somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে অর্থাৎ 'মুরতাদ' হলেই কি তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড/ শিরচ্ছেদ?

২৭ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আল-কোরআন মানবজাতির শান্তির জন্য প্রেরিত সার্বজনীন জীবন বিধান। আল্লাহতায়ালা মানুষকে ইচ্ছানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। মানব মনের ফায়সালা যেমনই হোক না কেন, সেই ইচ্ছা বা ফায়সালা নেবার স্বাধীনতায় ততক্ষণ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করা চলবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না এর কারনে ইসলামি সমাজের পরিবেশ কলুষিত হয়, শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় কিংবা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়। আপন স্বাধীন ইচ্ছানুযায়ী গোপনে সৎকর্ম করলে যেমন পরকালে তার যোগ্য প্রতিদান মিলবে। তেমনি কেউ তার স্বাধীন ইচ্ছানুযায়ী গোপনে শরীয়ত বিরোধী অসৎ কর্মে লিপ্ত থাকার পরও তা প্রকাশ না হওয়ায় একালে পার্থিব সাজা থেকে বাঁচা সম্ভব হলেও পরকালে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তবে কোন ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় কারো লাগামহীন শরীয়ত বিরোধী অসৎ কর্ম একালেই প্রকাশিত হয়ে পড়লে তাকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে এবং আল-কোরআনের বিধান এবং তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সহী হাদিছের ফয়সালা অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।

সূরা মায়েদা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৫:০৮) অর্থ- হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে, কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন সুবিচার না করতে কখনও প্ররোচিত না করে। সুবিচার কর, এটা আত্মসংযমের নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর, তোমরা যা কর আল্লাহ্ তার খবর রাখেন।
(০৫:৪৯) অর্থ- আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যসহ গ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুসারে তুমি তাদের বিচার নিষ্পত্তি কর এবং যে সত্য তোমার নিকট এসেছে তা ত্যাগ করে তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, বস্তুত তিনি যা দিয়েছেন তা দিয়ে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব সৎকর্মে তোমরা প্রতিযোগিতা কর, আল্লাহর দিকেই সকলের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করেছিলে সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদের অবহিত করবেন।

মানব সমাজের জন্য ক্ষতিকর বিশেষ বিশেষ অপরাধের জন্য শাস্তির মাত্রা কিরূপ হবে তা ইসলামি জ্ঞানসম্পন্ন, ন্যায়পরায়ণ, বিজ্ঞ ও যোগ্য বিচারকের অধীনে স্রষ্টা প্রেরিত (০৫:৪৯) সর্বশেষ কিতাব আল-কোরআনের বিধান অনুসারে নিরুপণ কোরে সুবিচার (০৫:০৮) নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। কোন মুসলিম নিজ ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিক হয়ে গেলে বা ধর্মান্তরিত হয়ে অন্য কোন ধর্ম গ্রহণ করলে তাকে 'মুরতাদ' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। শরীয়তের দোহাই দিয়ে অনেকেই ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসরত এ ধরনের মানুষকে হত্যা করা যায়েয হিসেবে প্রচার করে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- শুধুমাত্র 'মুরতাদ' হওয়ার কারনে কাউকে হত্যার পারমিশন কি আল-কোরআন দেয়?

ইসলামি শরীয়াহ আইন অনুসরে মুরতাদের শাস্তি-
অনুগ্রহ করে এখানে দেখুন- Fatawa: WHO IS AN APOSTATE (Murtad)?
Question: Who is a Murtad? What is the punishment in Islam for the apostate? Is this punishment not against the rules of freedom?

Answer: Disbelievers usually have strong propaganda against Islam, including the punishment of an Apostate (Murtad). If you think carefully, you will find that the punishment in Islam for a Murtad is in accordance with Justice. A Murtad, in Islamic terminology, is 'he who voluntarily accepted Islam and declared it publicly then he changed his religion'. Islamic punishment for such a person is 'death'.

Islam gives freedom to choose it as a way of life, but does not allow anyone to betray it (i.e. change to another religion). Nowadays, every country has their own rules and regulations giving freedom to their own citizens. If a person was to go against his country by joining hands with a foreign country, no civilised country will tolerate this and he shall be due for punishment.

