somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাস্তার মানুষের কথা (হালায় বেশি কথা কয়)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হালায় বেশি কথা কয়:

১।
রাস্তা-ঘাট দিয়ে মানুষ জণ হেটে, রিক্সায়, সাইকেলে, অটোতে, ভ্যানে, গাড়িতে করে যার যার গন্তব্যে পৌঁছে যায়। কিন্তু এ রাস্তায়ই সে যে কত কথা বলে, কত ভঙ্গি করে তা সে নিজেও জানেনা। জানলে অবাক হয়ে যেত।

বাসার সামনে রাস্তার পাশে ৫/৬ জন তরুণ গল্প-গুজব করছে। তাদের অদূর দাড়িয়ে এক যুবক ফোনে কথা বলছে-

বাসা ভাড়া বাড়াইছে। হেয় কইল, আর আমি দিয়া দিলাম। দেশটা মগের মুল্লুক অইয়া গেছে গা। বাড়ি ওয়ালার পাছাদা ভইরা দেমু টেহা।

আমারে চিনেনা। হালায় মাল খায় আর মাগী লইয়া ঘুইড়া বেড়ায় আর বছর না যাইতেই বাড়ি ভাড়া বাড়ায়া দেয়। এই বার ক্যাচাল করলে ওর

একদিন কি আমার একদিন। ফাও খাইয়া জিহ্বা সোয়া-হাত বড় অইয়া গেছেগা। টেকা কামাইতে বহুত কষ্ট। টেকা মাগনা গাঙ্গেদা ভাইয়া

আইয়েনা। এইবার ওর কথা হুইনা যদি মাথায় রক্ত উঠে তয়, হের নামে মামলা কইরা জেলের ভাত না খাওয়াইলে আমার নাম আক্কাস না।

কামের অভাব নাই। রাহি এইবার।

যুবক ফোন কেটে দিয়ে হন হন করে হেটে চলে সামনের দিকে। আর তরুণের দল বলে উঠে- হালায় পাগল একটা, হালায় বেশি কথা কয়।


২।
শেষ বিকালে বসে আছি বারান্দায়। সন্ধ্যার কাছা কাছি সময়ে একটা কৌশর পেরুনো ছেলে প্রায়ই মোবাইলে তার বন্ধুদের সাথে কথা বলে ।

তার ভাব ভঙ্গি, কথা বলার ধরণ দেখে হেসে কুটি কুটি হই।

একদিন সে বলছে- দোস্ত আমি হইলাম গিয়া একটা পাগল। নাইলে তুই এত অপমান করার পরেও আমি তোরে ফোন দেই।

এই দুনিয়াত আর কেউ এমন করব।

হালা তুই বেঈমান। আমারে তর বন্ধু ভাবসনা। আমারে তুই পাত্তা দেসনা। সবই বুঝি। বুঝলি তারপরও মনেরে মানাইতে পারিনা। তোগ

লগে কথা না কইালে পেটের ভাত হজম হয়না।

তুই বলে প্রেম করস। কই কোন দিন আমারেতো তোর প্রেমিকার নামটাও বলস নাই। আমি মগা। হেরলাইগাইতো আমার সব গোপন কথা

গড় গড় কইরা তোর লগে কইয়া দেই। প্রত্যেকদিন কথা কইতে কইতে মোবাইলের টেকা শেষ হয় তারপরও তুই ভুলেও একবার ফোন

দেসনা। আসলে আমার কপালই ভালা না। কেউ আমারে দেখতারেনা।

কথা শেষ করে সেই ছেলে আবার আরেক জনকে ফোন দেয়। হেসে কুটি কুটি হয়। লোকজন পাশ ফিরে তাকায় আর কটাক্ষ করে আস্তে আস্তে

বলে- কোথা থেকে যে এসব পাগল আসে শহরে, কিসব বলে মোবাইলে ঘন্টার পর ঘন্টা। আহলাদ দেখলে মরে যাই!


৩।

তিন বান্ধবি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। ফিস ফিস করে একজন বলছে ঐ ফার্মেসীর নতুন পোলাতে দেখতে দারুন সুন্দর।

২য় জন- প্রেম করবি নাকি ? ওর সোন্দর দিয়া তোর কাম কি ?

৩য় জন- আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয় ধইরা আইনা ইয়ে......................................

১ম জন- যা তুই একটা খারাপ। এসব কথা মেয়েরা আবর বলে নাকি ?

৩য় জন- এ্যা, ন্যাকা। কিছ্ছু বোঝেনা। খালি ছেলেরাই এসব কথা বলবে আর আমরা আঙ্গুল চুষবো। না।

২য় জন- কত জণকেই তো ঘুরালি, কয় জনরে কিস্ করছস ক-দেহি হাছা কইরা।

৩য় জন- ঘুরানো সহজ, কিস এত সহজ না। কিস করতে আইলে আন্ডা ছেঁইচা দিমু। চিনেনা আমারে ?

১ম জন- জানিস ফার্মেসীর নতুন পোলাটাও আমাগো দিকে চোরা চোখে চায়।

৩য় জন- নতুন মাল, সরাসরি চাইতে একটু সময় লাগবো। এখন চোরা চোখে চাইয়া আশ মিটায়। আর বাথরুমে যাইয়া ইচ্ছেমত................

২য় জন- ইস্ আস্তে লোকে শুনলে খারাপ মাইয়া কইবো।

১ম জন- ছেলে হইলেই ভাল যা মন চায় কওন যায়, যেখানে মন চায় যাওন যায়। আমর আমগো শুধু সব কিছু চুপে চুপে করণ লাগে।

তাদের কথা শুনে আমিও মনে মনে বললাম মেয়েগুলো বেশি কথা বলে।






ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×