somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ কিংবা খামকা বাড়াবাড়ি করা ঠিক কি?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ভাইয়েরা, প্রথমেই বলে রাখি- আমি সেই সব ক্লিন সেভ্ড আলট্রামর্ডান ম্যানদের পক্ষে নই, যারা সুযোগ পেলেই দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেন না। আবার লম্বা দাড়ি রেখে যারা অহঙ্কার ভরে অন্যকে ফাছিক আখ্যা দিতে অভ্যস্ত, তাদের সাথেও নেই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্ম থাকতে সেগুলো ছেড়ে দাড়ি নিয়ে এরূপ বাড়াবাড়ি করে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য ও বিভেদ সৃষ্টি করা ঠিক কি? Fāsiq (فاسق) = anyone who has violated Islamic law; usually refers to one whose character has been corrupted (plural "fasiqun")

আল্লাহর বিধান কোন বিশেষ স্থান, কাল ও পাত্র নয় বরং গোটা বিশ্বের মানুষের জন্যই প্রেরিত হয়েছে। সমগ্র মানবজাতির মাঝে স্রষ্টারই ইশারায় বৈচিত্রময় স্বভাব ও রুচিবোধ সম্পন্ন মানব সন্তানের আবির্ভাব ঘটেছে। সবার রুচিবোধ যে এক রকম নয় তা মহান আল্লাহতায়ালা খুব ভাল করেই জানেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিনি হালাল-হারামের যে সীমা নির্ধারণ করেছেন, প্রকৃতপক্ষে তার লিস্টটা খুবই ছোট এবং নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য কল্যাণকর বটে। আল-কোরআনে বিশ্বাসীদের জন্য দাড়ি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়নি বা দাড়ি কাটার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞাও আরোপিত হয়নি। এই সার্বজনীন ঐশী গ্রন্থে বিশ্বাসীদের সম্পর্কে যে পরিচয় ও পথনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে তা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, দাড়িওয়ালা বিশ্বাসীর সাথে দাড়িবিহীন বিশ্বাসীর কোনই বিভেদ নেই। মৌলিক ও উদার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আল্লাহর নির্দেশিত সৎকর্ম পালনই একজন সাচ্চা মুসলিমের পরিচয় বহন করে।

এই পোষ্টের শেষে মুমীনের স্বভাব-চরিত্র কিরূপ হওয়া চাই সে সম্পর্কে আল-কোরআনের বাণী দেয়া আছে-

ইমান ইসলামের মূল ভিত্তি। বিশ্বাসীদের জন্য দাড়ি রাখার ব্যাপারে যদি আল-কোরআনে কোনরূপ নির্দেশ দেয়া হত। তাহলে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের মত হাদিছ অনুসারে একেবারে মাপজোক করে দাড়ি রাখাও সকল মুসলিমের জন্য ফরজ/ওয়াজিব হয়ে যেত। আল-কোরআনের বিধান অনুসারে ইসলামের মৌল বিষয়গুলোর সাথে দাড়ি রাখার শর্ত নেই বটে। তবে বিভিন্ন হাদিছের বক্তব্য অনুসারে মুসলিমের জন্য দাড়ি রাখা রাসূলের (সাঃ) সুন্নত হিসেবে প্রমাণিত হয়। অনেকে বেশ বড় দাড়ি রাখেন। আবার অনেকে কেটে ছেটে পরিপাটি করেও রাখেন। কিন্তু তাই বলে বিনা কারনে সেইরূপ দায়সারা গোছের দাড়ি রাখা উচিত নয়, যা দেখে না রাখার মতই মনে হয়। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে এক মুষ্টি অপেক্ষা কম দাড়ি না রাখার বিষয়টি একটি মানদন্ড হতে পারে। কিন্তু তাই বলে এটিকে সবার ক্ষেত্রে ওয়াজিব ভেবে নেয়া এবং দাড়ি সেভ করাকে হারাম সাব্যস্ত করা ঠিক নয়।


Why Amish Men Grow Beards But Not Mustaches?

