somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যা চিঠি লিখে দিলাম.....

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট্টবেলায় শোনা একটা গানের কলি এমন "যারে যা চিঠি লিখে দিলাম সোনা বন্ধুর নামে" বেশ ভালো লাগতো। মর্মার্থ বুঝতাম না তবে এটুকু বুঝতাম কোনো এক বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠি। চিঠির প্রেরক আর প্রাপক এর মধ্যকার সম্পর্কটা কী রকম হবে তা বুঝতাম না। যখন বুঝতে পারি তখনো কোনো সোনা বন্ধুর খোঁজ পাইনি।ভাবতাম এতো অল্প তে সোনা বন্ধু জুটবেনা।
আরো বড় হতে হবে-কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালেয়ে ভর্তি হতে পারলেই কত্‌তো সোনা বন্ধু জুটবে! আসলেই যে বিষয়টা এতো সহজ না তা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি। এইতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ে এসেও যখন কোনো সোনা বন্ধুর নাগাল পেলাম না তখনই সব ক্লিয়ার হলো আসলেই ভাবা যতো সহজ করা ঠিক ততটাই কঠিন। নাগাল না পেলে হবে কি চিঠি লেখা কিন্তু থেমে নেই। সেই কলেজের ফার্স্ট ইয়ার থেকে শুরু এখনো থেমে নেই, লিখেই চলেছি। লিখতে লিখতে কতো শত কলম নিঃশেষিত, কত ডায়েরির পাতা কালো হরফের অক্ষরে পরিপূ্র্ণ তা সত্যিই অবাক করার মতন ব্যাপার কিন্তু একটা চিঠিও সোনা বন্ধুর নামে পাঠাতে পারলাম না বা পারিনি। কখনো পারবো কি না তা একমাত্র স্রষ্টা মালুম। সোনা বন্ধুর সন্ধান না পাবার ব্যর্থতা সম্পূ্রণটাই আমার।আর মনের মধ্যে অনূভুতি গুলো কখনো এতো তীব্র হয়নি যে সোনা বন্ধুকে পেতেই হবে। বরং অনুভূতিগুলো যখনই জাগ্রত হবার চেষ্টা করেছে তখনই কোনো না কোন stimulus ওদের সামনে বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই যেমন এইচ এস সি ফার্স্ট ইয়ারে যখন নয়নকে বেশ পছন্দ হলো সব criteria তে সে উত্তীর্ণ to be a Sonabondhu the then time a stimulus appeared before me that this is not high time to consider someone as Sonabondhu specially as Nayon , so you must give up everything, rather you should concentrate on your studies cause you must be admitted into any university. সুতরাং তৎক্ষণাৎ সব ছেড়ে ছুড়ে সুবোধ বালকে ন্যায় পড়ালেখায় মনোযোগ দিলাম, তবে ওর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিটা ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে মারলাম বি-বাড়িয়ার কোথাও। HSC এর পর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ে কাউকে কাউকে সোনাবন্ধুর মতন মনে হতে লাগলো । এই যেমন ব্যাচের সব চেয়ে সুন্দরি মেয়ে আয়েশা । যখন দেখলো আমি প্রতিদিন ডেইলি টেস্টে সর্বোচ্চ নম্বর পাচ্ছি এবং শেষে Intensive care এ বেশ ভালো করলাম তখন থেকেই দেখতাম ও বেশ ঘনিষ্ট হতে চাইতো, বিশেষ করে চবি তে বি ও ই ইউনিটে outstanding performance করার কারনে। তখন stimulus দাঁড়ালো তোমার লক্ষ্য কিন্তু এখনো অপূর্ণ, আর তা হলো ঢাবিতে চান্স পেতে হবে, সুতরাং এমন ভূল করোনা যাতে তীরে এসে তরী না ডোবে। এরপর আয়েশাকে ও পাত্তা দেওয়া ছেড়ে দিলাম। ও কোনো কিছু জানতে চাইলে কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে জবাব দিতাম অথবা বলতাম জানিনা বা পারিনা।