যদি
তোমায় যদি বলি, আমার কোন আনন্দ নেই, নেই কোন দুঃখ ও
বিশ্বাস করবে?
নিশ্চয় না।
যদি বলি, কোনদিন স্বপ্ন দেখিনি - দুঃস্বপ্নে কেঁপে উঠিনি
বিশ্বাস করবে?
নিশ্চয়ই না।
যদি বলি, দৃষ্টিবান হয়েও দিনের আলো আর রাতের আঁধারের মাঝে তফাৎ বুঝি না
বিশ্বাস করবে?
নিশ্চয়ই না।
যদি বলি, খরতাপে আমি কখনো ছায়া খুঁজিনি, শ্রাবণ জলে শরীর ভেজাইনি
বিশ্বাস করবে?
নিশ্চয়ই না।
যদি বলি, বিশ্ব- সংসারে আমার কেও নেই, পরিবার-স্বজন, বন্ধু কিংবা শত্রু- সমালোচক
বিশ্বাস করবে?
নিশ্চয়ই না।
যদি বলি, আমি সময় কে থামিয়ে দিতে পারি, গুনতে পারি তের নদী আর সাত সমুদ্রের ঢেউ
বিশ্বাস করবে?
নিশ্চয়ই না।
যদি বলি, হিস্রতায় ভয়- ডর নেই, বিশ্ব-সমাজের কোন কিছুতেই আমার নেই কোন হতাশা
বিশ্বাস করবে?
নিশ্চয়ই না।
তবে
যখন বলি,
তুমিই আমার সকল আনন্দ,
তোমায় নিয়েই স্বপ্ন বুনি,
তোমাতেই এ জীবনের অনুপ্রেরণা,
তোমায় ঘিরেই সকল প্রেম-কামনা,
তোমায় ছাড়া দিন- রাত, চাঁদ- সূর্যের তফাৎ বুঝি না,
তোমায় নিয়েই জয় করতে পারি বিশ্ব- সংসারের সব জঞ্জাল,
তোমায় হারাবার ভয়ে কুঁকড়ে যাই,
তোমার জয় করার বিনিময়ে যুদ্ধ করতে পারি যমদূতের সাথে,
তোমায় পাব বলেই এই বেঁচে থাকা, এই অর্থহীন- অপেক্ষা।।
বিশ্বাস করবে??
নিশ্চয়ই না- ওগুলো তে তোমার বিশ্বাস নেই।।
তোমার বিশ্বাস কেবল “যদি” – তে, আর আমার বিশ্বাস “তবে”- তে।
ভেবে দেখেছো কি কখনো?
“তবে” ছাড়া, “যদি” ও কিন্তু অর্থহীন, প্রলাপ, বাড়াবাড়ি ।।
** এটাকে কবিতা বলার দুঃসাহস আমার নেই। এটা কিছু শব্দের সাথে অনর্থক কিছু শব্দ জুড়ে দেওয়া। দায় একান্তই আমার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