অনেক অবিশ্বাসী মানুষও বড় দাড়ি রাখেন। মুসলিম ছাড়াও অনেকে আবার তাদের ধর্ম-বিশ্বাস অনুসারে দাড়ি বাড়ান কিন্তু মোচ কাটেন। কে কোন নিয়তে কি কর্ম করল সেটাই বড় কথা। মনে রাখতে হবে যে, উদ্দেশ্যহীনভাবে কেউ দাড়ি রাখলেই রাসূলের (সাঃ) সুন্নত পালন হয়ে যাবে না। আবার দাড়ি রাখার নিয়ত ও প্রচন্ড আকাঙ্খা থাকা সত্বেও বিশেষ অবস্থা ও পরিস্থিতির কারনে তা সম্ভব নাও হতে পারে। অন্তরের খবর মহান আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন। যেমন, হরমোন জনিত ত্রুটির কারনে কারো ক্ষেত্রে খুবই কম কিংবা দাড়ি একদমই নাও গজাতে পারে।

এরূপ ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসা নেবার পরও ভাল ফল না হলে আফসোস করার কিছু নেই। কারন শুধু দড়ি রাখাই নয়, যে কোন ব্যপারেই কারো মনোভাব ও মনের আকাঙ্খা/নিয়ত অনুসারে প্রতিদান দেয়াটা চুলচেরা বিচারের মালিক মহান স্রষ্টা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ।

দাড়ি রাখার পরও আমরা অনেকেই আল্লাহর নির্দেশিত সৎকর্ম ঠিক মত পালন না করে মুখ ফিরিয়ে রাখি। লম্বা দাড়ি দুলিয়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে পরকালে মুক্তির নেশায় বিভোর থাকি। দাড়ি প্রদর্শনের মহড়ায় পাল্লা দিয়েই যেন আমরা সুখ পাই। অপরপক্ষে দাড়ি না রেখেও যে অনেকে প্রতিনিয়ত সৎকর্ম করে যাচ্ছেন, এরূপ পাক্কা ইমানদারের সংখ্যাও কম নয়। কাজেই শুধুমাত্র দাড়ি রাখা বা না রাখার অজুহাতে উভয় পক্ষেরই কোনরূপ বিভেদ সৃষ্টি করার মত কঠিন বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করা চাই।

আমরা যারা দাড়ি রাখছি, তারা যেন কথায় ও ব্যবহারে দাড়ির অহঙ্কার না দেখাই। কারন অহঙ্কার পতনের মূল এবং অহঙ্কারীকে মহান আল্লাহ পছন্দ করেন না। অনেকে বিভিন্ন হাদিছের উদ্ধৃতি দিয়ে দাড়ি কাটাকে হারাম সাব্যস্ত করেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর বিধানে হালাল ও হারাম স্পষ্ট। তাই দাড়ি রাখাকে ওয়াজিব এবং দাড়ি কাটাকে হারাম সাব্যস্ত করে বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করা প্রকৃত মুসলিমের কাজ হতে পারে না। বরং এরূপ ভুল পদক্ষেপ পরিণতিতে চরম গুনাহের কারন হতে পারে।

আল কোরআন-
সূরা আন নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৪:৬৪) বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তার অনুসরণ করা হয়। যখন তারা নিজেদের উপর জুলুম করেছিল, তখন যদি তোমার কাছে আসত এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইত, তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম-দয়ালু রূপেই পেত।

মহান আল্লাহতায়ালা আল-কোরআনে হালাল ও হারাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কাজেই জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনটি গ্রহণ এবং কোনটি বর্জন করতে হবে তা আল্লাহর সেই নির্দেশ অনুসারে ফয়সালা করা এবং বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা-সাধনা করা বিশ্বাসীদের জন্য ফরজ। বর্তমানে আল-কোরআনের ফরজ নির্দেশসমূহ পালন সংক্রান্ত রাসূলের (সাঃ) তরিকা (সুন্নাত) জানার জন্য সহী হাদিছের উপরে আমাদের নির্ভর করতে হয়। তাই (০৪:৬৪) নং আয়াত অনুসারে আল-কোরআনের নির্দেশের সাথে সরাসরি সম্পর্কীত সহী হাদিছ অনুসরণ করা আমাদের জন্য ওয়াজিব এবং জানার পর সঠিকভাবে না মানা গোনাহ্। আর যারা এই সকল ফরজ/ওয়াজিব সরাসরি অস্বীকার করে বা অবিশ্বাস করে তারাই অবিশ্বাসী অর্থাৎ কাফির।

এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে আল-কোরআনে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। অর্থাৎ পারিপার্শিক অবস্থা ও পরিস্থিতি অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার মানুষের বিবেকের উপরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যেহেতু আল্লাহর রাসূলের মধ্যে সকল মানুষের জন্য, বিশেষ করে বিশ্বাসীদের জন্য উত্তম নমুনা রয়েছে। তাই সরাসরি আল-কোরআনের নির্দেশের সাথে সম্পর্কীত নয়, জীবন ঘনিষ্ট এরূপ বিষয়গুলোকে রাসুলের (সাঃ) কথা, কর্ম, ও সম্মতি অনুসারে পালন করাই হলো সুন্নতের অনুসরণ করা। জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট সব কিছুই 'সুন্নত' অনুসারে পালনের চেষ্টা করা আমাদের জন্য ইবাদত তুল্য এবং এতে 'সোয়াব/পূণ্য' অর্থাৎ পার্থিব ও পরকালীন ভালাই রয়েছে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে 'সুন্নত' অনুসারে পালন করতে না পারলে 'গুনাহ' হবে না। কিন্তু 'সোয়াব/পূণ্য' প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে হবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে পার্থিব ক্ষতি হবারই সম্ভাবনা রয়েছে।