ও বলতো তুমি কি ঠিকমতো কথাও বলতে পারনা।আর এতো লাজুক কেনো, আমার দিকে তাকিয়ে কথা বললে মনে হয় মরেই যাবে। মনে মনে বলতাম আত্মার মরণ না হলেও আমার উচ্চাকাঙ্খার মরন হতে পারে যা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারবো না। তাই ওদিকের attention ফিরিয়ে এনে admission 'র দিকে দিলাম। সোনা বন্ধুর নাগাল আবার ও নাকের ডগার পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। অভিষ্ট লক্ষে পৌছালাম বেশ ভালো ভাবে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ ১টা আসন দিতে আমায় বাধ্যই হলো এক রকম।বিনিময়ে সোনা বন্ধুর নামে চিঠি লিখেও লেখা হলোনা, পাঠানোতো বহুদূর পথ। তারপর ভাবলাম এবার বুঝি আর চিঠি পরিত্যক্ত অবস্হায় ফেলে দিতে হবেনা, ঠিক ঠিক সোনা বোন্ধুকে পেয়েই যাবো, কিন্তু সে আশা সুদূর পরাহত। এখন কেন যেন ওদেরকে বন্ধু মনে হয়না, মনে হয় সাক্ষাত যম, তা না হলে কেন সব সময় হীন্মন্যতায় ভুগী।নিজেকে ভার্সিটির সর্ব নিম্নতম ছাত্র মনে হয় , আসলেই কি তাই? রুমে দেখি রুমমেটরা অনেক ক্ষেত্রেই আমার চেয়ে ঢের কম জানে। ডিপার্টমেন্টে খুব খারাপ রেজাল্ট করি তাওতো না। তাও কেনো যেনো নিজেকে অধমর্ণ মনে হয়। এমন অনেক দেখেছি যারা ঠিক ভাবে ১ পেজ ইংরেজি লিখতে পারে না তারাই দু বাহুতে দু গার্লফ্রেন্ড নিয়ে রোজ সকাল বিকেল কলাভবন, টিএসসি, সড়ক দ্বীপে ব্যাপক আড্ডা মারে। ওদের সামনে দিয়ে হাঁটতেই যেন হাটু কাপে, হোক না অনাকাঙ্খিত কোন ডিপার্টমেন্টের। এইতো সেদিনও কলাভবনের কোনো এক ডিপার্টমেন্টের একটা মেয়েকে বেশ মনে ধরায় মনের অভিব্যক্তি প্রকাশের নিমিত্তে চোটো ভাই কাম বন্ধুকে নিয়োজিত করেও মনের পালপিটেশন নিয়ন্ত্রন করতে পারছিলাম না এই ভয়ে যদি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যাত হই। সত্যিই এই চিঠির মতো হয়তো আরো অনেক চিঠি লেখবো কিন্তু সোনা বন্ধুর নামে আর হয়তো পাঠানো হবেনা। বলছিলাম নিজের Inferior complexity 'র কথা, কিন্ত অবাক না হয়ে পারিনা যে অন্যরাও আমাকে নিয়ে একই সমস্যায় ভোগে। এইতো যেমন আজ পর্যন্ত কোনো কাজিন তথা (চাচাত, মামাত,ফুফাত) আমায় বলাতো দূরের কথা ভাবনায় ও আনে না। ওরা ভাবে ওরা হয়তো আমার যোগ্য না তাই কোন রূপ ইঙ্গিত দিলেও অতি সন্তর্পনে আলোচ্য বিষয়কে পাশ কাটিয়ে ভিন্ন বিষয়ের অবতারনা করে। ভাবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তাই বিশ্ববিদ্যালয়েরাই আমার উপযুক্ত। তা না হলে অজমূর্খদেরকে ওদের মনের কোটরে জায়গা দিলেও আমার জায়গা হয় না । এভাবেই হয়তো আমাকে চিঠি লিখে যেতে হবে চিঠির গন্তব্য বা উদ্দেশ্য আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা, দেখি এভাবে আরো কতো দিন লেখা যায়.!!!!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×