১৯৮৩ সালের বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী জাহাজে কর্মরত নাবিকদের সব দায়িত্ব সরকার ও মালিকপক্ষের। কোনো জাহাজ বিপদগ্রস্ত হলে তাদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও সরকারের
সোমালিয়ায়
দস্যুকবলিত
বাংলাদেশি
জাহাজ
সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে ২৫ দিন ধরে আটকে থাকা বাংলাদেশের জাহাজ ‘জাহান মনি’ ও ২৫ নাবিকসহ ২৬ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সরকার ও জাহাজ মালিকের সিদ্ধান্তহীনতায় যে কোনো সময় বিপন্ন করতে পারে নাবিকদের জীবন। জাহাজসহ নাবিকদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা চলছে, এমন কথা জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষ ব্রেভ রয়ালের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এ কারণে দিন দিন নাবিকদের স্বজনদের উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের এ জাহাজ কীভাবে, কোন কৌশলে উদ্ধার করা হ”েছ; তা দেখার জন্য উদ্গ্র্রীব হয়ে আছে বহির্বিশ্বও। কারণ এই প্রথম বাংলাদেশের জাহাজ ছিনতাই হওয়ার পর বিশ্ববাসী তা সমান সহানুভূতি ও উৎকণ্ঠা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া দেশের স্বার্থ ও মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ কতটা সক্ষম তাও দেখছে আন্তর্জাতিক মহল।
প্রশ্ন উঠেছে, দস্যুদের দাবিকৃত ৬২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে জাহান মনি ও তার নাবিকদের ছাড়িয়ে আনবে কে? বাংলাদেশ সরকার নাকি জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষ ব্রেভ রয়াল? এ সঙ্কটের পাঁকেই আটকে আছে জাহাজ ও নাবিকদের ভাগ্য। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের ঘটনায় কোনো রাষ্ট্র মুক্তিপণ দিতে পারে না। অথচ বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অডিন্যান্সের ১৪তম অধ্যায়ের (মুক্তি ও সঙ্কটাপন্ন নাবিকদের ব্যব¯’াপনা) ধারা ১৭৫ ও ১৭৬-এ উল্লেখ আছে, ‘বাংলাদেশি পতাকাবাহী কোনো জাহাজ দস্যুতার শিকার হলে বাংলাদেশ
সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য দায়বদ্ধ। জাহাজ যে দেশে বা যে ¯’ানে দস্যুতার শিকার হবে, সে দেশের বা ¯’ান থেকে জাহাজ এবং নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে সরকার তার নিকটতম দেশের কাউন্সিলরের মাধ্যমে উদ্যোগ নেবে। এজন্য যে পরিমাণ টাকা দরকার হবে তা সরকার ওই কাউন্সিলরের মাধ্যমেই খরচ করবে। তবে জাহাজ উদ্ধার হওয়ার পর এর মালিকপক্ষ থেকে সরকার সে টাকা আদায় করে নেবে’।
গত ৫ ডিসেম্বর সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ আরএমভি জাহান মনি ২৫ নাবিক ও এক নাবিকের স্ত্রীসহ ছিনতাই হয়। এরপর জাহাজটির গতিবিধির ওপর নজর রাখে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল। পরে সোমালিয়ান উপকূলে দস্যুরা জাহাজটি নোঙর করে এবং নয় মিলিয়ন ডলার ( প্রায় ৬২ কোটি টাকা) মুক্তিপণ দাবি করে। এ নিয়ে প্রথমদিকে সরকার ও জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের তৎপরতা চোখে পড়লেও কয়েক দিনেই তা স্তিমিত হয়ে যায়। ফলে আশঙ্কা ও উৎকণ্ঠায় রয়েছে জাহাজের নাবিকদের স্বজন ও দেশবাসী। কারণ এখনো জাহাজটি উদ্ধারে সরকার বা মালিকপক্ষ থেকে স্ব”ছ কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। উভয়পক্ষ শুধু বলছে, তারা চেষ্টা চালিয়ে যা”েছ। যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের উদ্ধার করা হবে। মন্ত্রীরা আশার বাণী শোনালেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের মুখে হতাশার সুর শোনা যা”েছ। বলতে গেলে অনেকটা হাত গুটিয়ে বসে আছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরএমভি জাহান মনির কোম্পানি ব্রেভ রয়ালের মহাব্যব¯’াপক ক্যাপ্টেন মেহেরুন করিম বলেছেন, তারা নাবিক এবং দস্যুদের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলছেন। এতে তারা আশাবাদী নাবিকসহ জাহাজ উদ্ধার হবে।
