একটু অসাবধান হলেই যে বিপত্তি ঘটে তার প্রমাণ পাওয়া যায় প্যান্টের চেইন টেনে লাগানোর সময়। প্যান্টের চেইনে ছেলেদের বিশেষ...টা আটকে যাওয়ার ঘটনা আকছার ঘটে।
যখন খুব তাড়া থাকে তখন তাড়াহুড়া করে যেই প্যান্টের চেইন টেনেছেন অমনি জালে মাছ আটকে যাওয়ার মত আপনি লাফিয়ে উঠলেন। যদি হালকাভাবে আটকে যায় তবু একটু চেষ্টা করে নিজেই খোলার ব্যবস্থা করে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু যদি গভীরভাবে আটকায় তবেই বিপত্তি।
বড়দের বেলায় খুব কমই ঘটে এধরণের ঘটনা কারণ তারা প্যান্টের নীচে অন্তর্বাস পরেন।
কিন্তু ছোট বাচ্চাদের বা কিশোরদের ক্ষেত্রে ঘেটে ভয়াবহ ঘটনা। সেদিন বাসায় এক আত্মীয়া তার ছোট ছেলে বাবুকে নিয়ে বেড়াতে আসলেন। অনেক মানুষজন, গল্প, কথা, হৈহুল্লর হচ্ছে। হঠাৎ বাবুটা মাকে বলছে- আম্মু প্রস্রাব করবো। তার মা তার প্যান্টের চেইন খুলে দিয়ে বললেন বাথরুমে গিয়ে সেরে আস। বাবুটি কাজ শেষে এসে বলল চেইন লাগয়ে দাও। মা খুব বিরক্ত হলেন। তোমাকে নিয়ে আর পারিনা। যখন-তখন জ্বালাতন কর। তিনি তাড়াহুড়া করে যেই প্যান্টের চেইন টেনেছেন তমনি বাবুটি চিৎকার করে উঠল।
বাবুর মা যখন খেয়াল কররেন যে বাবুর ইয়েটো প্যান্টের চেইনে আটকে গেছে তিনি বাবুকে আড়ালে নিয়ে নিজেই চেষ্টা করতে লাগলেন তা খোলার জন্য। কিন্তু যতই টানাটানি করছেন ততই বাবুটি ব্যাথায় ককিয়ে উঠছে আর জোড়ে জোড়ে কান্না করছে। বাবুর কান্না শুনে অন্য মহিলারা গিয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করলেন কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা।
একপর্যায়ে উচ্চস্বরে কান্না করে পুরো বাসা কাপিয়ে দিল। আমাকে খবর দেয়া হলে গিয়ে যা দেখলাম-কল্পনাও করিনি এতটা সিরিয়াস হবে। চেইনের ভিতরে চামড়া এমনভাবে আটকেছে এখন চেইন ধরলেই বাবু ব্যাথা পাচ্ছে।
দ্রুত একটা কেচি, ব্লেড দিয়ে প্যান্টটা চেইনবাদে কেটে ফেলে বাবুকে পাজা কোলে করে নীচের ফার্মেসীতে নিয়ে গেলাম। বাবু তখনও কেঁদে চেলেছে। রাস্তার মানুষ বলছে-বাচ্চাটার কি হয়েছে ? উত্তর দেওয়ার মত সময় নেই। এদিকে ফার্মেসীর তরুণটি একটু চেষ্টা করে বলল- আমার দ্বারা সম্ভবনা, অবস্থা বেশি খারাপ, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
সি.এন.জির জন্য দাড়িয়ে আছি ? একটাও খালি সি.এন.জি নেই। অগত্তা অটো নিয়েই হাসপাতালে পৌঁছলাম। পরে ডাক্তাররা সমস্যার সমাধান করলেন।
সে কি টেনশন, সে কি বাচ্চার মায়ের কান্না। তাই সাবধানতার বিকল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩১