সেই আগের মতোই আছ,
শাড়ির কুচি আজও ঠিক মতো বুনতে শেখনি,
খোঁপা থেকে কয়েক গোছা চুল এখনও এদিক সেদিক বেরিয়ে থাকে,
বাতাসে উড়ে,খুব ভালো লাগে।
এত বছর পর তোমাকে পেছন থেকে দেখেই বুঝেছি,
সেই আগের মতোই আছ।
রাস্তা পার হতে খুব বেখেয়ালি হয়ে যাও,
আইসক্রিম,ফুচকা,চটপটি
এগুলো খাওয়ার সময় তুমি বেশ অন্যরকম থাক,
ঠিক ছোট বাচ্চাদের মতো কর।
এই যে সেদিন বৈশাখি মেলাতেও তুমি একই কাণ্ড করলে ,
তোমার দুই ঠোঁট আইসক্রিম দিয়ে হিজিবিজি হয়ে আছে।
সেই আগের মতোই আছ,
নাগরদোলায় উঠে কি যে চিৎকার দিলে ,
আমি সেই দশ বছর আগের তোমাকেই দেখলাম মনে হল,
চুড়ির দোকানে যখন বিভিন্ন রঙের চুড়িগুলো নিয়ে হাতে পড়ছিলে,
আমি অপেক্ষা করছিলাম, কখন সবুজ চুড়িটা নিয়ে
দোকানিকে বলবে যে এটাই তোমার পছন্দ হয়েছে,
শেষমেশ তাই করলে।
সেই আগের মতোই আছ,
ভীরু দুটি চোখ নিয়ে আমাকে খুঁজেছিলে ভিড়ের ভেতর
ঠিক যেমনটি আগে খুঁজতে, তোমার মায়ের সাথে লেপ্টে থাকা তুমি
ভিড়ের মধ্যে কোনো এক কোনে দাঁড়িয়ে থাকা আমাকে দেখে
খুব সাবধানতায় হাসতে,আমি বুঝে নিতাম আমায় দেখেছ,
তখন পুরো বৈশাখ আমাকে সুখ এনে দিতো।
সেদিনও ঠিক তাই হল ,
সব ঠিক ছিল,
আইসক্রিম,ফুচকা,চুড়ির দোকানের চুড়ি,নাগরদোলা
ওরা সবাই ছিল,মঞ্চে বৈশাখের গান গাইছিল সুরেলা কণ্ঠে,
তুমিও ছিলে,আমিও ছিলাম
শুধু অগোচরে।