এ ব্যাপারে শিপিংয়ের ডিজি রিয়াল অ্যাডমিরাল বজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নাবিক এবং জাহাজ বিষয়ে সাম্প্রতিক কোনো তথ্য তার কাছে নেই। এমনকি নাবিক বা দস্যুদের কারো সঙ্গেই তাদের যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ যা হ”েছ জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গেই হ”েছ। তবে নাবিক এবং জাহাজ উদ্ধার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এজন্য ৬ থেকে ১০ মাসও সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে যত দেরিই হোক, নাবিকসহ জাহাজ উদ্ধার হবে বলে তিনি আশাবাদী।
জাহাজ মালিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এবং এ সংক্রান্ত আইন-কানুন ঘেঁটে জানা গেছে, জাহাজ সাগরে ভাসানোর আগেই লন্ডনভিত্তিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে প্রটেকশন অ্যান্ড ইন্ডিমিনিটি ইন্স্যুরেন্স (পিএনআই) করতে হয়। নয়তো ওই জাহাজ কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহন করতে পারে না। এ প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, সুইডেন ও জাপানে লিয়াজোঁ অফিস রয়েছে। এটি মেরিন ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট ১৯০৬ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একইভাবে জাহাজে যে পণ্য পরিবহন করা হয় তারও ইন্স্যুরেন্স করতে হয়, নয়তো ওই পণ্য কোনো জাহাজে বহন করা যাবে না এবং বিল অফ লেন্ডিংও (বিএল) ইস্যু হবে না। ফলে বিএলে ক্যাপ্টেন স্বাক্ষর না করলে টাকাও তোলা যাবে না।
সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হলো, এসব ইন্স্যুরেন্সে জাহাজ আর পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও নাবিকদের কোনো নিরাপত্তা দেয়া হয় না। নাবিকদের জন্য আছে শুধু বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অডিন্যান্স। এ অডিন্যান্সে নাবিকদের ক্ষতি পূরণ প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ আছে। তবে জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি এখানে। নাবিক কোনো দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার বেতন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যদিকে জাহাজ বা পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পুনরায় ওই পণ্য বা জাহাজ তৈরি হবে, আবার অন্য কোনো নাবিক দিয়ে তা সাগরে ভাসাবে। ছুটবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অডিন্যান্স ১৯৮৩ অনুযায়ী জাহাজে কর্মরত নাবিকের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকার এবং এর মালিকপক্ষের। কর্মরত অব¯’ায় নাবিকের চাকরি, স্বা¯’্য ও পুনরায় জাহাজ থেকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও সরকার এবং মালিকপক্ষের। সে অনুযায়ী আটককৃত নাবিকদেরও ফিরিয়ে আনার জন্য শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে তাদের। এবং ধারা ১৩৬-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ বিপদগ্রস্ত হলে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।
আইন অনুযায়ী একটি দেশের বন্দর থেকে জাহাজ ছাড়ার আগে নৌমন্ত্রণালয়ের শিপিং অফিসের মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টে জাহাজের ক্যাপ্টেন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ওই চুক্তির আওতায় ক্যাপ্টেন জাহাজসহ নাবিকদের দায়িত্ব নেন আর সরকার সবকিছুর দায়িত্ব নেয়। একই সঙ্গে নাবিকরা ক্যাপ্টেনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে ক্যাপ্টেন নাবিকদের দায়িত্ব নেন।
এ বিষয়ে মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমান বলেন, জাহান মনিতে ক্যাপ্টেন ও নাবিক উভয়ই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। এখন তাদের আর কোনো দায়িত্ব নেই। কারণ জাহাজ এখন দস্যুকবলিত এবং নোঙর করা অব¯’ায় রয়েছে। তিনি জানান, জাহাজটি যখন দস্যুতার শিকার হয়, তখন তারা জাহাজের গতি-বিধি তদারকি করেছেন। নাবিকদের জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন জাহাজ যে অব¯’ায় আছে, সেখান থেকে উদ্ধার করে আনার দায়িত্ব সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিন্যান্সের ধারা ১২-এর আওতায় দেশের পতাকাবাহী জাহাজ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন, নাবিকদের সার্বিক বিষয় দেখার জন্য সরকার একজন সি-ম্যান ওয়েলফেয়ার অফিসার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে কথা হয় নাবিক ও প্রবাসী কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মাহফুজুল কাদেরের সঙ্গে। