আমি মানুষ খুন করতে অনেক ভালোবাসি। এখন অব্দি এগারো জনকে খেলখতম করেছি।আমার শখের একট গোপন কুঠরি আছে।সেখানে রাজ্যের বই। সাহিত্যচর্চা করতেও খুনের মতো ভালোবাসি। সুবোধ ঘোষের বই পড়ি বেশিরভাগ। বাবা অনেক প্রভাবশালী ছিলেন।বাবা এই নিষ্পাপ পৃথিবী ত্যাগ করার পড়ে, সমস্ত সম্পত্তির ভাগিদার হয় আমি।বাবা মারা যাবার কিছুদিনের মাথায় মাও পরলোকগমন করে।গুলশান নিকতনে দুইটা বিশাল ফ্ল্যাটবাড়ি আছে।ব্যাংকে বাবার রেখে যাওয়া কোটি টাকা আছে।আর কি লাগে জীবনে। ছোট বেলা থেকেই মানুষ খুন করার প্রতি আমার প্রচন্ড নেশা ছিল।এ কেমন যেন নেশা! টাকার দাপটে শহরের উঠতি মডেল আর সুন্দরীদের বিছানায় নিয়ে আসতাম।
গতরাত্র এসেছিল অপ্সরা। দেখতে দিব্বি বলিউড নায়িকা প্রিয়ংকা চোপড়া। আমি কফির সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়েছিলাম অপ্সরাকে।তারপর বেশ আরাম করেই ঘুমাচ্ছিলো।আমি আমার কালো ঠোঁট অপ্সরার ঠোঁটের মধ্যে পুরে দিয়ে কিচ্ছুক্ষণ সোহাগ করলাম।বাজার থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়ে এনেছি স্পেশাল ধারালো ছুড়ি। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। অপ্সরা ঘুমিয়ে যাবার পড়ে, ছুড়ি দিয়ে গলার মাঝ বরাবর একটা পোজ মারলাম। সে ঘুমচোখে আমার দিগে বিস্ফোরিত নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে থেকে বিদায় নেয়।আমি তার গায়ের উপর উঠে বসে, ধারালো ছুড়ি দিয়ে গজ গজ করে পাড় মারতে লাগলাম নাভির একটু উপড়ে। রক্ত ছিটে এসে মুখের উপর পড়লো। বেশ আরাম পাচ্ছিলাম তখন। খুন করে আমি কম দামী বাংলা মদ ঢকঢক করে গিললাম। ডেটল সাবান দিয়ে গাঁয়ে লাগা সব রক্ত ধুয়ে নিলাম। পাশেই রবিশস্কর একমনে সেতার বাজিয়ে চলছে।আমার বাসায় বড়-বড় দুইটা ডিপফ্রিজ আছে। খুন করে আমি ওখানেই ভঁড়ে রাখি। মন যক্ষণ চাই তখন নিরজন কোথাও ফেলে রেখে আসি।আমি সুবোধ ঘোষের বই পড়ে বাকী রাতটা কাভার করে দিলাম। সকালবেলা
সূর্যের আলো চিরযৌবনা হয়ে আমার মুখের উপর এসে পড়লো। আমার আবার একটা বধ অভ্যাস আছে।অতীত কখন ওই মনে পড়ে না।প্রতিদিন সূর্যের আলোর মতোই নতুন করে পৃথিবীতে আসি।সকালবেলা আমার টাকার গোলাম মজিদ মদ দিতে এসে বলল,স্যারগো গ্রাম থ্যাইকা একটা কচি কুমারী মাইয়া লইয়া আইছি।লাগবো নী? আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক উত্তর দিলাম। মজিদ সবকটি হলুদ দাত বের করে হাসতে হাসতে বিদায় নিলো।
রাতে ভরপুর মদ খেয়ে রবীন্দ্র সংগীত শুনছিলাম।মজিদ তার কথামতো গ্রামের কচি কুমারী মেয়েকে দিয়ে গেলো।আমি কিছুক্ষণ মাতাল হাসা হাসলাম। মেয়েটা বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে দেখছে আমাকে।আমি আবার কোন প্রকার ভনিতা পছন্দ করিনা। পকেটের মধ্যে হাত দিয়ে গোপাঙ্গন চুলকাতে চুলকাতে বললাম, ওই ফক্কিনির বাচ্চা অমন কইরা কি তাকাইয়া দেখছিস! আয় কাছে আয়।আমি জোর করে প্রাকৃতিক কাজটা সারলাম। ছোট কচি কুমারী তাই হয়তো শয্য না করতে পেরে, অজ্ঞান হয়ে গেছে। অজ্ঞান হলো না কি হলো সেটা মূখ্য বিষয় না। মূখ্য বিষয় খুন করা! আমি পাশের রুম থেকে ধারালো ছুড়ি নিয়ে এসে,গলার মধ্যে গজগজ করে কয়েকটা পার দিতে লাগলাম। গলা থেকে রক্ত ছিটে এসে,আমার মুখের উপর পড়লো। মেয়েটার চোখ দুটো বন্ধুকের গুলির মতো ছুটে বের হতে চাইছিল।আমি ঘার কাৎ করে এলোপাথাড়ি কোপ বসাতে লাগলাম মুখের উপর।পায়ের রকগুলো কাটতে গিয়ে আর কাটলাম না।পাশেই রবীন্দ্র সংগীত চলছে।আমি ওয়াশ রুমে ঢুকে, আচ্ছামতো লাক্স সাবান দিয়ে পুরো শরীলে লেগে থাকা মানবীক লাল রক্ত ধুয়ে নিলাম।
সুবোধ ঘোষের বই পড়ছিলাম ফ্রেশ হয়ে এসে।যেন কিছুক্ষণ আগে কোন কিছুই ঘটেনি। সবকিছুই বিচক্ষণ। সবকিছু সাধারণ।
আঁকাশের চাঁদটা হঠাৎ কালো মেঘে ঢেকে গেল।একটা বাদুর হঠাৎ চমকে উঠলো। আমিও অস্তিত্ববোধ করছিলাম। আমি সুবোধ ঘোষের মনটাকে রেখে,আমার সূক্ষ লালচে দাত ও হলদেটে চোখটা আয়নার সামনে খুব মনযোগ দিয়ে দেখি। গভীর রাতের হাহাকার নিস্তব্ধতায় নিলির্প্ত এই চোখের দৃষ্টি জীবিত কোন আয়না দেখলে ঠিক কেঁপে উঠতো।
_____________________
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৮