

'Characteristics of Prayer' of Sahih Bukhari.
723: Narrated 'Ubada bin As-Samit: Allah's Apostle said, "Whoever does not recite Al-Fatiha in his prayer, his prayer is invalid."

739: Narrated Abu Huraira: The Qur'an is recited in every prayer and in those prayers in which Allah's Apostle recited aloud for us, we recite aloud in the same prayers for you; and the prayers in which the Prophet recited quietly, we recite quietly. If you recite "Al-Fatiha" only it is sufficient but if you recite something else in addition, it is better.

সুতরাং এর পরে অন্য কোন পন্ডিত ব্যক্তি, তারা যেই হোক না কেন- তাদের কাছে আমার আর কিছু জানার প্রয়োজন নেই। আমি আমৃত্যু জাহরী সালাতে ইমামের তেলাওয়াত শোনার সাথে সাথে অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করার জন্য সচেষ্ট থাকব এবং সরী সালাতে মনে মনে সূরা ফাতিহা (Recite) পাঠ/তেলাওয়াত এবং স্মরণ ও অনুধাবন করেই সালাত আদায় করব বলে মনস্থির করেছি। সালাতে অন্তত সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত/স্মরণ না করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝিমানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ-
………………………………………………………………

এক ভাই প্রশ্ন করেছেন-
*যেসব হাদীস সুরা ফাতিহা পড়তে নিষেধ করে, সেগুলোর কি ব্যাখ্যা দিবেন আপনি?
*আর বড় বড় সাহাবীরা সবাই সুরা ফাতিহা পাঠ করতে নিষেধ করেছেন। তবে তাঁরা কি ভুল বলেছেন?
তাঁরাই তো হুজুরে পাক(সঃ) এর সবচেয়ে নিকটবর্তী ছিলেন এবং কোরআন হাদীস সবচেয়ে ভাল বুঝতেন।
…………………………………………………………………………..

আমার জবাব-
তাহলে কি দুই ইমামের (ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ) দেয়া উপরের মতটির কোন ভিত্তি নেই!!?? অবশ্যই আছে-
বড় বড় সাহাবীগণ ইমামের পিছনে কেরাত পড়া/কোরআন তেলাওয়াত করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং আমিও তা অস্বীকার করছি না। তবে আমি মনে করি এই কেরাত পড়া/কোরআন তেলাওয়াত করা বলতে নিশ্চয় মুখে শব্দ করে পড়ার কথাই বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন হাদিছের বক্তব্য অনুসারে বোঝা যায় যে, ইমামের পেছনে মুক্তাদিরা যেন স্ব-শব্দে কেরাত পাঠ না করে মূলত সেদিকেই ইংগিত দেয়া হয়েছে। কারন মুক্তাদিরা জামাতে ফিসফিসিয়ে কেরাত পাঠ করলেও তাতে ইমাম সহ সকল নামাজির অসুবিধা হবে। তাই এই নিষেধাজ্ঞার দ্বারা সুরা ফাতিহা মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করা যাবেই না, এমনটি ভেবে নেয়ার সাথে আমি একমত নই।

তাই সিরী সালাতে ইমাম যখন মনে মনে তেলাওয়াত করেন তখন মুক্তাদিদের জন্য সূরা ফাতিহা (জোরে নয়) মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত এবং অর্থ স্মরণ ও অনুধাবন করাই শ্রেয় বলে আমি বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ-
………………………………………………

এক ভাই বলেছেন-
মুসলিম শরীফে আছে,
আবু হুরায়রা (রঃ) বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যখন ইমাম তিলাওয়াত করে, শুন এবং চুপ থাক।
বলুন, আপনি কেন এই হাদীস গ্রহণ করছেন না ?
……………………………………………………………………..

আমার জবাব-
মুসলিম শরীফে আছে-
আবু হুরায়রা (রঃ) বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যখন ইমাম তিলাওয়াত করে, শুন এবং চুপ থাক।

আমি অবশ্যই এই হাদিছ মানি। আপনি অনুগ্রহ করে ভাল করে দেখুন। এখানে বিষয়টি যখন ইমামের তেলাওয়াত শোনা যায় তার সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই জাহরী সালাতে যখন ইমামের তেলওয়াত শোনা যায় তখন আমিও চুপ থেকে তা শুনি ও স্মরণও করি। আর উপরে উল্লেখিত 723 ও 739 নং হাদিছ মতে সরী নামাজে যখন ইমামের তেলাওয়াত শোনা যায়না তখন মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ/স্মরণ করি।