নিচের হাদিছগুলোর দিকে লক্ষ্য করি-
'Dress' of Sahih Bukhari
776: Narrated Ibn Umar: The Prophet said, "To get the moustaches cut 'short is characteristic of the Fitra."

777: Narrated Abu Huraira: Allah's Apostle said, "Five practices are characteristics of the Fitra: circumcision, shaving the pubic region, clipping the nails and cutting the moustaches short."

778: Narrated Ibn 'Umar: Allah's Apostle said, "To shave the pubic hair, to clip the nails and to cut the moustaches short, are characteristics of the Fitra."

779: Narrated Abu Huraira: I heard the Prophet saying. "Five practices are characteristics of the Fitra: circumcision, shaving the pubic hair, cutting the moustaches short, clipping the nails, and depilating the hair of the armpits."

780: Narrated Nafi': Ibn Umar said, The Prophet said, 'Do the opposite of what the pagans do. Keep the beards and cut the moustaches short.'
[Whenever Ibn 'Umar performed the Hajj or 'Umra, he used to hold his beard with his hand and cut whatever moustaches. Ibn Umar used to cut his moustache so short that the whiteness of his skin (above the upper lip) was visible, and he used to cut (the hair) between his moustaches and his beard.]

781: Narrated Ibn 'Umar: Allah's Apostle said, "Cut the moustaches short and leave the beard (as it is)."

799: Narrated Ibn 'Abbas: The Prophet used to copy the people of the Scriptures in matters in which there was no order from Allah. The people of the Scripture used to let their hair hang down while the pagans used to part their hair. So the Prophet let his hair hang down first, but later on he parted it.
……………………………………………….
১/ Cut the moustaches and grow your beards. Be different from the Magians (followers of a religion that dominated in Persia). [Muslim]

২/ Cut your moustaches and leave your beards alone. Be different from the people of the scripture. [Muslim]

৩/ Be different from the Mushrikin (those who worship other than Allah (T)); trim your moustaches and save your beards. [Al-Bukhari and Muslim]
…………………………………………………
Sahih Muslim, II.502
'A'isha reported: The Prophet Muhammad said: Ten are the acts according to fitra: clipping the mustache, letting the beard grow, using the tooth-stick, snuffing water in the nose, cutting the nails, washing the finger joints, plucking the hair under the armpits, shaving the pubic hair and cleaning one's private parts with water. The narrator said: I have forgotten the tenth, but it may have been rinsing the mouth.

(The sunan al-fitra (lit., "customs of nature") are a collection of hygienic or cosmetic practices enjoined by Muhammad as consistent with fitra.)

Fiṭrah (فطرة) = innate disposition towards virtue, knowledge, and beauty. Muslims believe every child is born with fitrah.

Sunnah (السنّة) or sunnah al-Nabi (سنّة النبي) - the "path" or "example" of the Prophet Muhammad, i.e., what the Prophet did or said or agreed to during his life. He is considered by Muslims to be the best human moral example, the best man to follow.
Sunnat - an act which the Prophets performed; not required but carries much reward.
…………………………………………………………
আল কোরআন-
সূরা আল-আনফাল (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৮:২০) অর্থ- হে বিশ্বাসীরা! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য কর এবং তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না যখন তোমরা তাকে (তার কথা) শুনতে পাও।
সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ)
(৩৩:২১) অর্থ- নিশ্চয় তোমাদের জন্যে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে, যে কারো জন্যই যিনি আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে,

১, ২, ৩ ও (780) নং হাদিছের ভাষ্য অনুসারে সহজেই বোঝা যায় যে, সেই সময়ে অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের সাথে বৈসাদৃশ্য করার জন্যই মূলত এরূপ করার (মোচ ছোট করতে ও দাড়ি রাখতে অর্থাৎ সেভ না করতে) নির্দেশ/পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সুতরাং সেই সময়ের পরিস্থিতির কারনেই (৩৩:২১) নং আয়াতের বক্তব্য অনুসারে রাসূলের (সাঃ) উপস্থিতিতে এই নির্দেশ/পরামর্শ মানা তাঁর সাথে অবস্থানরত মুসলিমদের জন্য 'ওয়াজিব' হিসেবে একদিকে যেমন অবশ্য কর্তব্য ছিল। অপরদিকে তেমনি তাঁর কথা নিজ কানে শুনেও অবজ্ঞা করে দাড়ি না রাখাটা বেয়াদবিই হত।

