সবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত সম্পর্কে যে হাদিস গুলো পাওয়া যায় তা দুর্বল তাই সবে বরাত উজ্জাপন করা ইসলামের শরিয়তের দিক দিয়ে বিচার করলে ইহা বিদয়াত এর সামিল ( হাদিস গুলো নাকি জাল )!!!
আমার প্রস্ন আচ্ছা আপনারা টংগিতে অন্যের জায়গা দখল করে তিন দিন ব্যাপী যে ইজতিমা করেন ( আর বলেন ইহা দ্বিতীয হজ. নাউজুবিল্লাহ ) ইহা কি বিদয়াত নয় । ইহা কি নবী করিম (স.) করে গেছেন বা কোন হাদিসে এই জাতিয় ইজতেমা জমাতের করা সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কোন নির্দেশ দেখাতে পারবেন ?
আপনারা যে ইসলামের পাচ উসুলের পরিবর্তে ছয় উসুল বানাইছেন ইহা কোন ক্রমে বিদয়াহ নয় বলতে পরবেন ?
ইজতিমা বিদয়াত নয় শুধু ইহা অবৈধ .. আপনাদের সতর্ক হওয়ার জন্য বলে দেই যে জায়গায় ইজতেমা আনুষ্ঠিত হয় টংগিতে তা জোর করে দখল করা সম্পত্তি । তারা কাকরাইলে যে মসজিদে নামাজ আদায় করে তাও জোর জবস্তি কোন সঠিক নিয়মে ওদের জায়গার মালিকানা নাই । অথচ ইসলামিক শরিয়ত অনুযায়ি যে জমি ওক্হফো করা না হয় সে জায়গায় জুম্মা নামাজ পড়া জায়েজ নাই আদায় হয় না আথচ এই জায়গা গুলো ওয়াকফো তো দুরের কথা সঠিক মালিকানাই নাই । এই সম্প্রদায় সাধারন মুসলমানদের শুধু পরিবার হইতে নয় সমাজ সামাজিকতা হইতে এমন কি স্রষ্টি কর্তা প্রভুর কাছ থেকে ও দুরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।
দিন দিন এই ওহাবি মৌদুদি তোবলিগি মুনাফেক রা বাংলার জমিনে অন্যায় ভাবে ইসলামের ক্ষতি করে আসছে । মুক্তি যুদ্ধো কালিন সময়ে পাকিস্তানের দালালি .আর মুক্তি যুদ্ধের পর সৌদি আরব ও তার মিত্রদের দালালি ওদের একমাত্র কাজ । এদের মুল চরিত্র হচ্ছে দালালি করা . প্রথমে পাকিস্তানে এখন সৌদি-আরব ও তার মিত্রদের দালালি ।
এখানে উল্লেক্ষ যে সৌদি আরব আসলে তাদের রাজতন্ত্র কায়েম রখতে চায় চিরদিন সে জন্য মুসলিম জনসংক্ষা দিক থেকে বেশি বাংলাদেশ কে তারা প্রথম থেকেই টার্গেট করেছে । আমরা সকল মুসলমান যখন সৌদি বাদশাকে আমাদের খাদেমুল হারামাইন মনে করবো তার বিরুদ্ধে আমরা কখনই যাব না । আর সে ও তার মসনদ চির দিন এই প্রকৃয়ায় চিরস্থায়ী হবে । বাদশাহ তার মসনদের প্রয়োজনে ইসলামকে প্রতিদিন এডিটং করেতেছেন এই সমস্ত দালালদের মাধ্যমে তাদের টাকায় চলা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি তে তাদের প্রয়োজন অনুশারে ইসলাম তৈরি করিতেছে প্রতিদিন ।মুল ইসলাম তো ঐ অন্চল হইতে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে ।আপনারা যদি ইসলামি ইতিহাস জানেন তবে জানবেন যে মহানবী মুহাম্মদ (স.) এর ইন্তেকালের পর তাঁর প্রিয় সাহাবিগন প্রায় সকলে মদিনা ছেড়ে যেতে শুরু করেছিলেন যেমন হযরত বেলাল সিরিয়া ও অনান্য রা ইরান ইরাকে কিন্তূ যখন কারবালার সেই মর্মান্তিক ঘটনার ঘটে তার পর কেউ ইয়াজিদী মুসলমান ব্যাতিত কেউ ঐ অন্চলে অর্থাৎ সৌদি আরাব যান নাই হজ ও মদিনা যিয়ারত ব্যাতিত ।... ঐ হোসাইনি মুসলমান গন ভরাক্রন্ত হৃদয়ে মদিনা ছেড়ে আসতে আসতে ইরাক বাগদাদ আফগান ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসে ইসলাম প্রচার করছেন এবং এখাণেই তাদের আসতানা দরবার প্রতিষঠা করে গেছেন । সেই মহান আল্লাহর ওলি গন হৃদয়ে ইসলাম কে নি্যে এই অন্চল গুলোতে আল্লাহ কে স্বরণ করে ও তার প্রিয় হাবীব ও তার বংশধরদের গোলামিতে জিন্দেগি পার করে গেছেন ।
