somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"থ্রিলার একটা গল্প লেখার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা "

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালটা আমার খুবই অদ্ভুত। দাঁত মাজতে মাজতে কালাম মামার চায়ের দোকানে চলে যায় প্রতিদিন। যাওয়ার অবশ্য একটা কারন আছে। এক বিশেষ মানুষের টানেই যাওয়া হয়। মানুষটা মাঝ বয়সী। আমাদের উত্তর পাড়ার স্কুলের গণিতের শিক্ষক। সকালে তিনিও রোজ এখানে চা খেতে আসেন। তার আকর্ষনে অনেকেই ভোর সকালে কালাম মামার দোকানে ভীর জমায়। স্যার যখন কথা বলেন তখন সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মত তা গিলতে থাকে। তার কথায় কেমন এক জাদু আছে। আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ ইনি।
.
যথারীতি আজকেও দাঁত মাজতে মাজতে গেলাম দোকানে। কিন্তু অবাক হতে হল। অন্যান্য দিন স্যার সবার আগে আসেন কিন্তু আজকে স্যারতো আসেনই নি এমনকি কালাম মামাও দোকান খোলা রেখে কোথায় চলে গেছে। আমি দোকানের বেঞ্চটাতে চুপচাপ বসে পাশের বাড়ির কাসেমের সাথে গল্প করতে লাগলাম। কিন্তু গল্প বেশী জমল না। আমিও বারবার রাস্তার দিকে তাকাচ্ছি কাসেমও বারবার রাস্তার দিকে তাকাচ্ছে, স্যার আসে নাকি এই অপেক্ষায়।
.
অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ স্যারকে দেখলাম গুটি গুটি পায়ে দোকানের দিকে আসছেন। সবার মুখেই আনন্দের ঝিলিক বয়ে গেল। স্যার এসেই বিষন্ন মুখে বসে রইলেন। এটা দেখে আমি এমনকি সবাই খুব অবাক হল। কারন আমরা আজ পর্যন্ত স্যারকে কখনও মনমরা হয়ে থাকতে দেখি নি। তিনি সবসময় হাসি খুশি থাকেন। তার এই বিষন্ন অবস্থা দেখে সবাই উসখুস করতে লাগল। অবশেষে স্যার মুখ খুললেন।
আজকে তোমাদের আমি একটা গল্প শোনাব। স্যারের এই কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। স্যার আমাদের কখনও গল্প বলতেন না শুধু বিভিন্ন উপদেশমূলক কথা বলতেন। স্যারের মুখে একি শুনছি।
.
স্যার বলতে থাকলেন। "কাল বিচিত্র এক স্বপ্ন দেখেছি। দেখলাম আমি মাটিতে পড়ে আছি। আর কোথা থেকে চার পাঁচজন মানুষ এসে আমাকে কাঁমড়াচ্ছে। আমার চামড়া মাংস খুবলে খুবলে খাওয়া শুরু করেছে। আমি খুব চেষ্টা করছি বাঁধা দেওয়ার কিন্তু হাত পা এক ফোঁটা নাড়াতে পারছি না। খুব ভয়ঙ্কর দেখতে ছিল মানুষ গুলো, দাঁতগুলো খুব ধারালো। হঠাৎ ওদের একজন আমার ঘাঁড়ে কাঁমড় দিল। আমি দেখলাম গলগল করে রক্ত আমার গলা বেয়ে সামনের অংশ পুরো লাল করে দিয়েছে। রক্তের সাথে মুখের কষ বেয়ে কেমন পিচ্ছিল পদার্থ বের হচ্ছে। আরেকজন তার ধারালো নখ আমার একটা চোখের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে চোখটা টান দিয়ে বের করে আনল। "
.
এইটুক বলেই স্যার উঠে দাঁড়ালেন বললেন আমার জরুরী কাজ আছে তোমরা থাক তাহলে। কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই হাঁটা শুরু করলেন। স্যার চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই দেখলাম কালাম মামা দৌড়ে আসছে। এসেই বলল "তোমরা এখনও বসে আছ? জানোনা আমাদের উত্তর পাড়ার স্কুলের গণিতের শিক্ষক মারা গেছে কাল রাতে??"
আমরা সবাই হা হয়ে গেলাম। তাহলে এতক্ষণ কে গল্প করল? হঠাৎ করেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি শুরু হল।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৬
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×