আমার নাম কাইকর। বয়স সবেমাত্র চব্বিশ কি পঁচিশ এমন। বুকে একটু-আধটু লোম গজিয়েছে। চেহারা খারাপ না তবে ঠোঁটের রঙ কালো জিরার আকার ধারণ করেছে। বাবার টাকায় একখানা শখের বাইক কিনেছি। সকাল-বিকেল গাঁজায় দম দিয়ে পঙ্খিরাজের মত টো টো করে বাইক নিয়ে ঘুরিফিরি। শার্টের কলার উঁচু করে আর বুকের মাঝ বরাবর থাকা দুটো বোতাম খুলে গার্লস কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধুদের নিয়ে মদ, গাঁজায় দম দেবার মতোই একটা পিনিক।
গার্লস কলেজের কচি মেয়েদের আমি আড়ালে মাল বলি। মাল বলার মাঝে একপ্রকার লুকানো সুখ আছে। গাঁজায় দম না দিলে বুঝবেন না। তবে এটা প্রকাশ্য কথা না। যারা আমার মত রোজ পিনিক করে, পিনিক শেষে এক কাপ গরম চা খেয়ে হো হো করে হাসতে থাকে, তারাই বুঝবে এর প্রকৃত মজা।
এবার আমার দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ আব্বার কথায় আসি। দেখতে দিব্যি ট্রাম্পের মতো। তবে পেটের সাইজ মাত্রাতিরিক্ত। গরুর পেটের মতো। বাঙালি বেশিরভাগ নেতাদের পেট বুঝি এমন গরুর মতোই হয়। আমাকে আদর করে বেশ ভালো। দু-তিন দিন পর পর হাজার ছয়-সাতেক টাকা দেয় আমাকে কিছু কিনে খাবার জন্য। আমি ওই টাকা দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে মাগী আর গাঁজায় দম দেই পরিতৃপ্তিতে। আব্বার হাসিটা আবার শুয়োরদের মতো। যখন হাসে গো গো শব্দ করে হাসে। তবে এমন হাসি আড়ালে হাসে। মানুষের ভিড়ে প্রকৃত মানুষের হাসি টাই হাসে। কিছু ভোট পাবার আশায়। এটাও বোধহয় রাজনীতিবিদদের এক প্রকার লীলাখেলা!
আবার পেটে যখন রঙ্গিন পানির ডোজ বেশি পড়ে। তখন যে আমাকে কি বলে গালি দেয় তার হিসেব দুদিন ভেবেও কষতে পারিনা। যেই আব্বায় আদর করে সব সময় সেই আব্বায় শুয়োরের বাচ্চা বইলা গালি দেয় আর বলে, তোর বাপের ঠিক নাই রে হারামজাদা! বহুরূপী আব্বাকে দেখে তাই আমার অন্তত একটা বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই আর। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ আর মেয়ে মানুষের মন বোঝা একেবারে কঠিন। খুব কঠিন!
বিশেষ ভালো থাকলে আমি লুইচ্চামি করি। লুইচ্চামি করাটা আমার বিশেষ স্বভাব। মন ভালো থাকলে তবেই করি। পিনিক ছাড়া মানুষ এর আসল মজা বুঝবে না। পাতা পোড়া গাঁজার গন্ধে চারিপাশ একেবারে হুলস্থূল অবস্থা। এমন সময় বন্ধু তপন বলল বাড়ির পাশের কচি মাইয়া অপ্সরার কথা। সবেমাত্র ক্লাস নাইনে পড়ে। বয়স পনের কি ষোল হবে! লালাভ চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে একটা গরু ভেসে ভেসে,উড়ে উড়ে যাচ্ছে। গরুর পিঠের উপর অপ্সরা বসে আছে। আমি অপ্সরার পিছনে বসা। আমি দুলাচ্চি পিছন থেকে অপ্সরাকে আর গরু সেই খুশিতে ছুটছে দ্রুত গতিতে।
আজ সন্ধ্যা বেলায় আমি ও পাঁচ বন্ধু মিলে অপ্সরাকে আদর করেছি। সে মাথায় ওড়না পেচিয়ে গুটিগুটি পায়ে বাসায় ফিরছিল। বন্ধু তপন কায়দা করে ধরে তপনের বাসায় উঠিয়েছে। কাঁচা মাংসের গন্ধ পেয়ে বন্ধুরা একে একে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অপ্সরা পা ছিটাচ্ছিল। আমি এক বোতল হুইস্কি একদমে মেরে সুতাবিহীন শরীরের তিল গুনেছি মেয়েটার। আমি অকৃতজ্ঞ নই। তাই সব ধরনের মালে বন্ধুদের ভাগ বসাতে দেই।
আচ্ছা, ছয়টি হিংস্র পশু যখন কচি একটা হরিণীর উপর জান্তব উল্লাস ঝাঁপিয়ে পড়ে,তখন কি সেটির দুচোখ দিয়ে দুফোঁটা পানি দুদিকে গড়িয়ে পড়ে? কে জানে! তবে মাগীটার পড়েছিল। ঘরময় তীব্র বাংলা মদের গন্ধের মাঝে সেদিন আকাশের চাঁদটা উঠেও সেদিন কালোমেঘের ঘনঘটায় নিভে নীরবে হারিয়ে গিয়েছিল।
এরকম কত কচি মাল যে লাগিয়েছি তার হিসেব নেই। ঘুমানোর আগে দু পেগ হুইস্কি অথবা আব্বার আলমারি থেকে চুরি করা দামি মদের বোতলের মুখ লাগিয়ে শুয়ে পড়ি নতুন ভোরের আশায়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৫