সর্ব প্রথম হযরত খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিস্তি এই ভারত মহাদেশে আসেন যিনি ছিলেন আওলাদে রাসুল আওলাদে আলি আল হাসানি ওয়াল হোসাঈনী ।তিনি সর্ব প্রথম এই অন্চলে ইসলামের বীজ বপন করেছিলেন প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ কে তিনি নিজ হাতে ইসলামে বায়াত করান .. এর পর হযরত খাজা বাকি বিল্লাহ (র.) নকশেবান্দি দিল্লিতে আসতানা গড়েন তার কাছ থেকে হযরত মুজাদেদে আলফেছানি (র.) এই ভাবে ছিলছিলা বা ছিলছিলা ইসলাম ইসলামের প্রচার প্রসার হয় ।চার তিরিকার সকল মাসাইক গন এই খেদমতে শত শত বছর দিন রাত পরিশ্রম করে গেছেন এর বদৌলতে আমি আপনি ইসলাম পেয়েছি । না কোন সৌদি বাদশাহ বা তার তথা কথিত দালাল রা এই ব্যাপারে কোন কাজ করেছে না তাদের কাছ থেকে আমরা ইসলাম পেয়েছি । যদি আমাদের এই উপমহাদেশের মুসলমানদের মুসলমান হওয়ার ব্যাপারে কারো কোন ভুমিকা থাকে তা কেবল কেবল মাত্র ঐ সকল মাসায়েক গন ও তার প্রিয় অনুশারি রা , যারা এই বাংলার আনাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খেদমত করে গেছেন এবং করিতেছেন ।
আজ সেই ইয়াজিদী শাষকরা তাদের টাকা পয়সা খরচ করে এই দেশে কিছু চির দালাল সম্পদায় কে ব্যাবহার করা সেই হোসাঈনি মুসলমানদের জাঁন মহান আললাহর অলিগনের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে ।
আর আমাদের দেশের দালাল রা তা প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে যেমনি দায়িত্ব নিয়েছিল মুক্তি যুদ্ধো কালিন আমাদের মা বোনদের আবরু কলংকিত করার । নাউজিবিল্লাহ .
এখন যে টিভি দেখেন সকল মিডিয়াতে এই দালাল রাই ইয়াজিদি দালালি করছে করবে না কেন অনেক টাকা যে পায় । াজ থেকে বিশ বছর আগে বাংলাদেশে হুজুর রা একটা মিলাদের দাওয়াত পাইলে মাদ্রাসার সকল ছাত্র নিয়া হাজির হইতো পন্চাশ টাকা কইরা পাচ শত এক হাজার কামাইতো এখন তারা এি মিলাদের বিপক্ষে বললে হাজার হাজার টাকা পায় সুতরং তাদের জন্য তো এই টাকাই সব । সাবধান ! আপানর বিবেক কে সাবধান করুন এই বিবেকহীন মুনাফেক দের কাছ থেকে ।
এই মুনাফিক রা এই অন্চলের অলি আউলিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলে । যাদের আত্বত্যাগের কারনে আজ আমরা ইসলামের আলোয় আলোকিত সেই মহান অলিগন কে কটাক্ষ করতে এরা পিছ পা হয় না । আমাদের উচিত এই সম্প্রদায়ের যত মুনাফেক আছে তাদের ঘাঁড় ধরে সৌদি আরব অথবা পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া না হয় আমাদের দেশের সাধারন মুসলমান রা এদের ফিতনা থেকে বাচানো সম্ভব হবে না । নিস্চই আল্লাহ এই ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সাহায্য কারি ।
void(1);
কিছু ওহাবি ,মৌদুদী, তোবলিগি খারেজী বাতেলরা সবে বরাত মিলাদ কে বিদয়াত বলে , তাদের কাছে আমার প্রস্ন ?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫৭টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?
যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!
যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।