রফিক স্যার পিটি -প্যারট করাণ আর বাংলা ক্লাস নেন। একদিন ক্লাসে এক ছেলেকে বলছেন-
এই তুমি কি নতুন এসেছ ?
জ্বী স্যার। আমি এই স্কুলে নতুন ভর্তি হয়েছি।
গ্রামের বাড়ি কোথায় ?
কুমিল্লা।
তার মানে কু-মিল্লা।
স্যার কুমিল্লা হলেও আমাদের থানার পরেই ঢাকা শুরু।
নানীর বাড়ি কোথায় ?
মুন্সীগঞ্জ।
ও- মুন্সীগঞ্জ। অনেক স্মৃতি আছে আমার। ও খানের এক স্কুলে ছিলাম। পরিবেশ ও মানুষজন ভালই।
আচ্ছা তোমরা ডিমকে কি বল ? মানে তোমাদের নানির বাড়িতে ডিমকে কি বলে ?
স্যার ডিমকে ডিমইতো বলে।
না না। কখনো না।বদা বলে, বদা। আবার আন্ডাও বলে।
একটা হাসির রোল পড়ে গের ক্লাসে। বদা! উচ্চারন করেই ছাত্র-ছাত্রীরা হেসে উঠল।
স্যার বলে চলেছেন- ওখানে একদিন বন্ধের দুপুরে খেয়ে শুয়ে আছি এমন সময় এক লোক হেকে বলছে- বদা আছে বদা। বদা নিবেন বদা। বদা লাগবো বদা।
তার এই সুর করে বদার বিজ্ঞাপন আমাকে আকৃষ্ট করলো।
বদা জিনিষ টা দেখার বেশ কৌতূহল হলো। লোকটাকে ডাক দয়ে উঠানে গিয়ে বললাম দেখাও তোমার বদা।
লোকটি এক হালি ডিম বের করে বলল-স্যার এই লন বদা।
বদা কোথায় ? এতো ডিম !
স্যার ডিমেরেই আমরা বদা কই।
ডিম দেখে আমার গেল মাথা গরম হয়ে। বললাম -আরে ব্যাটা ভাগ এখান থেকে।এই বদা খেতে খেতে জান শেষ।
লোকটি চলে গেলে মাথা ঠান্ডা হলে ভাবতে লাগলাম- আহা ! কি নাম-বদা। ডিমেরে বলে কিনা বদা। নিজেই হাসতে লাগলাম আর বলতে লাগলাম-বদা। বদা।
এর পর থেকে ছাত্ররা একজন আরেকজনে কারণে অকারণে বদা নাম ডাকতে লাগলো।
বদা নামটা যেন হাসির পাত্র হয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫০