somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের প্রথম কাল্পনিক প্রেসিডেন্ট

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া দাবি করেন,জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট।খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে:
১।জিয়াউর রহমানের ঘোষনা রেডিওতে প্রচার হওয়ার পরই মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়েছে।

→৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত বাঙালি জাতিকে যারা ঐক্যবদ্ধ করেছে,যারা বাংলাদেশের মুক্তির জন্য লড়াই করে গেছে,যারা বার বার জেল-জুলুম সহ্য করে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বুনেছে মানুষের মনে, তাদের তালিকায় ৭১ এর ২৬ মার্চের রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা পাঠ করা জিয়া নেই,এটাই ইতিহাস।বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু থেকে তাদের করণীয় কী তার সংকেত পেয়ে গেছে ৭ ই মার্চের ভাষনের মাধ্যমেই।
..................................
২।বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
→হাসলে নাকি মন ভালো থাকে,তাই মাঝে মাঝে হাসির উপাদান দেওয়ার জন্য বিএনপি কে ধন্যবাদ।
..................................................
৩।বক্তব্যের এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষে জিয়াউর রহমান বলেননি তিনি রাষ্ট্রপতি হবেন।তিনি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে মানুষই সময়ের প্রয়োজনে জিয়াকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে বসিয়েছে।
→দেখছেন মানুষগুলা কত্তত্ত খারাপ,প্রয়োজনেই শুধু জিয়াকে ডাকে।ও আচ্ছা!মানুষ জিয়াকে রাষ্টপ্রতির দায়িত্বে বসায় নি,জিয়াই ক্ষমতাটা দখল করে রাষ্টপতি হয়েছে।
.....................................................
৪।মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়েও এক ধরনের সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘তারা বলে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে। আমরা জানি না সত্য কী?’
→টিনের চালে কাক,আমরা তো অবাক!জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা (একমাত্র বিএনপির মতে) দিলে সেই দলের চেয়ারপারসন জানে না মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা কত।জিয়াউর রহমান কী কখনও ওনাকে বলে যান নি।সময় কইরে ভাই,ক্ষমতা যেতে হবে না।আপনারা ২ বার ক্ষমতায় ছিলেন,প্রকৃত সংখ্যাটা একটু জানানো দরকার ছিল না?
..............................................
৫।বিদেশিদের সম্মাননায় মনে হয় দেশের মানুষ যুদ্ধ করেনি।
→বিদেশী বন্ধুদেরকে সম্মাননা দেওয়া মানে দেশের মানুষ যুদ্ধ করেনি,নতুন এক ব্যাবকরণ শিখলাম।তাদেরকে সম্মাননা দেওয়া মানে আমরা তাদের অবদানের জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ,যারা আমাদের সাথে থেকে আমাদেরকে সাহায্য করেছে,তাদের অবদানকে স্বীকার করা।তবে আগে আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পুর্নবাসনটা জরুরি।
..................................................
৬।তিনি বলেন, এজন্যই তাঁরা এই সম্মাননার আয়োজন করেছেন, যেখানে এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে, যাঁদের নামও অনেকে জানে না।
→জ্বি,সেইটা আমরাও জানি।যেমন দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টর নামও আমরা জানতাম না,সেইটা এই আয়োজনের মাধ্যমে জানলাম।
................................................................
৭।মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তের একদিনের বর্ণনা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, সেদিন আবদুল কাদের নামের একজন হাবিলদার দৌড়ে এসে জিয়াউর রহমানের খোঁজ করলেন। জিয়া তখন বাসায় ছিলেন না। তিনি জানালেন, পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তারা বাঙালি সেনা সদস্যদের বলছে অস্ত্র জমা দিয়ে দিতে। খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। তখন আমি শুধু বললাম, স্যার না আসা পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেবেন না। হয়তো বা এ কথা কাজে লেগেছে।’
→আমরা তো এখন টেনশনে আছি,স্বাধীনতার ঘোষনা আপনে দিয়ে দিয়েছিলেন নাকি!!!আপনে নিশ্চই এইভাবে বলেছিলেন,এবারের সংগ্রাম স্যার না আসা পর্যন্ত অস্ত্র জমা না দেবার সংগ্রাম।
...................................................
৮।আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের দল বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয় দাবি করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘তাদের অবদানও আমরা ছোট করে দেখি না। তারা মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
→আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আর বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছে,নেতৃত্ব দিয়েছে।হি হি হি হি হি হি
.......................................................
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×