বাক স্বাধীনতার নামে কি কেউ আমাদের সংবিধান, জাতীয় পতাকা, রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন কথা সমর্থন করবেন ? নিশ্চয় করবেন না । কারন এতে আমাদের শিকড়ে টান পড়বে, অস্তিত্বে টান পড়বে। আমাদের জাতীয় সংহতি বিনষ্ট হবে।রাস্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে । কারন রাস্ট্র আমাদের সকলের। তেমনি যারা ধর্মকে বিশ্বাস করেন সে বিশ্বাস যত কুসংস্কারই হোকনা কেন তাদের দিকটাও দেখতে হবে। তবে আপনি পারেন সেই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি দেখাতে, ধর্ম গুরুরা যা যা করেছেন, যে সব নৈতিক ও অনৈতিক কাজ করেছেন সেসব তাদের ধর্মীয় পুস্তক থেকে রেফারেন্স সহকারে তুলে ধরতে । যুক্তি সহকারে ধর্মের অসাড়তা তুলে ধরতে পারেন। এতে মানা না মানা তার ব্যাপার। অবশ্যই ধর্ম পুস্তকে ও ধর্মাবতারদের জীবনীতে যা নেই তা নিয়ে অশ্লীল কথা বার্তা লেখা অথবা গালাগালি করা গ্রহনযোগ্য নয়।
আমি কোন ধর্মে বিশ্বাসী নাও হতে পারি , আমি হতে পারি নাস্তিক তাই বলে আমি কারো দেব দেবী, ইশ্বর, ভগবান, আল্লাহ নিয়ে কদর্য ভাষায় মন্তব্য করতে পারি না আর সেটা গ্রহনযোগ্যও নয়। তবে অবশ্যই অসাড়তা যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে কোনো সমস্যা নেই।
একটা কথা আমাদের মানতে হবে, ধর্মকে অস্বীকার করা সহজ কিন্তু সমাজের ধর্মীয় প্রভাবকে অস্বীকার করা মোটেই সহজ নয়। তাই তো আমেরিকা যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বাইবেলে হাত রেখে শপথ নিতে হয়, আমেরিকার ডলারে লেখা আছে We trust in God. বাংলাদেশের সংবিধা্ন থেকে সরকার ইসলাম রাস্ট্র ধর্ম তুলে দিতে ভয় পায় । ভারতে হিন্দুত্ববাদের জোরে বিজিপি ক্ষমতায় আসে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়।
সমাজে ধর্মীয় প্রভাবকে অস্বীকার করা মোটেই যে সহজ নয় সেই ফল তো হাতে নাতেই পাচ্ছি। আজকে তথাকথিত বাক স্বাধীনতা ও ধর্মীয় উন্মাদনার নামে আমাদের দেশে এই অশান্তির সূত্রপাত। এই বাক স্বাধীনতার নামে সমাজে বিশৃঙ্খলা , ধর্মীয় উন্মাদনা, জঙ্গী সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করাও সামাজিক দায়িত্ব।
ধরুন, আমি আপনি এদের লেখা দেখে এড়িয়ে গেলাম, গ্রহন করলাম না কিন্তু আমরা এটা আশা করতে পারিনা যে সবাই এড়িয়ে যাবে । সমাজে অনেক উগ্রবাদী আছেন যারা তাদের অশ্লীল মন্তব্য, পোস্টগুলোকে সহজভাবে নিবেন না বা তাদের মন্তব্য, পোস্ট পড়ে যে উগ্রবাদের খাতায় নাম লিখাবেন না এ নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারবেন ?আর তারা তখন তাদের দমনের জঙ্গীবাদী পথ অবলম্বন করবেন যেটা সমাজের জন্য আরো ভয়ংকর !
আসুন যদি পারেন আলোচনা করুন, যুক্তি দিন ঈশ্বর আছে কি নেই । ধর্মগুলি যদি কুসংস্কার, মিথ হয়ে থাকে, ধর্মগুলো যদি সমাজের জন্য ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে অত্যন্ত বলিষ্ঠ যুক্তিসহকারে সমাজে তুলে ধরুন । ধর্মের কোন কোন দিকগুলো আপনার অপছন্দ এবং কেন আপনি অপছন্দ করেন সেটা যদি পারেন তুলে ধরুন যুক্তিসহকারে । যার ভাল লাগবে তিনি গ্রহন করবেন আর যার ভাল লাগবে না তিনি গ্রহন করবেন না । এ তো সহজ কথা ।
ধর্মীয় পুস্তকে যা নেই এবং ধর্মাবতারদের জীবনীতে যা নেই অথচ তা নিয়ে যদি অশ্লীল সাহিত্য লেখা হয় নিশ্চয় তাদের উদ্দেশ্য হল সমাজ থেকে ধর্মীয় কুপ্রভাব দুর করা নয় এদের উদ্দেশ্য হল একটি সুখি, শান্তিময় সমাজে অশান্তির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া । আমি সেই সব মুক্ত চিন্তকদের সমর্থন করি যারা ধর্মের নানা অসংগতি, অসাড়তা যুক্তি সহকারে মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তবে একটি কথা না বললেই নয়, ধর্মীয় উগ্রবাদীরা তাদের মতাদর্শ ও বিশ্বাসের বাইরে গেলে কাউকে ছাড় দেয় না। ঐ ধর্মীয় উগ্রবাদী তথা জঙ্গীরা সমাজ , দেশ ও বিশ্ব মানবতার জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর। এদেরকে একযোগে সবাইকে প্রতিরোধ করতে হবে।
তাই মৌলবাদী আস্তিকদের অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