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে সরকার এবং মালিকপক্ষ কাজ করছে। তাই এ নিয়ে তার কোনো ব্যস্ততা নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নাবিকদের আত্মীয়স্বজনের ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার তিনি সরবরাহ করেছেন। তবে তার কাছে দস্যুকবলিত জাহাজের ক্যাপ্টেনের নাম্বার আছে কিনা জানতে চাইলে তা তার কাছে নেই বলে জানান।
এদিকে নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে সরকার ও মালিক কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন কারণে। বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, সরকার নাবিকদের উদ্ধারে সি-ম্যান ওয়েল ফেয়ার অফিসার নিয়োগ দেয়নি।
একই অর্ডিন্যান্সের ধারা ১১২-এ (এইচ) বলা হয়েছে, জাহাজে কর্মরত অব¯’ায় কোনো নাবিকের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে সরকার তার ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিন্যান্সের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, নাবিক যদি জাহাজসহ হারিয়ে যায়, তাহলে সরকার জাহাজের মালিকপক্ষ থেকে নাবিকের বেতন অনুযায়ী তার ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে বাধ্য থাকবে।
জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) ইন্টারন্যাশনাল সিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি কোড (আইএসপিএস কোড) অনুযায়ী মার্চেন্ট শিপগুলোতে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা বিস্ফোরক রাখা যায় না। তাই জাহাজের নাবিকদের সশস্ত্র জলদস্যুদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না।
জানা গেছে, ইউরোপিয়ান নেভাল ফোর্সের মতেÑ ২০১০ সালে জলদস্যুরা ১৬৪টি জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে। ২০০৯ সালে ১৯৩টি জাহাজ আক্রান্ত। এ সময় তারা ৩৩টি জাহাজ ছিনতাই করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে ২২টি ছিনতাই হওয়া জাহাজ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি রয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাহান মনিতে আটকে থাকা ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তারিকুল ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন জানান, তার স্বামীর ভাষ্য অনুযায়ী সোমালিয়ার ৩০ জলদস্যু তাদের আটকে রেখেছে। ১২ ডিসেম্বর মোবাইল ফোনে তারিকুল তার স্ত্রীকে এ কথা জানান।
মাহফুজা বলেন, ১২ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুরা নয় মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬২ কোটি টাকা) মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে জিম্মিদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। তার দাবি, সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যব¯’া নেয়া হয়নি। এ অব¯’া চলতে থাকলে জিম্মিদের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এদিকে মুক্তিপণ দিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরো গত ১৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনকে এ পরামর্শ দেয়। যুক্তরাষ্ট্র আরো জানায়, জলদস্যুদের একমাত্র উদ্দেশ্য মুক্তিপণ আদায় করা। তারা বাংলাদেশি নাবিকদের সঙ্গে ভালো আচরণ করছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ভারতের একটি জাহাজ এভাবে ছিনতাই হয়। নয়াদিল্লি সেই জাহাজ ও তার নাবিকদের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনে। নয়াদিল্লির মতো কৌশল ঢাকাও অবলম্বন করতে পারে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন।
উইকিপিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সোমালিয়ান জলদস্যুরা ২০০৭ সালে একটি চীনা জাহাজ ছিনতাই করে এবং এর মালিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাক্সিক্ষত মুক্তিপণ না পেয়ে ওই জাহাজের নাবিককে হত্যা করে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


