somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাজী মেহেদী হাসান
আমি বাই ব্লাড বাংলাদেশি। কারো মাস্তানি ভালো লাগে না, কিন্তু সহ্য করি। সবসময় ভাবি: আহা, সবাইকে যদি মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিতে পারতাম। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে বসে অনর্থক একটা বিষয় নিয়ে পিএইচডি করছি।

ভারত ভ্রমণ-( ৩য় পর্ব)- পুরি'র সৌন্দর্য্য

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত পুরির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। সাধারণত ভারতের সৈকতগুলোতে ঢেউ কম। কিন্তু পুরিতে ঢেউ অনেক বেশি। অনেক সমুদ্রপ্রিয় মানুষের পছন্দের তালিকায় এই সৈকত।

ট্রেনে এক বয়স্ক দম্পতিকে পেয়েছিলাম যারা ১৪/১৫ বার পুরি এসেছেন। এই ঢেউ এমন উদাস মানুষকে এমন পাগলপারা করে দেয় যে মানুষ বার বার আসেন। আমার অসুস্থ দুলাভাই পারলে দেশে ফিরে গিয়েই আপাকে নিয়ে আসেন।

ওডিশা বা ওড়িশ্যা অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা রাজ্য। মাথাপিছু আয় ভারতের গড় মাথাপিছু আয়ের প্রায় অর্ধেক। কিন্তু সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। যত রাতই হোক, সৈকতে হাটতে আপনার বুক ভয়ে কাঁপবে না।

পুরি শহরটি খুব ছিমছাম। সৈকতের কোল ঘেষে শতশত হোটেল-রিসোর্ট। এরপর শহরের মূল রাস্তা। তারপর আবাসিক এলাকা। দরিদ্র এলাকা হলেও পুরির রাস্তা মোটামুটি পরিচ্ছন্ন। চক্রতীর্থ রোডে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের পড়ল বাংলায় লেখা একটি ভবনের শিলান্যাস। লেখা 'ভাদুড়ি ভবন, ১৯৩২ সন, পাবনা, পূর্ব্ববঙ্গ'। ভবনটি বর্তমানে রেড ক্রসের দপ্তর। আরো কিছুদূর হাঁটছি। সন্ধ্যা গড়িয়ে এসেছে। হঠাৎ বাংলায় রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর। বাড়ীর কাছে গেলাম। গেইটে বাংলায় লেখা 'ঠাকুর তীর্থ'। পাশেই ইংরেজিতে লেখা রবীন্দ্রনাথ কবে কবে এই বাড়ীতে এসেছেন। ঠাকুর পরিবার সৌন্দর্য্যের নেশায় পুরিতেও ডেরা বেধেছিলেন। একটা দীর্ঘতর নিঃশ্বাস ছাড়লাম। কেন ছাড়লাম জানিনা।

আবাসিক এলাকা পার হলেই পুরির রেল স্টেশন। এরপর জগন্নাথ রোড ধরে বাজার, বাসস্ট্যান্ড এইসব। জগন্নাথ রোড ধরে গেলে পথে পড়বে বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দির। গড়ে প্রতিদিন ১৫/২০ হাজার মানুষ এই মন্দিরে আসেন। ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের বিশ্বাস এই মন্দিদের দেবতা বড় জাগ্রত। পূজা দিয়ে পাশেই সমুদ্র স্নান করে উঠলে সব পাপ ধুয়ে মুছে যায়।

একদিকে পূণ্য লাভের সুযোগ, আরেকদিকে পুরি সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য্য। আর কী লাগে!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×