মানুষের জীবন একটাই। জন্মও একবারই। একবার জন্ম নেওয়া মানুষটি মরে গেলে পৃথিবীতে সে আর কোনদিন ফিরে আসেনা। তার সাথে
পৃথিবীর সব বন্ধন শেষ হয়ে যায়। অন্য এক জগতে সে তখন অনন্তকালের বাসিন্দা হয়ে যায়। বেঁচে থাকার এক জীবনে মানুষ কত স্বপ্ন দেখে।
কত কিছু ভাবে। কত কিছুইনা হতে চায়। জীবনের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কত হিসাব করে। না পাওয়ার বেদনায় হা হা কার করে উঠে বুক।
জীবনকে যে মানুষ কত ভালবাসে তা মৃত্যু সামনে এলে বুঝা যায়। জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষ কি না করে। গতকাল যখন মানব জমিনে-
রোহিঙ্গা বালক নবী হোসেনের কাহিনি পড়ছিলাম বুকের ভিতর তোলপাড় চলছিল। আহারে! জীবন আহারে!
জীবনের বাস্তবতায় যখন সেই কিশোর দেখল- মৃত্যু ও মানুষ রূপী দানব কত ভংঙ্কর, কত নির্মম। কত দ্রুত আর সহজেই জীবন শেষ হয়ে
যায়, লাশ হয়ে পড়ে থাকে এখানে ওখানে। তখন বাঁচার জন্য নবী হোসেনর পরিবার পালিয়ে সীমান্তে আসে শত বাঁধা পেড়িয়ে কিন্তু মৃত্যু তাদের
তাড়া করে ফেরে প্রতিনিয়ত। সীমান্তে এসে যখন এপাড়ে আসার কোন নৌকা পায়না, ৩/৪ দিন ধরে খোলা আকাশের নীচে অনাহারে/অর্ধাহারে
থাকার পর একটা হলুদ গ্যালনে করে সমুদ্রে ভেসে পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয় কিশোর নবী হোসেন।
পিছনে পরিবার পরিজন, প্রিয়মুখ, জন্মভূমি আর সামনে সমুদ্রের ঢেউ মৃত্যুর আতংঙ্ক।
শেষ মষে জীবন নিয়ে ১৩ বছরের নবী হোসেন ৪০,০০০ হাজার পবিরারহীন রোহিঙ্গা শিশুদের সাথে যোগ দিয়ে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন
দেখে। দেশ ত্যাগের সময় তার দেশ তাকে একটা হলুদ গ্যালন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারিনি যা এই আধুনিক সভ্যতার যুগে লজ্জা ও
কলঙ্কের।
তাইতো ভাবতে হয়-আহারে জীবন! আহারে!
ছবি : নেট দুনিয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৯