Before punishment, Islam gives the choice for repentance. If the Murtad was to repent and come back to Islam, he shall be welcome and accepted.

Country Of Origin : Saudi Arabia
State : Riyadh
Author/Scholar : The Late Maulana Mahmood Ahmed Mirpuri

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার আগে নরহত্যা সম্পর্কে আল-কোরআনের বিধান জেনে নেয়া প্রয়োজন-

সূরা মায়েদা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৫:৩২) অর্থ- এ কারণেই আমি বনী-ইসরাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে; এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।
(০৫:৩৩) অর্থ- যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং ভূপৃষ্ঠে (فَسَادً) সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
(فَسَادً)= ধ্বংস, ক্ষতি -"কোরআনের অবিধান" - "মুনির উদ্দীন আহমদ"
(فَسَادً)= ধ্বংস করে দেওয়া, নষ্ট করা, বলপূর্বক কারো সম্পদ কেড়ে নেওয়া- "আল-কাওসার" - "আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান"- "মদীনা পাবলিকেশান্স"
(০৫:৩৪) অর্থ- তারা ব্যতীত, তোমরা গ্রেফতারের পূর্বে যারা অনুশোচনা করে; জেনে রাখ, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(০৫:৪৫) অর্থ- আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম; অবশ্য (বাদী পক্ষের) কেউ যদি (এই দন্ড) ক্ষমা করে দিতে চায়, তাহলে তা তার নিজের (গোনাহ-খাতার) জন্য কাফফারা (হিসেবে গন্য) হবে। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।

তুচ্ছ স্বার্থের মোহে নরহত্যা করাকে আল-কোরআনে (০৫:৩২) অত্যন্ত গর্হিত ও মানবতাবিরোধী কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ নেয়া ছাড়া (০৫:৪৫) অর্থাৎ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করা ছাড়া অন্য যে কোন অজুহাতে জেনেশুনে ঠাণ্ডা মাথায় কেউ নরহত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কোন ব্যক্তি স্রষ্টায় বিশ্বাসী হোক কিংবা হোক অবিশ্বাসী, অপর কোন মানুষকে হত্যা না করলে কিংবা (০৫:৩৩) আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) বিরুদ্ধে (০২:১৯০) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুদ্ধ ঘোষণা না করলে ও ভূপৃষ্ঠে সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা না করলে তাকে হত্যা করা নিষেধ। আবার কেউ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতে উদ্ধত হলে প্রতিরোধ করার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রমণকারী প্রতিরোধকারীর হাতে নিহত হলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে বিচারক প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ রক্ষার স্বার্থে পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিরোধকারীর সাজার পরিমাণ কমাতে পারেন বা তাকে শাস্তি থেকে অব্যহতি দিতে পারেন। অপরদিকে (০৫:৩৪) গ্রেফতার করার পূর্বে শত্রুপক্ষের মধ্যে যারা ভুল বুঝতে পেরে অনুশোচনা করবে তাদের প্রতি যথাসম্ভব ক্ষমা প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে।

সূরা আন নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৪:৯১) অর্থ- অবশ্য তোমরা আরও এক সম্প্রদায়কে পাবে, তারা তোমাদের কাছে ও স্বজাতির কাছেও নিঃশঙ্ক থাকতে চায়। যখন তাদেরকে ফ্যাসাদের প্রতি মনোনিবেশ করানো হয়, তখন তারা তাতে নিপতিত হয়, অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে নিবৃত্ত না হয়, তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে এবং স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে প্রকাশ্য যুক্তি-প্রমাণ দান করেছি।

এমন কিছু মানুষ আছে যারা সবার কাছেই ভাল সাজার ভান করে। কিন্তু মুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হলে তারা ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের পক্ষ অবলম্বন করে। তারা উদ্ধত আচরণ থেকে সরে না এসে যুদ্ধে (০৪:৯১) অবতীর্ণ হলে তাদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০২:১৯০) অর্থ- আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
(০২:১৯১) অর্থ- আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে, তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল অবিশ্বাসীদের শাস্তি।

ইসলাম বিরোধী শক্তি সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে (০২:১৯০) তাদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে সীমালঙ্ঘন করা চলবে না। যুদ্ধের রীতি অনুসারে স্বভাবতই একে অপরকে হত্যা করতে বাধ্য হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে (০২:১৯১) হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর সন্ত্রাস বা বিপর্যয় সৃষ্টির সাথে জড়িতদের জন্য বিভিন্ন মাত্রার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করাকে হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কারন এর ফলে সমাজে অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়। এর সুদূরপ্রসারি মন্দ প্রভাবের কারনে জাতীয় জীবনে অশান্তি নেমে আসে এবং ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকে। কাজেই সন্ত্রাস, ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামার সাথে জড়িতদেরকে তাদের অপরাধের নৃশংসতার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেবার অধিকারও বিচারককে দেয়া হয়েছে।

সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০২:১৭৮) অর্থ- হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস (ন্যায় সঙ্গত প্রতিশোধ) গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি (খুনী) হলে সেই স্বাধীন ব্যক্তিই, দাস (খুনী) হলে সেই দাসই এবং নারী (খুনী) হলে সেই নারীই (সাজা পাবে)। অতঃপর তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে ন্যায়ানুগ পন্থা অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা এবং একটি অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।

সম্ভ্রান্ত বংশের কোন নারী বা পুরুষ খুন করে বসলে (০২:১৭৮) তার বদলে টাকা পয়সা দিয়ে কোন দরিদ্র ব্যক্তি বা দাসকে রাজি করিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেবার কোন অপশন নেই। বরং যিনি প্রত্যক্ষভাবে হত্যার সাথে জড়িত তাকেই শাস্তি পেতে হবে। হত্যাকারী কোন নারী বা পুরুষ বা দাস, যেই হোক না কেন তাকেই শাস্তি পেতে হবে। একজনের বদলে অপরকে শাস্তি দেয়া চলবে না। তবে নিহতের নিকটজনেরা যদি রাজি থাকেন তাহলে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ না নিয়ে ন্যায়ানুগ বিনিময় গ্রহণের মাধ্যমে খুনীর সাজা লাঘবের জন্য অর্থাৎ তাকে মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেবার জন্য সুপারিশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে নিহতের নিকটজনকে সন্তোষজনক উপায়ে উপযুক্ত বিনিময় প্রদান সাপেক্ষে খুনীর সাজা কিছুটা মওকুফ করার অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে অন্য কোন উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের এখতিয়ারও বিচারককে দেয়া হয়েছে। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় যে, আল-কোরআনে (০৫:৩২) মানুষের জীবন রক্ষা করাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই তুচ্ছ কারনে নরহত্যা তো নয়ই, এমনকি শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ব্যাপারেও যতটুকু সম্ভব শিথিলতা প্রদর্শনের শিক্ষা ও দিকনির্দেশনাই আমরা আল্লাহর কিতাব থেকে পাই।

সূরা আল ইমরান (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৩:৮৬) অর্থ- কেমন করে আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবং রসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং তাদের নিকট প্রমাণ এসে যাওয়ার পর কাফের/ অবিশ্বাসী হয়েছে। আর আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়েত দান করেন না।
(০৩:৮৭) অর্থ- এমন লোকের শাস্তি হলো আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং মানুষ- সকলেরই অভিসম্পাত!
(০৩:৮৮) অর্থ- সর্বক্ষণই তারা তাতে (নরকে) থাকবে। তাদের আযাব হালকাও করা হবে না এবং তারা এতে বিরামও পাবে না।
(০৩:৮৯) অর্থ- কিন্তু যারা অতঃপর তওবা করে নেবে এবং সৎকাজ করবে তারা ব্যতীত, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালূ।
(০৩:৯০) অর্থ- যারা ঈমান আনার পর অস্বীকার করেছে এবং অস্বীকৃতিতে বৃদ্ধি ঘটেছে, কস্মিনকালেও তাদের তওবা কবুল করা হবে না। আর তারা হলো পথভ্রষ্ট।
(০৩:৯১) অর্থ- যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা কাফের/ অবিশ্বাসী হয়েছে এবং কাফের/ অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তওবা কবুল করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব! পক্ষান্তরে তাদের কোনই সাহায্যকারী নেই।
সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০২:২১৭) অর্থ- পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে, বল, এ সময় যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়আর আল্লাহর পথে বাধা দান করা এবং তাঁকে অস্বীকার করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় অন্যায়। আর ফেতনা সৃষ্টি (বিবাদ, অত্যাচার, উৎপীড়ন, বিপর্যয়, বিদ্রোহ) করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহাপাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদেরকে তোমাদের ধর্ম থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি তারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং অস্বীকারকারী/ বেঈমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।

শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে 'মুরতাদ' হওয়ার কারনে কাউকে হত্যা করার কোনরূপ ইংগিতও নেই আল্লাহর কিতাব আল-কোরআনে তো নেই, এমনকি আল-কোরআনের বক্তব্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কোন সহী হাদিছেও নেই। ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার পর (০৩:৮৬ - ৯১) যদি কেউ শান্তিপূর্ণভাবে ও মুসলিমদের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে অন্য ধর্ম পালন করেন বা নাস্তিক হিসেবে জীবন যাপন করতে থাকেন, তাহলে তাকে হত্যা করা তো দূরে থাক, কোনরূপ শাস্তি দেবার অধিকারও কাউকেই দেয়া হয়নি। মুসলিম হবার পর যারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়, কোনরূপ ফেতনা সৃষ্টি না করলে পার্থিব শাস্তি থেকে হয়ত তারা বেঁচে যাবেন। কিন্তু সত্যধর্ম ত্যাগ করার কারণে তাদের উপরে আল্লাহ, ফেরেশতাগণ ও মানুষের অভিসম্পাত বর্ষিত হতে থাকে এবং এদের মধ্যে যারা অবিশ্বাসী হয়েই মৃত্যু বরণ করবেন, (০২:২১৭) তাদের জন্য আল্লাহতায়ালা পরকালে যন্ত্রণাদায়ক আযাবের ব্যবস্থা নির্ধারিত করে রেখেছেন।

কিন্তু যদি এমন কোন ব্যক্তি হন যিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কর্মরত ছিলেন এবং তার কাছে রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এমন সব গোপন তথ্য রয়েছে যা শত্রুপক্ষের হাতে চলে গেলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বধর্ম ইসলাম ত্যাগকারী সেই মুরতাদ ব্যক্তিকে নজরবন্দী করে রাখাটা অযৌক্তিক নয়। কোনরূপ বিশ্বাসঘাতকতার সাথে জড়িত প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রের সাথে বেঈমানি ও ফেতনা সৃষ্টি (বিদ্রোহ) করার অপরাধে (৫:৩৩) তাকে দেশ থেকে (০৫:৩৩) নির্বাসিত করা যেতে পারে, এমনকি অপরাধ গুরুতর হলে প্রয়োজনে মৃত্যুদণ্ডও দেয়া যেতে পারে।

সূরা আত তাওবাহ (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৯:২৯) অর্থ- যাদেরকে ইতিপূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যকার ঐ লোকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না তারা অবনত হয়ে স্বেচ্ছায় জিযিয়া দিতে শুরু করে।

আবার যারা শুধু ধর্ম ত্যাগ করেই ক্ষান্ত হয়না বরং ইসলাম বিরোধীদের সাথী হয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় ও ক্ষতি সাধনে তৎপর থাকে বা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, তাদের জন্য নমনীয়তা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। আল্লাহতায়ালা ও তাঁর রাসূলের (সাঃ) নামে মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে সরল মানুষেকে বিপথে নেয়ার অপপ্রয়াস চালানো এবং ফেতনা ও অশান্তি সৃষ্টির দায়ে এ ধরনের ফিতনাবাজদেরকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। মহান স্রষ্টাকে সরাসরি অস্বীকার (০২:২১৭) করাকে পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা অপেক্ষা বড় মাপের অন্যায় এবং ফেতনা সৃষ্টি করাকে নরহত্যার চেয়েও কঠিন পাপ/ অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই বার বার সাবধান করার পরও এরূপ ফিতনা থেকে নিবৃত না হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে ও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেবারও অবকাশ রয়েছে। তবে তারা যদি অবনত হয়ে (০৯:২৯) 'জিযিয়া' দিতে শুরু করে ও শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করে, তাহলে তাদেরকে আর হত্যা করা চলবে না।

সূরা আল মুমতাহেনা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(৬০:০৭) অর্থ- এমনো হতে পারে যে, যাদের সাথে আজ তোমাদের শত্রুতা রয়েছে তাদের মধ্য থেকে কারো কারো সাথে আল্লাহ্ তোমাদের বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। কেননা আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান। আর আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।
(৬০:০৮) অর্থ- যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে নিজ বাসস্থান থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায় আচরণ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না; নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।
(৬০:০৯) অর্থ- আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে এবং এ উচ্ছেদ কর্মে একে অপরকে সহায়তা করেছে। এরপরও যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।

যারা ইসলামের প্রকাশ্য বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত নয় (৬০:০৮) তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখতে ও ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে বলা হয়েছে এবং এটা দাওয়াতেরও একটি অংশ। সুতরাং এ থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ইসলামী রষ্ট্রের অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসরত সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষই শুধু নয়, নাস্তিক এবং ইসলামধর্ম ত্যাগকারী মুরতাদরাও তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা পাবার অধীকার রাখেন। কারন বলা তো যায় না, পরবর্তীতে ভুল বুঝতে পারলে তাদের মধ্য থেকে কারো জন্য হয়ত আবারও ইসলামের (৬০:০৭) সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেবার সৌভাগ্য হতেও পারে। তবে আল্লাহতায়ালা ও রাসূল (সাঃ) সম্পর্কে প্রকাশ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে অপরকে বিভ্রান্ত করে সমাজে অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ কোন কর্মে লিপ্ত থাকলে, অন্য সবার মত তাদেরকেও সাজা পেতে হবে। মহান স্রষ্টাকে সরাসরি অস্বীকার (০২:২১৭) করাকে পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা অপেক্ষা বড় মাপের অন্যায় এবং ফেতনা সৃষ্টি করাকে নরহত্যার চেয়েও কঠিন পাপ/ অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই বার বার সাবধান করার পরও এরূপ (৬০:০৯) ফিতনা থেকে নিবৃত না হলে বা যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনে গ্রেফতার করে দেশ থেকে (০৫:৩৩) নির্বাসিত করা যেতে পারে, এমনকি সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেবারও অবকাশ রয়েছে। আর এ ধরনের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারীদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে (৬০:০৯) তাদেরকে জালিম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে অবিশ্বাসীরা যদি বৈরিতা ছেড়ে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গিকার করেন এবং তার নিদর্শন স্বরূপ (০৯:২৯) 'জিযিয়া' দিতে শুরু করেন, তাহলে তাদেরকে আর হত্যা করা চলবে না।

শুধুমাত্র ধর্ম ত্যাগ করার জন্য একজন মুরতাদকে শাস্তি দেবার বিষয়টি জায়েজ বানানোর জন্য সাধারনত হাদিছের আশ্রয় নেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এ সম্পর্কে যেসব হাদিছের কথা উল্লেখ করা হয় সেগুলোর বক্তব্য খুবই সংক্ষিপ্ত ও ভাসাভাসা এবং আল-কোরআনে প্রদত্ত বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাছাড়া রাসূলের (সাঃ) জীবদ্দশায় এবং চার খলিফার শাসনামলে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার কারনে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল কিনা তার কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণও নেই। তাই নরহত্যা অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড দেবার মত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা কতখানি তা ভেবে দেখা উচিত। শুধুমাত্র হাদিছের বক্তব্যের উপরে ভর করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ধর্ম ত্যাগী মুরতাদ বা নাস্তিক কিংবা ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের উপর কোনরূপ অত্যাচার করার পারমিশন আল-কোরআন দেয় না। সুতরাং মহান আল্লাহতায়ালার বিধানকে উপেক্ষা করে অন্যায়ভাবে তাদেরকে হত্যা করলে, একজন মুসলিম হওয়া সত্বেও নরহত্যার মত কঠিন পাপ করার কারনে উল্টো তাকেই যে নরকের ঘানি টানতে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
১৬টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×