আমরা কি ন্যায়বিচার বিশ্বাস করি? উত্তর যদি হ্য হয় তবে শেষবিচারে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে কারন
ধরুন কেহ যদি কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করে তবে সবচেয়ে বড় সাজা সে কি পেতে পারে?
মৃত্যুদন্ড তাই না?
আর সে যদি ১০০ নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করে তবে সবচেয়ে বড় সাজা সে কি পেতে পারে?
মৃত্যুদন্ড তাই না? তবে সেটা মাত্র ১ টা জীবন ১০০ টা জীবনের বিনিময়ে এটা কি আসলেই ন্যায় বিচার?
আর কেহ যদি ১০০ লোক কে বাচায় তবে সে কি ১০০ টা জীবন পুরস্কার পাবে এই জীবনে? সে অবশ্যই ১০০ টা জীবন পুরস্কার পাবেনা বা ১০০ জীবন সমপরিমান সময় পাবেনা এই পৃথিবীতে বাচতে তবে এটাই কি ন্যায়বিচার? সে কি ন্যায়বিচার হতে বন্চিত হচ্ছেনা?
এজন্যই ন্যায়বিচারে বিশ্বাস মানে আপনাকে শেষ বিচারে / জাজমেন্ট ডে তে বিশ্বাস করতে হবে যাতে আপনি আপনার কৃতকর্মের, সকল কাজের যোগ্য প্রতিদান/ পুরস্কার পান।
আর শেষ বিচারে বিশ্বাস মানে আপনাকে এমন একজনের প্রতি বিশ্বাস করতে হবে যিনি ন্যায় বিচারক, সকল কাজের খবর জানেন, যিনি আপনাকে আবার জীবিত করতে পারবেন, অর্থাৎ আপনার মালিক,প্রভু বা আল্লাহতে বিশ্বাস
আপনার কাজই আপনার পরিক্ষা ভাল বা খারাপ যেটাই করেন তার জন্য আপনাকেই প্রতিদান দেয়া হবে দেখুন সুরা আম মুলক সুরা নং ৬৭ আয়াত নং ২ এ আছে "যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।"
আর ন্যায়বিচারের দিন কেমন হবে তা আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন এভাবে "সেদিন প্রত্যেকেই যা কিছু সে ভাল কাজ করেছে; চোখের সামনে দেখতে পাবে এবং যা কিছু মন্দ কাজ করেছে তাও, ওরা তখন কামনা করবে, যদি তার এবং এসব কর্মের মধ্যে ব্যবধান দুরের হতো! আল্লাহ তাঁর নিজের সম্পর্কে তোমাদের সাবধান করছেন। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। " ৩) সূরা আল ইমরান আয়াত ৩০
সেদিন সবাইকে প্রশ্ন করা হবে আমাদের কে যে সকল নেয়ামত যেমন জীবন, আলো , বাতাস, পানি, মানুষের শোনার ক্ষমতা , দেখার ক্ষমতা আরো যা কিছু প্রদান করা হয়েছে নেয়ামত হিসেবে "এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। " ১০২) সূরা তাকাসূর আয়াত নং ৮।
এবং "নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। " সূরা বনী ইসরাঈল সুরা নং ১৭ আয়াত নং ৩৬
সুতরাং ন্যয়বিচার যারা বিশ্বাস করেন তারা মহান আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত সমুহকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, কান দিয়ে ভাল কথা শুনুন, মুখ দিয়ে ভাল কথা বলুন, হাত দিয়ে ভাল কাজে সহায়তা করুন, তবেই শেষ বিচারের দিন আপনি নিজের প্রতি ন্যায়বিচার পাবেন
আল্লাহ বলেন "নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রাপ্য হক বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না; আর যদি তা সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব দান করেন। " সুরা আন নিসা সুরা নং ৪ আয়াত নং ৪০
আপনার প্রতি যে ন্যায় বিচার করা হবে তার প্রমান হিসেবে আল্লাহ বলেন "আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট। " সুরা আম্বিয়া সুরা নং ২১ আয়াত নং ৪৭।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




