১.
যব- গোধূলি সময় বেলি ।
ধনি- মন্দির বাহির ভেলি ।।
নব জলধর বিজুরি রেহা
দ্বদ্ন পসারি গেলি ।।
ধনি- অল্প বয়েসী বালা ।
জনু- গাঁথনি পুহপ-মালা ।।
------------------------
------------------------
ভাষাটি বুঝতে খুব কষ্ট হচ্ছে
হয়তো,কিন্তু একবার বুঝে ফেললো
উল্লাসিত হতে হবে।এ ভাষাটির নাম
ব্রজবুলি ভাষা।বাংলা,সংস্কৃত এবং
হিন্দির সংমিশ্রণে তৈরি এ ভাষা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাল্যকালে এ
ভাষার যাদুতে এত মুগ্ধ হয়েছিলেন
যে,তিনি এ ভাষা শিখে অনেক
কবিতা লিখেছিলেন।
কবিতাটিতে কবি রাধার বনর্ণা
দিচ্ছেন-
যখন গোধুলী বেলা
রাধা ঘর থেকে বাইরে এলো তখন
হঠাৎ যেন মেঘের কোলো বিদ্যুৎ
চমকিয়ে গেল।
রাধা অল্প বয়সের মেয়ে (১৮-১৯)
যেনো ফুলের গাঁথা মালা।
২.
হাথক দরপণ মাথক ফুল |
নয়নক অঞ্জন মুখক তাম্বুল ||
হৃদয়ক মৃগমদ গীমক হার |
দেহক সরবস গেহক সার ||
পাখীক পাখ মীনক পানি |
জীবক জীবন হাম তুম জানি ||
তুহু কৈছে মাধব কহ তুহুঁ মোয় |
বিদ্যাপতি কহ দুহু দোহাঁ হোয় ||
.............................................
.............................................
কবিতাটিতে রাধা ভালোভাবে
জানতে চাইছে কৃষ্ণ তার কে হয়।রাধার
মনে হয় কৃষ্ণ তার হাতের আয়না,যাতে
সে নিজেকে দেখে। তারপর মনে হয়
কৃষ্ণ তার মাথার ফুল যা তার শোভা
বাড়িয়ে দেয়।তারপর এভাবে বলতে
থাকে---
তুমি আমার চোখের কাজল,মুখের
লালপান
তুমি আমার হৃদয়ের সৌরভ,গ্রীবার
অলংকার।
তুমি আমার শরীরের সর্বস্ব,আমার গৃহের
সার।
পাখির যেমন থাকে
পাখা,এবংমাছের যেমন জল তুমি ঠিক
তেমনি আমার।
এতো বলেও তৃপ্ত হয়না রাধার, তাই সে
বলে তুমি আমার কে? উত্তরটি দেন কবি
বিদ্যাপতি নিজেই, কবি বলেন
তোমরা দু জনে অভিন্ন।
বিদ্যাপতির কল্পনা অসাধারণ। তার সব
কবিতাই এরকম।পড়তে পড়তে মন ভরে
যায়।
উৎসঃ বই লাল নীল দীপাবলি- হুমায়ূন
আজাদ
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১