চিত্রঃ Shutterstock.com
(শততম পোস্ট এরকম একটা বিষয় নিয়ে হবে ভাবিনি। হয়তো আমারও একটা পিঠ আছে, হয়তো আমারও পিঠের পিছনে একটা দেওয়াল আছে, হয়তো দেওয়াল থেকে আমার পিঠ খুব একটা দূরে নয়। যাইহোক নতুন এই জগতে, নতুন আমিতে স্বাগতম)
একটা গোষ্ঠী পুরো দশটা বছর ইতিহাস পরিবর্তন, পাঠ্যসূচীতে সংযোজন বিয়োজন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু নীতিমালা বাধ্যতামূলক করন ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহন করেও পুরো একটা প্রজন্মকে চেতনা নামক ট্যাবলেটে অভ্যস্ত করতে সম্পুর্ণ ব্যার্থ হল। ইতিহাস এমনভাবে তাদেরকে গলাধঃকরণ করানো হল যে, তারা স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসের পার্থক্য গুলিয়ে ফেলল। একটা দলা বাধা ঘৃণা ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না এই প্রজন্মের সন্তানদের মধ্যে।
একজন জাতির নায়ক, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, একজন কিশোর প্রজন্মের কাছে হিরো ব্যাক্তি তার সারাটা জীবন ধর্মকে অচ্ছুৎ প্রমান করে বিজ্ঞানের টিনের চশমা পরানোর জন্য যে শ্রম ব্যায় করলেন তা এখন শুধুমাত্র কিছু কাঁচা মাথার উর্বর পরিকল্পনা হিসাবে ফলপ্রসু হল। বিজ্ঞানের এমন এক প্রজন্ম তৈরী করলেন যে প্রজন্মের মৌলিক একটা কাজ তাদের স্বপ্নের নায়ক, সুপার হিরোর লেখায় হা হা রিএক্ট প্রদান করা। এই প্রজন্ম অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে কখন তাদের সুপারহিরোর টাইটেনিয়ামে বাঁধানো মস্তিষ্ক থেকে কিছু গিরগিটি মূলক কথা বেরিয়ে আসে। আর তারা সেই লেখায় চরম বিনোদন উপভোগ করে।
মুক্তচিন্তার অধিকারী, নীতির বুলি কপচানো সেনা, চেতনাকে আদ্যপ্রান্ত ঠোঁটস্থ করা একটা দল একটা শব্দের মিথ্যাচারে আটকে পড়া বাহক গোষ্ঠীকে ফাঁসিতে দেখতে চেয়ে উদ্দাম নৃত্য দেখাল। অথচ তিন চারটা বছর ঘুরতে না ঘুরতে পুরো জাতি সেই দলটির সেই একই শব্দ নিজের গায়ে বহন করে গর্ব করতে দেখে নির্বিঘ্নে বিছানায় ঘুমাতে গেল এই বলে যে, "এবং উহারা কৌশল করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বোত্তম কৌশলকারী।" আল-কোর'আন
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৭