somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মিজানুর রহমান মিলন
আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

কিছু কথা - বাক স্বাধীনতা ও ধর্ম

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাক স্বাধীনতার নামে কি কেউ আমাদের সংবিধান, জাতীয় পতাকা, রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা সমর্থন করবেন ? নিশ্চয় করবেন না । কারন এতে আমাদের শিকড়ে টান পড়বে, অস্তিত্বে টান পড়বে। আমাদের জাতীয় সংহতি বিনষ্ট হবে।রাস্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে । কারন রাস্ট্র আমাদের সকলের। তেমনি যারা ধর্মকে বিশ্বাস করেন সে বিশ্বাস যত কুসংস্কারই হোকনা কেন তাদের দিকটাও দেখতে হবে। তবে আপনি পারেন সেই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি দেখাতে, ধর্ম গুরুরা যা যা করেছেন, যে সব নৈতিক ও অনৈতিক কাজ করেছেন সেসব তাদের ধর্মীয় পুস্তক থেকে রেফারেন্স সহকারে তুলে ধরতে । যুক্তি সহকারে ধর্মের অসাড়তা তুলে ধরতে পারেন। এতে মানা না মানা তার ব্যাপার। অবশ্যই ধর্ম পুস্তকে ও ধর্মাবতারদের জীবনীতে যা নেই তা নিয়ে অশ্লীল কথা বার্তা লেখা অথবা গালাগালি করা গ্রহনযোগ্য নয়।

আমি কোন ধর্মে বিশ্বাসী নাও হতে পারি , আমি হতে পারি নাস্তিক তাই বলে আমি কারো দেব দেবী, ইশ্বর, ভগবান, আল্লাহ নিয়ে কদর্য ভাষায় মন্তব্য করতে পারি না আর সেটা গ্রহনযোগ্যও নয়। তবে অবশ্যই অসাড়তা যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে কোনো সমস্যা নেই।

একটা কথা আমাদের মানতে হবে, ধর্মকে অস্বীকার করা সহজ কিন্তু সমাজের ধর্মীয় প্রভাবকে অস্বীকার করা মোটেই সহজ নয়। তাই তো আমেরিকা যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বাইবেলে হাত রেখে শপথ নিতে হয়, আমেরিকার ডলারে লেখা আছে We trust in God. বাংলাদেশের সংবিধা্ন থেকে সরকার ইসলাম রাস্ট্র ধর্ম তুলে দিতে ভয় পায় । ভারতে হিন্দুত্ববাদের জোরে বিজিপি ক্ষমতায় আসে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়।

সমাজে ধর্মীয় প্রভাবকে অস্বীকার করা মোটেই যে সহজ নয় সেই ফল তো হাতে নাতেই পাচ্ছি। আজকে তথাকথিত বাক স্বাধীনতা ও ধর্মীয় উন্মাদনার নামে আমাদের দেশে এই অশান্তির সূত্রপাত। এই বাক স্বাধীনতার নামে সমাজে বিশৃঙ্খলা , ধর্মীয় উন্মাদনা, জঙ্গী সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করাও সামাজিক দায়িত্ব।

ধরুন, আমি আপনি এদের লেখা দেখে এড়িয়ে গেলাম, গ্রহন করলাম না কিন্তু আমরা এটা আশা করতে পারিনা যে সবাই এড়িয়ে যাবে । সমাজে অনেক উগ্রবাদী আছেন যারা তাদের অশ্লীল মন্তব্য, পোস্টগুলোকে সহজভাবে নিবেন না বা তাদের মন্তব্য, পোস্ট পড়ে যে উগ্রবাদের খাতায় নাম লিখাবেন না এ নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারবেন ?আর তারা তখন তাদের দমনের জঙ্গীবাদী পথ অবলম্বন করবেন যেটা সমাজের জন্য আরো ভয়ংকর !


আসুন যদি পারেন আলোচনা করুন, যুক্তি দিন ঈশ্বর আছে কি নেই । ধর্মগুলি যদি কুসংস্কার, মিথ হয়ে থাকে, ধর্মগুলো যদি সমাজের জন্য ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে অত্যন্ত বলিষ্ঠ যুক্তিসহকারে সমাজে তুলে ধরুন । ধর্মের কোন কোন দিকগুলো আপনার অপছন্দ এবং কেন আপনি অপছন্দ করেন সেটা যদি পারেন তুলে ধরুন যুক্তিসহকারে । যার ভাল লাগবে তিনি গ্রহন করবেন আর যার ভাল লাগবে না তিনি গ্রহন করবেন না । এ তো সহজ কথা ।

ধর্মীয় পুস্তকে যা নেই এবং ধর্মাবতারদের জীবনীতে যা নেই অথচ তা নিয়ে যদি অশ্লীল সাহিত্য লেখা হয় নিশ্চয় তাদের উদ্দেশ্য হল সমাজ থেকে ধর্মীয় কুপ্রভাব দুর করা নয় এদের উদ্দেশ্য হল একটি সুখি, শান্তিময় সমাজে অশান্তির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া । আমি সেই সব মুক্ত চিন্তকদের সমর্থন করি যারা ধর্মের নানা অসংগতি, অসাড়তা যুক্তি সহকারে মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তবে একটি কথা না বললেই নয়, ধর্মীয় উগ্রবাদীরা তাদের মতাদর্শ ও বিশ্বাসের বাইরে গেলে কাউকে ছাড় দেয় না। ঐ ধর্মীয় উগ্রবাদী তথা জঙ্গীরা সমাজ , দেশ ও বিশ্ব মানবতার জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর। এদেরকে একযোগে সবাইকে প্রতিরোধ করতে হবে।
তাই মৌলবাদী আস্তিকদের অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×