বাকিটা মহান আল্লাহতায়ালার হাতেই ন্যস্ত করতে চাই। আমার বোধ অনুসারে এর চেয়ে উত্তম অন্য কিছু হতে পারে না।
ধন্যবাদ-
…………………………………………………………

এক ভাই বলেছেন-
হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি অযু করল, কিন্তু বিসমিল্লাহ পড়ল না, তার অযু শুদ্ধ হল না।
তাহলে কি আপনি এখানেও বলবেন, বিসমিল্লাহ না পড়লে অযু হবে না।
আর এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তির প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে, সে মুসলিম না।
আর এক হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি ওয়াদা পূরণ করল না, সে মুসলিম না।
এগুলো একই ধরণের হাদীস।
একজন মানুষ ওয়াদা ভংগ করার পরও কিন্ত সে মুসলিম থাকে।
আশা করি আপনার বুঝে আসবে।
.......................................................

আমার জবাব-
জী ভাই,
আপনি সালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন অন্য যে সব হাদিছের উল্রেখ করেছেন সেগুলো ভিন্ন প্রসঙ্গ এবং বক্তব্যও ভিন্ন। সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের গুরুত্ব বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো টেনে আনা মানে বক্তব্যকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া। আমি যা খুবই অপছন্দ করি। কিন্তু তারপরও কিছু বলছি-

মুসলিম মাত্রই যেকোন ভাল কাজে 'বিসমিল্লাহ.....' পড়া চাই। কিন্তু ভুল বশত কেউ বিসমিল্লাহ না বলে খাওয়া সেরে ফেললে কি তার খাওয়া হবে না? নিশ্চয় হবে, তবে তা সুন্নাত মোতাবেক শুদ্ধ হবে না। পরবর্তীতে যেন এমনটি আর না হয় একজন মুসলিম হিসেবে তো সেদিকে খেয়াল রাখা চাই। তেমনি বিসমিল্লাহ না পড়লে ওযু শুদ্ধ হবে না বলায় ওযু একদমই হবে না, এমনটি ভাববার কোন কারন আছে কি? তবে ওযু হলেও তা যে একেবারে ত্রুটিমুক্ত হবে না, এখানে সে কথাই বোঝানো হয়েছে। অজ্ঞাতসারে বা ভুল বশত এরূপ ত্রুটিযুক্ত ওযু করে নামাজও হয়ে যাবে। কিন্তু ভাই, জানার পরও ইচ্ছাকৃত বার বার এ ধরনের ত্রুটিযুক্ত ওযু করা কি ঠিক হবে? মূলত এখানে বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করার গুরুত্বের প্রতিই ইংগিত দেয়া হয়েছে।

একই ভাবে বলা যায়, কারও নিকটতম প্রতিবেশী দিনের পর দিন না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে জেনেও নিজে ভোগ বিলাসিতায় মত্ত থেকে তার প্রতি অবজ্ঞা করা কি কোন মুসলিমের কাজ হতে পারে? জন্মসূত্রে ও নামে তার মুসলিম পরিচয়টা বহাল থাকলেও, তার কামটা কিন্তু প্রকৃত মুসলিমের পরিচয় বহন করে না। অর্থাৎ কর্মের দ্বারা তিনি সাচ্চা মুসলিম হতে ব্যার্থ হয়েছেন।

আবার দিনের পর দিন বার বার ওয়াদা ভঙ্গ করা একজন সাচ্চা মুসলিমের পরিচয় বহন করে না। ধরুন কারো 'মুসলিম' নাম এবং পোষাক-আষাক দেখে মানুষ তাকে বিশ্বাস করল। কিন্তু ওয়াদা ভঙ্গ করা যদি সেই নামধারী লোকটির খাছিলত হয়ে থাকে এবং সে সরল মনের সুযোগ নিয়ে বার বার ওয়াদা ভঙ্গ করতে থাকে- তাহলে কি এই কর্মটি কোন মুসলিমের পরিচয় বহন করে? মুসলিম নামধারী হলেও তার কর্ম সাচ্চা মুসলিম হবার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বটে। কাজেই এক্ষেত্রে মুসলিম হিসেবে তার প্ররিচয়টা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

উপরের এই হাদিছগুলোর দ্বারা প্রকৃত অর্থে কর্মের ধরন অনুসারে তার গুরুত্বের প্রতি ইংগিত প্রদান করা হয়েছে। একই ভাবে 'সূরা ফতিহা পাঠ না করলে নামাজ হবে না' বলতে এখানে সূরা ফাতিহা পাঠের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। কজেই সালাতে ক্ষেত্র বিশেষে (জাহরী সালাতের ক্ষেত্রে জামাতে ইমাম এবং একাকী পড়লে নামাজিকে) সূরা ফাতিহা যেমন জোরে পাঠ করতে হবে, তেমনি একেবারে গাফেল না থেকে ক্ষেত্র বিশেষে (সরী সালাতের ক্ষেত্রে জামাতে ইমাম এবং মুক্তাদিদের) মনে মনে পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে ইংগিত প্রদান করা হয়েছে।

অনেকে নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করা যাবে কিনা তা নির্ধারনের জন্য নিচের হাদিছগুলো দলিল হিসেবে পেশ করে থাকেন-

১/ জাবীর (রঃ) বর্ণনা করেন, “যার কোন ইমাম আছে, তার জন্য তার ইমামের কেরাতই যথেষ্ট।” (আল জাওহারুন নিকাহ ১৫৯ : ২, ই’লা’উস সুনান ৬১ : ৪, ইবনে আবি শাইবাহ ৩৭৭ : ১)

২/ আবদুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ বর্ণনা করেন, “রসূলুল্লাহ (সঃ) আসর নামায পড়ালেন। একজন তাঁর (সঃ) পিছনে কেরাত পড়া আরম্ভ করল, এজন্য তার পাশে থাকা আরেকজন তাকে কনুই দিয়ে আঘাত করল (মৃদু ঠেলা দিল)।যখন সে নামায শেষ করল, তখন জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কেন আমাকে কনুই দিয়ে আঘাত করলে?’ দ্বিতীয় ব্যক্তিটি উত্তর দিল, ‘রসূলুল্লাহ (সঃ) তোমার সামনে, অতএব আমি তোমাকে ইমামের পিছনে কেরাত পড়তে দিতে পারি না(বা অনুমোদন করি না)’।রসূলুল্লাহ (সঃ) এটি শুনলেন এবং বললেন, ‘যার কোন ইমাম আছে, ইমামের কেরাত তার জন্য তার যথেষ্ট ’। ” (মুয়াত্তা মুহাম্মদ ৯৮; ই’লা’উস সুনান ৭০ : ৪)

৩/ আবু হুরাইরা (রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একদা রসূলুল্লাহ (সঃ) উচ্চস্বরে কেরাত পাঠের মাধ্যমে নামায আদায়ের পর পিছনে ঘুরলেন (আমাদের দিকে)। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ ‘তোমাদের কেউ এখন আমার সাথে (নামাযের মধ্যে) কেরাত পাঠ করেছ কি?’ জবাবে এক ব্যক্তি বললেন, ‘হ্যাঁ, আল্লাহর নবী (সঃ)। ’তখন নবী করীম (সঃ) বলেন, ‘আমি অবাক হচ্ছিলাম (মনে মনে খুঁজছিলাম), আমার কি হল যে কোরআন পাঠের সময় আমার কষ্ট হচ্ছিল।’ রসূলুল্লাহ (সঃ) হতে এরূপ শোনার পর লোকেরা উচ্চস্বরে কেরাত পঠিত নামাযে তাঁর পিছনে কেরাত পড়া হতে বিরত থাকেন। (তিরমিযী ৭১ : ১; মালিক ৫১; নাসাঈ ১৪৬ : ১; আবু দাঊদ ১৪৬ : ১; ইবনে মাজাহ ৬১, বায়হাকী ১৫৭ : ২)

৪/ ইমরান ইবনে হুসাইন (রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদেরকে যোহরের নামায পড়াচ্ছিলেন তখন একজন তাঁর পিছনে ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’ তিলাওয়াত করছিল। নামায শেষে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে আমার পিছনে সূরা ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’ পাঠ করেছ? এক ব্যক্তি বলল, আমি।তিনি বললেন, আমি অনুমান করেছি তোমাদের মধ্যে কেউ আমার কাছ থেকে (কুরআন) পাঠ ছিনিয়ে নিচ্ছ (আমার সাথে কুরআন পাঠে প্রতিযোগিতা করছ) ।” (সহীহ মুসলিম শরীফ ১৭২ : ই’লা’উস সুনান ৫৬ : ৪)

৫/ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রঃ) বর্ণনা করেন যে, সাহাবীগণ রসূলুল্লাহ (সঃ) এর পিছনে তিলাওয়াত করতেন, তখন রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, তোমরা আমাকে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতে দ্বন্দে বা বিভ্রান্তিতে ফেলে দাও। (মজমা উয যাওয়াইদ ১ ১০ : ২; আল জাওহারুন নাকীহ ১৬২ : ১)