আল-কোরআনে দাড়ি রাখা বা না রাখা সম্পর্কে সরাসরি কোন নির্দেশ নেই। তাই বর্তমানে এই পরামর্শ/নির্দেশ ক্ষেত্র বিশেষে গ্রহণ/বর্জন করার অবকাশ রয়েছে। (799) নং হাদিছের বক্তব্যের প্রতি লক্ষ্য করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, স্বয়ং রাসূল (সাঃ) প্রথম দিকে পৌত্তলিকদের বিপরীত করতে গিয়ে গ্রন্থধারীদের মত ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল রাখতেন এবং পরবর্তীকালে অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় চুল কেটে-ছেটেও রেখেছেন। সেই সাথে হযরত আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত (Sahih Muslim, II.502) নং হাদিছটি এবং 776, 777, 778 ও 779 নং হাদিছ থেকে আরও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, দাড়ি লম্বা করা ও গোঁফ ছোট করা 'ফিতরাত' অর্থাৎ 'জন্মগত অভ্যাস বা স্বভাব-ধর্ম' হিসেবেই মানুষের জন্য করণীয় বটে। কিন্তু তাই বলে দাড়ি রাখাকে সর্বকালের সকল মুসলিমদের জন্য 'ওয়াজিব' এবং দাড়ি কামানোকে 'হারাম' সাব্যস্ত করা মোটেই ঠিক নয়। {(فطرة) ফিত্বরাতুন (অর্থ) = জন্মগত অভ্যাস, স্বভাব-ধর্ম, ধর্মবোধ ('আল-কাওসার'- 'আধুনিক আরবী- বাংলা অভিধান'- 'মদীনা পাবলিকেশন্স')}

সকল সুন্নত পালনের মধ্যে কম-বেশি সোয়াব রয়েছে। সহী হাদিছ মতে দাড়ি রাখা সর্বকালের জন্যই রাসূলের (সাঃ) সুন্নত হিসেবে প্রমাণিত হয়। মুসলিমদের জন্য তিনি দাড়ি রাখারই পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ কারন ছাড়া দাড়ি কেটে ক্লিন সেভ্ড হওয়া সঙ্গত নয়। কারন দাড়ি কামিয়ে ফেলার মধ্যে সোয়াব নেই, বরং পার্থিব ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ক্ষতি যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, হেলা করে আদর্শ মানব রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সুন্নত ছেড়ে ক্ষতির মধ্যে লিপ্ত থাকা ধর্মবোধ সম্পন্ন সাবধানিদের জন্য মোটেই শোভা পায় না।

মানুষের স্বভাব-ধর্ম ও মানুষের জন্য সুন্দরতম আদর্শ রাসূলের (সাঃ) সুন্নত অনুসারে দাড়ি রাখার মধ্যেই মুসলিমদের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন অশেষ 'সোয়াব/পূণ্য' অর্থাৎ পার্থিব ও পরকালীন ভালাই রয়েছে। কাজেই শৈথিল্য ভাব ছেড়ে গুরুত্ব সহকরে বিষয়টি বিবেচনা করার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। সেইসাথে মোচ ছোট করার ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকতে হবে। মোচ বড় রাখা কারো জন্যই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে খাদ্য গ্রহণের সময় অরুচিকর পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তেমনি যেন কোনরূপ হাস্যকর ও অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে রুচিবোধ অনুসারে পরিপাটি করে দাড়ি রাখার ব্যাপারেও যত্নশীল হতে হবে।

সৎকর্মের পাশাপাশি রাসূলের (সাঃ) সকল সুন্নত/আদর্শকে সঠিকভাবে জেনে তা মানার জন্য সবাইকে স্বচেষ্ট হতে হবে। বাড়াবাড়ি ছেড়ে হিকমতের সাথে ও ধৈর্য সহকারে রাসূলের (সাঃ) সুন্নত পালনের জন্য পরস্পরকে আহ্বান জানানো আমাদের কর্তব্য। মহান আল্লাহতায়ালা যেন সত্য ও সুন্দরকে চেনার, জানার ও মানার ব্যাপারে আমাদের হৃদয়ের প্রশস্ততা দান করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৪
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×