প্রকৃত অর্থে এই হাদিছগুলোর মাধ্যমে সরী নামাযেও সূরা ফাতিহা পাঠ না করার পক্ষে কোন সিদ্ধান্তে আসা আদৌ যুক্তিসংগত বা সঠিক কি? ১ নং হাদিছে ইমামের কেরাত বলতে যে শব্দ করে কেরাত পাঠের কথা বোঝানো হয়নি সেই বিষয়টি বোঝার চেষ্টা না করে সরী নামাযেও মুক্তাদিদের জন্য মনে মনেও সূরা ফাতিহা পাঠ করাকে নিষিদ্ধ করা ঠিক কি? ২, ৩, ৪ ও ৫ নং হাদিছের বক্তব্য অনুসারে জামাতে উপস্থিত কেউ কেউ যে রাসূল (সাঃ) পেছনে দাঁড়িয়ে শব্দ করে কেরাত পাঠ করায় তিনি তা শুনতে পাচ্ছিলেন এবং সে কারনে তার কেরাত পাঠে ব্যাঘাত ঘটছিল, সেই বিষয়টিই ফুটে ওঠে। ৪ নং হাদিছে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, একজন ‘সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’ তিলাওয়াত করছিল। সেই মুক্তাদি এই সূরাটি জোরে জোরে পাঠ/তেলাওয়াত করছিলেন বলেই তো তা শোনা যাচ্ছিল। তাই এভাবে জোরে জোরে পাঠ না করার কথাই বলা হয়েছে। বিভিন্ন সাহাবাদের উক্তি থেকেও বোঝা যায় যে, সালাতে মুক্তাদিদের জন্য স্ব-শব্দে কেরাত পাঠের নিষেধাজ্ঞাই প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলে মনে মনেও সূরা ফাতিহা পাঠ/তেলাওয়াত ও স্মরণ করা যাবেই না, এরূপ সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়।

বেশ কয়েকটি সহী হাদিছে জাহরী সালাতে ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠ শেষ করার সাথে সাথে মুক্তাদিদেরকেও স্ব-জোরে আমীন বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। ইমামের তেলাওয়াতের সাথে সাথে আমীন বলা তখনই সম্ভব হতে পারে, যদি মুক্তাদিরাও সেই তেলাওয়াত মনযোগ সহকারে শোনেন ও নিজেও মনে মনে পাঠ এবং স্মরণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেকেই কোন্ যুক্তিতে জোরে আমীন বলতেও কুণ্ঠা বোধ করেন সেটা আমার বোধগম্য নয় এবং অবাক হই বটে। দলমত নির্বিশেষে অন্তত এই বিষয়টির প্রতি সবারই খেয়াল রাখা ও আমলে আনা জরুরী নয় কি?

যে সালাতে ইমাম জোরে কোরআন পাঠ করেন সেই সালাতে মুক্তাদিদের জন্য জোরে কোরআন পাঠ/তেলাওয়াত করার কথা কেউই বলেন নাই। তবে যেহেতু অন্যান্য ইমামদের মত ও হাদিছ অনুসারে জামাতে মুক্তাদিদের জন্য ইমামের কেরাত যথেষ্ট বলে সিদ্ধান্ত এসেছে। তাই ওযর বশত, যেমন জামাতে একটু দেরি করে (কোন রাকাতের রুকুতে থাকা অবস্থায়) আসায় বা অমনযোগীতার কারনে ভুলে যাওয়ায় মনে মনে পাঠ/স্মরণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলে যে তাতে নামাজ হয়ে যাবে- এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে ওযর না থাকলেও ইচ্ছাকৃতভাবে সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ/স্মরণ করার সুযোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে আমি মোটেই রাজি নই।

মহান আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন-
ধন্যবাদ-
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের জাতির কপালে শনি আছে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১১



একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা বলেছে স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না, সুতরাং ভারতের অধীন হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানের অধীন থাকা ভালো। তারা মনে করেছে অধীকাংশ নাগরিক তাদের দলে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

হাদি কি লড়াকু সৎ এবং নিবেদিত প্রাণ নেতা ?

জুলাই আন্দোলনে তিনি প্রথম সারির নেতা ছিলেন না , তাকে কেউ চিনতো না কয়েক মাস আগে ও ।

জুলাই জংগীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ৩০ দেশের দুষ্ট আমেরিকান রাষ্ট্রদুত বদলায়ে দিচ্ছে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



আইয়ুব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার পর, বাংগালীদের লাথি খেয়ে সরেছে; জিয়া, কর্নেল তাহের ও জাসদের গণ বাহিনী আমাদের দেশকে নরক (১৯৭৫ সাল ) বানিয়ে নিজেরা নরকে গেছে। আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×